উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব চব্বিশ

কি হলাে জামেরী ভাই?
না, কিছু না।

লজ্জা পেলাম। স্ট্রেচারের ওপর মিতুল লম্বা হয়ে শুয়ে। মাথাটা একদিকে বাঁকানাে। অন্ধকারে মিতুলের মুখটা তেমন দেখা যাচ্ছে না। এ কোন মিতুল আমার সঙ্গে যাচ্ছে? এ মিতুলকে আমি চিনি না। ও আমাকে একবারও জামী বলে ডাকেনি। মিতুলের সেই দৃষ্টিটা কই? যে দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকলে মগ্ন চৈতন্যে আমার সমস্ত প্রাণ শিস হয়ে বাজতাে।

ব্যাপারটা কেমন হলাে জামেরী ভাই?
কোন ব্যাপার?

এই যে দু’দিন পর বিয়ের সব আয়ােজন শেষ- আমি কথা বলতে পারলাম না। কি উত্তর দেবাে। ওটা যে আমারও প্রশ্ন। ছেলেবেলা থেকেই দেখছি আপা যেন কেমন? আমি ঠিক বুঝতে পারি না। তবে মনে হয় কোথায় যেন আপার কি নেই। এমনিতে কিন্তু মনটা খুব ভালাে। চমৎকার মেয়ে। এমন মেয়ে হয় না। মিনটুর কণ্ঠ উদাস। গাড়িতে ওঠানাের সময় ঝরনাকে খুব কাদতে দেখেছি। কাঁদছিলাে মিতুলের বাবা এবং মা-ও। শুধু আমি কাঁদিনি। কাঁদতে ভুলে গেছি।

এম্বুলেন্স এসে এমারজেন্সিতে থামলাে। এমনি মিতুলকে ডাক্তারদের হাতে ছেড়ে দিয়ে আমরা তিন জন বাইরে সিড়ির ওপর চুপচাপ বসে রইলাম। মিতুলের বাবা মাঝে মাঝে নাক মুছছেন, চোখ মুছছেন।

মাঝে মাঝে ফ্যাচ ফ্যাচ শব্দ হচ্ছে। সে শব্দ আমার কানে বড় বিশ্রী লাগছে। মিন্টু মিতুলের ছেলেবেলার অনেক কথা স্বরণ করলাে। অনেক ঝগড়া, মারামারি, অনেক মধুর দিন ইত্যাদি। আমার কিছুই শুনতে ভালাে লাগছিলাে না। যেন একজন মারা গেছে আর তার সম্পর্কে কিছু খুচরাে আলাপ আলােচনা হচ্ছে। আমরা তিন জন পুরুষ মিতুলের জন্যে বসে রয়েছি। তার মধ্যে আমার দাবি মিতুলের কাছে সবচেয়ে বেশি। ওর বাবা শব্দ করে কাঁদছে। ওর ভাই একটানা স্মৃতিচারণ করছে। আর আমি ওর জীবনের সব-অথচ একটা কথাও বলছি না। বরং মিটুর বকবকানিতে বিরক্ত

হয়ে বাগানে নেমে আসি। অদ্ধকারে গােলাপ কুড়ি চুপ। সবুজ পাতা নিকুম। মাথার ওপর ছায়াপথ। মিতুল অসুস্থ। আমি একজন মিতুলকে ভালােবাসি সে এখন

অচেতন। আর চেতনায় কোনাে ভালোবাসার জল পড়ে না। শিশির পড়ছে টুপটাপ।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরু হয়েছে। আমার মাথা গরম। শরীর গরম। হিমঝরা রাত আমার কাছে মায়াবী স্পর্শ। মিতুল, তুই তাড়াতাড়ি ভালাে হয়ে যা। মিতুল রে,

তােকে অসুস্থ দেখলে আমার কিছু ভালাে লাগে না।আমার জন্যে উন্মুক্ত তাের ঐ দৃষ্টি বুঁজে আছে কেন? জোর করে খুলে ফেল। তুই কি বােকা? তুই একটা পাগল।

আঃ মিতুল রে, আমার গলার কাছে দলাধরা শিশির জমে আছে। তাের চোখের পাপড়ি না খুললে ওগুলাে কোনােদিন টুপটাপ ঝরবে না। আমি হাটতে ইাঁটতে গেটের কাছে এলাম। গেটের সামনে আলাের বৃত্ত। মনে মনে এক দুই শুনলাম। হস হস করে সব অতভ চিন্তা কাকের মতাে তাড়ালাম। আলাের বৃত্তে পা রাখলাম। কাকটা বারবার ফিরে এসে বসে মনের ডালে। আবার তাড়াই। তাড়াতে আমার একটু ক্লান্তি নেই। এই মুহর্তে ঐ অশুভ চিন্তার কাক তাড়ানােই আমার জীবনের লক্ষ্যা হয়ে উঠেছে। মিতুলকে আমি সব অমঙ্গল থেকে আড়াল করে রাখবাে। কোনাে কাকের পাখা ঝাপটানি নয়, কোনাে কর্কশ কণ্ঠের শব্দ নয়-মিতুলকে আমি এসব থেকে অনেক দূরে নিয়ে যাবাে। স্যান্ডেল খুলে বুড়া নখ দিয়ে রাস্তায় আঁকিবুকি কাটালাম। মিতুলের নাম লিখলাম। আমার নামও লিখলাম। এ্যাম্বুলেন্সটা সাঁই করে আবার কোথায় যেন বেরিয়ে গেলাে। কড়ই গাছটার নিচে বসে পড়লাম। সে গাছটাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে মাথা ঠুকে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। মিন্টু এসে পিঠে হাত রাখলাে।

জামেরী ভাই, এভাবে ঠাণ্ডায় বসে থাকলে নিউমােনিয়া হবে। আমি হাে হাে করে হেসে উঠলাম। মিন্টু অবাক হয়ে গেলাে।

হাসছেন যে?

কত নিউমােনিয়া বুকের তলে বাসা বেধে থাকে, বাইরের হিমঝরা রাত তার কাছে কিছুই নয় মিন্টু।

আপনার এসব কথা আমি বুঝবাে না। চলুন বাবা আপনাকে ডাকছেন।

আর কোনাে খবর জানে?

না এখনাে জ্ঞান ফেরেনি। অক্সিজেন দেয়া হয়েছে। তুমি যাও মিটু। আমি একটু পরে আসছি।

মিটু চলে গেলাে। ও বেশ লম্বা হয়েছে। পাতলা ছিপছিপে শরীরের ছায়া কাপতে কাঁপতে ওুর সঙ্গে মিলিয়ে গেলাে। আমি কড় ই গাছের নিচে বসে শিশির

পরার শব্দ শুনছি। অন্ধকারে দৃষ্টি ঠিকমতাে প্রসারিত করা যায় না। লাইটপােষ্টের নিচে কেবল আলাে। আর সর্বত্র কুপাে অন্ধকার। আমি জানি, মিতুলের এ অসুস্থতা আকম্থিক কোনাে ব্যাপার নয়। এ অসুখ ওর অনেক আগের। আজকে হলাে তার লােক জানাজানি। আমার বুকটা বারবার ফুলে ফুলে ওঠে। বাসরের কথা আর মনে থাকে না। মিতুলের ওপর আমার প্রচণ্ড অভিমান। আঃ মিতুল রে, আমি যদি ঐ অক্সিজেনের মতাে তাের শরীরে ঢুকতে পারতাম। মিতুল ছাড়া কোনাে কিছু এখন আর আমি ভাবতে পারছি না।

সকালে বাসায় এলাম। বিশেষ করে রায়হানের জন্যে আমার আসতে হলাে।

মিটু রইলাে হাসপাতালে। রিকশায় আলী আহমদ সাহেব আমার সঙ্গে একটি কথাও বলেননি। এমনকি রিকশা থেকে নেমে বাসায় ঢোকার সময়ও না। তার দৃষ্টি কেমন উদভ্রান্ত ছিলাে। উপরস্তু রাত জাগার ক্লান্তি তাকে পেয়ে বসেছিলাে। আমি তালা খুলে ঘরে চুকলাম। রায়হান জানালায় মুখ রেখে চুপচাপ দাড়িয়ে। আমাকে দেখে কেমন যেন একটা ভঙ্গি করলাে। তােকে আমি কত খুঁজেছি জামেরী? চিকার করে ডেকেছি। তুই কোথায় গিয়েছিলি?

একটু বাইরে গিয়েছিলাম।

আমাকে রেখে তুই আর কোথাও যাস না জামেরী। আমার বড্ড ভয় করে।

শােন রায়হান, চল তােকে তাের বোনের বাসায় রেখে আসি।

না, না, আমি কোথাও যাবাে না। তােকে ছেড়ে কোথাও যাবাে না। কারাে কাছে থাকতে আমার ভালাে লাগে না জামেরী।

কিন্তু এখানে তাের যত্ন করবে কে? ঠিকমতাে ওষুধ খাওয়াবে কে? আমি তাে সারাদিন বাসায় থাকবাে না।

আমি যত্ন চাই না। ওষুধ খাবাে না। আমার জন্যে কিছু করতে হবে না।

তা কি হয়। ডাক্তার বলেছে-

ডাক্তার? ডাক্তারকে আমি খুন করবাে।

কথাটা বলেই কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেলাে রায়হান। আমার দিকে অপলক চেয়ে রইলাে। দেখলাম ওর হাত কাপছে। আমি ওকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। তখন ও ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাে। ওকে কাঁদতে দিয়ে অবসন্নের মতাে চেয়ারে বসে রইলাম। কোনাে কিছু করার ইচ্ছে নেই। রায়হানের ওপর এখন আমার বিরক্ত ধরছে। ওকে সুস্থ করার জন্যে অনেক ধৈর্ষের প্রয়ােজন। অত ধৈর্য কি আমার আছে? তাছাড়া আমি বাসায় কতক্ষণ থাকতে পারবাে? আমাকে যে মিতুলের পাশে বসে থাকতে হবে। আমি চাই, ও চোখ খুললে প্রথম দৃষ্টি বিনিময়টি আমার সঙ্গেইহােক।

রায়হানের কান্নার ফাঁকে গােসল শেষ করে চা বানালাম। ওকে ডেকে চা-বিস্কৃট খাইয়ে ওষুধ খাওয়ালাম। ওর জরুরি ওষুধটা আর কেনা হয়নি। ওষুধ খে রায়হান গিয়ে আবার শুয়ে পড়লাে। ওকে তালা দিয়ে বেরুলাম। আমি হাসপাতালে গেলে মিট আসবে। মিটু এসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করবে। কাল রাতে ওরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাকেও জিজ্ঞেস করেছিলাে। আমি জোর করে না করতে পারিনি। আর ঐ একদিনে মিতুল সুস্থ হয়ে উঠবে বলে মনে হয় না। সু্স্থ হলেও এই মুহূর্তে বিয়ে সম্ভব না। অতএব বাতিলই সই। ধবধবে সাদা বিছানায় মিতুল শুয়ে। এখনও অচেতন। বিছানার ধারে দাঁড় করানাে আছে এক কৃত্রিম শ্বাস দেবার যন্ত্র। হিসহিস্ শব্দ বেরুচ্ছে যন্ত্রটা থেকে। মিতুলের মুখটা কালাে দেখাচ্ছে। ঠোটিজোড়া শুকনাে। ফাটা ফাটা চোখের পাপড়িতে কোনাে কাঁপুনি নেই। মিতুলের হংপি্ এখনাে ধুকধুক করে। কিন্তু আমি সে শব্দ আর শুনতে পাই না। ধবধবে সাদা বিছানা আমার চোখের সামনে এক অনির্দিষ্ট শূন্যতায় পর্যবসিত হয়।

সেদিন মিতুলের জ্ঞান ফিরলাে না। পরদিনও না। তার পরদিনও না। ডাক্তাররা চিন্তানবিত। মিতুলের জন্যে মেডিক্যাল বাের্ড গঠন করা হয়েছে। আমি কখনাে মিতুলের বিছানার পাশে, কখনাে রেজার টেবিলের সামনে গিয়ে বসি। কোথাও স্বস্তি পাই না। রেজা আমার সঙ্গে নানা ধরনের কথাবার্তা বলে। হাসি-ঠাটা করে। আমার কাছে সব কেমন কৃত্রিম এবং বানানাে মনে হয়। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে রেজাকে চেয়ার ছুঁড়ে মারি। আমি রেগে গেলে রেজা চুপ করে থাকে। কিছুই বলে না। ও বােঝে আমাকে। কিন্তু রেজার ঐ সান্ত্বনা দেয়ার ভঙ্গিটা আমার ভালাে লাগে না।

ইদানিং রায়হান বেশ শাস্ত হয়ে গেছে। একটানা সাত আট দিন ঘুমােনাের পর ঘুমটাও কমেছে। মনে হচ্ছে, রায়হান আরােগ্যের পথে। এখন আর অতটা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে না। বললেও খুব কম। যখন-তখন চমকে উঠে না। ঠিকমতাে খাওয়া-দাওয়া করে। ডাক্তার বলেছে, ওকে খুব কেয়ারে রাখতে হবে এবং প্রায় বছরখানে ওযুধ খেয়ে যেতে হবে। ওযুধ ছাড়লে আবার বেশি হতে পারে আমি ওকে তালা দিয়ে বেরিয়ে আসি। রাতে ফিরি কথাবার্তা খুব একটা হয়ও না। তবে ওর সুস্থতায় আনন্দ পাই। ভালো লাগে। মিতুলের রােগাক্রান্ত মুখটা কিছুক্ষণের জন্যে হলেও মন থেকে মুছে যায়।

চার-পাঁচ দিন পর মেডিক্যাল বাের্ডের রিপাের্ট বেরুলাে। মিতুল তার জীবনের সচেতনতা হারিয়ে ফেলেছে। কৃত্রিম শ্বাস দিলে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বাচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু ভালাে হবার কোনাে আশা নেই। তার কোনাে অনুভূতি নেই, চেতনা নেই। সে এখন এক ভিন্ন জগতের বাসিন্দা। রিপাের্টটা শােনার পর আমি সােজা বাসায় চলে আসি। মিতুলের বাবা হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে। কাঁদে অন্য আর সবাই। তার ফাঁকে আমি সরে পড়ি। আসলে এমনি হয়। যাকে কেন্দ্র করে এত আবেগ, তার কোনাে বােধ নেই। বাসায় ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়ি।

কি হয়েছে জামেরী?

কথা বলিস না রায়হান।

আমার সমস্ত শরীরে আগুন। আমি এখন বিধ্বস্ত হিরােশিমা। পারমাণবিক বােমার ছাই এখন ব্ল্যাক রেইন হয়ে আমরা সমস্ত ভবিষ্যৎ আঁধার করে রেখেছে। আমার হদয়ে কেবল ব্ল্যাক রেইনের বর্ষণ। শুয়ে থাকাও অসহ্য মনে হলাে। লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে গালিবকে টেনে বের করলাম। চিৎকার করে পড়তে লাগলাম আমার প্রিয় শের;

“গােলাপের কলিগুলাে

পাপড়ি মেলেছে

বিদায়জানাবার জন্যে

হে বুলবুল, চলাে এবার,

চলে যাচ্ছে বসন্তের দিন।’’

খবরের কাগজে মিতুলের অসুখ নিয়ে খুব লেখালেখি হচ্ছে। ছবি উঠছে। আমি দিশেহারা হয়ে যাই। প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়ে বসে থাকি। মিতুলের মুখটা দিন দিন বদলে যাচ্ছে। চেহারায় শক্ত ভাজ পড়েছে। চুলের গােছা লালচে বিবর্ণ হয়ে উঠেছে। কৃত্রিম শ্বাস দেবার যন্ত্রটি হিস হিস শব্দ তুলে গলা বেয়ে নিতুলের ফুসফুসে বাতাস পৌছিয়ে দিচ্ছে। ‘ভেজিটেটিভ স্টট’-এর রােগী মিতুল। কৃত্রিম শ্বাস না দেয়া হলে অন্তত পনেরাে দিন আগে মারা যেত। মৃত্যু শব্দটা আমার বুকে সঙ্গীতের মতাে বাজে। না, মৃত্যু আমার শত্রু নয়, প্রিয় সখী। ওকে শত্রু করলে মিতুলকে ছিনিয়ে় নিয়ে যাবে। মৃত্যু আমার বুকেই থাক। আর মিতুল বাঁচুক, হাজার বছর বাচুক।

পরক্ষণে মাথাটা বোঁ করে ওঠে। মিতুল আর কোনােদিন সচেতনতা ফিরে পাবে না। হাসবে না। গভীর চাউনিতে আমাকে বিবশ করবে না। মিতুল এমনি করে কৃত্রিম জীবন নিয়ে বেঁচে থাকবে। আঃ তাই থাকুক। আমি নিজেকে সান্ত্বনা দেই।

মিতুলকে কিছুতেই মরতে দিতে পারি না। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা মিতুলের বিছানার পাশে বসে থাকি। এক মনে ঐ যন্ত্রটা দেখি, যেটা মিতুলের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। দেখতে দেখতে আমার সেই স্বপ্নের কথা মনে হয়। না, সেই স্বপ্নটা আমি আর দেখি না। সেটা আমার অবচেতন থেকে পালিয়েছে। এখন চেতনে সেই স্বপ্নটা সত্যি। বড় আশা নিয়ে মিতুলের দিকে তাকাই। ও যদি একবার নড়ে ওঠে। জামী বলে গলা জড়িয়ে ধরে। যদি বলে, আমি কতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম, জামী? তুমি আমাকে ডাকোনি কেন? উঃ, এটা সত্যি হয় না। কেন? মিতুলের খাটের ঠাওডা রড়ে মাথা রাখি। মনে হয়, শুধু মিতুল নয়, ঐ যন্ত্রটা হিস হিস শব্দে গলা বেয়ে আমার ফুসফুসেও বাতাস পৌছিয়ে দিচ্ছে। এখন আমার শ্বাস নিতে বড় কষ্ট। মাঝে মাঝে রেজা এসে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ওর রুমে এসি। ও চা আনায়। নানারকম কথা বলি। কখনাে শুনি। কখনাে শুনি না। রেজা ধমক দেয়। তুই এতটা ভেঙে পড়বি আমি ভাবতে পারিনি জামেরী। ভালােবাসার কাছে আমি ক্রীতদাস রেজা। দেখ জামেরী, তােকে সান্ত্বনা দেবার তাষা আমার নেই। কিছু বলাও বৃথা। তবে-

Series Navigation<< উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব তেইশউপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব পঁচিশ >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *