উপন্যাস।। সেলিনা হোসেন ।। মগ্ন চৈতন্য শিস ।। পর্ব পনেরো

কাল সারারাত ঘুমােইনি জামেরী? এখন কাগজটা রাখ না। আমি হাসলাম চাঁদ আস্তে আস্তে পথে আসছে। এখন কথার তােড়ে ভাসিয়ে দেবে আমায়। যেহেতু আমার কোনাে কাজ নেই, তাই মনােযােগী ছাত্রের মতাে ওর সব কথা শুনতে পারবো। ওর কথা আমার শােনা দরকার। জানিস জামেরী, এ ক’দিন সন্ধ্যা হলেই ছন্দাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থেকেছি। অন্ধকার হলেই কে যেন আমার পায়ে শিকল দিয়ে ওখানে টেনে নিয়ে যায়। মাধবীলতার ঝাড়টা বুকে আগুন হয়ে জ্বলতাে। আগে ছন্দা আমাকে ওর জন্যে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলতাে। ও এখন আর আমাকে চায় না। তবুও আমি দাঁড়িয়ে থেকেছি। কখনাে দেখেছি, ওরা হাসতে হাসতে বেরিয়েছে। ছন্দার মুখে আলোর দীপ্তি। বিমানবিধ্বংসী কামান থেকে গােলাগুলাে বেরিয়ে লাল হয়ে আকাশে যেমন ছড়িয়ে যায়, ছন্দার খুশি তেমনি। হ্যাঁ জামেরী, আমি ঐ খুশিতে ধ্বংসই দেখেছি, কোনাে মঙ্গল নয়। কখনাে দেখেছি লােকটাকে একা বেরিয়ে যেতে। আমি কিছু করতে পারিনি। হাতের আঙ্গুল কোনাে ট্রিগার খুঁজে পায় না। আমি নিঃশব্দে সরে আসি। বারবার মনে হয়, আমি কি হেরে যাচ্ছি? কেন? ছন্দার প্রতি ভালােবাসায়, না লােকটার প্রতি দয়ায়? না, কোনােটাই না। যা করবাে বলে পণ করেছি, তা আমার করা চাই। কোনাে আবেগতাড়িত ছেঁদো কথায় আমি পিছু হটে আসবাে না। ছন্দাকে আমি ভালােবাসি। ছন্দাকে আমি চাই। এর বাইরে আমি আর অন্য কিছু বুঝি না। ছন্দা আর একটি লােককে নিয়ে সুখে সংসার করবে ঐ ভেবে আমি আমি সান্ত্বনা পাবাে এ ধরনের মধ্যযুগীয় প্রেমে আমার আস্থা নেই। আমি তখন আবার আপনশক্তিতে ফিরে আসি। কাল সারারাত এক বারে বসে প্রচুর গিলেছি। মাথা এখন ভীষণ গরম। ভীষণ গরম।

রায়হান বিড়বিড় করলাে। একবার ইচ্ছে হলাে, ঘাড় ধরে ওকে ঘর থেকে বের করে দেই। কিন্তু পরে ভাবলাম, তাতে কি সাইকির কোনাে উপকার হবে? আমার সমস্ত বুদ্ধি ঘােলাতে হয়ে যায়। আসলে আমার কিছু করার নেই। আমার ভূমিকা নীরব দর্শকের। এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্যে সাইকিকে বলতে পারি। কিন্তু ওকে কোথায় পাবাে? ঠিকানা তাে জানি না। সাইকি যদি আমাকে অন্যরকম সন্দেহ করে। সেই ঘৃণার দৃষ্টি তাে আমি ভুলে যাইনি।
কি ভাবছিস জামেরী?
কিছু না।
আমাকে ঘৃণা করছিস?
আমি উত্তর দিলাম না।
ঘৃণা তুই করবি জানি। কিন্তু এছাড়া আমার কোনাে উপায় নেই। পিছু হটতে আমি চাই না।
আমি খবরের কাগজে মনােযােগ দিলাম। কিছুক্ষণ ও পায়চারি করলাে। সিগারেট জ্বালালাে। মুখ নিচু অবস্থায় আমি ওর পা দেখলাম। জুতাের মচমচ্ শব্দ শুনলাম। এক সময় ও আমার সামনে এসে দাঁড়ালাে।
তুই কি আমার সঙ্গে কথা বলবি না জামেরী?
তুই এখন চলে গেলে আমি খুশি হবাে।
তুই আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছিস?
হ্যাঁ ।
ঠিক আছে।

রায়হান আর কোনাে কথা না বলে শিথিল পায়ে বেরিয়ে গেলাে। এই প্রথম আমি ওর সঙ্গে বেশ কড়া রকমের দুর্ব্যবহার করলাম। অথচ ওকে বরাবর আমি বুঝতে চেয়েছি। সহানুভূতির সঙ্গে ব্যবহার করেছি। কিন্তু ওর এই একগুঁয়ে জেদ আমাকে উত্তেজিত করেছে। এই বর্বরতা সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

তবুও রায়হানকে বের করে দিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলাে। আসলে ওর ভেতরে একটা জ্বালা আছে। লেজে বারুদ নিয়ে ও পাগলের মতাে ছুটে বেড়াচ্ছে। সে বারুদ যখন – তখন ফস্ করে জ্বলে জ্বলে ওঠে। রায়হানকে আমার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। আমি বারবার সেটা করে এসেছি। আজকে আমি। কিছুতেই নিজেকে সংযত রাখতে পারিনি। মনে মনে লজ্জিত হলাম। ঘরে থাকতে ভালাে লাগলাে না। কাপড় পরে বেরিয়ে এলাম। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি সাতদিনের। মাঝে মাঝে কিছুতেই অফিস করতে ইচ্ছে করে না। তখন হুট করে বেরিয়ে যাই কোথাও। মিতুল রাগ করে বলে, বলা নেই কওয়া নেই তুমি কোথায় যে উধাও হয়ে যাও। তুমি বােঝ না সে কয়দিন আমার কেমন নির্মুম রাত কাটে! ও রাগ করে তারপর সাত দিন আর কথাই বলে না। সে রাগ ভাঙাতে অনেক সাধ্যি সাধনা করতে হয়। কিন্তু আমারও উপায় নেই। মন যখন বাঁধনহারা হয়, তখন পেছনের কথা আর মনে থাকে না। কখনাে হয়তাে অফিস থেকে চলে যাই। মিতুলকে বলে যাওয়ার সময় থাকে না। ছুটির আর দু’দিন বাকি আছে। আগামী পরশু ফুরিয়ে যাবে। আজকেই আমার ততখান লেনে যেতে হবে। আসলে পুরাে ঘটনা দেখার জন্যে আমার মনেও কৌতূহল আছে। রিকশার জন্যে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে রইলাম। এক সময় দেখলাম, সাইকি আর একটি লােকের সঙ্গে আমার সামনে দিয়ে রিকশায় চলে গেলাে। আমি তাকিয়েই থাকলাম। কিছুদূর গিয়ে সাইকি পেছনের পর্দা তুলে আমাকে দেখলাে। দৃষ্টিতে সেই অবিশ্বাসী ঘৃণা। ও আজ কি ভাবলাে কে জানে। আমার মনে হলাে রিকশা থামিয়ে বলি, সাইকি তুই পালিয়ে যা। ভালােবাসার লােক নিয়ে অন্য কোথাও চলে যা। কিন্তু আমার ভাবনার সামনে দিয়ে রিকশা কোথায় মিলিয়ে গেলাে টের পেলাম না। রায়হান ঠিকই বলে, এ্যাকশনের চাইতে আমার ভাবনা বেশি। অথচ এই খবরটা সাইকিকে জানানাে কত জরুরি ছিলাে। জনারণ্যে ফুটপাতে আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। একটা আশ্চর্য কার্ডিওগ্রাম দিয়ে আমার বুকের ভাষাটা সাইকিকে যদি পড়াতে পারতাম? আমি এতকাল ভালােবাসা পেয়েছি। ঘৃণা পাইনি। সাইকির ঘৃণায় আমার সর্ব শরীরে আগুন। তাঁতখান লেনের ২/১ নাম্বারের ছােট্ট বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে যখন দরজায় কড়া নাড়লাম, তখন টের পেলাম, হার্টবিট অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গেছে। যদি কোনাে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বা ঘটনার মুখােমুখি হই। জাের একটা ছেলে এসে দরজা খুলে দিলাে। জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে কে আছে?
আম্মু আছে । আর কেউ নেই।
তােমার আম্মুকে ডাকো।
ছেলেটি আমাকে বসতে দিলাে। ঘরের অবস্থা খুব ভালাে নয়। নড়বড়ে চৌকি একটা একপাশে। একখানা হাতলঅলা চেয়ার। দেয়ালে তিন বছর আগের পুরােনাে ক্যালেন্ডার। জানালার ওপর একগাদ ওযুধের শিশি। কেমন দম আটকানাে পরিবেশ। আমার মনটা চুপসে গেলাে। ভদ্রমহিলা এলেন রােগা লম্বা খুঁজে দেখলে চেহারায় যেন কিছুটা লাৰণ্য পাওয়া যায়। আমি পরিপূর্ণ দৃষ্টি মেলে তাকে দেখলাম। তিনি কিছুটা বিব্রত হলেন।
আপনি কাকে চান? বাবুর আব্বা তাে বাসায় নেই!
আমি আপনাকে চাই।
আপনাকে আমি ঠিক-
না, আমাকে আপনি চিনবেন না। কখনাে দেখেননি আপনি মিতুলকে চেনেন? মিতুল ভদ্রমহিলা চমকে উঠলেন। মুখটা নিচু করে চুপ করে রইলেন। দেখলাম হাতের আঙুল কাঁপছে। আস্তে আস্তে বললেন, মিতুল কেমন আছে? ভালাে। ও আপনাকে দেখার জন্যে ব্যস্ত হয়ে আছে।
না।
মহিলা তীব্র চাপা কন্ঠে চেঁচিয়ে উঠলেন। আমি অবাক হলাম।
না কক্ষনাে না। মিতুল আমাকে দেখতে পাবে না।
কেন?
মিতুলের মায়ের অধিকার আমি ত্যাগ করে এসেছি।
ত্যাগ করলেই তাে ত্যাগ করা হয় না। মিতুলের সঙ্গে আপনার নাড়ির সম্পর্ক। উঃ চুপ করুন এসব কথা আমি জানি। মিতুলের জন্যে আপনার কোনাে ভালােবাসা নেই? এ প্রশ্ন বৃথা। দূর থেকে ভালােবাসার কোনাে মানে নেই। প্রতিদিনের সাহচর্যে ভালােবাসাকে জীবন্ত রাখতে না পারলে মরা ভালােবাসায় লাভ কি? আমি ধাক্কা খেলাম। সঙ্গে সঙ্গে কোনাে উত্তর দিতে পারলাম না। মুহূর্তে তার চোখে চোখ ফেললাম। এই মুহূর্তে আমি তাকে বুঝতে পারছি না। তবে মিতুলের ব্যাপারে তার কঠিন মনােভাব আমাকে আহত করলাে। ভদ্রমহিলার ভেতরে কোথাও যেন শাণিত ইস্পাতের চমক আছে।

কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না যে , আপনাকে দেখার জন্যে মিতুল পাগল হয়ে আছে।
কিসের দেখা – ভালােবাসার না ঘৃণার?
সেটা আমি জানি না।

হঠাৎ দ্রমহিলা খুব শান্ত গলায় বললেন, যে মা দুই বছর বয়সের সন্তানকে ত্যাগ করে, তার জন্যে সন্তানের কোনাে ভালােবাসা থাকে না। এটা আপনার মনগড়া কথা। মিতুল তা নাও ভাবতে পারে।
এ হয় না। হতে পারে না।
আপনি বসুন। চা আনি।

আমাকে কোনাে কথা বলার সুযােগ না দিয়ে উনি উঠে গেলেন। মনে হলাে সামনে থেকে পালালেন। এখন তাঁর নিজের সঙ্গে যুদ্ধ হবে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করলাে। আমি যেন একটা পাতাঝরা গাছে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছি। সেটা এখন নড়ছে। কিছুতেই থামতে পারছে না। তবে উনি সাধারণ কোনাে মহিলার মতাে না। তার ব্রেনে অনেক অতিরিক্ত সেল আছে। সে সেলে চিন্তা-ভাবনার উৎপত্তি হয়। সে অঙ্কুর বাড়তে বাড়তে বিশাল হয়। তারপর কামড়ে ধরে। তার সামনে নিজেকে অপরাধী মনে হলাে। আসলে তা নয়। মিতুলের জন্যে আমি সব পারি। আমি রাজা প্রিমিয়ারের মতাে হেক্টরের মৃতদেহ ভিক্ষা চাইতে এসেছি। একিলিস দয়া করেছিলাে। কিন্তু ভদ্রমহিলা মিতুলের জন্যে কোনাে দয়া করবেন কি না জানি না। ভেবেছিলাম চিরাচরিত বাঙালি মেয়েদের মতাে মিতুলের কথা শুনে কাঁদবেন। দুঃখ করবেন মিতুলকে দেখার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করবেন। কিন্তু পেলাম তার উল্টো তিনি নিজের কৃতকর্মের জন্য সন্তানের কাছে জবাবদিহি করতে প্রস্তুত নন। চা আর বিস্কুট নিয়ে আবার এলেন। আমি চায়ের কাপটা তুলে নিলাম। আর কি কথা বলবাে বুঝতে পারছিলাম না। উপন্যাস লেখার সময় প্রচুর কথা বানাতে পারি। কিন্তু আলাপে বসলে বেশি কথা বলতে পারি না। মাঝে মাঝে নিজের এই অক্ষমতার জন্যে নিজের ওপর রাগ হয়।
মিতুল এখন কি করে?
চাকরি করছে।
আমি চা শেষ করলাম।
ও একদম আপনার মতাে হয়েছে দেখতে।
ভদ্রমহিলা চুপ।
আমি ওকে নিয়ে কবে আসবাে?
কোনােদিনও না।
ভদ্রমহিলার কণ্ঠে ঝঁঝ। কিছুটা রূঢ়ও।
ওকে আপনার দেখতে হচ্ছে করে না?
জানেন তো, সব আবেগেকে প্রশ্রয় দিলে বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়। তাঁর এই একটি উত্তরের জন্যে আমি তাকে নমস্য মানলাম। উপন্যাসে এই ধরনের এক সংলাপের জন্যে কয়েক রাত জাগতে হয়। আর উনি কেমন অবলীলায় বলে গেলেন। আমি বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম।উনি পেছন থেকে ডাকলেন, শুনুন, কিছু মনে করবেন না, আপনি মিতুলের কে হন?
মিতুলের বন্ধু।
উনি হাসলেন।
আপনি ঠিক এই সময়ে, শুক্রবার মাঝে মাঝে আসবেন।
আমি চলে এলাম। আমার কাছে তিনি মিতুলের খবর জানতে চান। সে জন্য আমাকে আসতে বলেছেন।
অথচ ওর মুখোমুখি হবার সাহস তাঁর নেই।
ওকে ভয়? নাকি নিজেকে? কে জানে? বোঝা মুশকিল।

তবে কাঠিন্যের অন্তরালে গোপন ফল্পুধারার পথ রোধ করবার সাধ্যি কারো নেই। আমার বিশ্বাস, মিতুলের জন্য তাঁর একটি বিশেষ জায়গা আছে। যেহেতু মিতুল তার যৌবনের ফসল। মিতুল তাঁর মাতৃত্বের অনাস্বাদিত পুলক। তিনি কি সুখী হয়েছেন? ভিন্ন বন্দরের কালাে মাটিতে তাঁর সুখের বীজ কি তড়তড়িয়ে বাড়ছে। চেহারায় তাে তেমন কোনাে ছাপ দেখিনি। হয়তাে সুখীই হয়েছেন। নইলে আলী আহমদ সাহেবের স্বাচ্ছন্দ্যের কোল থেকে অমন ছিটকে বেরিয়ে পড়লেন কেন? দারিদ্র্যের নিবিড় উত্তাপ জীবনের মধুর লগ্নটিকে বিষিয়ে তােলেনি হয়তাে। সবই আমার কল্পনা। আমি এই মুহূর্তে ভালাে দিকটাই ভাবতে চাইছি। ঘুণেধরা জীর্ণ জীবনের হতাশা অন্তত মিতুলের মা – র জন্যে নয়। তাই যেন হয়। তাই যেন হয়। আমি বিড়বিড় করলাম। এখানে আবার আসবাে। মিতুলের জন্যেই আসতে হবে। ইস্পাতের অন্তরালে যে অবিশ্বাসী ভালােবাসা থাকে, তা আমি অস্বীকার করছি না। তাকে সময় দিতে হবে। প্রস্তুতির সময়। আমি দেখবাে নদীর বুকে লগি কতটা ডােবে। খুজে বের করবোই আটকে যাক নৌকা। খুজে বের করবােই মিতুলের জন্যে নির্ধারিত বিশেষ কোন্দরটি, যতােই চড়ায় আটকে যায় নৌকা।

মিতুল তুই একটুও ভাবিসনে, তােকে আমি উজ্জ্বল আলােকিত বন্দরে নিয়ে যাবো। এখন এখন চারিদিকে ঘন কুয়াশা সেজন্য সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের আমাদের বিশ্বাস কুয়াশা কাটবে তুই তো জানিস না মিতুল, নাবিক হওয়া বড় কষ্টকর। পদে পদে বিপদ ওঁত পেতে থাকে। তোর মাকে আমি ভালোবেসেছি কোন অমর্যাদা করিনি। এখন শুধু রোদের আশায় হাত বাড়িয়ে রেখেছি। তোর মা-র জলপাই বোনের ঘন কুয়াশা উড়িয়ে রোদ আসবে। আসতেই হবে। হ্যাঁ, মিতুল, মানুষের মনটা ভীষণ নীল কুয়াশার মতো। সে কুয়াশায় নিজেরই পথ হারায়। তুই আর আমি তেমন মা খুঁজে নেবো যে আমাদের জন্য আশীর্বাদের ঘট দুয়ারে দাঁড়াবে। চিরকালের জন্য। তোর কষ্ট তার নিজের করে নেবে।

Series Navigation<< উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব চৌদ্দউপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।।সেলিনা হোসেন।। পর্ব ষোল >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *