ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব আট

মিতুল প্রাণপণে ওর ঠোঁটটা কামড়ে ধরে আছে। মিতুল এখন আমার থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেছে।
মহিলা ততক্ষণে কলা কিনে একটা গাড়িতে উঠেছেন। গাড়ি চলে গেছে।
তোমার কি মনে হলাে জামী?
মিতুল, চলাে আমার বাসায় যাই।
আঃ জামী, বলাে না তােমার কি মনে হলাে?
মিতুল, কেন নিজে কষ্ট পাচ্ছাে?
মিতুল অদ্ভুত অভিমানী চোখে আমার দিকে তাকালাে। ওর চোখ থেকে চোখ সরাতে পারলাম না। ওখানেই আমার দুর্বার আকর্ষণ। ওর চোখের আলাদা ভাষা আছে ।
তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাওনি জামী?
আমি একটা রিকশা ডাকলাম। আশপাশ দিয়ে লােকজন হাঁটছে। তারা আমাদের দিকে তাকাচ্ছে। এখানে দাঁড়িয়ে মিতুলের সঙ্গে কথা বলা বিপজ্জনক। রিকশায় উঠে ও আমার সঙ্গে একটা কথাও বললাে না। বাসায় ফিরে দেখলাম, ওর বাবা- মা কোথায় যেন বেরিয়েছে। ওকে আমি আমার ঘরে নিয়ে এলাম। মিতুল চুপচাপ আমার বিছানার ওপর বসে রইলাে। আমি ওকে কাছে টানলাম।

মিতুল, লক্ষ্মীটি!
তুমি আমাকে একটুও ভালােবাসাে না জার্মী?
ও কান্নায় ভেঙে পড়লাে।
উঃ জামী, বুকটা আমার কেমন ধড়ফড় করছে। হাত- পা অবশ লাগছে।
আমি ওকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। লেবুর শরবত খাওয়ালাম। কিন্তু কিছু হলাে না। দেখলাম, হাঁটু দুটো থরথর করে কাঁপছে। মিতুল ঠোট কামড়ে, চোখ বুঁজে শুয়ে আছে। নিজের সঙ্গে ওর এখন একটা ভয়ানক যুদ্ধ হচ্ছে। আমি কি করতে পারি? কেমন করে আমি ওর কষ্টের ভাগ নিতে পারি? হঠাৎ আমার নিজের ওপর খুব রাগ হলাে। কেন ও এমন করে আমার মধ্য থেকে বেরিয়ে যায়? ওকে আমি এক ঝটকায় খাটের ওপর বসিয়ে দিলাম। মিতুলের চোখে এখনাে সেই অভিমানী দৃষ্টি। ওর কাঁধে হাত রাখতেই এক ঝটকায় নেমে গেলাে।

আমি জানি, তুমি আমাকে একটুও ভালােবাসাে না।
মিতুল বেরিয়ে গেলাে। আমি বাধা দিলাম না। এখন ওর নিজের সঙ্গে বােঝাপড়া করা দরকার। সেটা করেই ও শান্ত হবে। ঘড়িতে দেখলাম সাতটা বাজে। আটটায় আমার অফিস। আমি ধীরে- সুস্থে জামাকাপড় পাল্টে নিলাম। চায়ের জন্য ভীষণ পিপাসা। কিন্তু বানানাের ইচ্ছে নেই। বাইরে কোথাও খেয়ে নেবাে। পড়ার টেবিলের সামনে গিয়ে বসলাম। উপন্যাস তিরিশ পৃষ্ঠা লিখেছি।

পেছনের কয়েক পাতা পড়ে নিয়ে দু’পৃষ্ঠা লিখলাম। মনে হলাে, কিছু হচ্ছে না। আবার কাটলাম। আবার লিখলাম। মিতুল রায়হান, সাইকি সবার চরিত্রই অদল বদল হয়ে আমার উপন্যাসে ভিড় করছে। আমার ভেতরে তীব্র বিবমিষা। পৃষ্ঠাগুলাে কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে উঠে পড়লাম। ঠিকমতাে হচ্ছে না। তাই এখন আর লেখা উচিত না। যখন বুঝি যে, লেখা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তখন আর লিখি না। জোর করে লেখার পক্ষপাতী আমি নই। সেজন্যেই আমার লেখা খুব ধীরে ধীরে এগােয়। একটা উপন্যাস শেষ করতে বছর গড়িয়ে যায়। আমার বন্ধু শরাফী একটানা লিখতে পারে। ও কয়েক ঘন্টায় একটা গল্প লিখে শেষ করে। ঐ ক্ষমতায় আমি ঈর্ষান্বিত হই। আমি কোনােদিনই একটা গল্প অত অল্প সময়ে লিখতে পারবাে না। কাটাকুটি না করলে লেখা জমে ওঠে না। কোনাে কিছুতেই আমার তৃপ্তি হয় না। অতৃপ্তি আমাকে পথে পথে ঘােরায়। আমি নির্বিকার সে পথে ঘুরতে পারি। এক সময় উজ্জ্বল আলাের রেখা দেখা যায়। যতক্ষণ আলাে না দেখি ততক্ষণ ঝড়ে পড়া নাবিকের মতাে নিজেকে অসহায় মনে হয়। তখন বুঝি, শিল্প তার মাশুল উঠিয়ে নেয় পুরােপুরি। অনেক- অনেক দিন ও রাতের ক্লান্তি আয়ুকে অবশ করে রাখে।

মনটা ন্যাড়া বট গাছের মতাে ডালে ডালে ফিসফিসায় । আমি তখন তীব্র বিবমিষায় ভুগি।
লেখা ছেড়ে জানালার কাছে এসে দাঁড়ালাম। বাইরে আলাে জ্বলছে। বাতাসে ওড়া ঝরা পাতার মতাে মেঘের দঙ্গল উড়ছে। ঝিকিমিকি তারার মেলা দূরের আকাশে। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে মিতুলের কথা মনে হলাে। মিতুল এখন কি করছে? হয়তাে শুয়ে শুয়ে কাঁদছে। বুকভরা কান্না।মাঝে মাঝে মনে হয় মিতুল অকারণে কষ্ট পায়। যে জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনাে ক্ষমতা মিতুলের ছিলাে না, তাকে নিয়ে ওর সব দুঃখ। ও বুকের ভেতর দুঃখের পাহাড় গড়ে তুলেছে। মিতুলের কাছে গিয়ে দাঁড়াবার ভীষণ ইচ্ছে হলাে আমার। ঘরে তালা দিয়ে নিচে নেমে এলাম। দরজায় শব্দ করতেই ঝরনা দরজা খুলে দিলাে। ঝরনা মিতুলের ছোট বােন। মিতুলের চাইতে অনেক ছোট। মাঝে একটা ভাই আছে ওদের। ঝরনা আমাকে দেখে হাসলাে।

সাত দিন আসেননি কেন, আগে তার উত্তর দিতে হবে?
সাত দিন। আমি তাে অবাক।
হ্যাঁ, আমি গুনে রেখেছি। ফাঁকি দিতে পারবেন না জামেরী ভাইয়া।
উঃ বাবা, তুমি এত মনে রাখাে ঝরনামণি !
আমি ওর বব চুলে হাত বুলালাম।
বাসায় বুঝি কেও নেই?
বাবা- নেই । মা – ও নেই।
তোমার আপু?

আপু আছে।
আচ্ছা ঝরনামণি, আমি তাে সাত দিন আসিনি, তার জন্য আমাকে একটা শান্তি দাও।
কি?
তোমার নিজের হাতে এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে এসাে।
যাঃ , এটা কি শান্তি?
হুঁ। কঠিন শাস্তি। যাও।
ঠিক আছে, যাচ্ছি।
শােনাে ঐ ফুলের মালা বানালে কিন্তু চলবে না।
আচ্ছা বাবা, অচ্ছা।

ঝরনা মাথা ঝাঁকিয়ে চলে গেলাে। আমি চট্ করে মিতুলের ঘরে এলাম। ও বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। শরীরে কোনাে নড়াচড়া নেই। আমি ওর মাথায় হাত দিয়ে ডাকলাম, মিতুল !
জামী তুমি?
মিতুল ওঠো। এমন করলে শরীর খারাপ করবে।
আচ্ছা জামী, তােমার যে বাবা- মা, ভাই- বােন কেউ নেই, তাতে তােমার খারাপ লাগে না?

আমার জন্যে তাে তুমি আছাে মিতুল। আমি তােমার মধ্যে বাবা- মা ভাই- বােন সবার স্পর্শ পাই।
আমি কেন পাই না জামী? আমার জন্যে তাে তুমি আছাে। বলাে জামী, আমি কেন পাই না?
মিতুল চলাে আমার বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
না জামী থাক। আমি এখন একটু একা থাকবাে। তােমার অফিস আছে না? তুমি যাও। মিতুল আবার বালিশে মুখ গুজে শুয়ে পড়ে। আমি বৈঠকখানায় ফিরে আসতেই ঝরনা চা নিয়ে এলাে। সেই সঙ্গে পাঁপর ভাজা।
বাঃ তুমি তাে বেশ লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে গেছে।
জানেন ভাইয়া, আমি এখন অনেক কিছু রাধতে পারি।
তাই নাকি? একদিন এসে তােমার রান্না খেতে হবে।
হ্যাঁ, মাকে বলবেন। মা বলে দেবেন কোনদিন খাবেন।

আমি হাসলাম। ঝরনা মিতুলের একদম উল্টো। এ একটা গৃহীনি মেয়ে হবে। মিতুলের মতাে দুঃখ পুষে ছুটে বেড়াবে না। অবশ্য মিতুলের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা ঝরনার নেই। ঝরনার মা আছে। ও মায়ের ভালােবাসা পায়। সুস্থ স্বাচ্ছন্দ জীবন। তাই ঝরনা ঝরনাধারার ফোটা হয়ে তড়তড়িয়ে বাড়ছে। আমার চা খাওয়া শেষ না হতেই মিতুলের বাবা মা এলেন।
এই যে জামেরী, এতদিন পরে যে? মাথার ওপরে থাকো অথচ তােমার পাত্তাই পাওয়া যায় না?
বেশি এলে আবার বিরক্ত হবেন খালাআম্মা ।
ছিঃ ছিঃ কি যে বলাে। তুমি আমাদের ছেলের মতাে।

জামেরী এখন বড় লেখক হয়েছে গিন্নী। ওর কি আর সবসময় আমাদের এখানে আসার সময় আছে?
আলী আহমদ সাহেবের কথায় আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লাম। আমার গলায় চা আটকে গেলাে। কোনাে রকম কাশি চাপলাম। আমি এমনিতেই একটু লাজুক চরিত্রের। বেশি আন্তরিকতায় হিমশিম খাই।
মিতুলের বাবা মা দু’জনেই বসলেন। আমি ভেবেছিলাম চা শেষ করেই কাটবে কিন্তু হবে না। অন্তত কিছুক্ষণ কথা বলতে হবে। আমি বলতে না চাইলেও ওরা বলিয়ে ছাড়বেন।
তােমার কাজকর্ম কেমন চলছে বাবা ?
ভালােই।
এই রাতের চাকরিটা বড় বিশ্রী ব্যাপার না?
আমার তাে ভালােই লাগে।
হ্যাঁ, আস্তে আস্তে সবকিছু ভালাে লেগে যায়।
মিতুলের বাবা মস্ত এক হাই তুললেন। আড়মােড়া ভাঙলেন। একটা সিগারেট জ্বালালেন। সেই ফাঁকে ঝরনা কথা বলা শুরু করলাে।
জানাে মা, আমি না আজ জামেরী ভাইয়াকে চা করে দিয়েছি।
ঝরনা একদম পাকা গিন্নী হয়েছে খালাআম্মা। ও নাকি রাঁধতেও শিখেছে।
হ্যাঁ কিছু কিছু শিখেছে। কাল তাে রােববার। তুমি দুপুরে আমাদের এখানে খাবে।
না খালাআম্মা কাল থাক। আমি কখন কোথায় থাকি, তার ঠিক নেই।

উঁহু, না করা চলবে না। একা একা থাকো। কি রাঁধাে, কি খাও আল্লাই জানে।
কাল দুপুরে চলে আসবে।
মিতুলের বাবার মৃদু ধমকে আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। মাথা নেড়ে সায় দিলাম। চা শেষ করে বেরিয়ে এলাম। বারান্দায় দাঁড়িয়েই শুনলাম মিতুলের বাবার কণ্ঠ।
ঝরনা, মিতু কই রে? দেখছি না যে?
আপুর মাথা ধরেছে। শুয়ে আছে।
আমি আর দাঁড়ালাম না। হাঁটতে হাঁটতে আমার মিতুলের বাবার জন্যে দুঃখ হলাে। ভদ্রলােক জানেন না যে, তিনি নিজেই মিতুলের কাছে মাথা ধরার মতাে যন্ত্রণা। এখন যদি তিনি মিতুলের কাছে গিয়ে দাঁড়ান ও বিরক্ত হবে। ঐ যন্ত্রণার ফলেই যখন- তখন মিতুলের শরীরের যে- কোনাে একটা যন্ত্র বিগড়ে যায়। তখন ও কষ্ট পায়। ঐ কষ্টের ছটফটানির সঙ্গে আমার পরিচয় আছে।

মিতুল বলে আমার যখন কষ্ট হয় তখন মনে হয় জামী, কে যেন আমাকে জোর করে ইলেকট্রিক শক্ দিচ্ছে। আমি প্রাণপণে চিৎকার করছি অথচ কেউ শুনতে পাচ্ছে না। আমি জানি মিতুলের অনেক স্বপ্নবিলাসী ভাবালুতা আছে। সে ভাবালুতা ওর ক্ষতি করে। মিতুল সেটা বুঝতে চায় না। মাঝে মাঝে আমার আশঙ্কা হয় এ ধরনের স্নায়বিক অত্যাচারের শিকার হয়ে ও হয়তাে কোনােদিন বড় ধরনের অসুখে পড়তে পারে। আমি তাড়াতাড়ি অন্য চিন্তায় চলে যাই। এ ধরনের আশঙ্কাকে প্রশ্রয় দিত ভালাে লাগে না।
রাতের বেলা ফুটপাত ধরে হাঁটা আমার ভীষণ পছন্দ। সাঁই সাঁই করে চলে যাওয়া যানবাহন আমার কাছে রহস্যময় জাদুকর। এই চলে যাওয়ার ভেতরে কি যেন আছে। কি যেন একটা নতুন ঢঙ। যেটা জীবনের সব ব্যর্থতার গ্লানিকে সঙ্গে নিয়ে উধাও হতে পারে। কখনাে কখনাে আমি আলাে- আঁধারে দাঁড়িয়ে এই চলে যাওয়া দেখি। দেখে দেখে নিজের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করি। আমার মনে হয় আমার ভেতরে শক্তি আছে। আমি উপন্যাসের একটা দিনবদল ঘটাতে পারবাে। দুর্বল মুহূর্তে যখন বিশ্বাস হারাই তখন আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত তত্ত্ব আমার মাথায় ভর করে। তিনি বলেছিলেন, পদার্থকে শক্তিকে রূপান্তরিত করা যায় এবং শক্তিকে পদার্থে পরিবর্তিত করা যায়। সূর্য পদার্থকে শক্তিকে রূপান্তরিত করে। এভাবে সে বহুকাল ধরে আলােক বিকিরণ করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও কোটি কোটি বছর ধরে তা করতে থাকবে। সূর্য যদি তার জ্বালানি পুড়িয়ে জ্বলতে থাকতাে, তাহলে অনেক আগেই তা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া উচিত ছিলাে। আমরা যারা নিজস্ব জ্বালানিই কেবল পােড়াই তারা ব্যর্থতা আর হতাশায় ভুগি। পরিণামে ব্যর্থ সাহিত্যিক হয়ে মৃত্যুর মাঝে যন্ত্রণার জ্বালা জুড়াই। আমাদের দরকার সেই নিয়মটা শেখা যেটা পদার্থকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। ক্রমাগত পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে না এগুলে নিভে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নিজেকে ভেঙেচুরে, নিরন্তর পড়াশােনা এবং পরিশীলিত অভিজ্ঞতার পদার্থকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। প্রতি মুহূর্তে এ কাজটা করা চাই। নইলে ব্যর্থতা অনিবার্য। নিষ্ঠুর মাস্টারের মতাে চাবুক হাতে নিজেকে শাসন করি। নিজেকে শাসন করতে আমার ভালাে লাগে। আমি বিরক্ত হই না। কেননা আমি সাহিত্যের সে ধরনের জঞ্জাল হতে চাই না যাকে ঝেঁটিয়ে দূর করার জন্যে হাজার ঝাঁটা মুখ উচিয়ে থাকে।

সে রাতে অফিসে পৌঁছুতে আমার দেরি হয়ে গেলাে। ডেস্কে বসেও মনােযােগ দিয়ে কাজ করতে পারলাম না। বারবার আনমনা হই। একবার ছুটে গেলে লাগাম টানা বড় মুশকিল। আমার তৃতীয় বইটা প্রেসে। প্রকাশক একগাদা প্রফ পাঠিয়েছে। সময়ের অভাবে প্রুফ দেখতে পারিনি। প্রকাশক তাড়া দিয়েছে। বেশ কড়া ভাষায় চিঠি লিখে রেখে গেছে। অফিসের কাজটা দায়সারা গােছের শেষ করে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। আজ রাতে প্রুফগুলাে দেখে শেষ করতেই হবে আমার।

Series Navigation<< ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব সাতউপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব নয় >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *