উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব বারো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। প্রথম পর্ব
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব দুই
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব তৃতীয়
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব চর্তুথ
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব পাঁচ
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব ছয়
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব সাত
- ধারাবাহিক উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব আট
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব নয়
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব দশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব এগারো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব বারো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব তেরো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব চৌদ্দ
- উপন্যাস।। সেলিনা হোসেন ।। মগ্ন চৈতন্য শিস ।। পর্ব পনেরো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।।সেলিনা হোসেন।। পর্ব ষোল
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব সতেরো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব আঠারো
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব উনিশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব বিশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব একুশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব বাইশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব তেইশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব চব্বিশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব পঁচিশ
- উপন্যাস।। মগ্ন চৈতন্যে শিস।। সেলিনা হোসেন।। পর্ব ছাব্বিশ
সেলিনা হোসেন মগ্ন চৈতন্যে শিস
ছবি তো আমার কাছে নেই মিতুল কথা বললাে না। মনােযােগ দিয়ে আবার চিঠিটা পড়লাে। দু’বার তিনবার পড়লো। তারপর এক সময় ছিঁড়ে কুটিকুটি করে জানালো দিয়ে উড়িয়ে দিলো।
ছিঁড়লে কেন মিতুল?
ওর বুক কাঁপিয়ে নিঃশ্বাস এলাে।
রেখে কি হবে? আমার মা- ও তাে অমনি কুটিকুটি করে ছিড়ে আমাকে জানালা নিয়ে ফেলে দিয়েছে।
মিতুল পাগলের মতাে হাসতে আরম্ভ করলাে। একটু অস্বাভাবিক হাসি। আমি ভয় পেলাম। ওকে ধরে প্রছণ্ড এক ঝাঁকুনি দিলাম। বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকালাে ও। যেমন হঠাৎ শুরু করেছিলাে তেমন হঠাৎ করে শান্ত হয়ে গেলাে। ওর সেই তেপান্তরী- দৃষ্টিতে আমি মােহিত হলাম। অনেক দূরের হাতছানি ওখানে। সাগর পাড়ে হারিয়ে যাওয়ার ডাক। মিতুল আমার মিতুল। মনে হলাে আফ্রোদিতের মতাে আমাকে কুয়াশায় ঢেকে ভীষণ যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝ দিয়ে অবলীলায় নিয়ে যেতে পারে। কোনাে বর্শ বা তীর আমার শরীর স্পর্শ করবে না। আমি এক পা এগুলাম। ও হাসলো।তােমাকে একটা জিনিস দেখাবাে বলে এনেছি জামী?
ও ব্লাউজের ভেতর থেকে একটা পাসপাের্ট সাইজের ছবি বের করলাে। এক মহিলার ছবি। অনেক পুরনাে। খুব ভালাে করে দেখলে মিতুলের চেহারার সঙ্গে কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
কোথায় পেলে?
বাবার পুরােনাে একটা ডায়রির ভেতর। আমার মা-র মতাে মনে হচ্ছে না জামী?
অনেকটা হচ্ছে?
যদিও অনেক আগের ছবি তবুও আমি বুঝেছি আমার মা-ই হবে। আচ্ছা জামী, এখন নিশ্চয় মায়ের চেহারা আর এমন নেই। এই ছবির সঙ্গে মিলিয়ে খুঁজলে আমি তাকে চিনতেই পারবাে না। তুমি কি বলাে?তা ঠিক। মানুষের চেহারা কত পাল্টে যায়।
আমাকে তােয়াজ করার চেষ্টা। মিনমিনে পুরুষ আমি একদম দেখতে পারি না। মিতুল রেগে উঠলাে। রাগলে ও আমার ঘরে জোরে জোরে পা ফেলে পায়চারি করে। আমি বসে বসে ওকে দেখলাম। ওকে কেমন উদভ্রান্ত দেখাচ্ছে। আমারও রাগ হলো। মনে মনে গাল দিলাম। তুই একটা হারামি মিতুল। শালা তুই হলি ইউক্লিডের জ্যামিতি। তােকে বােঝা কার সাধ্যি। কতবার তাকে পড়ে ওঠার চেষ্টা করলাম।এক- একবার মনে হয় বুঝেছি। আবার দেখি কিছুই বুঝিনি। জ্যামিতি বােঝার কথা আমার নেই। চেষ্টা করলে কি হবে। দোহাই লাগে মিতুল তাের হারামিপনা একটু কমা। তুই একটু সহজ হয়ে আমার কাছে আয়। তোর ঐ আঁকাবাঁকা রেখাগুলাে আমার সামনে থেকে সরিয়ে ফেল। প্লিজ মিতুল। ইউক্লিড আমার নমস্য। তাকে আমি কোনােদিনও বুঝতে পারবাে না। তােকে আমি জ্যামিতির মতাে চাই না মিতুল। কবিতার মতাে চাই। উঃ মিতুল তুই একটা শুয়াের, শুয়াের, শুয়াের।
হঠাৎ দেখলাম মিতুল সেই ছবিটা টুকরাে টুকরাে করে ফেললাে। মেঝেতে ফেলে স্যান্ডেল দিয়ে ইচ্ছেমতাে পাড়ালাে। অনেকক্ষণ ধরে ওই কাজ করলাে ও। কিছুতেই যেন মনের আশা মিটছে না। এ অবস্থায় আমি কি করবাে বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ গভীর চোখে আমার দিকে তাকালাে। আবার মুখােমুখি এসে দাঁড়ালাে। আমার গলা জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে উঠলাে ,তুমি কিছু বলছে না কেন জামী?
আমি কি বলবাে? আমি কি করতে পারি ওর জন্যে? রায়হান ফিরে এলে যে করে হােক ওর মাকে আমি খুঁজে বের করবাে। কিন্তু সেকথা মিতুলকে আমি বললাম। শুনলে ও অধীর হবে। অথবা এমন কঠিন হবে যে, তখন বলবে, না থাক খুঁজো। চাই না মাকে। আমার বুকে মুখ রেখে অনেকক্ষণ ধরে ও কাঁদলাে। কাঁদতে কাঁদতে ও যখন শান্ত হলাে তখন বললাম, মিতুল, বেউলি রােডে ভালাে একটা নাটক হচ্ছে, চলাে দেখে আসি।
চলাে। আমি কাপড় পরে আসি।
মিতুল শান্ত মেয়ের মতাে উঠে চলে গেলাে। আমি ছবির ছেঁড়া টুকরােগুলাে একটা কাগজে মুড়ে বিছানার নিচে রেখে দিলাম। যে-কোনােদিন এসে ও আবার ওটা দাবি করতে পারে।
আমরা যখন রাস্তায় নামলাম, তখন সূর্যের জাল গোটানাের সময়। সে ব্যাটা আস্তে আস্তে রশি টানছে। আমরা একটা রিকশা নিলাম।
নাটক তখনাে আরম্ভ হয়নি। হলে লোক গিজগিজ করছে। বহু কষ্টে দুটো টিকিট পেয়েছি। আমি আর মিতুল বাইরে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের উল্টোদিকে বেশ বয়স্ক এক মহিলা একা চুপচাপ দাঁড়িয়ে। ভিড়ের গায়ে তার দৃষ্টি ইতস্তত ঘুরছে। পরনে লাল পেড়ে গরদের শাড়ি। মিতুল আমার হাতে চাপ দিলাে। দেখাে জামী ঐ মহিলাকে ঠিক আমার মা-র মতাে লাগছে।
যাঃ কি যে বলাে।
তুমি একবার ভালাে করে দেখাে?
ছেলেমানুষি করে না মিতুল। আমি ধমকে উঠলাম।
ঠিক আছে, আমি জিজ্ঞেস করবো।
ও দ্রুত ঐ মহিলার সামনে এগিয়ে গেলাে। বাধ্য হয়ে আমাকেও পিছু পিছু। যেতে হলাে। সামনে গিয়ে মিতুল একটু হকচকিয়ে গেলাে। কি করে শুরু করবে বুঝতে পারছিলাে না।
আপনি কোথায় থাকেন?
রাজাবাজার।
মহিলা বিরক্তির সঙ্গে জবাব দিয়ে মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলাে। বুঝলাম কথা বলতে চায় না। আমি মিতুলকে টানলাম। ও আসতে চায় না। আচ্ছা আপনি মিতুল নামে কোনাে মেয়েকে চিনতেন?
না।
মহিলা অন্য পাশে গিয়ে দাঁড়ালাে। অসহায়ভাবে মিতুল আমার দিকে তাকালাে। দরজা খুলে দিয়েছে। আমি ওকে নিয়ে হলে ঢুকে গেলাম। অর্ধেক নাটক দেখার পর ও উসখুস শুরু করলো। জামী, আমার শরীর খারাপ লাগছে। বমি বমি ভাব।
আর একটু বসাে ।
আমি তখন নাটকে জমে গেছি। চমৎকার নাটক। একটু পর ও আবার একটি কথা বললাে।
জামী, আমি আর থাকতে পারছি না। ভীষণ বমি লাগছে।
অগত্যা উঠতে হলাে। বাইরে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ও বমি করলাে। চায়ের দােকান থেকে পানি এনে ওর মুখ ধুয়ে দিলাম। চোখ দুটো লাল। দেখলাম গায়ে জ্বর এসেছে। মিতুল সত্যি অসুস্থ। এতক্ষণ ওর ওপর যে রাগ ছিলাে, সেটা উবে গেলাে। রিকশা ডাকলাম। ও নিশেধ করলাে।
চলাে একটু হাঁটি জামী।
বেইলি রােডের আবছা অন্ধকারে মিতুল আমার হাত ধরে হাঁটতে লাগলাে।বেশ ফুরফুরে বাতাস। রমনা পার্ক ছাড়িয়ে ইন্টারকন পর্যন্ত আমরা হাঁটতে হাঁটতে এলাম।
মাঝে মাঝে মিতুল অনেক আবােল- তাবােল কথা বললাে।
আমার কেউ নেই, না জামী?
আমিতাে আছি।
যাঃ তুমিও নেই।
অন্ধকারে মিতুল কেমন খ্যাঁক শব্দে হাসলাে।
আমার শীত করছে জামী।
চলাে রিকশা নিই।
না থাক।
আচ্ছা জামী, তুমি আমাকে কতদিন ভালােবাসবে?
যতদিন বাঁচবাে।
তা কি হয়? কেউ কাউকে সারাজীবন ভালােবাসতে পারে না। পাত্র বদলায়!
সবাই বললায় না।
হ্যাঁ, সবাই বদলায়।
মিতুল জেদের সঙ্গে বললাে। আমি চুপ করে রইলাম। আমি জানি তুমিও বদলাবে । উঃ আমার কথাটা কেমন জানি করছে। মনে হয়ে আবার বমি হবে। দেখলাম মিতুলের শরীর কাঁপছে। টেম্পারেচার বেড়েছে। আমার মনে হয়, স্নায়বিক ধকলের জন্যে মিতুল এমন হঠাৎ অসুস্থ হলাে। আমি ওর কোনাে কথা না শুনে রিকশা ডেকে বাসায় ফিরলাম। সাত দিনের ওপর হয়ে গেলাে অথচ রায়হান এখনাে ফিরছে না। অফিসের কাজে, লেখায় কোনাে কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। গত তিন দিন ধরে মিতুল অসুস্থ। জ্বর কখনাে কমে, কখনাে বাড়ে। একদম ছাড়ে না। ফ্যাকাশে হয়ে গেছে ও। হাতের ওপর রগ জেগেছে। আলী আহমদ সাহেব ভাবনায় পড়েছেন। এই মেয়েটির জন্যে তাঁর একটা বিশেষ দুর্বলতা আছে। যেটাকে মিতুল মায়ের ভালােবাসা বলে। একদিন সকালবেলা দু’পৃষ্ঠা লেখার জন্যে অনেক চেষ্টা করলাম। পারলাম না। কিছুতেই আসে না। রেগেমেগে পাণ্ডুলিপিটা ছুঁড়ে ফেললাম খাটের নিচে। তখন আলী আহমদ সাহেব এলেন। তিনি সাধারণত আমার এখানে আসেন। দরকার হলে ডেকে পাঠান। এসেই সরাসরি বলে ফেললেন, কি করি বলাে তাে। বাবা? স্পেশালিস্ট দেখালাম, তাও তাে কিছু হচ্ছে না।
উত্তরের প্রত্যাশায় উনি আমার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। আমার মনে ঝড়। মিতুল আমাকে সার্সির মতাে জাদু করে রেখেছে। মিতুল ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পারি না। আমতা আমতা করে বললাম, আপনি ভাববেন না। ও কালপরশুর মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
তাই যেন হয় বাবা। তুমি তাে জানাে না, ওর অসুখ হলে আমি একদম অস্থির হয়ে পড়ি। তখন খেতে পারি না, ঘুমােতে পারি না। তাছাড়া মেয়েটাও কেমন কাহিল হয়ে পড়েছে। এই জ্বরে কেউ এত দুর্বল হয়, তা আমি কোনােদিন দেখিনি। তুমি কি বলাে?
আমারও তাই মনে হয় ।
আচ্ছা উঠি। যাচ্ছিলাম মার্কেটের দিকে কিছু আপেল কিনতে। হঠাৎ মনে। হলাে তোমার সঙ্গে একটু কথা বলে যাই।
আলী আহমদ সাহেব নেমে গেলেন। আমি জানালার সামনে এসে দাঁড়াই উনি এসেছিলেন আমার কাছে সান্ত্বনা খুঁজতে। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি নিজেই তাে বিপর্যস্ত। যাত্রী উঠাবাে কেমন করে, আমার জাহাজ যে গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মিতুলের বিছানার সামনে বসে কতবার প্রার্থনা করেছি, অসুখটা যেন আমার হয়। হঠাৎ হাসি পেলাে। আলী আহমদ সাহেব কিনা এসেছিলেন আমার কাছে আশ্রয় খুঁজতে? খাটের নিচ থেকে পাণ্ডুলিপিটা উঠিয়ে এনে টেবিলে রাখলাম। অপরাধে ভরে উঠলাে মন। পৃষ্ঠাগুলাে গুছিয়ে নিয়ে চুমু খেলাম। আসলে এমনি হয়। কখনাে সৃষ্টিকে পায়ে মাড়াই। কখনাে কপালে ঠেকাই। রুষ্ট প্রাণের দেবতা প্রতিমুহূর্তে ভাঙাগড়ার খেলায় মগ্ন।
ঘরে আর ভালাে লাগছিলাে না। কোথায় যাবাে তারও ঠিক নেই।অনেকদিন রেজার সঙ্গে দেখা নেই। ভাবলাম, ওর ওখান থেকে ঘুরে আসি। ওকে না পেলে রিকশা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবাে। কিন্তু বেরুবার আগেই রায়হান এলাে।
কিরে, সাত দিনের নাম করে একেবারে পনের দিন কাটিয়ে দিয়ে এলি
বােস, কথা আছে।
রায়হান গম্ভীর। কিছুক্ষণ আমার খাটে চুপচাপ বসে রইলাে। এতক্ষণে আমি ওর দিকে ভালাে করে খেয়াল করলাম। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। শার্টে ইস্তিরি নেই। প্যান্টেরও একই অবস্থা। রায়হান আজ অন্যমনস্ক।দরজাটা বন্ধ করে দে জামেরী।
কেন?
কেউ আসতে পারে।
এখানে কেউ আসবে না।
তুই বন্ধ করে দে না।
ও চেঁচিয়ে উঠলাে। আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম।
কি হয়েছে বল?
ছন্দার বিয়ে হয়ে গেছে।
এ্যাঁ!
আমার মুখ দিয়ে অস্ফুট ধ্বনি বেরুলাে। হঠাৎ মনে হলাে সাইকি বেঁচে গেলাে। রায়হান আর ওর নাগাল পাবে না। কিন্তু খুব জোর দিয়ে ব্যাপারটা ভাবতে পারলাম। রায়হান কি ওকে ছাড়বে? আমি চিটাগাং থাকতেই বিয়েটা হয়েছে জামেরী। খুব ঘরােয়া অনুষ্ঠানে কাজ সেরেছে ওরা। কিন্তু আমিও ছাড়বাে না। তােকে বলে রাখলাম। আমার হাত নিশপিশ করছে
কিন্তু বায়হান-