বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ।। ইলাবৃত ।। কমলেশ রায় ।। সপ্তম পর্ব ।।

সপ্তম পর্ব
ইলা গ্রহের অধিপতি অমল নিজ দফতরে জরুরি একটা বৈঠক করছেন। বিজ্ঞানী ঈশান এসেছেন বৈঠকে যোগ দিতে। তিনি একা আসেননি, সঙ্গে করে একজনকে নিয়ে এসেছেন। তার অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলেছে। সেই মহেন্দ্র ক্ষণের আর খুব বেশি দেরি নেই। ভেতরে এক ধরণের চাপা উত্তেজনা বোধ করছেন বিজ্ঞানী ঈশান। অনেক চেষ্টা করেও তিনি সেই উত্তেজনা লুকাতে পারছেন না। আচরণের ফাঁক গলে কিভাবে যেন বেরিয়ে পড়ছে। এমনিতে তিনি যথেষ্ট ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। আচরণও যথেষ্ট পরিশীলিত। চোখে লাগার মতো কোনো আচরণ তিনি কখনও করেন না। কিন্তু আজ তার হয়েছেটা কী?

অধিপতি অমলের ধূর্ত চোখে সেটা সহজেই ধরা পড়ল। বৈঠকটা একটু আড্ডার মেজাজে শুরু করতে চাইলেন তিনি। মুচকি হেসে তিনি বললেন, বিজ্ঞানী ঈশান মনে হচ্ছে আজ একটু বেশিই উত্তেজিত।
হ্যাঁ, মহামান্য অধিপতি। আজ আমি ভীষণ উত্তেজিত।
আপনার আচরণই সেটা বলে দিচ্ছে। তা উত্তেজনার কারণটা জানতে পারি ?
যাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন তার দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞানী ঈশান বললেন, এই উতুর কারণেই আজ আমি উত্তেজিত মহামান্য অধিপতি।
ওর নাম বুঝি উতু রেখেছেন। কেন রাখলেন এই নাম ?
উতু হচ্ছে ওর গোত্রের মধ্যে সবচেয়ে সেরা। সবার সেরা। সব দিক দিয়ে উৎকৃষ্ট। উৎকৃষ্ট যেহেতু তাই নাম রেখেছি উতু। আপনার পছন্দ হয়েছে?
হ্যাঁ, হয়েছে। তবে নামে কী আসে যায়। নামে নয়, কাজে পরিচয়। অধিপতি অমল পদের সঙ্গে মানানসই ভাব নিয়ে অপেক্ষাকৃত ভারি গলায় বললেন। একদম ঠিক বলেছেন। গোলাপকে যে নামেই ডাকুন, সে তার গন্ধ বিলাবেই। এতক্ষণে মুখ খুলল উতু।
বাহ্ ! দারুণ বললে তো। গোলাপকে যে নামেই ডাকুন, সে তার গন্ধ বিলাবেই। তোমার কথায় যুক্তির সঙ্গে কাব্যিক উপমাও আছে। সাধু ! সাধু !!
অন্যদিন হলে বিজ্ঞানী ঈশান বিরক্ত হতেন। অধিপতি অমল যেমন চতুর, তার আবেগ-উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভঙ্গিও তেমনি লাগাম-ছাড়া। অনেক সময় মুখের বিরক্তি ভাব লুকানোই কষ্ট হয়ে পড়ে। তবে আজ এইটুকু সহ্য করতেই হবে। পরিবেশ যত উচ্ছ্বাসের সময় হবে, তার জন্য তত ভালো। আর উতু মুখও খুলেছে একেবারে মোক্ষম সময়ে। তিনি মনে মনে বললেন, সাবাশ উতু।
এটা আমার কথা নয় মহামান্য অধিপতি। প্রাচীন কালে পৃথিবী নামের দূরের এক গ্রহের নমস্য এক গুণীজন বলেছিলেন এই কথাটা। উতু বিনয়ের সঙ্গে বলল।
আরে এ তো দেখছি বিশাল জ্ঞানী। অনেক কিছু জানে। অধিপতি অমল বালকসুলভ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেললেন।
এই মহাবিশ্বের সিংহভাগ জ্ঞান ওর মগজে আছে মহামান্য অধিপতি। ওকে নিয়ে আমার অনেক আশা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সবাইকে উতু একাই সামলনোর ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানী ঈশান আবেগমাখা গলায় বললেন।
জ্ঞানের নমুনা তো কিঞ্চিৎ দেখলাম। তা আর কী কী আছে উতুর ভাণ্ডারে ?
সময় আর বেশি নেওয়া ঠিক হবে না। বিজ্ঞানী ঈশান তাই বললেন, উতুর ভাণ্ডারে এক কথায় বলতে গেলে বিবিধ রতন আছে, মহামান্য গ্রহপতি।
তা দেখি আরও দু’একটা নমুনা।
আপনার আলট্রা লেজার গানটা বের করুণ।
কেন, ওটা দিয়ে আবার কী হবে ?
উতুর সক্ষমতা নিজ হাতে পরীক্ষা করে দেখবেন, মহামান্য অধিপতি।
কোমরে রাখা আলট্রা লেজার গান হাতে নিয়ে আনন্দিত গলায় অধিপতি অমল বললেন, বলুন, এখন আমাকে কী করতে হবে ?
উতুর বুক বরাবর তাক করুন মহামান্য গ্রহপতি। ট্রিগারে চাপ দিয়ে দেখুন কী ঘটে ?
অধিপতি অমল ভীষণ মজা পেয়েছেন এমন ভঙ্গিতে বললেন, তা বেশ, তা বেশ। এখনই ট্রিগার টানছি।
উতুর বুক লক্ষ্য করে ট্রিগার টানলেন অধিপতি অমল। এখনই নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানবে রশ্মি। কিন্তু না, রশ্মি নিশানায় আঘাত করতে পারল না। তার আগেই চোখের পলকের ভগ্নাংশ সময়ে ডান দিকে ডিগবাজি খেয়ে নিজের শরীরকে সরিয়ে নিলো উতু।
অসাধারণ ! দুর্দান্ত !! উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে উঠলেন অধিপতি অমল। এএসএফের (অমল সিকিউরিটি ফোর্স) সদস্যরা কড়া খেয়াল রাখছিল এই রুমটার দিকে। এবার তাদের কয়েকজন চিৎকার শুনে রুমে চলে এলো।
উতু ফিরে এসে আগের জায়গায় বসেছে। বিজ্ঞানী ঈশান তার বামের চেয়ারে বসা। এএসএফ সদস্যদের দেখে বিরক্ত হলেন তিনি। আপন মনে বললেন, গবেটগুলো আসার আর সময় পেলো না। এখনই হয়ত ঝামেলা শুরু করে দেবে।
আপনি কোনো চিন্তা করবেন না স্যার। আমি সব সামলে নেবো। বিজ্ঞানী ঈশানকে ফিসফিস করে কথাগুলো বলল উতু।
কী বলছে আপনার ‘অসাধারণ’ উতু ? অধিপতি অমল বিগলিত গলায় বললেন। আলট্রা লেজার গানটা টেবিলে নামিয়ে রেখেছেন তিনি।
বলছে, পরেরটা দেখলে আপনি হয়ত আরও বেশি মজা পাবেন। বোকা কিসিমের হাসি দিয়ে বললেন বিজ্ঞানী ঈশান। পরিবেশ পুরোটাই অনুকূলে, একমাত্র বাধা হঠাৎ উদয় হওয়া এএসএফ সদস্যরা। উতু ঠিক সামলে নেবে।
তা পরেরটা দেখার জন্য কী করতে হবে ? অধিপতি অমল জিগ্যেস করলেন।
আলট্রা লেজার গানটাকে আবার একটু হাতে তুলে নিন মহামান্য গ্রহপতি। এবার উতুর কপালের ঠিক মধ্যখানে নিশানা করুণ। বিজ্ঞানী ঈশান উত্তেজিত গলায় বললেন। আর মাত্র একটা ধাপ। তারপরই পূরণ হবে তার স্বপ্ন।
অধিপতি অমল আলট্রা লেজার গানটাকে আবার হাতে তুলে নিলেন। ট্রিগারে হাত রাখলেন। টান দিতে যাবেন ঠিক তখন চিৎকার করে উঠল উতু, দোহাই আপনার, মহামান্য অধিপতি। ভুলেও আপনি ট্রিগারে চাপ দেবেন না।
আহ, উতু। তোমার মাথাটা কী হঠাৎ করে বিগড়ে গেল। মহামান্য অধিপতিকে বাধা দিচ্ছো কেন ? বিজ্ঞানী ঈশান ধমকে উঠলেন।
আহ্, হচ্ছেটা কী। ভনিতা না করে আমাকে কি বলা যাবে ? অধিপতি অমলের গলায় বিরক্তি।
আমি বলছি মহামান্য অধিপতি, আপনি ট্রিগার টানুন। উতু আপনাকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। ওর কথা আপনি শুনবেন না। ওর ফাঁদে আপনি পা দেবেন না, আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। বিজ্ঞানী ঈশান চিৎকার করে বললেন। তিনি যেন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।
ট্রিগার না টানলে ক্ষতি উনার হবে না, আপনার হবে স্যার। কী ঠিক বলিনি ? বিজ্ঞানী ঈশানের দিকে তাকিয়ে টেনে টেনে বলল উতু ।
চুপ, একদম চুপ। বদমাইশ কোথাকার। মেজাজ হারালেন বিজ্ঞানী ঈশান।
আমি কিš‘ আর সহ্য করতে পারছি না। সহ্য করবও না। আমি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুজনের মুখ থেকে আর একটা কথাও শুনতে চাই না। আশা করি কথাগুলো পরিস্কার ভাবে বোঝা গেছে। অধিপতি অমল পরিস্তিতি সামাল দিতে বাজখাই গলায় বললেন।
দুজনেই চুপ করে আছে। এএসএফ সদস্যরা অস্ত্র তাক করে আছে তাদের দিকে। বিজ্ঞানী ঈশান রাগী চোখে তাকিয়ে আছে উতুর দিকে। তার চোখ এরই মধ্যে লাল হয়ে গেছে। রাগে দাঁত কিড়মিড় করছেন তিনি। উতু কিন্তু শান্ত। মিটিমিটি হাসছে সে।
উতু, তুমি আমাকে বিষয়টা খুলে বলবে ? অধিপতি অমল বললেন।
মহামান্য গ্রহপতি, আপনি ওর কথা মোটেই বিশ্বাস করবেন না। ও হঠাৎই একটা শয়তানে পরিনত হয়েছে। বিজ্ঞানী ঈশানের গলায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। আপনি দয়া করে চুপ থাকুন। আর একটা কথাও বলবেন না। মুখ খুললেই ওরা আপনাকে গুলি করবে। অধিপতি অমল বিজ্ঞানী ঈশানকে শেষবারের মতো সাবধান করে দিলেন। তারপর বললেন, এবার তুমি বলো উতু। সংক্ষেপে বলবে।
ঈশান স্যার আপনাকে সরিয়ে দিতে চান। উতু নির্লিপ্ত গলায় বলল।
কেন সরিয়ে দিতে চান ?
উনি নিজে অধিপতি হতে চান তাই।
তোমার কথা কতটা বিশ্বাসযোগ্য ?
আমি একবর্ণও মিথ্যা বলছি না। দীর্ঘদিন ধরে উনি এই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। আপনাকে অন্ধকারে রেখে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেক হঠকারী কাজ উনি করেছেন। যন্ত্রমানবদের একটা নেটওয়ার্কের আওতায় এনে তাদেরকেও উনি ব্যবহার করেছেন ইচ্ছে মতো।
তুমি আমার সঙ্গে চালাকির চেষ্টা করছো না তো ?
মোটেই না। চালাকি তো আপনার সঙ্গে করতে চেয়েছিলেন ঈশান স্যার।
কী চালাকি করতে চেয়েছিলেন শুনি ?
আপনাকে ঈশান স্যার দ্বিতীয় বার আমার মাথার মাঝ বরাবর নিশানা করতে বলেছিলেন, ঠিক বলছি ?
হ্যাঁ, বলেছিলেন।
চালাকিটা ওখানেই। আমার মস্তিষ্কে অটো-প্রোগ্রাম করা আছে। প্রথম বার আঘাত হানার পর দ্বিতীয়বার কেউ যদি আমার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করে তাহলে আমার কপাল থেকে বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন একটা বৈদ্যুতিক শক্তি ছুটে গিয়ে তাকে ঝলসে দেবে। অর্থাৎ জায়গায় চোখের পলকে অবধারিত মৃত্যু। আপনাকে উনি আজ এভাবেই সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বিশ্বাস না হলে ঈশান স্যারকে জিগ্যেস করে দেখুন।
অধিপতি অমল আড়চোখে তাকিয়ে দেখলেন বিজ্ঞানী ঈশান দুহাতে মুখ ঢেকে বসে আছেন। ভেঙে পড়ার চিহ্ন উনার শরীর জুড়ে। সব শেষ। এটা বুঝতে পেরেই উনি হয়ত এভাবে ভেঙে পড়েছেন। আর ভাবছেন, এতদিনের শ্রম বৃথা গেল। তীরে এসে তরী ডোবা বোধহয় একেই বলে।
উনার এই চালাকিটা তুমি বুঝলে কী করে ? অধিপতি অমল চোখ সরু করে তাকিয়ে উতুকে জিগ্যেস করলেন।
মানুষের মস্তিষ্ক কী চিন্তা করছে আমি তা পড়তে পারি। উনার ক্ষেত্রেও পেরেছি। তাই আপনাকে সতর্ক করেছি।
এতে তোমার কী লাভ ?
আমি প্রাণহানি চাই না। রক্তপাত চাই না। আমার লাভ এইটুকুই।
অধিপতি অমল হাসলেন। সেই হাসি রহস্যে ভরা।
কিš‘ আপনি তো এখন প্রতিশোধ নিতে রক্তপাত ঘটাতে চাইছেন। উতুও হেসে বলল।
চমকে উঠলেন অধিপতি অমল। উতু কী আসলেই চিন্তা পড়তে পারে ?
হ্যাঁ, মহামান্য অধিপতি পারি। চিন্তা পড়তে পারি।
কিভাবে এটা সম্ভব ?
মস্তিষ্কবিদ্যা আর মনোবিজ্ঞানের জটিল সব সমীকরণের মাধ্যমে চিন্তা পড়া সম্ভব মহামান্য অধিপতি। আপনি এএসএফকে গুলির আদেশ দিতে চাইছেন ?
হ্যাঁ, চাইছি। এই বিশ্বাসঘাতক বিজ্ঞানীর আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তোমাকে ধন্যবাদ, সত্যটা জানানোর জন্য।
তাহলে আরেকটা সত্য কথা শুনুন।
বলো, কী সত্য কথা।
বিজ্ঞানী ঈশানকে আমি কিছুতেই মেরে ফেলতে দেবো না। আপনি অযথা উনাকে মারার চেষ্টা করবেন না।
কী বলছো এসব ! হঠাৎ কী হলো তোমার।
ঠিকই বলছি।
আমি যদি তোমার অনুরোধ না রাখি ?
আমার অনুরোধ না রেখে আপনার আর উপায় নেই। এখন থেকে আমার কথা শুনতে আপনি বাধ্য।
মুখ সামলে কথা বলো। তুমি কাকে কী বলছো, জানো ?
জানি, খুব ভালো করেই জানি। এই মুহূর্তে আপনার কিচ্ছু করার নেই।
বটে, দেখাচ্ছি। এএসএফ ট্রিগার দাবাও…।
কোনো লাভ নেই। ওদের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে আর কোনো গুলি কিংবা রশ্মি বের হবে না। অস্ত্রগুলো আমি লক করে দিয়েছি।
তোমার সাহস তো কম নয়।
আপনাকে তো আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ক্ষমতাহীন শাসককে কে ভয় পায়, বলুন ? পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখুন।
অধিপতি অমল পেছনে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন। এএসএফ সদস্যদের হাতে কোনো অস্ত্র নেই। বরং তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাব সদস্যরা। কী ঘটে গেছে, বুঝতে আর বাকি থাকল না তার। ক্ষমতার পালাবদল হয়ে গেছে। তিনি মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পড়লেন।
বিজ্ঞানী ঈশানও এতক্ষণে মাথা তুলে তাকিয়েছেন। উতু বলল, স্যার, আপনার কাছ থেকেই তো শিখেছি সব চাইতে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানের এই ইলা গ্রহের অধিপতি হওয়া উচিত। আপনিই বলুন, অধিপতি হওয়ার জন্য আমার চেয়ে যোগ্য এই গ্রহে এখন আর কে আছে ?
কোনো কথা বলতে পারলেন না বিজ্ঞানী ঈশান। শুধু হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন উতুর দিকে। সেই তাকানোতে বিস্ময়, ঘৃণা, অবিশ্বাস ও গ্লানি মিলে মিশে একাকার। উতু সেটা মোটেই আমলে নিলো না। বরং হঠাৎই গলার স্বর বদলে গেল তার। হুঙ্কার ছেড়ে অ্যাব সদস্যদের বলল, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছো কী ? নিয়ে যাও এদের সবাইকে।

Series Navigation<< বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ।। ইলাবৃত ।। কমলেশ রায় ।। চতুর্থ পর্ববিজ্ঞান কল্পকাহিনি ।। ইলাবৃত ।। কমলেশ রায় ।। অষ্টম পর্ব ।। >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *