কিশোর উপন্যাস

কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। এগারো পর্ব

১১

ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে চলছে একটা কালো গাড়ি। শা শা শব্দ করে এগিয়ে যাচ্ছে অজানা পথে। ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা। মানুষ দাঁড়াতে পারছে না রাস্তায়। কাঁপছে ভয়ে।সেই গাড়িটার পেছনের সিটে ওদের পায়ের নিচে পড়ে আছে অয়ন, আবির, নিলয়, সামি। চোখ-মুখ বাঁধা। হাত-পাও টাইট করে বেঁধেছে। যেন নড়তে না পারে। কুঁকড়ে ছোট হয়ে গেছে সামি। একটুও নড়তে পারছে না। কথাও বলতে পারছে না।
কষ্ট হচ্ছে শ্বাস নিতে।

নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছে নিলয়। দুর্বল হওয়া যাবে না। হারানো যাবে না মনোবল। লম্বা হয়ে শুয়ে আছে আবির।
তার শরীরের ওপর পা রেখে একজন সিগারেট টানছে। এত কিছুর মধ্যেও ভেঙে পড়েনি অয়ন। সে স্থির। কিছু একটা ভাবার চেষ্টা করছে। ওরা কোথায় যাচ্ছে। কিছুই জানে না। গাড়িটা চলছে তা বুঝতে পারছে। নিশ্চয়ই খুঁজতে বের হবেন রেজা স্যার।
কিন্তু এই পথ বের করতে অনেক সময় লাগবে। সহজ হবে না বের করা। প্রবল একটা ঝাঁকুনি খেলো গাড়িটা। হঠাৎ। ডানে মোড় নিয়ে শ্রীমঙ্গলের রাস্তায় উঠল। আবার সেই দানবীয় গতিতে পথের পর পথ পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে চলল গাড়িটা। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে সামি। নড়ছে না নিলয়। আবির মাঝে মাঝে নড়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। তার শরীরের ওপর ভারি দুটি পা। চুপচাপ পড়ে আছে অয়ন।
গাড়িটা থামল। হঠাৎ। কেউ একজন থামাতে বলছে।

গাড়ির ভেতরেই বসে আছে সে। অয়ন শুনছে তার কথা। ভাবল হয়তো এসে পড়েছে। এখন তাদের নামাবে। তারপর নিয়ে যাবে ওদের আস্তানায়। আটকে রাখবে। মারপিটও করতে পারে। কিন্তু তার
এখন ক্ষুধা পেয়েছে। বড্ড ক্ষুধা। ছাব্বিসটা পরাটা খেয়ে ফেলতে পারবে চোখের পলকে। সকালে খায়নি। ওরা খেতে দেবে?
মনে হচ্ছে দেবে না। মা বলেছিল কিছু একটু মুখে দিয়ে যা।
সময় হয়ে গেছে স্কুলের। নিলয় ডাকছে। তাই নাস্তা খাওয়ার সময় পায়নি। খুব মনে পড়ল মায়ের মুখ। বাবা যখন শুনবে তারা কিডন্যাপ হয়েছে, কী করবে আল্লাহ জানেন। এমনি বাবা যে ভীতু! বাবাকে নিয়েই চিন্তা হচ্ছে অয়নের।
গাড়ি থেকে নামল ওরা। অল্প জায়গায় মাছের পোনার মতো ঠাসাঠাসি করে পড়ে আছে চার গোয়েন্দা। গাড়ির গেট খোলার শব্দ পেয়ে নড়ে উঠল আবির। নিলয় হঠাৎ মোচড় দিয়ে উঠল। গোঙাচ্ছে। সহ্য করতে পারছে না। উল্টো করে হাত বেঁধেছে। বড্ড ব্যথা। পিঠের কাছে কিছু একটা ঠেকছে।

হয়তো সিটের সাথে ঠেস দিতে পেরেছে। কিছুটা স্বস্তিবোধ করছে। কিন্তু হাতে চাপ খাচ্ছে। বসতে পারছে না।
তাহলেই ব্যথা লাগে। কোথায় নিয়ে এসেছে? জানে না।
কিছু দেখতে পারছে না। কথা বলতে পারছে না। তবে অনেক দূরে নিয়ে এসেছে। সেটা বুঝতে পারল গাড়ি চলার গতি মেপে।

চা বাগানের ভেতরে নির্জন এক রাস্তায় দাঁড়াল কিডন্যাপাররা। দৃষ্টির সীমারেখায় মানুষ নেই। সবুজ আর সবুজ। সমুদ্রের জলের মতো ঢেউ খেলে যাচ্ছে উঁচু নিচু চা গাছ। খানিকটা আড়াল হয়ে বসল। সিগারেট জ্বালাল। টানছে আয়েশ করে। আনন্দও আছে মনে। প্ল্যানমতো কাজটা করতে পেরেছে। এত সহজ হবে ভাবতে পারেনি। প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। রেজা স্যার কোথায় ছিলেন? এলেন না তো সামনে। তারা ভাবছিল কেউ না এলেও রেজা স্যার আসবেন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাকেও তুলে আনবে। কিন্তু দেখলই না লোকটাকে। স্কুলে ছিলেন না হয়তো। না থাকলেও এখন খবর পেয়ে গেছেন। তার গোয়েন্দারা কিডন্যাপ হয়েছে। দেখা যাক, এখন কী করেন। কিছু করতে পারবেন না। লম্বা মতো চিকন

লোকটা এসব বলে হাসল। ওদের মধ্যে গাট্টামতো লোকটা খুব চিন্তিত। একটা কথাও বলেনি সে। সিগারেট টানছে গভীর ভাবনায় ডুবে। মাথা তুলে বলল, নিশ্চয়ই পুলিশ আমাদের পিছু নিয়েছে। হন্যে হয়ে খুঁজছে। আমার সন্দেহ হচ্ছিল। তাই পথ পাল্টিয়েছি। খুঁজলে কাজ হবে না। খাঁচায় আটকে ফেলেছি পাখি। পুলিশ চলবে রাস্তা দিয়ে, আমরা চলব পুলিশের মাথার ওপর দিয়ে।

মোটা গোঁফওয়ালা লোকটা বলল, কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না ওদের। এই টোপ দিয়ে রেজা স্যারকে আনতে হবে। আসল খেলাটা হবে তার সঙ্গে। গোয়েন্দা স্কুল করব আমরাও। ব্যবসাটা ধ্বংস করে দিয়েছে। মোতালেবের হাত থেকে রক্ষা পেলেও আমাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বাঁচিয়ে রাখব না। মেরে ফেলব। বস সেটাই বলছেন।
গাট্টামতো লোকটা বলল, এবার খালাস করে দেব। তার আগে গাড়ি পাল্টাতে হবে। এই গাড়িটা ওরা চিনে ফেলেছে।

ধরা পড়ে যাব।

কেমনে চিনিল? তখন গাড়ির নম্বরপ্লেট ছিল না। এখন নম্বরপ্লেট লাগিয়েছি। লম্বা মতো চিকনা লোকটা বলল।
তবু পাল্টাতে হবে। বসের অর্ডার। অন্য গাড়িতে নিয়ে যাব ওদের। বাহুবলের দিকে চলে যাবে এই গাড়িটা। এটা কৌশল।
কেউ বুঝতে পারবে না। কালো গাড়ি অনেক আছে। তখন কেউ সন্দেহ করবে না। ততক্ষণে আস্তানায় চলে আমরা। তারপর খুঁজে বের করা সহজ হবে না। ওখানে আলো পৌছে না। তারপর মানুষ।
কেউ এলেও ফিরে যেতে পারবে না। বন কুকুরের খাবার হবে ওদের শরীর। অনেক দিন পরে উৎসব করে মাংস খাবে ওরা।
গাড়ি কোথায় পাব?
চলে আসবে। চিন্তার কিছু নেই। সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। তোরা একজন গাড়ির কাছে যা। ওদের দুর্বল ভাবা
ঠিক হবে না। ডেঞ্জার জিনিস। কেউটে ছোট হলেও বিষ থাকে। ওরা খুঁজে বের করেছে আমাদের আস্তানা। ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে সমস্ত আয়োজন।
লম্বামতো লোকটা গাড়ি দিকে হাঁটতে হাঁটতে বলল,
এবার সাহস বের করব। ফিরে যাবে না আর। কঙ্কাল বানিয়ে ফেলব।
এখনই সেসব না। অনেক বড় খেলা আছে। দেখব ওসি কুতুবউদ্দিন পেট নিয়ে কেমন দৌড়ায়।

লম্বা লোকটা গাড়ির কাছে এলো। দেখল নিলয় উঠে বসেছে। গেট খুলে লাথি মেরে শোয়ায়ে দিল। নিলয় কিছু বলতে চেয়েছিল। কিন্তু কথা বের হচ্ছে না মুখ থেকে। একটা শব্দ করে পড়ল অয়নের মাথার ওপর। অয়ন নড়ে উঠে একটু ডান পাশে সরে গেল। বড্ড ব্যথা পেয়েছে সে। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না। গড় গড় করে শ্বাস নিচ্ছে সামি। হাত পা কাঁপছে। তা দেখে লম্বা লোকটা ভয় পেয়ে গেল। ছেলেটা এখনই মরে যাবে।

দৌড়ে গেল গাট্টামতো লোকটার কাছে। বলল, একটার অবস্থা ভালো না। কাঁপুনি উঠে গেছে। গ্যাড় গ্যাড় করে শ্বাস নিচ্ছে। মরে যেতে পারে।গাট্টামতো লোকটা হাসল। ভয় পাস না, মরবে না।
ছোট হলেও প্রাণ লম্বা। শক্ত আছে। সাহসীও।
আরে না। কেমন যেন মনে হচ্ছে। আপনি দেখেন।

দেখার কী আছে। মারা গেলেও কাজে লাগবে। ফেলে দেব না। এসব বলতে বলতে উঠে দাঁড়াল গাট্টামতো লোকটা। গাড়ির কাছে এলো। অন্যরাও তার পেছনে। তখনো কাঁপছে সামি। শ্বাস নিচ্ছে অদ্ভুত শব্দ করে। কিছুক্ষণ পরে সামিকে নামাতে বলল গাড়ি থেকে।

লম্বামতো লোকটা ধরে নামাল। খুলে দিল হাত পায়ের বাঁধন। মুখও খুলে দিল। চোখ তখনো বাধা। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল সামি। ইচ্ছে করেই বসে পড়ল। কিছুটা অভিনয়ও। এরপর নিচুস্বরে পানি চাইল। একজন গাড়ি থেকে পানির বোতল আনল। সামির মুখে খানিকটা ঢালল। কিছুটা খেল সামি।
বাকিটা গড়িয়ে গেল শরীর বেয়ে। ভালো লাগছে খানিকটা।
শ্বাস নিতে পারছে মুক্ত বাতাসে। দীর্ঘশ্বাস টেনে আবার ছাড়ল। কোথায় নিয়ে এসেছে জানে না। কিছু দেখতে পাচ্ছে না। চেষ্টা করেছিল দেখতে। এতটাই টাইট করে বেঁধেছে চোখ যে, অন্ধকার ছাড়া কিছু ভাবতেও পারছে না। সামি উঠে দাঁড়াল। একজন হাত ধরল। মতলব ভালো মনে হচ্ছে না। পালাতে
পারে, পালাতে দেবে না। দৃঢ়কণ্ঠে সামি বলল, তোমরা কারা? কেন আমাদের তুলে এনেছ? কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?
আমরা কারা, কোথায় নিয়ে যাচ্ছি খানিক পরেই দেখতে পারবি। খুব কৌত‚হল হচ্ছে তাই না? যখন সাইজ করব কৌতূহল মিটে যাবে। লম্বা লোকটা বলল।
সাহসী কণ্ঠে সামি বলল, তোমরা কিচ্ছু করতে পারবে না।
তাই নাকি! কে বাঁচাবে? ভাবছিস রেজা স্যার আসবেন। তার পরিণতিও তোদের মতো হবে। কঙ্কাল বানাব। কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
হেসে উঠল সামি। অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ওরা। ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। কতটুকু বাচ্চা ছেলে। কান্নায় ভেঙে পড়বে। বাড়ি ফেরতে চাইবে। সেই ছেলে হাসছে। এরপর সামি বলল, আমাদের ভয় পাচ্ছ তোমরা, তাই না?

ভয় পাচ্ছি তোদের! কে বলল ভয় পাচ্ছি? মুরগিরবাচ্চার মতো ছোঁ মেরে তুলে এনেছি। কেউ সামনে দাঁড়ানোর সাহস পেল না। এখন বলছিস ভয় পাচ্ছি। গাট্টামতো লোকটা বলল। সে কথা বলো না। অস্ত্রের মুখে তোমরা পড়লেও মাথা কাত করে দেবে। সেদিন তোমরাও পালিয়ে গিয়েছিলে। কঙ্কাল বাড়িতে যেদিন হানা দিয়েছিলাম আমরা। ওদিন পেলে তোমাদের দিয়েও কঙ্কাল বানিয়ে ফেলতাম। ভয় না পেলে এভাবে হাত-পা চোখ-মুখ বেঁধে নিচ্ছ কেন! সাহস থাকলে খুলে দাও।

জানি পারবে না। সেই সাহস তোমাদের নেই। তোমরা চোর।
চোরের সাহস থাকে না। চোর রাতে ভয়ঙ্কর হয়। দিনে গর্তে লুকায়।
গাট্টামতো লোকটা বড্ড রেগে গেল। এইটুকু ছেলের মুখে কত বড় কথা । একদমই মানায় না। এত সাহস হয় কী করে?
মেজাজ তেতে উঠল। রাগের লাল হয়ে গেছে মুখ। সামি ভাবছিল লাথি মারবে ফুটবলের মতো। তা মারেনি। মুখটা চেপে ধরল।
খিটমিটে দাঁতে বলল, ভয় কী জিনিস এবার দেখবি তোরা।

বাবার নাম ভুলিয়ে দেব। হাড় থেকে আলাদা করব মাংস। কাকে খাবে। শকুন তো নেই। তাই বন কুকুরের খাবার হবি। এরপর পৃথিবীর বাইরে পাঠাব। ফিরে আসতে পারবি না।
খানিক পেছনে সরে এসে বলল, ওদের হাত-পা, মুখ খুলে দে। চোখ খুলবি না। আজ থেকে ওরা অন্ধ। কিছু দেখতে পারবে না। শুধু অন্ধকার দেখবে।

হাত-মুখ না বেঁধেই সামিকে গাড়িতে তুলল।

অন্যদেরও হাত-পা, মুখের বাঁধন খুলে দিল লম্বামতো লোকটা। বের হয়ে টেনে দিল গাড়ির দরজা। গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে একজন। সামি শুয়ে আছে। ভান করছে অসুস্থতার। কঁকিয়ে উঠছে মাঝে মাঝে। অয়নের ভাবনা ঘুরল অন্যদিকে। বাঁধন খুলে দিল হঠাৎ। কারণটা কী! ছেড়ে দেবে তাহলে। তা ধরে আনল কেন!
ছাড়বে না। ফিসফিস করে বলল, আমাদের বাঁধন খুলে দিল কেন?
চুপ থাক। কথা বলিস না। একটু আরাম কর। কৌশল করতে হয়। সবসময় শক্তি দিয়ে লড়াই করা যায় না। কৌশল করেছি। ওদের রাগিয়ে দিয়েছি। রেগে গিয়ে বাঁধন খুলে দিয়েছে। বলল সামি।

কী বলছিস। রাগ করে বাঁধন খুলে দিল। তা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের? জানিস কিছু।
তা জানি না। তবে অনেক দূরে নিয়ে যাবে। অন্ধকার কোনো গুহায় আটকে রাখবে। যেখানে আলো থাকবে না।
মনে হচ্ছে লাউয়াছড়া নিয়ে যাবে। পাহাড়ের ঢালে ওদের কোনো গুহা আছে।
বুঝলি কেমনে?
ওরা বলল আর আলো দেখতে পারবি না। আর একটায় বলল পৃথিবীর বাইরে পাঠিয়ে দেবে।
চিন্তা করিস না। কিছু করতে পারবে না ওরা। আটকে রাখতেও পারবে না। ছুটে আসব আমরা। উল্টো ওদের নাকানি চুবানি খাওয়াব। ওই গুহা হবে ওদের কবর।
ঠিক বলছিস। আটকে রাখতে পারবে না। আমাদের খুঁজে বের করবেন রেজা স্যার। ওদের হাত থেকে মুক্ত করবেন।

আমার মনে হচ্ছে রেজা স্যার বেরিয়ে পড়েছেন।
অয়নও ভাবছে সেকথা। বসে থাকবেন না রেজা স্যার।

নিশ্চয়ই বের হবেন। তাদের মুক্ত করবেন। এবার স্যার হবেন গোয়েন্দা। ব্যাপারটা বেশ ভালোই লাগছে। একবার স্যারকে মুক্ত করেছে তারা। এবার স্যার মুক্ত করবেন তাদের। স্যারকে মুক্ত করা সহজ ছিল। তাদের মুক্ত করা সহজ হবে না। বহুত কাঠখড় পোড়াতে হবে। কিছুক্ষণ পরেই আর একটা গাড়ি এলো। সেটাও কালো রঙের। কালো গ্লাস। থামল এই গাড়িটার গা ঘেঁষে। ওরা অস্থির হয়ে উঠল। সময় নষ্ট করতে চাচ্ছে না। তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নামাল অয়নদের। আগের মতো তুলে নিল সদ্য আসা গাড়িটায়। অয়ন বুঝতে পারল ওরা কৌশল করেছে। গাড়ি পাল্টিয়ে পুলিশের চোখ এড়ানোর চেষ্টা। কাজ হবে না কৌশলে।

ওই গাড়িটা হয়তো চলে যাবে বাহুবলের দিকে। তাদের নিয়ে চলে যাবে অন্য পথে।
ঠিক তাই হয়েছে। খানিক পরেই ওই গাড়িটা চলে গেল।
অয়নদের বহন করা গাড়িটাও ছুটতে শুরু করল। শ্রীমঙ্গল শহর ছেড়ে চা বাগানের পেটের ভেতর দিয়ে উঁচু নিচু পথ পেরিয়ে দানবের গতিতে চলছে।

Series Navigation<< কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। দশ পর্বকিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। বারো পর্ব >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *