উপন্যাস

অধ্যাপক কোনো মানুষ হতে চায় না ।। মনি হায়দার ।।৫ম- পর্ব

চাঁদাবাজদের দলে চার পাঁচজন। সামনের ছেলেটাকে নেতা মনে হয়- সে সাঈদ হোসেন দেলোয়ারকে দেখে ভড়কে যায়, মিনমিনে কন্ঠে জানায়- চাচা, আপনের কাছে না, আসগরকে দেখিয়ে বলে- ওনার কাছে আইচি।
ক্যান আইচস?
একটা কাজ আছে।
কি কাজ- আমাকে বল।
ওসমান ভাই পাঠাইছে-
কোন ওসমান!
সালাউদ্দিন ভাইয়ের লোক- বাসস্টানের নেতা- ওসমান ভাই।
এম,পি সালাউদ্দিন?
জ্বী!

তোরা গিয়ে সালাউদ্দির আর ওসমানকে বলবি- উনি, আলী আসগরকে দেখিয়ে বলল- উনি আমার ভাই, ওনার বাড়ি মানে আমার বাড়ি। এখানে কোনো হাঙ্গামা করা যাবে না- কেমন? যা-

আইচ্ছা-ক্রোধ চেপে ছেলেগুলো চলে যায়। স্থানীয় এম,পি সালাউদ্দিনের সঙ্গে সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের একটি রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে- সে কারণে আজ অন্তত কয়েক হাজার টাকা অপ্রয়োজনে খরচের হাত থেকে বেঁচে যায়। কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে অধ্যাপক আলী আসগরের। না, দুনিয়ায় এখনও ভালো মানুষ, পরোপকারী মানুষ আছে।

অধ্যাপক আীর আসগর হাত ধরেন দেলোয়ার- সত্যি আপনি আমার ভাই।
হাসে দেলোয়ার- আরে না না। আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। বড় মানুষ- আপনি আমার প্রতিবেশী- আপনার প্রতি আমার একটা দায়িত্ব্ আছে না?
তা আছে। কিন্তু আজকাল কে কার দায়িত্ব পালন করে?
লাজুক হাসে সাঈদ হোসেন দেলোয়ার।
সত্যিই। আপনি মহৎ মানুষ-
অধ্যাপকের কথায় হাসে দেলোয়ার- চলেন, দেখি রাজমিস্ত্রিরা কেমন কাজ করছে দেখি।
চলুন।

দু’জনে ঘুরে ফিরে রাজমিস্ত্রীদের কাজ দেখে। তাদের কাজ দেখার মধ্যেই এসে উপস্থিত হয় মাকসুদা বেগম। অধ্যাপক আলী আসগর স্ত্রী মাকসুদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের সঙ্গে। বলেন- জানো আজ বড় একটা বিপদ থেকে ভাই বাঁচিয়েছেন-
কি রকম?

আলী আসগর সব বলেন, শুনে মাকসুদা বেগমর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন- সত্যি দেলোয়ার ভাই, আপনি বড় মনের মানুষ। নইলে আজকাল এসব অনাচারী দুরাচারী
সন্ত্রাসীদের সামনে কেউ দাঁড়ায় না। আসুন না একদিন বাসায়- কাছেই তো।
দেলোয়ান হাসতে হাসতে বলে- ভাড়া বাসায় গিয়ে কি আর করব? আর কয়েকদিনের মধ্যেই তো চলে আসছেন- নিজের বাড়ি, তখন আসব সকাল, বিকাল পাশাপাশি যখন।

সেই থেকে আলী আসগরের সংসারের একটা নিবিড় বুনিয়াদী সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের সঙ্গে, তার পরিবারের। দেলোয়ারের স্ত্রী দেখতে খুব কুৎসিত। দাঁত উঁচু-অনেকটা রাক্ষসীদের মতো। কপাল চওড়া, আবার চোখ দুটো ছোট। শরীরে মাংসের জাহাজ। এমন একজন মহিলাকে কেন বিয়ে করেছিল দেলোয়ার প্রশ্নটি অধ্যাপক আলী আসগরের মাথায় উদয় হয়েছিল স্বাভাবিক নিয়মে। কিন্তু বরাবরের নির্বিবাদী মানুষ-উদিত প্রশ্নকে আতুঘরেই সমাধি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী হলে এক সংসারের ঘটনা অন্য সংসারে কেমন করে যেন চাউন হয়ে যায়। যেমন গেল সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারটি।

সাঈদ হোসেন দেলোয়ারে মূলত একজন উদ্বা¯ত্ত! সে শৈশবে পাবনা এলাকা থেকে ভাগ্য অন্বেষণে ঢাকায় চলে আসে, প্রথম মুদি দোকানে কাজ করেছে, তারপর হোটেলে বয়গিরি করেছে। হোটেলে বয়গিরি করতে গিয়েই নাকি কপাল খুলে যায়। কোনো এক খদ্দের ভুল করে টেবিলের উপর টাকার ব্যাগ রেখে যায়। আর সে ব্যাগটি পেয়ে যায় দেলোয়ার। কত টাকা ব্যাগে ছিল- যা সে পেয়েছিল সেটা অজানা বা রহস্য ঢাকা রয়ে গেছে চিরকালের মতো। ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা গেছে-সেই হোটেলে জনাব সাঈদ হোসেন দেলোয়ার আর বেশিদিন কাজ করেনি। শীঘ্রই তাকে দেখা গেল পুরোনো কাপড় নিয়ে ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসতে। তার সঙ্গে ফুটপাতে বসত জনৈক বয়স্ক লোক-আবদুল সোবাহান। সেই সোবাহানের সঙ্গে দেলোয়ারের হৃদ্যতা পৌঁছে যায় চরমে, চরমে পৌঁছার পর পরই সোবাহানের একমাত্র কন্যা সোনিয়া আক্তার সোনুর সঙ্গে বিয়ে হয় সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের। দেলোয়ারের লোভ যতটা না ছিল সোনু’র প্রতি- তার চেয়ে বেশি লোভ ছিল সোবাহানের অবর্তমানে পাওয়া জুরাইন এলাকায় দশ কাঠা জমি। জমি, সোনু আর ব্যবসায়িক বুদ্ধি তিন অনুষঙ্গ মিলে একদিন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানদার এখন মহাজন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সবসময় যোগযোগ রক্ষা করে চলে দেলোয়ার। বুদ্ধির সঙ্গে টাকা আসলে মানুষ সম্মান চায়। সেই সম্মান করায়ত্ত করেছে সাঈদ হোসেন দেলোয়ার। এই প্রকার একজন বটবৃক্ষ প্রতিবেশী যখন পাওয়া গেছে, অনেকটা আশ্বস্তই ছিলেন অধ্যাপক আলী আসগর।

তিনি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা কেরন। সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে দেখেন, আর পড়ান। কোনো কোনো এলাকায় তিন বছর, কোথাও ছ’মাস থাকেন। তারপর হঠাৎ একদিন বদলির অর্ডার আসে, তিনি নির্দেশানুসারে যথাসময়ে যথা জায়গায় চলে যান। আলী আসগর একমাত্র মানুষ যিনি কখনো কোনো বদলির অর্ডার বাতিল বা তার সুবিধামতো জায়গায় নেয়ার জন্য সরকারি অফিসে ধর্না দেননি। কারণ বিরক্তি লাগে কাকে বলবেন, সে কি বলবে-এক ধরনের কুন্ঠা তাঁর ভেতরে কাজ করে।

ছুটতে যখনই বাড়িতে আসতেন, সময় সুযোগ পেলেই দেলোয়ারের সঙ্গে আড্ডা দিতের। তাস খেলেন। বেশ কয়েকদিন আলী আসগর জোর করে দেলোয়ারকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা ভ্রমণে নিয়ে গেছেন। আস্তে আস্তে নৌকা ভ্রমণের নেশাটা জেগে উঠে সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের মধ্যেও। আসলে অশিক্ষিত বর্বর মানুষরে মধ্যেও সৌন্দর্যবোধ কাজ করে, হয়ত, সৌন্দর্য চেতনা ঘুমিয়ে থাকে, দরজায় নাড়া দিলে সাড়া দেয় সেই সৌন্দর্য, প্রকাশিত হয় আপন বিভায়। সেই সাঈদ হোসেন দেলোয়ার সিঁদ কেটে ঢুকে পড়েছে তার অন্দরমহলে, গভীরতম গোপন আর ব্যক্তিগত বিছানায় পেতেছে কুসুমশয্যা!

অধ্যাপক টুনটুনি তাঁর শরীরের সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেললেন দুঃখে, বেদনায়, ক্রোধে, অসুন্দরের নির্মম আত্মপীড়নে।
নিবিড় রমণ শেষে দুটো ক্লান্ত শরীর পাশাপাশি- সাঈদ হোসেন দেলোয়ার তাঁর ডান পায়ের বেষ্টনীতে আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছে মাকসুদার পাশে- তোমার পরম প্রিয় পতি কোথায়?
জানি না।
সকালে যে তার কন্ঠস্বর শুনতে পেয়েছিলাম-

লোকটা অকর্মার ঢেকি- হাসে সাঈদ হোসেন দেলোয়ার- বাসায় থাকলে তোমার কাছে আর আর আসতে পারতাম না।
তোমার খাই খাই ভাবটা ইদানীং বেড়ে গেছে- অধ্যাপক আলী আসগরকে নরম আর ভালো মানুষ পেয়ে তার বৌয়ের সঙ্গে যেভাবে যখন ইচ্ছা করছো- কিন্তু কোনোদিন টের পেলে খবর আছে।
কি করবে?
জবাই। জবাই করবে।

হাসে সাঈদ হোসেন দেলোয়ার- হাসতে হাসতে মাকসুদা বেগমকে দু’হাতে বুকের সঙ্গে জাপটে ধরে- তোমার বোদাই চন্দন জামাইয়ের যে ক্ষমতা নাই- বুঝেছো মাকসুদা বেগম? থাকলে অনেক আগেই ধরে ফেলত আমাদের এই অভিসার।

দৃশ্যোর পর দৃশ্য আর দেখতে চান না অধ্যাপক টুনটুনি। রাগে ছোট ছোট পালক ফুলে উঠছে। শরীরে কোনো শক্তি, কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছেন না। হায়! তার সমস্ত চেতনা আছে, মানবিক বোধ আছে, আছে প্রতিরোধ স্পৃহা-অথচ তাঁর কোনো শক্তি নেই। তিনি একটি খাম-চিঠি পাঠানো খামের ওজন তাঁর। তিনি দু-টোকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতে- পারছেন না সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের গলাটা টিপে ধরতে। নিজেকে হঠাৎ ঝরাপাতা একমুঠো বালি মনে হয়। অসহায় আক্রোশে তিনি জানালার ফাঁক গলে বাইরে আসেন, উড়তে থাকেন দিগি¦দিক। উড়তে উড়তে অধ্যাপক আলী আসগর পথ হারিয়ে ফেলেন, কোথায় কতদূর এসেছেন, তিনি ঠাহর করতে পারেন না। ডানা দুটো পাথরের মতো ভারী লাগে। তিনি আশ্রয় খুঁজছেন। সামনে একটি ঝাঁকড়া আম গাছ পেয়ে তার ডালে বসলেন, বসে বসে গভীর নিঃশব্দ রাতে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। কেন কান্না-কার জন্যে কান্না বুঝতে পারছেন না অধ্যাপক টুনটুনি। শুধু দু’চোখের কোল বেয়ে পানি নামছে। মাথার উপরে, বিশাল আকাশ গাঙে পূর্ণ পূর্ণিমার চাঁদ। সাদা মিহি নরম জ্যোৎস্নায় ভরে যাচ্ছে পৃথিবী। আম গাছের পাতা চুইয়ে পড়ছে মিচি জ্যোৎস্না! তিনি কাঁদতে কাঁদতে, জ্যোৎস্না পান করতে করতে ক্লান্ত অবসন্ন শরীরে ঘুমিয়ে পড়লেন এক সময়ে।

যদির তিনি পাখি, কিন্তু তাঁর স্বভাব পাখির নয়। একটা অলৌকিক অতি পরাবাস্তবতার মধ্যে, বোধিবৃক্ষের তলে এসে পড়ায়, দিনক্ষণ লগ্ন মিলে যাওয়ার ঘুঙুরের শব্দ উঠেছিল চারপাশে এবং তিনি আপন অভিপ্রায়ে হয়েছেন টুনুটুনি পাখি। স্বভাবে, বোধে, ক্রোধে, প্রতিশোধস্পৃহায় তিনি তো মানুষ। সারাদিনের ক্লান্তি, রাতে স্ত্রী মাকসুদা বেগম এবং পরম বিশ্বস্ত বন্ধু সাঈদ হোসেন দেলোয়ারের মাংসপ্রীতি দেখে তিনি এতটাই বিচলিত, আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন, ভোরের পাখি ডাকার সময়ও তিনি গভীর ঘুমে অচেতন আম গাছের ডালে। তাঁর ঘুম ভাঙল অনেক পরে,যখন পৃথিবীর গায়ে ভোরের আলোর স্পর্শ লেগেছে, চারদিকে পড়েছে জীবনের সাড়া-রিকশাঅলার টুংটাং রিকশার ঘন্টা বাড়িয়ে চলেছেন দিনের প্রথম যাত্রীর খোঁজে। মাঝি নৌকা নিয়ে বেন হচ্ছে প্রথম সওয়ারির সন্ধানে। মাছের তালাশে নেমেছে জেলে কাঁধে জাল আর হাতে খলুই নিয়ে। অধ্যাপক টুনটুনি পাখি চোখ মেলে প্রথমে অবাক-এ তিনি কোথায় এসেছেন? মাঠ, ঘাট, নদী-নালঅয় ভরা চারপাশ-যেদিকে তাকান গ্রামীণ জীবন, বৌঝিদের আনাগোনা। কৃষকদের চাষবাস দেখতে পাচ্ছেন।

কোথাও শহরের চিহ্ন নেই। মনে পড়ে গতরাতের ঘটনা। ক্ষুধার্ত শরীরে বমি আসছে তাঁর। কিন্তু পেটে কিছু না থাকায় অসহ্য কাতরতায় তিনি চুপচাপ বসে পড়লেন। পেছনে তাকিয়ে দেখের বিরাট একটা দিঘি। তিনি পাখা মেলে দিলেন উদার আকাশের গায়ে-গতকালের চেয়ে উড়বার জড়তা আজ অনেক কম, সাবলীলভাবে উড়তে পারছেন ঠিকই, কিন্তু ক্লান্ত শরীর তার। ধীরে ধীরে অধ্যাপক টুনটুনি উড়ে এসে দিঘির পারে বসলেন, পানিতে চঞ্চু ডুবিয়ে আকন্ঠ পান করলেন পানি, শুরুতে মনে হয়েছিল সমগ্র দিঘির পানি পান করবেন, কয়েক মূহূর্তপর, পানিতে পেট ভরে গেলে, পানি পানের বিরতি দিয়ে আবার ফিরে এলেন আম গাছের ডালে। পানি পানের ফলে শরীরে একটু জোর এসেছে। ভাবনাটা পরিষ্কার খেলছে চৈতন্যে।

চিন্তিত অধ্যাপক আলী আসগর অথবা অধ্যাপক টুনটুনি পাখি। তিনি কোথায় এসে উপস্থিত হয়েছের- গতকাল রাতে অসহায় ক্রোধে উন্মাদ হয়ে উড়ে উড়ে? একেবারে-বোঝার চেষ্টা করছেন-উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম। সূর্য যেদিকে উছেঠে, সেটাই পূর্ব। বিপরীত দিকটা পশ্চিম- স্বাভাবিকভাবে বুঝে গেলেন উত্তর দক্ষিণও। হঠাৎ একটা বিমান পূর্ব দিক থেকে এসে পশ্চিমে যাচ্ছে- তাহলে পশ্চিমে ঢাকা শহর? হতে পারে অনুমানের ওপর ভর করে তিনি আবার পাখা মেললেন, চলতে আরম্ভ করলেন বিমানকে অনুসরণ করে। বিমান ইতোমধ্যে অনেকদূরে দৃষ্টিসমিার বাইরে চলে গেছে, তিনি উড়ে চলেছেন সবুজ ধান ক্ষেত, কলা বাগান, বাঁশঝাড়, রান্নাঘর, উঠো-কেয়াঝোপ, ছোট খাল পার হয়ে। তিনি উড়ছেন তো উড়ছেনই, ছুটছেনন তো ছুটছেনই। যদিও মানসিকভাবে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত তারপরও জীবনের পরিক্রমণ থেকে তো মুক্তি নেই। জীবন মূলত একটা প্রথায় আবদ্ধ লৌহকারাগার। কতক্ষণ উড়েছেন তিনি বুঝতে পারছেন না, কতদূর এসেছেন তাও জানতে পারছেন না, তবু সামনে, বেশ সামনে একটা রেল লাইন দেখতে পারছেন। রেল লাইন মানেই সমান্তরাল যোগাযোগ, শহরের সঙ্গে গ্রামের, গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ। তিনি উড়তে উড়তে ঝুপ করে নেমে পড়লেন রেল লাইনের উপর। কালো লোহার সঙ্গে রেললাইনে চাকার মিলনে ঘর্ষণে সাদা রঙ ধারণ করেছে। সোজা চোখ যায় সমান্তরাল রেল লাইন চলে গেছে সমান্তরালের রেখা হয়ে অনেক দূরে, মিলে গেছে গ্রামের আড়ালে। অবাক হয়ে রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে তিনি তাকিয়ে রইলেন দূরে, বহুদূরের বাঁকে অপসৃয়মাণ  রেল লাইনের দিকে। অধ্যাপক কোনো মানুষ

Series Navigation<< উপন্যাস।। অধ্যাপক কেন মানুষ হতে চায় না।।মনি হায়দার।।৬ষ্ঠ-পর্বঅধ্যাপক কোনো মানুষ হতে চায় না ।। মনি হায়দার ।। ৭ম- পর্ব >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *