কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। এক
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। এক
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। দুই
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। তিন
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। চার
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। ৫ম
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। ছয়
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। সাত
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব।। আট
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। পর্ব নয়
- কিশোর উপন্যাস।। বিস্ময়কর সেতুবালক।। ইমরুল ইউসুফ।। শেষ পর্ব ।।
চারদিকে কান্নার রোল। প্রায় তিন হাজার পরিবারে শোকের ছায়া। ছায়া লম্বা হতে হতে আকাশ ছুঁয়েছে। পাতাল ছুঁয়েছে। ছুঁয়েছে সাগরের তলদেশ। প্রায় পনেরো হাজার মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া। প্রিয় ঘর, জায়গাজমি হারিয়ে পাগলপ্রায়। কোনোভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছে না। মানানো যাচ্ছে না। এখন তারা কোথায় যাবে? জমি অধিগ্রহণে জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ছুটছে দিকবিদিক। অথচ সরকার তাদের জমির বদলে জমির ব্যবস্থা করেছে। থাকার ব্যবস্থা করেছে। স্কুল, কলেজ, বাজার, দোকান, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ করছে। জরাজীর্ণ মাটির ঘরের বদলে পাকা ঘর উঠেছে। কাঁচা রাস্তায় বসছে বিটুমিনের প্রলেপ। কিন্তু নদীর পাড়ের মানুষগুলোর মনে শান্তি নেই। শুকুর আলীর মনেও দুনিয়ার অশান্তি। সারাক্ষণ ভিটেমাটি হারানোর শোক। কাজে যায় না কয়েকদিন। সংসার চলবে কী করে সে বিষয়ে তার কোনো চিন্তা নেই। তালজিলের মায়ের সঙ্গে কথায় কথায় ঝগড়া করে। কিছু বললে কিংবা চাইলে তালজিলকে অযথা বকাবকি করে।
-অতো আর স্কুল যাওনের কাম নাই। আগে নদী আমাগো ডুবাইছে। এখন আরও ডুবাইতে বানানো হইতাছে ওই পদ্মা সেতু। আমরা এখন কী কইরা খামু! কী কইরা চলমু?
অথচ তানজিল ভাবে- সেতু আবার ডুবাবে কেমন করে? নদীর ওপর ব্রিজ তৈরি হলে আমরা বরং খুব সহজেই নদীর ওপারে যেতে পারব। নদীর ওপারে কী আছে তা দেখতে পারব। সাঁই-সাঁই করে ছুটে চলা গাড়ি দেখতে পারবো। পাকা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবো। নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, দোকানপাট, হসপিটাল হবে। তানজিল কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায়।