কিশোর উপন্যাস

কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। সপ্তম পর্ব ।।

সপ্তম পর্ব

      আবির বলল, আমার ভয় হচ্ছে। 
       কিসের ভয়?
       সামিকে ধরে নিয়ে যায়নি তো ওরা?
       কিছুক্ষণ চিন্তা করে অয়ন বলল, ওরা আসবে কোথা থেকে?
       হয়তো ঘাপটি মেরে ছিল। নাহয় আগেই অনুসরণ করেছিল আমাদের পথ। ওকে পেয়ে হাত পা মুখ বেঁধে নিয়ে গেছে। শব্দ করার সময় দেয়নি। 
        ভাবনায় পড়ে গেল অয়ন। এখন কী করবে। সামিকে রেখে বাড়ি ফেরা সম্ভব না। কোথায় খুঁজবে? সন্ধ্যা প্রায় নেমে পড়েছে। ভয়ে চোখ মুখ কুচকে গেছে। 
        সাদ বলল, ওরা অনুসরণ করলে আমাদেরও ধরতে পারত। সামিকে ধরবে কেন?
        আরে বোকা বুঝিস না কেন। সামিকে দিয়েই অনেক কিছু করতে পারবে। সবাইকে ধরলে ঝামেলা হত। ওরা এখন খেলা দেখাতে চায়। বলল নিলয়। 
        তাও হতে পারে। ওকে রেখে গিয়েও সমস্যায় পড়লাম। এখন কী করা যায়! বলল আবির। 
       আমাদের থেকে কম চালাক না ওরা। নিজেদের বেশি চালাক মনে করি আমরা। এটা ঠিক না অয়ন। সতর্ক হতে হবে আরও। বলল সাদ।
        তা বুঝলাম। কিন্তু এখন কী করব সেটা বল। এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে কিছু হবে না। বাড়িতে চল। সবাইকে জানাই সামি হারিয়ে গেছে। তারপর খুঁজতে বের হই। একটা কথা, এই বাড়িতে এসেছিলাম সে কথা বলা যাবে না। তাহলে মেরে ফেলবে বাবা। 
        নিলয়ও ভাবল তাই। কিছু না বলে বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করল। চিন্তায় পা আটকে যাচ্ছে অয়নের। সমস্ত শরীর জমে গেছে। কোথায় আছে সামি। কীভাবে আছে। ওর কিছু হয়ে গেলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না সে। তখন রিয়াদ বলল অন্য কথা। তোরা দাঁড়া, আমার মনে হচ্ছে অন্য কিছু।
       উৎকণ্ঠার চোখে তাকিয়ে অয়ন বলল, কী বলছে তোর মন?
        আমার মনে হচ্ছে সামি ঠিক আছে। কিছু হয়নি ওর। কেউ তুলে নেয়নি। কোনো বিপদও হয়নি।
        পাগলের মতো কথা বলিস না। তাহলে কোথায় গেল? হাওয়ায় মিলে যায়নি তো। নিশ্চয়ই কোনো বিপদ হয়েছে।
        আমার মনে হচ্ছে সামি বোকা বানিয়েছে আমাদের। 
        বন্ধুদের চোখ কপালে। হতে পারে তা। হয়তো সামি মজা করছে নিজেকে আড়ালে লুকিয়ে। রিয়াদের কথা ফেলে দেওয়ার নয়। তবে এমন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করবে সামি। সেটা বিশ্বাস হচ্ছে না অয়নের। রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলল, কতক্ষণ মজা করবে? পালিয়ে থাকলেও তো বের হবে। 
       সন্ধ্যা তখন দখল করেছে আকাশ। আর দাঁড়াতে পারবে না। ছুটতে হবে বাড়ির পথে। 
      কানখাড়া করল আবির। হঠাৎ হাত জাগিয়ে বলল, থাম তোরা। শব্দ হলো না?
      সবাই থেমে গেল। চা বাগানের ভেতর লুকিয়ে পড়ল। চোখে মুখে ভয়। ওরা পিছু নেয়নি তো। কিছুক্ষণ পরে অয়ন বলল, এটা গাড়ির শব্দ। তখন মনে পড়ল সেই কালো গাড়ির কথা। সামিকে নিয়ে যায়নি তো ওরা? বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে অয়ন বলল, বিপদের বড় কোনো জালে আটকে পড়েছি আমরা। সহজ হবে না ছাড়িয়ে যাওয়া। সেই গাড়িটা না তো নিলয়?
      হতে পারে, অবিশ্বাস্য কিছু না। ওরা হয়তো আমাদের অপেক্ষায় ছিল। সামিকে ধরে নিয়ে গেছে!
       রিয়াদ জোর গলায় ডাক দিল, সামি। বেশ কয়েকটা ডাক দিয়ে থামল। কোনো সাড়া পাচ্ছে না। কী করবে কিছু বুঝতেও পারছে না। আবির বলল, এখানে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানে নেই। বাড়ি ফিরে যাই। সবাইকে জানাই। নাহয় বিপদে পড়ব আমরা। কোনোভাবেই দোষ এড়াতে পারব না।
      চা বাগানের ভেতর দিয়ে হাঁটছে অয়ন। যাবে নদীর পাড়ে। পেছনে বন্ধুরা। সবার ভেতরই ভয়। আতঙ্ক। সামিকে হারানো ব্যথায় মুখ ভার। হঠাৎ একটা ঢিল এসে পড়ল অয়নের সামনে। চমকে উঠল সে। কয়েক পা পেছনে সরে দাঁড়াল। বলল, সাবধান। ওরা মনে হয় এখানেই আছে। আমাদের কাছেও আসতে পারে। সহজে ধরা দিবি না। লড়াই হবে। 
      নিলয় বলল, ওদের সাথে পারব না আমরা। দৌড়ে পালাই। নদীর পাড়ে চল। ওখানে মানুষ থাকতে পারে। 
      সামিকে রেখে যাবি? বলল অয়ন।
      আমরাও ধরা পড়ে যাব। ঠিক হবে না সেটা। বাড়িতেও খবর পৌছবে না। তার থেকে নিরাপদ ¯’ানে যাই। সামির কথা পরে চিন্তা করব। অস্থির গলায় বলল আবির।
       চা বাগানের ভেতর থেকে সজোরে দৌড়াতে শুরু করল অয়ন। অন্যরাও তাকে অনুসরণ করল। নদীর পাড়ে গিয়ে থামবে। তার আগে পেছন ফিরেও তাকাবে না। পেছন থেকে আর একটা ঢিল ছুটে এলো তখন। দৌড়ের গতি আরও বাড়ল। বেশ খানিক দৌড়ানোর পরে মনে হলো পেছনে কেউ দৌড়াচ্ছে। পেছন ফিরে তাকাচ্ছে না তবু। ওরা পিছু নিয়েছে? নিতেই পারে। অসম্ভব কিছু না। তাই সর্বশক্তি দিয়ে দৌড় শুরু করল আবার। রিয়াদ পড়ে গেল। অস্বভাবিক গতিতে টেনে তুলল আবির। আবার শুরু করল দৌড়। চা বাগানের আঁকাবাঁকা পথের প্রান্ত খুঁজে পাচ্ছে না। হাঁপিয়ে উঠেছে দৌড়াতে দৌড়াতে। তখন পেছন থেকে ডাক দিল, অয়ন। 
      থমকে দাঁড়াল অয়ন। গলাটা সামির। পেছন ফিরতেই দেখল প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে সামি। আসছে তাদের দিকে। ওর পেছনে কেউ নেই। বন্ধুরা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। ওই দেখ সামি, তাহলে ও লুকিয়ে ছিল। রিয়াদ যা বলছে তাই হবে। আমাদের সাথে মজা করছে। বলল নিয়ল।
      অয়ন বলল, একটু থাম। কাছে আসতে দে। কী হয়েছে আগে শুনি। তোরা উত্তেজিত হইস না।
       সামি দৌড়ে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। দাঁড়াল বন্ধুদের সামনে। কথা বলতে পারছে না। হাঁপড়ের মতো ওঠানামা করছে বুক। কাঁপছে শরীর। অয়ন ধরল। শান্ত হ। নদীর পাড়ে নিয়ে গেল এরপর। সেখানে একটু বসল। আকাশ লাল হয়ে গেছে। সন্ধ্যা নেমে পড়েছে পাহাড়ের মাথায়। পাখিরা ফিরে যাচ্ছে নীড়ে। ফিক করে হেসে উঠল সামি। হঠাৎ। নিলয় ক্ষেপে গেল। কানের কাছে হাত নিয়ে বলল, একটা থাপ্পড় মারব, মাথা ঘুরে যাবে। মুখেই বলল কিন্তু মারল না। কিছুক্ষণ পরে শান্ত হলো। শ্বাস টেনে বলল, তুই এসব করলি কেন সামি? জানিস কতটা ভয় পেয়েছি আমরা। মাপতে পারবি না।
     আবির হাত মুঠো করে নিয়ে এলো সামির মুখের কাছে। নিলয় না দিলেও সে মেরেই দিত। খপ করে আবিরের হাত ধরে ফেলল অয়ন। থাম তোরা। ওকে শান্ত হতে দে। কী হয়েছে আগে শুনি। এরকম করিস না। এখান থেকে দ্রুত চলে যেতে হবে। শত্রুরা জাল পেতে  রাখছে। সন্ধ্যাও নেমে পড়েছে। আর থাকা যাবে না।
      রিয়াদ বলল, শুনতে হবে না, বুঝে গেছি। আমাদের সাথে নাটক করছে ও। বাড়িতে চল। এখানে দাঁড়ানো মোটেই ঠিক হবে না। 
      খানিকটা স্থির হয়ে সামি বলল, ওই রুমে গোপন দরজা পেয়েছিস?
      সেকথা পরে বলব। আগে বল, তুই কোথায় ছিলি? বলল অয়ন।
       কিছু বলছে না সামি। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে  মাথা নিচু করে। আবির বলল, কথা বলছিস না কেন? এরকম করলি কেন ? জানিস কী অব¯’া হয়েছিল আমাদের। ভাবছিলাম তোকে তুলে নিয়েছে ওরা। ভয়ে অস্থির আমরা। সবাইকে খবর দিতে যা”িছলাম। তারপর তোকে খুঁজতে বের হব। 
      নির্বিকার ভঙ্গিতে সামি বলল, তোরা যা ভাবছিস একদম ঠিক। কোনোরকম রক্ষা হয়েছে। চেষ্টা করেছিল তুলে নিতে। কিš‘ পারেনি। 
     অয়ন আরও কাছে এলো। হাত রাখল সামির কাঁধে। সত্যি করে বল কী হয়েছে?  মজা করিস না। তুই বিপদে পড়ছিলি? না নাটক করেছিস?
       নিচু মুখে মাথা নাড়ল সামি। বিপদে পড়েছিল সে। অস্থির কণ্ঠে অয়ন বলল, কী বিপদ? ওরা দেখেছে? না অন্য কিছু? বল। চুপ থাকিস না। মাথা কিন্তু গরম আছে। ফাটায়া ফেলব। 
      আবারও মাথা নাড়ল সামি। হ্যাঁ, বিপদ হয়েছিল। 
      কথা বলছিস না কেন? শুধু মাথা নাড়ছিস। কথা বলতে ভুলে গেছিস? উত্তেজিত কণ্ঠে বলল নিলয়।  
       থুতনি ধরে সামির মুখটা ওপরে তুলল আবির। বল, কী হয়েছিল? না হয় মেরে হাফপ্যান্ট বানিয়ে ফেলব। মাথায় কিন্তু আগুন জ্বলছে। 
      জড়ানো কণ্ঠে সামি বলল, এখানে দাঁড়ানো ঠিক হবে না। চল, বাড়ি পথে হাঁটতে থাকি। এখানে থাকলে আরও বিপদ হতে পারে। আমাদের সামনে মাহাবিপদ।  
       অয়ন দেখল সামির চোখে মুখে ভয়টা স্থির হয়ে আছে। নিশ্চয়ই কিছু হয়েছিল। মজা করেনি। খানিক সামনে হেঁটে আবার জানতে চাইল, কী হয়েছিল? এখন বল। 
       আগে বল আামাকে রেখে চলে যাচ্ছিলি কেন তোরা? প্রশ্ন সামির।
       অবাক কণ্ঠে অয়ন বলল, কোথায় চলে যাচ্ছিলাম? তোকে না পেয়ে ভয়ে অস্থির আমরা। সামির কী হলো? ও কোথায় গেল? ভাবছিলাম তোকে তুলে নিয়েছে ওরা। তাই লোকজন খবর দিয়ে খুঁজতে বের হব ভাবছি।  
        আচ্ছা আচ্ছা তাই? তাহলে ঠিক আছে। 
        ঠিক নাই। কী হয়েছিল বল?
        অন্যদিকে মুখ করে সামি বলল, হয়নি কিছু। এত চিন্তা করিস না। সব ঠিক আছে। 
         হয়নি কিছু! তাহলে লুকালি কেন? উত্তেজিত হয়ে জানতে চাইল আবির।
          অন্যরাও অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। কি বলে হয়নি কিছু। সামি ভাবল কিছু একটা বলতে হবে। না হয় থামবে না ওরা। বলতে শুরু করল সেই কাহিনি। তোরা তো চলে গেলি। চুপচাপ বসে রইলাম আমি। ঝোপের আড়ালে। হঠাৎ একটা শব্দ শুনলাম। খস করে উঠল। ভয় পেয়ে গেলাম। তখন  কিছু একটা ছুটে গেল চা বাগানের ভেতর। হয়তো শিয়াল। কাঁপনি শুরু হলো আমার বুকে। সাথে শরীরও কাঁপছে। ভাবলাম কেউ আসছে আমার দিকে। ওখান থেকে বেরিয়ে একটু দূরে গিয়ে আড়াল হয়ে বসলাম। যেন কেউ দেখতে না পায়। খানিক পরেই দেখলাম দুজন মানুষ। চা বাগানের ভেতর হাঁটছে। কালো পোশাক পরা। মুখ আটকানো। ডাকাতের মতো দেখাচ্ছে। ভয়ে জমে গেলাম! কী করব। নড়া যাবে না। কোনো শব্দও করা যাবে না। ভাবলাম আমাকে দেখছে মনে হয়। এখানে থাকা ঠিক হবে না। ওখান থেকে বের হয়ে আবার জায়গা পাল্টালাম। চলে গেলাম পাহাড়ের কাছে। পালানোর জায়গা পাচ্ছি না। একটু সামনে যেতেই ছোট্ট একটা গুহা পেলাম। মুখটা ঢেকে আছে লতাপাতায়। ঢুকে পড়লাম ওটার ভেতর। 
     তখন মনে পড়ল সাপের কথা। তবু নড়লাম না। বেরও হলাম না। দেখব ওরা কী করে। যেখানে আমি বসেছিলাম সেখানে এসে দাঁড়াল। হয়তো আমাকে খুঁজছে। ওখান থেকে না সরলে ধরে ফেলত। তারপর কী হতো জানি না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কিছু একটা বলে পশ্চিম দিকে হেঁটে গেল ওরা। কী বলছে স্পষ্ট শুনতে পাইনি। চলে যাওয়ায় হাঁপছেড়ে বাঁচলাম। বুকে থু থু দিলাম। বের হলাম না। চুপচাপ বসে রইলাম, মরার মতো। তোরা চলে এসেছিস তা বুঝতে পারিনি। ভাবলাম আবার এসেছে ওরা। শরীরটা গুহার শেষ প্রান্তে চাপিয়ে দিয়ে শুয়ে রইলাম। যেন গুহার মুখে দাঁড়ালেও দেখতে না পায়।
     রিয়াদ যখন সামি বলে ডাক দিল তখন বুঝতে পারলাম তোরা। আস্তে আস্তে বেরিয়ে হলাম। তখন অন্ধকার দেখছি সব। তোদের আর দেখি না।
     বুঝলাম অন্ধকার দেখছিস। তা সাড়া দিলি না কেন? জানতে চাইল অয়ন।
    পরীক্ষা করে দেখলাম তোরা কী করিস? আমাকে রেখেই চলে যাস কিনা। পরীক্ষা তো সব সময় করা যায় না। 
    আচ্ছা তাই। তা ঢিল মারল কে?
    আমি। 
    কেন মেরেছিস?
    ঢিল নিয়ে বসে ছিলাম। ওরা কাছে এলে অন্যদিকে ঢিল ছুড়ব। সেদিকে ছুটে যাবে ওরা। আমি বের হয়ে পালাব। এটা কৌশল ছিল।
    বেশ ভালো বুদ্ধি। তা আমাদের দিকে মারলি কেন?
    মৃদু হেসে সামি বলল, ভয় দেখানোর জন্য। 
    অবিশ্বাসের চোখে তাকাল নিলয়। বলল, তোর একটা কথাও বিশ্বাস করি না সামি। তুই আ”ছা গুন্ডা হয়েছিস। সুন্দর মতো একটা গল্প বানিয়ে দিয়েছিস। ভাবছিস আমরা বিশ্বাস করব। অবশ্য বিশ্বাস করার মতো গল্প। তোর কল্পনা শক্তির প্রশংসা করতেই হবে। লিখলে ভালো গোয়েন্দা কাহিনি লিখতে পারবি। লিখে ফেল।
       আমি লিখব কেন? আবির আছে না। ও তো গল্প লেখে। ওকে বল। লিখে ফেলুক। সবাই লিখলে পড়বে কে?
       তা ঠিক আছে। আবির লিখবে। তবে কাজটা ঠিক করিসনি সামি। মজা করার একটা সময় আছে। হাবলুর মতো কাজ করেছিস। তোর ওপর আমাদের বিশ্বাস নেই। বিশ্বাস হারালে গোয়েন্দা হওয়া যায় না।
       এখানে মজা করার কিছু নেই। এটা মজা করার সময় না। তোরা ভুল বুঝছিস। বিশ্বাস না করাটা তোদের ব্যাপার। জোর করে বিশ্বাস করানো যাবে না। করাতেও চাই না। ওদের হাতে ধরা পড়লে বিশ্বাস করতি? তাই না! তাহলে নিরাপদে লুকিয়ে ভুল করেছি? তোরা চাচ্ছিলি আমাকে তুলে নিয়ে যাক ওরা। তোরা গোয়েন্দা হবি। আমাকে খুঁজে বের করবি।
        না, তোকে খোঁজার সময় নেই আমাদের। ইচ্ছেও নেই। তুই হারিয়ে যা। দেখিস কেউ তোকে খুঁজতে বের হবে না। আমাদের হাতে অনেকগুলো কেস আছে। সেগুলোরই কিনারা করতে পারছি না। মাথা এলোমেলো হয়ে গেছে। বলল আবির।
       অয়ন বলল, বিষয়টা এখানেই শেষ কর। কথা বাড়ালে বাড়তেই থাকবে। চুইংগামের মতো লম্বা হবে। ছেঁড়বে না। আমাদের সামনে অনেক কাজ। সেসব করতে হবে। বাড়ি চল। পুরো ঘটনা স্যারকে জানাতে হবে। দেখি স্যার কী বলেন। তারপর শুরু করব নতুন অভিযান। ওদের ধরতেই হবে। না হয় স্বস্তি পাব না। কমবে না আমার বাবার ভয়। বাবার ওই মুখটা মনে করলে বড্ড হাসি পায়।   
     বন্ধুরাও একমত হলো অয়নের সাথে। তবে শেষ কথাটা মুনে সবাই হেসে গলে পড়ছিল। অয়নের বাবা ওদের ভয় পাচ্ছে। তার ভয় দূর করতে হবে। 


Series Navigation<< কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। ষষ্ঠ পর্বকিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। অষ্টম পর্ব >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *