উপন্যাস

উপন্যাস // কালপুরুষ এখনো দাঁড়িয়ে আছে // আলমগীর রেজা চৌধুরী// শেষ অধ্যায়

এরও একমাস পর। সিউল থেকে পার্থ ফিরে আসে। বাসায় এসে অনেক কিছুর পরিবর্তন অনুভব করলো। যেন আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে সব। পরিচিত পরিবেশ, রিনি, কন্যা মিমি। সব মিলিয়ে নিজস্ব অস্তিত্বে অসীম শূন্যতা।
প্রথমে ধাক্কা খায় মিমির কাছে।
একমাস প্রবাসকালের একাকীত্ব যার মুখ দর্শনে চরম প্রশান্তিতে ভরে ওঠবে। চোখে তৃষ্ণার্ত আকুতি। সেই মিমি অভিমানে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে কাঁদ কাঁদ স্বরে বলে, ‘পাপা তুমি মেম বিয়ে করেছো?’
পার্থ প্রথমে খুব অবাক হয়। নিশ্চয়ই রিনি জুডিকে ইঙ্গিত করেছে। না, রিনি সে রকম মেয়ে না। তাছাড়া রিনিও জুডিকে অনেকটা চেনে। নিজকে একটু সামলে নেয়।
‘না পাপা, আমি কি মেম বিয়ে করতে পারি?’
‘আমার বিশ্বাস হয়নি। মা রাগ করে বলল তাই।’
‘তোমার মা’র রাগ আছে আমি জানতাম না!’
‘তুমি কী যে বলো পাপা, এক দিনে আমাকে তিনটে চড়, দু’বার হারামী, একবার চুলে টান, দাদুকে নিয়ে কী যেন বলল।’
‘কি বলল পাপা?’
‘আমি দাদুর মতো।’
‘ঠিক আছে তোমার মা’র বিচার করবো। তুমি চিন্তা করতে পারো মিম, তোমাকে মারধর করেছে, ভারি অন্যায়। আমি তোমার মাকে ফাঁসিতে ঝুলাবো।’
‘তা’হলে তো মরে যাবে।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে, তোমার মাকে বকে দেবো।’
পার্থের মনে হয় পৃথিবীর সব অভিমানের ভাষা এক। জুডির মেয়েটির মুখ মনে পড়ে। সিঙ্গাপুরে ও ওর বাবার জন্য কম আকুতি প্রকাশ করেনি। সারাক্ষণ জুডিকে ব্যাকুল করে রাখতো।
আর রিনি! যাকে অবলম্বন করে পার্থ নতুন এক আকাশ নির্মাণ করেছে। যার মেঘমালায় ভেসে রয়েছে শুভ্র দিনরাত্রির মাদকতা। যা এ জীবনে কখনও হারাতে চায় না পার্থ।
রিনি সহিষ্ণু রমণী। অতো সহজে ভেঙে পরবে তা বিশ্বাস করতে কষ্টকর। কিন্তু সত্যি সত্যি রিনি বদলে গেছে।
কণ্ঠস্বর ভারি। যেন অনেকদিন যাবদ শোকযাপন করছে।
পার্থ বলে, ‘তুমি অনেক ম্লান হয়ে গেছো রিনি।’
‘ধন্যবাদ, তবু দেখার চোখ আছে।’
‘কী বলছো তুমি! তোমাকে দেখে দেখে এ জীবন গ্রহণ করবে মৃত্যুর স্বাদ। বলে কী মেয়ে!’
‘এত রোমান্টিক তো তুমি কোনোকালে ছিলে না!’
‘ছিলাম। প্রকাশ করিনি। এ ক’দিনের শূন্যতায় প্রাপ্তির আনন্দে আছি।’
‘জুডিকে কী বলেছো। ভালোবাসার সংলাপ বলোনি?’
পার্থ খুব অবাক হলো। মনে পড়লো জুডির মুখ। রিনি-জুডি। ছায়াবাজি খেলতে খেলতে পার্থ বলে, ‘বলেছি, যার যেটুকু প্রাপ্য।’
‘তা’হলে আমার প্রাপ্যটা কি?’
‘জন্মবন্দী।’
রিনি মুচকি হাসে।
পার্থ হাসে।
আকস্মিক পার্থ খিল খিল হেসে বলে, ‘রিনি, জুডি ঠিক বলেছে। প্রত্যেক নারী তার পুরুষের ক্ষেত্রে স্বার্থপর হয়।’
‘তোমার ধারণা কী তাই!’ রিনি হাসে।
‘আমি জুডিকে বলেছি, রিনির মধ্যে এ মহান গুণ আবিষ্কার করিনি।’
‘তুমি ঠিক বলোনি। আমি স্বার্থপর।’
পার্থ ভীষণ অবাক হয়ে রিনির দিকে তাকায়। আস্তে আস্তে চোখের মনিতে রিনির মুখ সরে যেতে থাকে। চুল আলুথালু এক হিংস্র নারীর মুখ ভেসে ওঠে। পার্থ বেদনার্ত হয়। ক্লান্তি অনুভব করে। দু’হাত দিয়ে রিনিকে জড়িয়ে ধরে। যেন অক্টোপাস। যা থেকে কখনও দু’জনকে আলাদা করা যাবে না।
কিন্নর-কিন্নরী। বৃন্দাবনের রাধাকৃষ্ণ। অনন্তের পাখি দম্পতি। পার্থের মনে পরে নাজিম হিকমতের কবিতা, ‘আমার ক্যানারীর লাল খাঁচায় একটি গানের কলি।’

দৈনন্দিন জীবন স্রোতে মিশে যায় পার্থ। মিমিকে নিয়ে ওর যে ভুবন, তা আকাশ বিস্তৃত হতে থাকে স্বাপ্নিক ছায়ায়।
অফিসের মবিন সাহেব প্রতিনিয়ত বলে, ‘পার্থ, আপনি ভালো আছেন। বাজারে যেতে হয় না।’
পার্থ এসবের অর্থ খুঁজতে যায় না। নিজের একাকীত্বে ডুবতে থাকে। ক্ষীণ হাসির রেখা ফুটে ওঠে ঠোঁটে।
অফিসের চেয়ারে চুপচাপ বসে থাকে। জানালা দিয়ে বাইরে কিছু দেখার উপায় নেই। হাইরাইজ বিল্ডিংগুলো আকাশ পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। শীতের প্রসন্ন বিকেল। নিরুত্তাপ। রুম জুড়ে সুনসান নীরবতা।
পার্থের একবার মনে হয়, জীবন গতিশীল। কত কোটি বছর আগে সাগরের প্রারম্ভিক ঢেউ আজকে বঙ্গোপসাগরে এসে বঙ্গভ‚মি নামক ব-দ্বীপে আছড়ে পরে জানান দেয়, ‘আমি এসেছি।’ জুডির কথা মনে পড়ে, সিঙ্গাপুরে জুডি প্রশ্ন করেছিল, ‘আমরা শেখ মুজিবকে মেরে ফেললাম কেন?’
‘তাই তো মেরে ফেললাম কেন?’ এ প্রশ্ন পার্থের। জুডির প্রশ্ন ওকে কাতর করেছে। যে মানুষ একটি জাতির জন্য ভূখণ্ড দিয়েছে। দিয়েছে একটি উজ্জ্বল পতাকা। যার বজ্রকণ্ঠ চিৎকারে বাঁশের লাঠি নিয়ে ট্যাংকের মুখোমুখি হয়েছে আমজনতা। জীবনকে মনে করেছে কচুপাতার পানির মতো টলটলায়মান। একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যে জাতির অভ্যুদয়। সেই জাতির স্থপতি হত্যাকারী হিসেবে জুডি কী পার্থকে দাঁড়া করাতে চায়। তাই বিব্রত জুডির প্রশ্নে। ‘জুডি, এ রকম হয়।’ সান্ত¦না খুঁজেছে মনে মনে। জীবনের জন্য কত নিয়ম। দেশ তো সেখানে আরো বড়। পার্থ এখনো বিশ্বাস করে, মানুষ তার আত্মত্যাগ মনে রাখে। ইমোশন যদি জাতির হাতিয়ার হয়, তাহলে শেখ মুজিবকে ভুলে যাওয়া কেন? একটি জাতিকে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যাওয়ার বলিষ্ঠতা নিয়ে খুব কম লোক জন্মায়।
জুডি, সত্যি নিজকে অপরাধী মনে হয়। স্বাপ্নিক মানুষগুলো কষ্ট পায় বেশি। জীবনকে জেনে যায়। জয়-পরাজয়, আনন্দ-বেদনা, গ্লানি, অপমানগুলো অতিক্রম করার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর প্রতিনিয়ত স্বপ্নের তটরেখা স্পর্শ করতে চায়। বর্ণাঢ্য বর্ণিল আলোয় উড়ন্ত সাম্পানে ভেসে ভেসে দোল খায়। প্রকৃতি স্থিতি হয় না। তাহলে আমরা জন্ম নিতাম না।
অসম্ভব রকম একাকী হয়ে যায় পার্থ। বলা যায়, বৃক্ষ-স্বভাব। মিমির কাতর আকুতি রিনির নির্লিপ্ততা পার্থের বোধকে স্পর্শ করতে পারে না। যেন সবকিছুতে অপূর্ণতার ছাপ।
অফিস থেকে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। গলির মোড়ে মুদিওয়ালার দোকান থেকে এটা-সেটা কেনাকাটা করে। মিমির জন্য চিপস, টফি। রিনি কী যেন নিতে বলেছিলো! মনে করার চেষ্টা করে। মনে পড়ে না। আহত হয়। রিনি যদি অভিমান করে। ইদানিং রিনির অভিমান বেশি। এক যুগ বিবাহিত জীবনে রিনির এ পরিবর্তন পার্থকে কষ্ট দেয়। আবার এক ধরনের চোর-পুলিশ খেলার মতো। এখানে কোর্ট-কাচারীর প্রয়োজন হয় না। হাক-ডাক। অজস্র কোলাহলের মধ্যে নিজকে বয়ে বেড়ানো। যন্ত্রণা নেই। শুধু নিঃশর্ত কথামালায় অন্যরকম অনুভ‚তিতে সাজিয়ে তোলা। সেই অভিমানের তালপুকুরে অবগাহন করে।
বাসায় ফিরতেই রিনি মুচকি হেসে বলে, ‘চা খাবে, না অন্যকিছু?’
পার্থ কিছু বলে না। কাপড় পাল্টিয়ে বাথরুমে যায়।
বাথরুম থেকে বের হতেই মিমি বলে, ‘পাপা তোমার জন্য গুড নিউজ। তোমার চিঠি আছে। দেয়া যাবে না। মা’র বারণ আছে। খাওয়া-দাওয়া শেষে যখন টিভি দেখতে বসবে তখন দেবো। ওটা আমি লুকিয়ে রেখেছি।’
পার্থ মিমিকে জড়িয়ে ধরে আদর করে। নাকে চুমু খেয়ে বলে ‘না মা, চিঠি তুমি এখনি দাও। তোমাকে দারুণ জিনিস দেবো।’
‘না পাপা, আমি মা’র কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি। প্রতিজ্ঞা ভাঙা যাবে না। মা বলেছে।’
‘ধন্যবাদ মিমি। তোমার কাছে হার মানলাম।’
অবাক হবার কথা। মনিকা রীভ লিখেছে, সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে।
প্রিয় পার্থ,
আমাদের সম্পর্কের সময় তো কম নয়। প্রায় বিশ বছরের কাছাকাছি। এক জীবনের জন্য অনেক সময়। সেই বিশ্বাস থেকে লেখা। আর এ কথাগুলোর তোমার মতো মানুষেরা জানার অধিকার রাখে।
পাবলোর কথা মনে আছে। যার একটা পা উড়ে গিয়েছিলো সেল-এর আঘাতে। পাবলো ভালো ইংরেজি জানতো। হাসপাতালের বেডে রাজ্যের বই। আমি আয়ারল্যান্ডের মানুষ, ডাবলিনে থাকি শুনে প্রচণ্ড অবাক হয়। বলে, ‘আমি একদিন জেমস জয়েস-এর সমাধিফলকে হাত রাখবো।’
আমার তো বিস্ময়ের শেষ নেই। ছেলে বলে কী। এতটা পাগল! তা না হলে যুদ্ধক্ষেত্রে পা রাখার মতো সাহস জন্মাতো না। আমি অবাক হই। জয়েস ডাবলিনের আত্মাকে আবিষ্কার করেছে। পাবলো বাংলাদেশের।
হঠাৎ করে পাবলোর কথা মনে হওয়াতে আমার বোধ মূক হয়ে যায়।
তাই তো, আসলে জীবনের কোন অংশের মধ্যে তোমাকে রাখি!
আসল কথা লেখা হয় না। লিখবো। লিখতে হয়। সতের বছর বিবাহিত জীবনে জর্জ এবং আমি পরস্পর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। যে কারণে আমরা পরস্পরকে আবিষ্কার করে জীবন শুরু করেছিলাম। আমাদের কিছু স্বপ্ন ছিলো। অনেক স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। আমাদের বৈবাহিক জীবনের একমাত্র ফসল কলিন্স রীভ। এখন ও লেবেলে পড়ে। কলিন্স আমার সঙ্গে থাকবে। আর জর্জ মিউনিক চলে গেছে, কী এক আইরীশ কোম্পানির একজিকিউটিভ হয়ে। বিয়ে করবে ওর চেয়ে দশ বছর ছোট বয়সী নারীকে। জীবনের প্রতি গভীর বিশ্বাসে ঘুনপোকা বাসা বেঁধেছে। জর্জ পাগলাটে। জিদ্দি। আমার ব্যক্তিক স্বপ্নভঙ্গের জন্য জর্জের প্রতারণা আমাকে কষ্ট দেয়।
সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে যাবার পর তোমাদের কালচারে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কী গভীর মমতায় পরস্পরকে জড়িয়ে রাখে। জর্জের মধ্যে প্রথম দিকে সে মমতা ছিলো। তারপর সবকিছু বদলে যেতে থাকে। কলিন্সকে তোমাদের মতো করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। ওকে আঁকড়ে ধরে আগামী জীবন নির্মাণ করবো।
জুডির কাছে তোমার রিনির গল্প শুনেছি। আমার হিংসে হতো। রিনি তোমার বউ। রিনির মধ্যে তোমার মা’র ছবি আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। ঈশ্বর, তোমাদের কল্যাণ করুন।
নিত্যসুভার্থী
মনিকা রীভ
ডাবলিন

চিঠি পড়ে রুমের আলো নিভিয়ে দেয়। বিছানায় টান টান শুয়ে থাকে কতক্ষন। ইতোমধ্যে দু’বার রুম ঘুরে গেছে মিমি। একবার জিজ্ঞেস করেছে, ‘পাপা তোমার কি শরীর খারাপ?’
‘না, মা।’
অনেকক্ষণ নিঃসাড় শূন্যতায় ঘুরপাক খায়। মনিকাকে মনে করার চেষ্টা করে। শুভ্র বসনার মায়াময়ী নারী মনিকা রীভ। এখন হয় তো অনেক বদলে গেছে। সময় স্থির থাকে না। একজন হৃদয়বান নারীর মুখ মনে পড়ে এই জীবন, তা ওই দু’নারীকে নিয়ে মুগ্ধতায় ভরা। বিধাতার কাছে প্রার্থনা করি, কোনো কষ্ট যেন স্পর্শ না করে।
বারান্দার চেয়ারটায় বসে। চিঠি বিছানায় পরে আছে। থাক। রাত কত হবে এখন? এগারোটা। রিনি কি ঘুমিয়ে পরেছে?
অনেকক্ষণ নিঃশব্দ বসে থাকে পার্থ। এক সময় রিনি এসে পাশে দাঁড়ায়।
‘তোমার খুব খারাপ লাগছে?’
পার্থ কথা বলে না। কিছু সময় যায়।
‘তোমাকে চা দেবো?’
‘এখন চা খেলে ঘুম ডিস্টার্ব। দরকার নেই, মিমি ঘুমিয়েছে?’
‘সেই কখন! চিঠি আমি পড়েছি। আমার খুব খারাপ লাগছে। এমন হলো কেন?’
‘ওদের এ রকম নিয়ম। আমাদের মতো না।’
‘তারপরও এতোদিন পর…।’
জুডি-মনিকা অন্যরকম মেয়ে। এ দেশের আসার পর একান্নবর্তী সংসারে সুখ খুঁজে পেয়েছিলো। ওরা দু’জন স্বাপ্নিক নারী। স্বপ্নভঙ্গের বেদনা বড়ো কষ্টকর।’
‘আমার খুব কান্না পাচ্ছে।’
‘তোমাকে ওরা খুব সম্মান করে। আমার মা’র মতোন।’
রিনি হু হু করে কাঁদতে থাকে। ওর চোখে জল নামে। ওরা অনেকক্ষণ কেউ কথা বলে না। হাইরাউজ বিল্ডিং-এর ফাঁক গলে এক চিলতে চাঁদ দেখা যায়। পার্থ আকাশে দিকে তাকায়। নক্ষত্রে চোখ রাখে। মিটমিট আলোজ্বলা মুখ চোখের তারায় হারিয়ে যেতে থাকে। নিবন্ত আগুনের তলদেশে থেকে জেগে ওঠে পৃথিবী। ওইখানে কিছু কিন্নর-কিন্নরী থাকে। পাতক, প্রকৃতি ওদের দিয়েছে সহস্র বেদনার ভার। অনেক কথামালা। কিচির মিচির করতে করতে অসীম আকাশে হারিয়ে যায়। শুধু মানুষ তাকিয়ে দেখে, যাপিত জীবনের ছায়াপথ।
পার্থ আর কিছুৃ ভাবে না। ওর খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে। তাও পারে না।
হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসে, যেখানে সাঁই বারাম খানা, যেখানে সাঁই বারামখানা…।

Series Navigation<< উপন্যাস // কালপুরুষ এখনো দাঁড়িয়ে আছে // আলমগীর রেজা চৌধুরী // পর্ব বারো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *