সায়েন্স ফিকশন

ধারাবাহিক উপন্যাস।। এক্স-পেরিমেন্ট।। নাসরীন মুস্তাফা।। পর্ব তেরো

যখন জ্ঞান ফিরে পেল, তখন চোখ ধাঁধানো আলো ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ল না আশফাকের। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার ঠিক আগে আগে ও আর লরা বিশাল এক মাঠে বসে রাতের আকাশের তারা গুনছিল, দিব্যি মনে আছে। লরা খুব হাসছিল। এক সময় হাসি থামিয়ে কেবলি বলতে লাগল, মেঙ্গেলে মেঙ্গেলে মেঙ্গেলে…
কোন মানে হয়?
আশফাক রেগে উঠতে উঠতে চেঁচিয়ে বলল, কী সব বলছিস্ তুই? কী মেঙ্গেলে মেঙ্গেলে!
লরার কণ্ঠ কেন যেন পুরুষালি হয়ে গেল। ভারি আর কর্কশ হয়ে গিয়ে বলল, মেঙ্গেলে’জ হিউম্যান জেনোম ওয়ার্ল্ড ইজ ওয়েলকামিং য়্যু জেন্টেলম্যান।
তক্ষুণি পুরো জ্ঞান ফিরে পেল আশফাক। চোখ ধাঁধানো আলো আড়াল করে কে একজন ওর দিকে ঝুঁকে এসে বলল, দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ফুললি লোডেড ফর মেঙ্গেলে ম্যানজ্।
কিছুই বোঝেনি আশফাক। তবে এইটুকু বুঝেছিল, ওর নিজের উপর ওর নিজের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। ও এখন বন্দী। হাতে পায়ে বেড়ি পরানো নেই, তবুও ও বন্দী।
আলো আড়াল করে থাকা দীর্ঘদেহী লোকটি আঙ্গুলের ইশারায় কিছু একটা করল আর তীব্র আলো কমে গিয়ে ঠিক জোৎস্না রাতের মায়াবি আলোর পরিবেশ তৈরি হ’ল। অন্য সময় হলে কবিতা লেখা বা পড়া নিয়ে কিছু ভাবা যেত। এখন কোন্ আক্কেলে ওসব নিয়ে ভাববে, তা-ই ভাবছিল আশফাক। ওর সামনে এসে চেয়ার টেনে বসল আরো দুইজন লোক। আশফাক দারুন বিস্ময় নিয়ে দেখল, এই দুইজন ঐ যে দাঁড়ানো দীর্ঘদেহী লোকটির হুবহু কপি। রোবট নাকি?
হু আর য়্যু?
মাই নেইম ইজ জোসেফ মেঙ্গেল।
হু আর য়্যু?
মাই নেইম ইজ জোসেফ মেঙ্গেল।
হু আর য়্যু????
মাই নেইম ইজ জোসেফ মেঙ্গেল।
আশফাক হা করে তাকিয়ে ছিল, কেননা ও কিছুই বুঝতে পারছিল না।
চেয়ার টেনে বসা দুইজন জোসেফ মেঙ্গেলে আশফাকের দিকে ঝুঁকে এল। গলা নামিয়ে বলল, একসাথেই বলল, উই অল আর জোসেফ মেঙ্গেলেজ।
কেন? এসবের কোন মানে হয়?
সবার প্রথমে দেখা জোসেফ মেঙ্গেলে আশফাককে টেনে দাঁড় করালো। নিজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বলল, দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ফুললি লোডেড ফর মেঙ্গেলে ম্যানজ্।
কেন?
জবাব পাওয়ার আগেই যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আশফাক চারপাশ থেকে ছুটে আসা নারী কণ্ঠের হাহাকার কান্নার ধ্বণির মাঝে দাঁড়িয়ে কাঁপতে লাগল। কারা কাঁদে? কী করুন সেই কান্না! লরা, সোহা, দোলা, সাবিনার মতো করে কাঁদছে কারা? লরা? সোহা? দোলা? সাবিনা? অনেকগুলো লরা? অনেকগুলো সোহা? অনেকগুলো দোলা? অনেকগুলো সাবিনা?
আশফাক আবারো জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ধপাস করে গড়িয়ে পড়তে বাধ্য হ’ল।
আবার যখন জ্ঞান ফিরল, তখন ও নিজেকে একটি ল্যাবরেটরিতে খুঁজে পেল। কোথাও কেউ নেই। চারপাশে কেবলি যন্ত্রপাতির বহর আর চার দিকে সার বেঁধে সাজানো কাঁচের বোতল আর সেই সব বোতলে মানবভ্রুন। অসংখ্য। হলোগ্রাফিক মনিটরে নেচে বেড়াচ্ছে ডাটা-উপাত্ত-গ্রাফিক্স-ডায়াগ্রাম ইত্যাদি। এক পাশে ট্রেতে খাবার রাখা।
আশফাক কদ্দিন হ’ল খায়নি?
গোগ্রাসে খাবে বলেই ট্রে-র উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বেচারা। কি খাচ্ছে, কেন খাচ্ছে তা ওর মাথায় রইল না। পেট ভরে আসার পর মাথাটা সুস্থির হতে শুরু করল। আস্তে আস্তে চারপাশের সব কিছু ওকে জানান দিতে লাগল, ওকে নিয়ে হচ্ছেটা কি এসব? উত্তর জানা আরো সহজ হয়ে গেল, যখন মনিটরে একজন জোসেফ মেঙ্গেল এসে ওকে গুড এভনিং জানাল। বলল, মেঙ্গেলে’জ হিউম্যান জেনোম ওয়ার্ল্ড ইজ ওয়েলকামিং য়্যু!
কানাঘুষা শুনেছিল, গোপনে মাফিয়া ডনদের মতো করে নানা রকমের হিউম্যান জেনোম প্রজেক্ট, হিউম্যান ক্লোনিং আর স্টেম সেল তৈরির অনৈতিক কারখানা খুলে বসেছে মেডিকেল বিজনেসম্যানরা। আশফাক নিজে এরকম এক মাফিয়ার খপ্পরে পড়েছে, বুঝতে পারল। নইলে, দিব্যি মনে আছে, কাজ শেষে মেট্রো রেলে করে ও সাবওয়েতে নেমেছিল, একটা বার্গার খেয়েছিল, তারপর…আর কিছু মনে নেই।
মানবভ্রুন বলতে যা দেখছ, তা আসলে মানুষ আর শিম্পাঞ্জির ইন্টারব্রিড। ইয়েস, জেন্টেলম্যান।
জোসেফ মেঙ্গেল এটুকু বলে আশফাকের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করতে চাইল। আশফাক ওসবের ধারে কাছে না গিয়ে জানতে চাইল, আমার মতো ছোটখাট একজন রিসার্চারকে কেন ধরে এনেছ তোমরা? ভুল করছ না তো?
তুমি ছোটখাট বটে, তবে বারুদ আছে বলে তথ্য আছে।
আশফাক দমে গেল খুব। ওর ভেতর বারুদ কেন আছে? ও কেন আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত মাখিয়ে আরামে ঘুম দেবে না? ওকে কেন এখানে কিসব করতে হবে? কি করতে হবে? মানুষ আর শিম্পাঞ্জির মধ্যে জেনেটিক মিশ্রণের নোংরামিতে হাত লাগাতে হবে?
মানুষ আর শিম্পাঞ্জি!!
এতক্ষণে আশফাককে হা হতে দেখে জোসেফ মেঙ্গেল খুব মজা পেল। বলল, আদিকালে শিম্পাঞ্জিদের মিলনেই হোমো সেপিয়েন্সের জন্ম হয়েছিল হে! শিম্পাঞ্জির প্রতি পূর্বপুরুষীয় কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা উচিত। মানুষ আর শিম্পাঞ্জির জেনোম পরীক্ষা করে দেখা গেছে, কম করে হলেও ৬৩ লাখ বছর থেকে ৫৪ লাখ বছর আগে মানুষ আর শিম্পাঞ্জির পথ দু’টি দিকে গেছে বেঁকে। জীবাশ্ম রেকর্ডে গ্যাপ আছে যদিও। কী আর করা!
আশফাক রাগের সাথে বলে, এসব জেনে আমি কি করব? আমি তো সিম্পলি বোন ম্যারো থেকে স্টেম সেল উৎপন্ন করে তা থেকে নানা কোষ-কলা তৈরি করার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছিলাম।
জোসেফ মেঙ্গেলে স্থির চোখে আশফাকের দিকে তাকালে ওর রক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়। এই লোকটা খুব নিষ্ঠুর, কেন যেন সেরকমই মনে হচ্ছে।
জোসেফ মেঙ্গেলে নিষ্ঠুর, তবে এই প্রজেক্ট-এর সর্বাধিনায়ক জোসেফ মেঙ্গেলেরা নয়, এটা বুঝতে আরো কিছুদিন লেগেছিল আশফাকের। কে সেই মূল হোতা, তা টের পাওয়া ওর সাধ্যে কুলায়নি। ওর মতো আরো অনেক বিজ্ঞানী-গবেষক ওর মতোই বাধ্য হয়ে যুক্ত হয়েছে, যারা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলত। দূর থেকে ভেসে আসা নারী কণ্ঠের সম্মিলিত আর্তনাদ ওদেরকে অস্থির করে তুলত হঠাৎ হঠাৎ। নিজেরাই বলত, এই মেয়েগুলোকে আনা হয়েছে ডিম উৎপাদনের জন্য। ওদের শরীরে হরমোনের আধিক্যে ডিম উৎপাদন করা হয়, কেননা এই ডিম দরকার স্টেম সেল উৎপাদনের জন্য। স্টেম সেল থেকে মানবভ্রুন তৈরি হয়, সেই ভ্রুনগুলোর উপর চলে নানা গবেষণা। মানবভ্রুন জন্ম নেওয়ার কপাল পায় না, আটা-ময়দা-সুজির মতো ব্যবহৃত হয় কেবল।
মেয়েগুলো প্রতিবাদ করে। তখন নির্যাতিত হয়।
মেয়েগুলো আসে কোত্থেকে? কোত্থেকে না? সারা বিশ্বে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে নারী শরীরের ব্যবসা। নারী পন্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে সুশীল সমাজ মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন বটে, তবে তারা যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকেন, তখন জেগে থাকা রাতের পৃথিবীতে সবচেয়ে উপাদেয় বিনোদন বস্তুটি যে নারীদেহ, তা আর দিনের বেলায় তার মনে থাকে না। শিশু নারী থেকে শুরু করে তরুনী-মধ্যবয়স্কা পর্যন্ত পতিতাবৃত্তি তো বটেই, পাচার হয়ে গিয়ে বা না হয়ে গিয়েও, বাইরে হোক বা ঘরের নিরাপদ গন্ডিতেই হোক্, শরীর আবৃত না হোক বা হোক্, নারীর শরীরকে লোভের নখরে বলি হতেই হবে।
সাম্প্রতিক কালে এই অত্যাচার কেবল মাত্র নারীর মাংস কেন্দ্রিক নয়, নারীর গর্ভের বাণিজ্যিক ব্যবহারও শুরু হয়েছিল, তবে জঠর থেকে ডিম ছেঁচে নিয়ে নারীকে ডিম পাড়া মুরগী বানানোর পরিকল্পনা আর সবকিছুকে ছাঁপিয়ে গেল। ইতিহাসের কোন সময়েই নারীর সম্মতি কেউ চায়নি, এখনো চাইছে না। শক্তির বলয়ে নারী নেই বলে এসব নিয়ে সভ্য সমাজে প্রকাশ্যে কোন আওয়াজও নেই। শক্তিশালী নারীকূলও কিছু বলবেন না, কেননা অনেক হিসাব-নিকাশ করে কথা বলতে হয় সকলকেই।
আশফাকদের মতোই বাধ্য হয়ে কাজ করতে থাকা বিজ্ঞানীদের মাঝে কয়েকজন নারীও আছে। পাথরের মতো মুখ তাদের। নিজেদের মাঝেও কথা বলে না। যেন বলে আর কিছু হবে না বলেই ধরে নিয়েছে। এদের একজনের মাথাভর্তি কাল ঝলমলে চুল দেখে কেবলি লরার কথা মনে পড়ে যায় আশফাকের। কত দিন লরার সাথে কথা হয় না! লরা কি ওকে নিয়ে ভাবনা করছে না? নিশ্চয় করছে। আশফাক এক বিকেলে লরা ওর জন্য ভাবনা করছে ভাবতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। সেই প্রথম সেই কয় নারী ওর দিকে কোমল চোখ নিয়ে তাকিয়েছিল। কাল ঝলমলে চুলের মেয়েটি ওর দিকে এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বলেছিল, দোন্ত ক্রাই। দে উইল কিল য়্যু!
মেয়েটির সাথে আস্তে আস্তে সখ্য হ’ল। ওর নাম আয়নারা রাস্তে।
আয়নারা তেঁতো হাসি হেসে বলেছিল, এক্স ক্রোমোজোম মানেই সম্ভাবনা। নতুন প্রাণ। নতুন প্রাণী। নতুন পৃথিবী। আবার এক্স ক্রোমোজোম মানেই ঝামেলা। অন্ততঃ এক্স ক্রোমোজোমওয়ালাদের জন্য তো ঝামেলা। প্রাণধারণের জন্য ব্যবহৃত হ’ল চিরকাল। নিজে আর প্রাণী হিসেবে সম্মান পেল না।
সেই প্রাচীন কালে মানুষ আর শিম্পাঞ্জির এক্স ক্রোমোজোম নাকি অনেকটাই এক রকমের ছিল। আদি এক্স ক্রোমোজোমকে ক্সফে নারী লিঙ্গনির্ধারণকারী ক্রোমোজোম বললেই চলত। এক্স ক্রোমোজোম পৃথিবীতে এসেছে পরে। গড়পড়তা অন্য ক্রোমোজোমের থেকে ১২ লাখ বছর পরে এক্স যাত্রা শুরু করেছে, এ তো সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল।
এর মানে খুব সোজা। আয়নারার তিক্ততা আরো বেড়ে যায়।
৬৩ লাভ বছর আগে ঘুরে ফিরে বেড়ানো মানুষের পূর্বপুরুষ প্রাচীন শিম্পাঞ্জির সাথেই ঘরসংসার করত। এদের মিলনে জন্ম নিয়েছিল হাইব্রিড প্রাইমেট। মানুষ আর শিম্পাঞ্জির মাঝে এক্স-এর ভিন্নতার মাত্রা এত কম কেন, এর উত্তর বোধহয় ওটাই।
এই বুদ্ধি থেকেই মানুষ আর শিম্পাঞ্জির মধ্যে আবারো মিলন ঘটানোর চেষ্টা শুরু হ’ল? এই চেষ্টা কি সফল হবে? হাইব্রিড প্রজাতির বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়াতে ঝামেলা লেগেই থাকবে।
আয়নারা আশফাকের দিকে তাকিয়ে বলল, মানুষ নামের হাইব্রিড প্রজাতির মাঝেও কি ঝামেলা কম? মানুষ এমনিতেই যদি মানুষ আর শিম্পাঞ্জির হাইব্রিড হয়, তবে আবারো হাইব্রিডকরণ কি বিপদ ডেকে আনবে কে জানে?
কে জানে!
ঝামেলাটা ঘটবে এক্স ক্রোমোজোমের ভিন্নতায়, দেখে নিও এভাবেই ঘটবে। এক প্রজাতি থেকে একটা এক্স, আরেকটা থেকে আরেকটা এক্স পেলে যে শক্তিশালী নির্বাচনের মাধ্যমে ভাল কম্বিনেশন ঘটে হাইব্রিড জন্ম নিতে পারবে। এক্স ক্রোমোজোম প্রতিষ্ঠিত হবে এভাবে, সবার তখন একই এক্স থাকবে।
এই ঘটনাটাই তো ঘটেছিল আদিকালে। হাইব্রিড প্রাইমেট হতে হতে, ক্রোমোজোম একের পর এক ছাঁকনিতে ছাঁকতে ছাঁকতে হয়তো ৫৩ লাখ বছর আগে হোমো সেপিয়েন্স-এর জেনেটিক কোড দাঁড়িয়ে যায়।
তাই যদি হয়, সেই আদি এক্স সুনির্দিষ্ট হয়ে গেল হোমো সেপিয়েন্সের জন্য, যা এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির ভিন্নতাও সৃষ্টি করল। শিম্পাঞ্জিকেও মানুষ হতে দিল না মানুষের ভিন্ন হয়ে যাওয়া এক্স। কিন্তু আর কোন কিছু ঘটিয়েছে কি না এক্স, তা তো পুরোটা জানা হয়নি আমাদের।
এক্স আরো কিছু ঘটিয়েছে, এর কিছু কিছু আমরা জেনেছি আয়নারা। নারী-পুরুষের ভিন্নতা কি এক্স-এরই সৃষ্টি নয়? এক্স-এর কারণেই পুরুষের চেয়ে নারীর শরীরে অনেক বেশি জিন-এর সমাহার, পুরুষের চেয়ে নারীর শরীরে বেশি প্রোটিনের উপস্থিতি লিঙ্গ বৈষম্য সৃষ্টি যেমন করছে, স্বাভাবিক জীবনযাপন-রোগ সৃষ্টির কারণও ঘটাচ্ছে।
আয়নারা বিড়বিড় করে বলে, পুরুষের মাত্র একটা এক্স। নারীর সেখানে দু’টো!
আশফাক মনে করিয়ে দেয়, নারীতে নারীতে ভিন্নতাও ঘটিয়েছে এক্স। তাই সব নারী এক নয়।
আয়নারাও বলে, পুরুষে পুরুষে ভিন্নতাও ঘটিয়েছে এক্স। তাই সব পুরুষ এক নয়।
আসলে ওরা বলতে চেয়েছিল, সব নারী এক রকমের নয়। সব পুরুষও এক রকমের হয়নি।

Series Navigation<< ধারাবাহিক উপন্যাস।। এক্স-পেরিমেন্ট।। নাসরীন মুস্তাফা।। পর্ব বারোধারাবাহিক উপন্যাস।। এক্স-পেরিমেন্ট।। নাসরীন মুস্তাফা।। পর্ব চৌদ্দ >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *