কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। পনেরো পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। প্রথম পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। দ্বিতীয় পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। তৃতীয় পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। চতুর্থ পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। পঞ্চম পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। ষষ্ঠ পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। সপ্তম পর্ব ।।
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। অষ্টম পর্ব
- কিশোর উপন্যাস ।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা ।। শামস সাইদ ।। নবম পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। দশ পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। এগারো পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। বারো পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। তেরো পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। চৌদ্দ পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। পনেরো পর্ব
- কিশোর উপন্যাস।। কিডন্যাপ হলো চার গোয়েন্দা।। শামস সাইদ।। শেষ পর্ব
১৫
গাড়িটা এসে থামল জনমানবশূন্য একটা পাহাড়ের গা ঘেঁষে। পাহাড়ের শরীর জুড়ে চা বাগান। তারপরই লাউয়াছড়া বন। সামনে আরও পথ আছে। সে পথে যাবে না। এখান থেকে ঢুকে পড়বে বনে। অন্ধকার গুহায় নিয়ে ফেলবে ওদের। যেখানে কোনোদিন আলো পৌঁছেনি। মানুষের দৃষ্টি পৌঁছানোর প্রশ্নই আসে না। তারপর শুরু হবে খেলা। গাট্টামতো লোকটা বলল, গাড়ি থেকে নামা ওদের। লম্বামতো লোকটা টেনে নামাল। দাঁড় করাল পাহাড়ের আড়ালে। টাইট করে আবার বাঁধল চোখ। গাড়িটা তার আগেই চলে গেছে। অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে বলছে ওরা। কেউ পিছু নিলেও তাদের গন্তব্য খুঁজে পাবে না। কিছুক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে রইল। এরপর পাহাড়ের পেছন দিয়ে ঢুকল চা বাগানে। মাথা নুইয়ে নিজেদের ছোট করে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। টেনে নিচ্ছে ওদের। আটকে যাচ্ছে চা গাছের সাথে। সামি পড়ে গেল মুখ থুবড়ে। লম্বা লোকটা হাত ধরে অনেকখানি টেনে নিয়ে গেল। তারপর দাঁড় করাল। আবার হাঁটতে শুরু করল। পেছন থেকে অয়নের গলায় ধাক্কা মারল গাট্টা লোকটা। হাঁট। খানিক সামনে গিয়ে বসে পড়ল অয়ন। হাঁটতে পারছে না। তার পায়ে ব্যথা। লম্বা লোকটা এসে অয়নের গালে থাপ্পড় মারল। আবার হাঁটা শুরু করল। বেশ খানিক হেঁটে চা বাগানের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়াল। চা বাগানের পরে ছড়ি। যা নেমে এসেছে পাহাড়ের হৃদয় ছিঁড়ে। ছুটে যাচ্ছে হাত খানেক গভীর স্বচ্ছ জল নিয়ে। তির তির করে নড়ছে জল। ওপারে লাউয়াছড়া বন। অন্ধকার। পথ নেই হাঁটার। মানুষের পা পড়েনি হয়তো বহুকাল। তার ভেতর দিয়ে মাইল চারেক ভেতরে যেতে হবে।
গাট্টামতো লোকটা বলল, রশি দিয়ে ওদের হাত বাঁধ। এক রশিতে বাঁধলে টেনে নিতে সুবিধা হবে। বনের ভেতর হাঁটা যাবে না। লম্বা লোকটা ব্যাগ থেকে রশি বের করল। প্রথমেই বাঁধল অয়নের হাত। তারপর নিলয়, আবির ও সামিকে। রশি ধরে টানতে শুরু করল এরপর। গাট্টামতো লোকটা হাঁটছে পেছনে। নামাল ছড়ির ভেতর। অয়ন ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছিল। সামলে নিল নিজেকে। পেঁচিয়ে পড়ল নিলয়। ভিজে গেছে সে। সামি পড়ল নিলয়ের পিঠের ওপর। গাট্টামতো লোকটা ধরে তুলল। কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কিছু বুঝতে পারছে না অয়ন। সে হাঁটছে সবার সামনে। অন্ধ মানুষের মতো। এটুকু বুঝতে পারছে পথটা দুর্গম। হাঁটা সহজ না। কোনো জলাশয় পেরিয়ে যাচ্ছে তারা। লম্বা লোকটা টেনে কূলে তুলল অয়নকে। রশিতে টান পড়ল। পড়ে গেল আবির। হাত বাড়িয়ে তীর খুঁজছে। পাচ্ছে না। কাদাজলে মেখে গেছে তার শরীর। ওপরে দাঁড়িয়ে দড়ি ধরে টান দিল লম্বা লোকটা। উঠে দাঁড়াল আবির। তাকে টেনে তুলল। এরপর তুলে নিল সামি ও নিলয়কে। সামি শুয়ে পড়ল মাটিতে। গাট্টামতো লোকটা পাশে দাঁড়াল। তেজ কোথায় গেল? মরে গেছিস নাকি? একটা লাথি মারল। ওঠ। শুতে হবে না। শোয়াব তোদের। উঠে বসতে পারবি না। শুয়ে থাকবি সারা জীবন।
অয়ন বলল, বেঁধেই তো নিচ্ছ। চোখ খুলে দাও। এভাবে হাঁটতে পারছি না। হা হা করে হেসে উঠল গাট্টামতো লোকটা। চোখ খুলে দেব। অন্ধ করে দেব তোদের। আলো দেখবি না। অন্ধ গোয়েন্দা। ভালোই লাগবে। বাজারে ভিক্ষা করবি। ফুটো থালা নিয়ে। গান জানিস? একজন গান ধরবি। বাকি তিনজন তাতে সুর মিলিয়ে ভিক্ষা চাবি। চার খয়রাতির মিলন হবে তিন রাস্তার মাথায়। সন্ধ্যায় রেজা স্যার এসে পয়সা গুনবেন। খারাপ হবে না। নতুন ব্যবসা। এটা জমবে। তেতে উঠল অয়নের মেজাজ। কিছু একটা বলতে চাইল। আবার বলল না। লাভ হবে না বলে। সময় মতো বলবে। কারা ভিক্ষা করে দেখাবে। সেই সময়ের অপেক্ষা করছে। রেজা স্যার আসবেন, এটা শিওর। তাদের মেসেজ পৌঁছে গেছে স্যারের কাছে। তখন হবে খেলা।
আবার হাঁটতে শুরু করল চার গোয়েন্দা। চারিদিকে হালকা অন্ধকার। জঙ্গলের মাঝে নেই চলার পথ। লাপতাপতা আর আগাছায় জড়ানো সবটাই। সেসব ছিঁড়ে সরু পথ তৈরি করে এগিয়ে যাচ্ছে তারা । পায়ে জুতা আছে। তার ভেতরে পানি। কাপড় ভেজা। অসহ্য লাগছে। ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অল্পক্ষণ দাঁড়াল। আবার টানতে শুরু করল ওরা। বনের অনেকটা ভেতরে চলে এসেছে। আলোকরশ্মিকে আটকে দিয়েছে গাছপালা। ভুতুড়ে অন্ধকার নেমেছে। কোথাও শব্দ নেই। কিছুক্ষণ হাঁটার পরে সেই নীরবতা ভাঙল। গাছের মগডালে কিছু একটা লাফাচ্ছে। হয়তো ছুটছে এক গাছ থেকে অন্য গাছে। নড়ে উঠছে গাছের পাতা। শুনতে পাচ্ছে অয়ন। দেখতে পারছে না। বানর না হয় হনুমান হবে। তাহলে গভীর জঙ্গলে নিয়ে এসেছে তাদের। খানিক পরেই লাফালাফির শব্দ বেড়ে গেল। কয়েকটা বানর ডেকে উঠল। ওরা টেনে নিয়ে যাচ্ছে জোরে। খানিক হেঁটে আবার দাঁড়াল। হয়তো কিছু ভাবছে।
নাহয় পথ ঠিক করছে। এ পথ পাল্টে অন্য পথে যাবে। কিছুক্ষণ পরে আবার হাঁটতে শুরু করল। সামনে দিয়ে কিছু একটা ছুটে গেল। একজন বলল খাটাস। দেখেছিস কত বড়। ওদের ছেড়ে দিলে খেয়ে ফেলবে। একটা বনমোরগ ডেকে উঠল। পাখা ঝাপটে উড়ে গিয়ে পড়ল অন্য গাছে। আবার হাঁটতে শুরু করল। কয়েক পা হাঁটার পরেই একটা বানর লাফিয়ে এসে পড়ল অয়নের গায়ে। অয়ন চিৎকার করে উঠল। অনেক জোরে। সামনে থাকা লম্বা লোকটা ভয় পেয়ে গেল। ঘুরে এসে চেপে ধরল অয়নের মুখ। বানরটা লাফ দিয়ে আবার চলে গেল দূরে। তাকিয়ে রইল ক্ষিপ্রদৃষ্টিতে। ছুটে এসে আক্রমণ করতে চায়। পেছনে থাকা গাট্টামতো লোকটা তাড়িয়ে দিল। যা যা। বানরটা চলে গেল। আবার শুরু হলো হাঁটা। ঘন বনের সরুপথ পেরিয়ে একটা পাহাড়ের পাশে এসে থামল। জীবজন্তুর হুঙ্কার, ঝিঁঝি পোকার ডাকে কান ঝালাপালা হওয়ার উপক্রম। ভালো লাগছে সামির। বুঝতে পারল এটা লাউয়াছড়া। বাবার কাছে গল্প শুনেছে। তাকে নিয়ে আসতে চেয়েছিল। তারা আজ এসেছে সেই বনে। কিন্তু দেখতে পারছে না। একবার চেষ্টা করেছিল চোখ থেকে কালো কাপড়টা সরিয়ে ফেলতে। তা পারেনি। ওরা শক্ত করে বেঁধেছে। পাহাড়ের পাশ দিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করল দক্ষিণ দিকে। খানিক হেঁটে একটা ছড়ি পড়ল সামনে। যেটা বনের বুক চিরে বয়ে গেছে অন্য কোনো জলাশয় বা নদীতে। এটায় অল্প পানি। বেশ ঘোলা। এটার ওপার যেতে হবে। এটাকে এড়িয়ে অন্য পাশ দিয়ে যেতে পারত। কিন্তু ওদিকটায় মানুষ থাকতে পারে। সেই ভয়ে এদিকে এসেছে ওরা। তখনই শো শো শব্দ হলো।
খানিক দূরে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একটা সাপ। লম্বা লোকটা সরে এলো পেছনে। অয়নদেরও টেনে পেছনে আনল। এরপর চেষ্টা করল সাপটাকে তাড়াতে। সাপটা নড়ছে না। তেড়ে আসতে চায়। একটু পেছনে সরে অন্যদিকে হাঁটল। লতায় পেঁচিয়ে পড়ল আবির। বসে পড়ল সে। একটা বেজি দৌড়ে গেল। এখানেও কিছুক্ষণ দাঁড়াতে হলো। লতা ছাড়িয়ে আবিরকে তুলল গাট্টামতো লোকটা। আবার হাঁটতে শুরু করল। বেশ কিছুক্ষণ হাঁটল। তারপর একটা জায়গায় দাঁড়াল। এখান থেকে ছড়ির ওপার যাবে। পারটা অনেক খাড়া। কিছু নেই ধরে ওঠার মতো। মিশে গেছে পাহাড়ের পিঠের সাথে। লতা আর বুনো গাছে ঝোপ হয়ে আছে। ওর ভেতর সাপ থাকতে পারে। এখান থেকে যাবে না তাই। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাবল গাট্টা মতো লোকটা। বনের বুক পেরিয়ে লতাপাতা মাড়িয়ে হাঁটতে শুরু করল আবার। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে চার গোয়েন্দা। হাঁটতে পারছে না আর। ক্ষুধায় পাতলা হয়ে গেছে পেট। টিলার মতো একটা জায়গায় বসল। সিগারেট জ্বালাল ওরা। সাথে দুই বোতল পানি আছে। আবির বলল, আমাদের পানি খাওয়াও, না হয় হাঁটতে পারব না।
লম্বা লোকটা পানি দিতে চাইল না। গাট্টামতো লোকটা বলল, পানি দে। এগুলো শুয়ে পড়লে কাঁধে করে নিতে হবে। বস্তা টানতে পারবি? তার থেকে হেঁটে জায়গামতো পৌঁছাক। তখন খাবার, পানি সব বন্ধ করে দেব। কঠিন শাস্তি পাবে। পানি খেতে দিল। এবার একটু ভালো লাগছে চার গোয়েন্দার। কিছুক্ষণ পরে আবার হাঁটতে শুরু করল। ছড়ি পেরিয়ে বনের গভীরে চলে এসেছে। এই অঞ্চলে মানুষ আসে না। কয়েকটা পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে গা ঘেঁষে। বিকেল নেমে এসেছে। গাছের ফাঁকফোকর ভেদ করে সূর্যের যেটুকু আলো মাটিতে নেমেছিল তাও হারিয়ে গেছে। অন্ধকার গিলে ফেলছে বিশাল এই বন। দ্রুত পা চালাতে বলল গাট্টামতো লোকটা। সামনে থাকা লম্বা লোকটা রশি ধরে টানছে গরুর মতো। পাহাড়ের পাশ দিয়ে দুর্গম পথ পেরিয়ে চলে গেল অন্য পাশে। আবার হাঁটা শুরু করল। মিনিট কুড়ি হেঁটে একটা জায়গায় দাঁড়াল। তারপর কোথায় নিয়ে গেল কিছু বুঝতে পারছে না। এবার হাঁটছে না। বসাল। হাত পেছন করে বাঁধল কিছু একটার সাথে। পাও বাঁধল। এরপর খুলে দিল চোখ। বেঁধে দিল মুখ। কিছু দেখতে পারছে না। সব অন্ধকার। কোথাও একটু আলো নেই। অন্ধকার জমাট বেধে আছে। এতক্ষণ চোখ আটকে থাকার কারণে হতে পারে। ভাবল অয়ন। তবে এখানে সে একা! না ওরাও আছে। দেখছে না। ডাকও দিতে পারছে না। কোনো শব্দও পাচ্ছে না। খানিক পরে কিছু একটা নড়ে উঠল। বুঝতে পারল একা না। ওরাও আছে। কোথায় নিয়ে এসেছে? কবর মনে হচ্ছে।
নিশ্চয়ই পাহাড়ের সুড়ঙ্গ। এখান থেকে বের হওয়া সহজ হবে না। তবে বের হতে হবে। সাহস হারালে চলবে না। অয়নদের রেখে বের হলো কিডন্যাপাররা। সিগারেট টানল। লম্বামতো লোকটাকে দাঁড় করিয়ে গাট্টামতো লোকটা বলল, হানিফ তুই এখানে থাক। এবার লম্বা লোকটার নাম জানা গেল। মাথা নাড়ল হানিফ। ঠিক আছে, সে নড়বে না। গাট্টামতো লোকটার নাম এখনো জানা যায়নি। সে বলল, আমি বসের কাছে যাচ্ছি। তাকে খবরটা দিয়ে আসি। কিছু খাবার নিয়ে আসি তোর জন্য। ওদেরও কিছু খাওয়াতে হবে। না হয় মরে যাবে। মরে গেলে খেলা শেষ! ওদের বাঁচিয়ে রাখা বিপদ। মেরে ফেলাই ভালো। মারব। তবে এখন না। অনেক খেলা বাকি। খেলা শেষ হোক। রেজা স্যারকে আসতে হবে এখানে। আসল খেলাটা হবে তখন। তার সামনেই ওদের কঙ্কাল বানাব। আবারও বলছি, সাবধানে থাকিস। ওদের দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। পালিয়ে যেতে পারে। জায়গা থেকে একটুও নড়বি না। ওরা অদ্ভুত চালাক। প্রতি মুহূর্তে আমাদের বোকা বানাতে পারে। দেখলি না ফোন পেয়ে মুহূর্তেই খবরটা পাঠিয়ে দিল। সময় নিল না। ভাবতেও পারবি না ওরা কতটা বিপজ্জনক।
এরপর গাট্টামতো লোকটা গভীর বনের ভেতর দিয়ে হাঁটতে লাগল অন্ধকারে। গুহার মুখে দাঁড়িয়ে সিগারেটে টানছে হানিফ। গুহার ভেতর অয়নরা তখন অনেকটা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।