উপন্যাস

উপন্যাস//কালপুরুষ এখনো দাঁড়িয়ে আছে// আলমগীর রেজা চৌধুরী//পর্ব দশ

ফটোগ্রাফ এবং ডায়েরীর পাতা ব্যতীত মনিকা রীভ পার্থকে লিখেছে একটি চিঠি। কী কারণে এ দুটো ফটোগ্রাফ এবং ডায়েরীর পাতাগুলো সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে পাঠানো হলো তার মূল স্পর্শকাতর দিকগুলোর উল্লেখ রয়েছে।

জুলাই ৭.১৯৭৫
প্রিয় পার্থ ডাবলিন
ভালোবাসা।
অনেকদিন বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলাম। এখানে আসার পর ভিন্ন আবহাওয়া বাহিত রোগগুলো বাসা বেঁধেছিলো। এখন এখানকার পল-অনুপল অনুভব করার চেষ্টা করছি। এ জনমের শ্রেষ্ঠ সময় তোমাদের মাঝে কাটিয়ে এলাম। যা হৃদয়কে মহিমান্বিত করেছে। তোমাদের নিকট কৃতজ্ঞ। এ পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর, সত্য এবং পবিত্রতার স্পর্শে আলোকিত, তা সবুজাভ দেশের আলো-বাতাস গ্রহণ করার পর অনুভব করছি। মানুষ জন্মের বড় পাওয়া এখানেই লুকায়িত। তোমাকে ধন্যবাদ।
ডায়েরীর পাতাগুলো পাঠিয়েছি যাতে করে আমার অনুভূতিগুলোর অমলিন আনন্দ-বেদনায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় তোমাকে। আর ফটোগ্রাফ দুটো! মুক্তিযুদ্ধের মহান স্থপতির সঙ্গে ছবিটি আমাকে মহান করেছে। বর্তমানে ববি স্যান্ডস আমাদের সামনে এগিয়ে নেবার স্বপ্নপুরুষ।
ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে আমার কিছুই লেখা হবে না। জীবনের অনেক সত্য প্রকাশ না করাই ভালো। পিতৃপুরুষের ভ‚মির মুক্তির জন্য, প্রতিটি মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত। জর্জকে তোমার কথা বলেছি। ও সাংবাদিক। আমার অন্যরকম জীবন নির্মাণে সঙ্গে থাকবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আগামী বসন্তে আমরা বিয়ে করবো। মাকে মনে পড়ছে। এ রকম মমতাময়ী নারী পৃথিবীতে জন্ম নেয়! আমি এখনও বিস্ময়ে আছি।
সর্বশেষে আমার বিশ্বাসের কথা লিখি। একজন প্রকৃত যোদ্ধার মতো এক বাঙ্কার থেকে আরেক বাঙ্কারে অস্ত্র হাতে লাফিয়ে পড়েছো। দীপ্ত হাতে শত্রু নিধনে মেতে ওঠা যুবা চিরকাল সংগ্রামশীল। আগামী দিনগুলোতে তুমি নিজেকে নির্মাণ করবে। দূর আয়ারল্যান্ডের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখবো তুমি ওই তারার মধ্যে খুঁজে ফিরছো অস্তিত্বের প্রগাঢ় বিশ্বাস।
তোমাকে মনে রাখবো।
নিত্যসুভার্থী
মনিকা রীভ
ডাবলিন
জুলাই ৭.১৯৭৫
বৃষ্টি শেষ মধ্যরাত
অজান্তে চোখে জল আসে পার্থের। অনন্তপুর সেক্টরে গুলিবিদ্ধ স্থানটুকু আবারও তেতিয়ে ওঠে। ও এখন কিছুই দেখে না।
মা একবার ঘুরে গেছে এ ঘর। তন্ময়তা ভাঙেনি ওর। ঘোরলাগা স্বপ্নের মধ্যে চোখের সামনে ভেসে ওঠে মনিকা রীভের পাঠানো ডায়েরীর পাতাগুলো। লাল কালি দিয়ে তারিখ বসানো হয়েছে। সেই প্রথম যেদিন এদেশে এসেছিলো, সেদিন দিয়ে শুরু।
২৫ এপ্রিল
১৯৭২
ঢাকা
জেমস জয়েস বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ণের পর হৃদয়-চাঞ্চল্য অনুভব করেছিলাম। কেন কী কারণে এ ব্যাকুলতা তা কেবল আমার নিজস্ব। যে ভূখণ্ডের জনগণ বাঁশের লাঠি নিয়ে ট্যাংকের সামনে বুক পেতে দিতে পারে তাদের মহান আত্মত্যাগ? ভাবতেই আমার গা শিউরে উঠছে। খুব ভোরে বিমান ঢাকার মাটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, রক্তগঙ্গায় ভেসেছে যে দেশ, ঠিক আমার দেশের মতো। বাব্বা, এরা পারেও।
১৬ ডিসেম্বর
১৯৭৩
ইস্কাটন
শীতের মধ্যাহ্ন
একটু পরেই সূর্য ঢলে পড়তে থাকবে পশ্চিমে। আমাদের সতের জন বিদেশী সেবিকার বাসস্থান স্বরূপ যে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে তাতে আমার সঙ্গী জুটেছে নিউজিল্যান্ডের জুডি এল। যুগোশ্লোভিয়ার নাদিমাভ। দু’জনই ভারী চমৎকার মেয়ে। বিশেষ করে জুডি এল। গত দিনগুলোতে আমরা পরস্পরকে আবিষ্কার করতে পেরেছি। ও আমার মতো দুঃখী। সদাহাস্য জুডির সঙ্গে কথা বলে ধারণা করার উপায় নেই, ওর দুঃখী মনের অস্তিত্ব। পার্থ বলে, ‘কানাই মাস্টার।’ ওর দেশের টোটেম চরিত্র। জুডি অদ্ভুত করে হাসে।
আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে মানুষের কল্যাণের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা। পারিবারিক ক্রাইসিস অনেকটা আমাদের মতো। তবে আইরিশদের জাতীয়তা কিংবদন্তী তুল্য। আর পার্থ। অবাক। এ রকম জীবন হয়! এত সারল্য! যে কেবল মা’র মুখের দিকে তাকালে পৃথিবীর ছায়া দেখে। মাতৃভ‚মির স্বাধীনতার প্রতি সীমাহীন আত্মত্যাগ তাকে মহাকালের ঠিকানায় স্থান করে দিয়েছে। পার্থ মানুষ নিয়ে ভাবে। বিশ্বাস করে, পৃথিবী দুই গোত্রে বিভক্ত। এক. শোষক, দুই. শোষিত। ও শোষিতের দলে। আমার এবং জুডির মতোন।
হাসপাতালের বেডে হাড় জিরজিরে তরুণ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে কেন বার বার মনে হয়েছে, কী দুরন্ত সাহস! এখানে মৃত্যু পরাজিত।
আর লাভ! এ ক্ষেত্রে ওরা প্লাটনিকদের দলে। অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে কৌমার্যের পরিচয় দিতে হয়। স্বামীকে মনে করে ঈশ্বর।
একবার ভিয়েনায় এক পোলিশ যুবক প্রথম পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার ঠোঁটে প্রগাঢ় চুম্বন এঁকে দিলে, আড়ষ্ট না হয়ে তাকে বললাম, ‘তুমি কেন তোমার বিষাক্ত লালার সঙ্গে ভালোবাসা জানালে। জীবাণুময় পৃথিবীতে তুমি মুক্ত, তা কি আমাকে বিশ্বাস রাখতে হবে?’
ও অবাক হয়েছিল। ওর পরবর্তী আচরণে সম্ভ্রমের ছোঁয়া ছিল। আমাকে মুগ্ধ করেছে। এরিকের কথা মনে পড়ছে। জিদ্দি তরুণ!
১৭ জুলাই, ১৯৭৪ ,কক্সবাজার
সকাল বেলা
বাংলাদেশে এখন বর্ষাকাল। শেষ রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে। সমুদ্র শহর কক্সবাজারে আমরা যারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে এসেছি তাদের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরযোদ্ধা বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, ব্রিটিশ সিনেটর জন স্টোন হাউজ। যিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সারা পৃথিবী জুড়ে জনমত গঠনে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে খ্যাতিমান। এছাড়া ভারতের প্রখ্যাত বাম লেখিকা মহাস্বেতা দেবীসহ আরো দেশীয় এবং বিদেশী প্রতিনিধিরা। আর আমাদের চিকিৎসক প্রতিনিধি হিসেবে ডা. গাস্ট মিশনে আমরাও আছি।
মানুষের জীবনে এ রকম মুহূর্ত আসে যখন সবকিছু ধোঁয়াশা। বোধের বেলকনিতে উঁকিঝুঁকি মারে, ধরা দিতে চায় না। তিনদিনের সেমিনার। সাংগঠনিক কাজের চেয়ে আন্তরিক পরিবেশ বিরাজমান। সেমিনারে ডায়াচে দাঁড়িয়ে চাঁদের মতো ফুটফুটে মুখ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে দেখে আমি কেঁপে উঠেছিলাম। আমার চে’গুয়েবারার মুখ মনে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী বীর। যে কিনা যুদ্ধ কৌশলে হার মানিয়েছে পাকবাহিনীর জাদরেল সব জেনারেলদের!
একজন তার যুবক সন্তানকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর বর্ণনা করলেন অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে। তারপর আজও সে যুবক ফিরে আসেনি। সেই বৃদ্ধের যন্ত্রণার সমিল ব্যথিত করেছে আমাকে।
সৈকত শহরের মুগ্ধতা। হোটেলকক্ষ থেকে সমুদ্র দেখা যায়। পৃথিবী দীর্ঘতম সৈকতে তিন দিন কাটাচ্ছি। সমুদ্র উত্তাল। বৃষ্টি ঝরছে। পর্যটকরা সব হোটেলবন্দি।
হোটেল লবীতে কাদের সিদ্দিকীর মুখোমুখি হলে আমি তার চোখের দিকে তাকাতে পারলাম না। অন্যদিকে তাকিয়ে বললাম, ‘আপনি বীর!’
কাদের সিদ্দিকী বললেন, ‘আমি শুধু আমার মাতৃভূমির প্রতি কর্তব্য করেছি।’
‘ধন্যবাদ।’

পার্থের কণ্ঠে টেগোরের গান শুনি, ‘আজি ঝর ঝর বাদল দিনে।’
‘পার্থ পারেও। এত প্রাণশক্তি কী করে একজন তরুণের হয়!’
সোরওয়ার্দী হাসপাতাল
১০ এপ্রিল ১৯৭৫
বসন্তের প্রথম দিন
এদেশে অহরহ কোকিলের ডাক শোনা যায়। আমিও শুনতে পাই। আমাকে হাহাকার করে তোলে। আমার যে ভাই মিছিলে পুলিশের গুলি খেয়েছে, তার মুখ মনে পড়ে। পার্থের আদল। পার্থ শ্যামবরণ, আর আলিশা, হলদেটে শাদা। দু’জনই স্বাপ্নিক।
পার্থকে ডা. গাস্টের বড্ড ভালো লেগেছিল। অনেকটা ইঙ্গিত করেই আমাদের উপর নির্দেশ ছিল একটা স্পেশাল কেস হিসেবে একজন রোগীকে বেছে নেয়া। আমরা সবাই মিলে পার্থকে বেছে নিয়েছিলাম। ডা. গাস্ট আমাদের প্রতি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। আস্তে আস্তে পার্থকে আবিষ্কার করতে গিয়ে আমি হোঁচট খেয়েছি। পার্থ যোদ্ধা। মাতৃভূমির সৈনিক।
বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশে অর্ধশিক্ষিত পঙ্গু তরুণের প্রতি মমতার স্পর্শ পেয়েছি। পার্থ অদ্ভুত প্রকৃতির। যুদ্ধক্ষত নিয়ে পার্থ আস্তে আস্তে নিজকে প্রস্তুত করছে।
পার্থের মধ্যে পৌরুষ আছে। যা যে কোনো নারীকে মোহাবিস্ট করবে। ও আমাকে করেছে। কেন পার্থের শরীর জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে, জানা নেই। আর আমারও মনে হয়েছে, এ নারীত্বে অধিকার শুধু ওর।
কিন্তু কখনও বলা হয়নি। এ জীবনেও বলা হবে না। তবে আমি যে আলো-হাওয়ায় বেড়ে উঠেছি তার সঙ্গে পার্থের পরিচয় নেই। না থাকাই ভালো। ওর সরলতায় যেন কৌটল্যের ঘুণ না ধরতে পারে।
ছলনা জানে না বলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রাণবাজি রাখতে পারে। পার্থে একদিন আমাকে গান শুনিয়েছিল, ফোক। অসাধারণ। আমাজান কুলবাসীরাও এ রকম গান গায়। সুরের সঙ্গে দুঃখ, বেদনা, প্রেম পৃথক করা যায় না। মিলে যায়। জীবন ছন্দের নদী একই রকম কুলকুল বয়ে যায়।
‘কূল নাই কিনার নাই।’
জীবনের সংজ্ঞা খুঁজে পায় না। তাই কূল-কিনারার হিসেবে বসে।
পার্থ বলে, ‘তুমি আমার কোমল প্রাণ মৌমাছি, চোখ তোমার মধুর মতো মিষ্টি।’ কবি নাজিম হিকমতকেই মেনে নিলাম। যে অযুত, নিযুতের স্বপ্ন দেখে। চে’, নাজিম, সিদ্দিকী, পার্থ, ববি স্যান্ডস-এর মতো।
আমার ধারণা ছিল, জুডি এল পার্থের প্রেমে পড়েছে। এ কারণেই জুডিকে স্বার্থপর ভাবতাম। হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করলাম, পার্থ এমনই, যে কোনো দূরত্ব থেকে ভালোবাস যায়। যেমন একদিন হেমন্তের মাঠে…। একজন। তারপর একজন। একজন নারী। একজন পুরুষ। তারপর অন্ধকার। চিরন্তন এক তৃষ্ণায় হেঁটে আসে জোছনাভ‚ক তরুণ-তরুণী। অনন্তকাল, এবং এইভাবে। পৃথিবীর পথে…।
১ জুন, ১৯৭৫ ,ইস্কাটন
মধ্যরাত
আগামীকাল সকাল দশটায় আমি ডাবলিনে ফিরে যাবো। প্রায় তিন বছর এ দেশে কাটিয়ে দিলাম। জীবনের যেটুকু খুব বেশি করে পাওয়া, তা এই সময়টুকু। বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বচক্ষে অবলোকন করা, তার অসাধারণ ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে নিজকে আবিষ্কার করা, এ জীবনকে গৌরবান্বিত করেছে। জুডি বলত, ‘বঙ্গবন্ধু।’
শ্রীলঙ্কার দাসা সিংগী বলত, ‘মুজিব ভাই।’
এসব আমরা রাস্তায় মিছিলের শ্লোগান শুনে শিখেছিলাম। নতুন কোনো মজার শব্দ শুনলেই চায়নার মিং তেং ঘটা করে সবাইকে বলে আনন্দ পেত।
প্রকৃতিগত কারণে এরা কোমল স্বভাবের। সবুজাভ দেশের মানুষ। সমুদ্রের জোয়ার ভাটার সঙ্গে রূপান্তরিত হতে থাকে। তারপরও যা থাকে তার নাম ভালোবাসা। তবে দীর্ঘসময় উপনিবেশিক শাসন এ ভ‚মির আচরণে ত্যাগের সরলতা যতটুকু, ভোগের আকাক্সক্ষাও কম নয়। সব মিলিয়ে এদের রক্তের মধ্যে মিশ্র চৈতন্য প্রবাহ বিরাজমান। শুধু সাহস ধরে রেখেছে, কিন্তু জাতীয়তাবাদী শেখ মুজিব কেনই বা মেনে নেবেন নব্য আগ্রাসন মার্কিনী ষড়যন্ত্র।
ফিদেল ঠিক বলেছেন, ‘ওরা কোনও বন্ধু হয় না। বাড়ানো হাতে বিষ মাখানো থাকে। সাবধান।’
বাংলাদেশে আসার পর ভাষা ওরিয়েন্টেশন কোর্স করতে হয়েছে। আক্ষরিক অর্থে একটি ভাষাকে যেভাবে শেখা দরকার ওই রকম ভাবেই শুরু, কিন্তু আমার সহকর্মীরা কাজ চালানোর মতো বাংলা শিখলেও, আমি এদের চেয়ে একঘাট্টা বেশি। এক বছরের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করে ফেললাম। পরিচয় হয় ড. ক্লিন বুথ সিলির সঙ্গে। যিনি জীবনানন্দের উপর গবেষণা করছেন। অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস শেখাতেন, ‘আমার বধূয়া আন-বাড়ি যায় আমারি আঙ্গিনা দিয়া, সখি কেমনে ধরিগো হিয়া।’ আর পার্থের মা’র কাছে শিখলাম আঞ্চলিক ভাষার রসজ্ঞ শব্দ। পার্থের মধ্যে আবিষ্কার করি, শ্যাম পিরিতির বিরহ।
বাংলাদেশের অনেক পরিবার ভালো বাংলায় কথা বলে না। অন্তত ওদের চেয়ে বাংলাটা আমি ভালোই শিখেছি। যে জাতি ভাষার জন্য রক্ত দিতে পারে, সেই ভাষার মধুরিমাটুকু গ্রহণ করতে চেয়েছি।
ম্যাম-এর চেয়ে মা’র গভীরতায় ডুবে যাওয়া যায়। যাপিত জীবনে এই সময়টুকু মনে রাখবো। পার্থ বিদায়।
বাংলাদেশ বিদায়।
বিদায় উদার শ্যাম-ভূমি।

Series Navigation<< উপন্যাস//কালপুরুষ এখনো দাঁড়িয়ে আছে//আলমগীর রেজা চৌধুরী//পর্ব নয়উপন্যাস// কালপুরুষ এখনো দাঁড়িয়ে আছে// আলমগীর রেজা চৌধুরী // পর্ব এগারো >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *