ছোটগল্প

শহীদুল্লা গত দু’দিন ধরে ভাবছে। কে ওকে অভিশাপ দিল? কে?অভিশাপ কুড়ানোর মত কোন কাজটা সে করেছে গত আটাশ বছরে? কাজের

ঘরের বারন্দায় ছোট ছেলেমেয়েদের খেজুর পাতার মাদুর পেতে ঘুমিয়ে রাখতে নেই। শেয়াল মুরগি ধরার মতো ওতপেতে থাকে। তারপর কামড় দিয়ে

গ্রামের নাম বরকতপুর।  একশ পাঁচটি ঘরের একটি গ্রাম। বারোটি বংশে বসবাস হাজার মানুষের। কারো টিনের ঘর। কারো বা আধা পাকা।

দু’জনের সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটেছিল ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারের সুবাধে। মাসছয়েক যা ওখানেই ছিল সীমিত। রাতদুপুরে টুকটাক চ্যাটিং চলতো। কখনো-কখনো চ্যাটিংয়ে তারা অতি আবেগতাড়িত

সুমিতা দেবী পুত্রবধূ নন্দিনীর কাঁধে আলতো হাত ছুঁয়ে, কিছুটা অনুরোধের সুরেই বললেন,‘যাও মা পরনের শাড়ি ছেড়ে পরিষ্কার গরদ খানা পরে

রেজার সাহেবের বয়স ৭৫ বছর। তিনি অবিবাহিত। নিজে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বিয়ে করেননি এমন নয়, বিয়ে করার সময় ছিল না। রেজা

সারাদিন ছুটা বুয়ার কাজ করি। সন্ধ্যায় ক্লেনান্ত শইলডা লইয়া বাসায় ঢুকি। বাসা না কইয়া দিন গুজরাণের একটা আস্তানা কওয়াই ঠিক।

বিশ্বাস মানুষকে অনেক কিছু দেয়। চাদ মোল্লা কথাটা হৃদয়ের গভীর থেকে বিশ্বাস করে। তার এই কথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ

আচানক কারবার। সামান্য এক চড়েই চেয়ার সমেত উল্টে পড়ে গেল মস্তান ছেলেটি। যার ভয়ে মহল্লা শুদ্ধ মানুষ থরোবড়ি কম্পে কম্পিত