উপন্যাস

উপন্যাস।। বৈরী ছায়ার খেলা।। রফিকুর রশীদ।। শেষ পর্ব

একুশ.

কারামুক্তির পর আবার নতুন করে জীবন শুরু করবে কী, ওই একটি যতিচিহ্ন স্পর্শ করার কারণে শওকত আলীর জীবনধারাই যেন সহসা থম্কে দাঁড়িয়ে পড়ে। পতাকা তোলার সময় রশিতে হঠাৎ গিট্; পড়লে পতাকা যেমন মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়ে, অনেকটা সেইরকম। এ কে এখন অর্ধনমিত নাকি অর্ধত্থিতি দশা বলবে সে? মওকতআলীর মনে হয়, নিজের অলক্ষ্যেই সে কিশোর বেলার বেগনো খেলায় শামিল হয়েছে যেনবা। তারই ছেলে স্বপন এ খেলায় প্রতিপক্ষ। প্রথম দান খেলেছে সে নিজে। পরের দান স্বপনের। সদ্য সে দানও খেলা হয়ে গেল সফলভাবে।

এখন উভয়ের শোধবোধ। কিন্তু তারপর?

প্রথম যৌবনের আনন্দস্মৃতি হলেও স্বপনের কার্যকলাপে বরাবরই বিব্রত এবং বিরক্ত হয়েছে শওকত আলী। কিন্তু সেই ছেলেই যে কখনো দুঃসময়ে এরকম বাপের কাজ করবে, জানবাজি রেখে ওই নোংরা পাঁক থেকে উদ্ধার করে আনবে!

এ কথা কোনোদিন সে ভাবতেই পারেনি। হ্যাঁ, সে জেলখানায় গিয়ে তড়পে এসেছে বটে মন্ত্রীরা তো ভিনগ্রহ থেকে আসেনি, আমাদের নিয়েই চলতে হবে তাদের, আমাদের দাবিও মানতে হবে বই কী! দাবি মানা তো পরের কথা, আদৌ কোনো মন্ত্রীর লেজ পর্যন্ত পৌঁছুতে পারবে স্বপন, এটাই ছিল মওকত আলীর ধারণার বাইরে। অথচ যে মূল্যেই হোক, বাপকে হাজতের অন্ধকার থেকে সে বাইরের আলোয় ঠিকই নিয়ে এসেছে। এত কিছু করার পর বাড়ি এসে সে তো একটুখানি তিরস্কার করতেই পারে!

গিটে আট্কে যাওয়া অর্ধোত্থিত জীবনে রাজনীতি করবে কী, শওকত আলী কোনো কিছুতেই উদ্যম পায় না। এই পুত্রের উপরে আশা ভরসা না থাকলেও একমাত্র কন্যা ডিনা ছিল তার মানসিক নির্ভরতার অবলম্বন। বাড়ি এসে নাগাদ সেই ডিনাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে বুকের ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। কীর্তিমান পুত্রের কণ্ঠে অভিভাবকত্বের তড়পানি শোনার পর জননীপ্রতিম কন্যার কাছে একটু আশ্রয় খোঁজে তার মন। তাকে জড়িয়ে ধরে এত যে আকুলি বিকুলি অশ্রুপাত করে তার স্ত্রী, তবু কী এক অব্যাখ্যেয় কারণে এই মহিলাকেও ভয়ানক দূরের মানুষ মনে হয়। সে অস্ফূট কণ্ঠে ডিনাকেই ডেকে ওঠে,
ডিনা।
কাছেই, তবু যেনবা বহুদূর থেকে ডিনার মা
জানায়! ডিনা নেই।
নেই! নেই মানে?
কান্নার ভাঁজ খুলে খুলে জননী তুলে ধরে বেদনাখচিত মর্মান্তিক এক চিত্র। প্রায় দিন পনের আগে থেকে ডিনা নেই। কলেজ থেকে ফেরার পথে কানা বাদল তাকে কী বলে যেন ফুঁসলিয়ে ফাঁসলিয় এক চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে বসে চা-মিষ্টিও খায়। হঠাৎ সেখানে বুলেট বাদল এলে তারা দোকান ছেড়ে চলে যায়। এসবই উড়–উড়– খবর।

মিষ্টির দোকানদার এর বেশি কিছু জানে না। কিন্তু এর মধ্যে বুলেট বাদল এলো কেন? সে তো স্বপনের প্রতিদ্বদ্বী গ্রুপের হাতিয়ার। কোনোদিন সামনে দাঁড়াবার সাহস পায়নি। তাই বলে স্বপনের বোনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে? সবচেয়ে অবাক কান্ড হচ্ছে, কানা বাদল এবং বুলেট বাদল! দু’জনের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ কদিন ধরে স্বপন অবিরাম দাব্ধড়ে বেড়াচ্ছে, স্বপন একা নয় তার দলবলের সবাই মাঠে নেমেছে, পুলিশও লাঠি ঘোরাচ্ছে গোটা রাজধানী জুড়ে; কিন্তু তড়পে বেড়াচ্ছে রাতদিন! দুই বাদলের কল্জে না উপড়ানো পর্যন্ত তার স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। কন্যার ভবিষ্যৎ ভাবনায় উৎকণ্ঠিত জননী কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাক।

পুরানো ঢাকার ভয়ঙ্কর ত্রাস বুলেট বাদলকে বেশ চিনতে পারে, কিন্তু শওকত আলীর যেন কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না।

ডিনার খবর শোনার পর শওকত আলী যেনবা বাজপড়া ঠা ঠা তালগাছ হয়ে যায়; বোধবুদ্ধিহীন জড়পিন্ড। স্ত্রী পুত্র কন্যা কাউকে যেন আর নাগালের মধ্যে পায় না শওকত আলী। সবাই চলে গেছে মুঠোর বাইরে। সবাই। ঘন কুয়াশার পর্দা ঝুলে আছে চোখের সামনে। সেই ভারি পর্দার ওপারে আছে সবাই। এপারে একা শওকত আলী, প্রায় ঈশ্বরের মত নিঃসঙ্গ। দেখেশুনে রাজনীতি করার যতই শক্ত ছবক দিক তার পুত্র, রাজনীতি নিয়ে বিশেষ কোনো আগ্রহ কখনোই ছিল না তার। সে এক গোঁয়ার্তুমিতে মত্ত হয়ে চাকরি ছাড়ার পর ব্যবসাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল। কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথে পা দেয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, সেটা খুবই সত্যি। লড়াই করতে করতে পা পিছলে গেলে আর কি ঘুরে দাঁড়ানো যায়! ঘুরে দাঁড়ায়নি, সে সামনে এগিয়েছে। টাকা রোজগার করেছে। মাত্র ১০/১২ বছরে সে যা কামাই করেছে, তা মোটেই কম কিছু নয়।

ঢাকায় বাড়ি গাড়ি, গ্রামে পৈত্রিক ভিটেয় একতলা বাড়ি! মানুষ আর কী চায়! নাহ্! টাকার পেছনে ছুটতেও আর ইচ্ছে করে না। ব্যবসা বাণিজ্য মানেই তো নতুন নতুন ঘাটে ঘাটে আবারও ফুলজলের নৈবদ্য দিযে পারানিদের তুষ্ট করা। নাহ্!
আর কেন! তাহলে এখন কী করবে সে?
সামনের জীবনটাকে কীভাবে বয়ে নিয়ে যাবে?

বাথরুমে লুঙি তোয়ারে রেখে এসে শাহানা বেগম স্বামীকে ঠেলে পাঠায় গোসল করতে। শওকত আলী নির্বিরোধী বালকের মতো বিনাবাক্যে মেনে নেয় স্ত্রীর সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাথরুমে ঢোকার পর বহুদিনের ব্যবধানে আবারও তার দর্পণ বিভ্রান্তি দেখা দেয়। দেয়ালের আয়নায় চোখ পড়তেই সে চম্কে ওঠে এ কার ছবি! দু’মাসের অযত্নে বেড়ে ওঠা গোঁফ দাড়ির জঙ্গরে হারিয়ে যাওয়া আপন চেহারা যেন কিছুতেই আর খুঁজে পায় না। মনে মনে হিসেব কষে এই জঙ্গল সাফ করে ফেললেই কি সত্যিকারের শওকত আলী বেরিয়ে আসবে? শ্মশ্রুমন্ডিত মুখে হাত বুলায়, আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেই ঘোষণা করে নাহ্! সেই শওকত কবে মরে গেছে, পচে গেছে, মাটি হয়ে গেছে। আজ তাকে আর পাবে কোথায়! কিন্তু তাই বলে এখন থেকে তাকে এই চেহারাটা বহন করে বেড়াতে হবে? কী আশ্চর্য! সে যে ভয়াবহ শাস্তি হয়ে যাবে! না, এ ভার সে বইতে পারবে না। হোক জেলজীবনের স্মৃতি, তবু এই শ্মশ্রুরাশি কেটেই ফেলবে। ফোম বা ক্রিম লাগিয়ে ব্রাশ ঘষতে গিয়ে সে টেন পায় ফেনারাশি দাড়ির গভীরে ঢুকছে না, এর উপরে রেজার চালানোও অসম্ভব প্রায়। তাহলে উপায়? উপায় যা-ই হোক, সারামুখ ফেনালিপ্ত হয়ে যাবার পর আয়নাতে তার যে প্রতিফলন ঘটে, সেও বড় কিম্ভূতদর্শন। একটু আগের অচেনা মুখটি সরে যায় বটে, কিন্তু এও কি মোটেই চেনামুখ? কোথাও দেখেছে কোনোদিন? মনে করতে পারে না। কারো উপরে রাগ দুঃখ ক্ষোভ কিছুই হয় না, তখন তার অকারণে কান্না পায়। বেসিনের ট্যাপ ছেড়ে চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিয়ে সে অশ্রুধারা ধুয়ে ফেলে। সেই সঙ্গে আয়না থেকে পূর্বের ছবিটাও মুছে যায়। জেগে ওঠে নতুন মুখ, নতুন ছবি। আগের কিম্ভূতদর্শন ছবিটি আড়াল হওয়ায় একটু যেন স্বস্তি ফিরে পায় শওকত আলী। কিন্তু তার দাড়ি কাটার কী হবে। আয়নাজুড়ে হাজার ছবির খেলা দেখলেই চলবে? হাতে রেজার নিয়ে বেশ বাগিয়ে ধরে। এদিক ওদিক উল্টিয়ে দেখে। ব্লেডের ধার পরখ করে। তারপর চালিয়ে দেয় গালে। কিন্তু দাড়ি কাটার বদলে রেজার পিছ্লে যায়। আয়নার দিকে চোখ ঠিকরে থাকতে থাকতে মাথা ধরে যায়। একবার চোখের পলক পড়লেই সেই সুযোগে আয়না থেকে ছবি পাল্টে যাচ্ছে। সে কি একটা দুটো ছবি? সেলুলয়েড ফিতের চলমান ছবির মত ভেসে আসে, চলে যায়। কিম্ভূতকিমাকার ভয়ালদর্শন সব চেহারা। কেউবা সেই বাহাত্তরের বখ্তিয়ার বাহাউদ্দিন। কখনো মনে হয় চাকরিজীবনের বস সেই আর্মির বাচ্চা আর্মি। কখনোবা ভেসে ওঠে তারই বশংবদ মনিরুজ্জামান সাহেব। এমন কী সোনার বিস্কুট গেলানো সেই পাতিমন্ত্রীও একবার উঁকি দিয়ে যায়। শওকত আলী অবাক হয়ে যায়! এ কোন্ বিভ্রমে পড়েছে সে!

নিজের বাড়িতে নিজের বাথরুমের আয়নার সামনে সে নিজে দাঁড়িয়েছে, সেখানে প্রতিফলিত হবে কেবল তারই ছবি। কিন্তু এটা কী হচ্ছে? সে যাদের দেখতে চায় না, তাদেরই চেহারা উদ্ভাসিত হয়ে চলেছে একের পর। ক্ষিপ্র হাতে ব্রাশ নিয়ে গালে ক্রিম ঘষে ফেনায়িত করে করে আগের সব চেহারা আড়াল করে দেয়। ব্রাশ ঘষতে ঘষতে সারামুখ ফেনায় ভরে গেলে শুরু হয় আবারও সেই নিষ্ঠুর লুকোচুরি খেলা। কিন্তু এবারে সবাইকে হটিয়ে উদ্ভাসিত হয় তারই জ্যেষ্ঠপুত্র আলী আহসান স্বপনের মুখ। প্রচ্ছন্ন এক গর্বমাখা হাসিও লেপ্টে আছে ওই চেহারায়। পিতাপুত্রের চেহারায় সাদৃশ্য থাকতেই পারে, কিন্তু শওকত আলীর প্রশ্ন কেন এ অধ্যায়? সে কি তবে পুত্রের সাফল্যে গর্বিত নয়! আবার নিজেকে বুঝায় আমি আয়নায় আমার ছবিটাই শুধু দেখতে চাই। কেবল আমারই। শওকত আলী রেজার খুলে ব্লেড বের করে আনে। আঙুলের ডগায় কায়দামত কষে ধরে। সে বুঝে ফেলেছে রেজার দিয়ে হবে না, খালি হাতে ব্লেড চালিয়েই কেবল এই জঙ্গুলে দাড়ি কাটা সম্ভব। শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করে শওকত আলী। শাদা ফক্ফকে ফেনামাখা গালে ব্লেড চালাতেই ফেনা সরে যায় দ্রুত, দাড়ি খুব একটা কাটা পড়ে না; কিন্তু সে প্রবলভাবে আঁৎকে ওঠে এ কোন নরমুন্ডু! এত ভয়ঙ্কর কোনো মানুষের চেহারা হতে পারে? শওকত আলী পাগলের মত ক্ষিপ্র হাতে ব্লেড চালায় নিজের গালে, ফেনা সরে যায়, আয়নাজুড়ে প্রস্ফূটিত হয় নিষ্ঠুর, জান্তব এবং বীভৎস এক দানবীয় আদল। সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে শওকত আলীর, মেরুদন্ড চিনচিন করে, দু’চোখ বিস্ফোরিত হয়। সহসা কম্পিউটার মনিটরে যেনবা মুদ্রিত হয় একটি অমোঘ বাক্য! ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে

হবে।’ পুরো আয়নাজুড়ে সাঁটা হয়ে যায় একাত্তরের অমর পোস্টার।
হত্যা করবে শওকত আলী?

আজ তার অস্ত্র কোথায়! গোলাবারুদ! সহযোদ্ধা!
কে তার
কমান্ডার!
কিছু নেই।
কেউ নেই।

তবু কি একজন মুক্তিযোদ্ধা পারে এ আহব্বান উপেক্ষা করতে? পারে?
বাইরে কে যেন ধৈর্যহীন আঙুলের চাপে কলিংবেল বাজায়।

কে এলো কে? স্বপন? আবার কোন্ রাজনৈতিক সরলপাঠের ছবক দেবে কে জানে! শওকত আলী মুক্তিযুদ্ধ করেছে বটে, রাজনীতি করতে শেখেনি। এতদিন পর স্বপনদের কাছে শিখতে হবে। গোটা জাতিকেই ওরা নতুন করে রাজনীতি শেখাবে, সে রাজনীতি বড়ই ডিফিকাল্ট। একদা দেশের দুর্দিনে দেশের হয়ে লড়াই করেছে, লড়াই শেষে দেশের মানুষের জন্যে খুব সহজ সরল রাজনীতি সে করতে পারত।

যথাসময়ে সেটুকুই যখন করেনি এখন আর নতুন করে ওই ডিফিকাল্ট রাজনীতি শিখে তার কাজ নেই। যদি জোর করে শেখাতে চায়, কী করবে সে? কী করে নিজেকে রক্ষা করবে?
এ কী! এতক্ষণে বাথরুমের দরজায় নক করছে নাকি!
এখন কী করে সে?
হঠাৎ অদৃশ্য কোথাও ঘোষিত হয় বজ্রকণ্ঠ…‘যার যা আছে তাই নিয়ে…।’
তাই নিয়ে?

শওকত আলী ডান হাতের আঙুলে ধরা ব্লেড উল্টেপাল্টে দ্যাখে, চোখের সামনে তুলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরখ করে…
‘যার যা আছে?’ আমার আছে এই ব্লেড। অতিশয় ক্ষুদ্র অস্ত্র। এতে কি চলবে যুদ্ধ?
নিজেকে নিজেই আবার উস্কে দেয়!
যুদ্ধ কি সব সময় অস্ত্রেই হয়, কৌশলে নয়? তুমি না গেরিলা যুদ্ধ করেছ, মনে নেই কিছু? কিছু মনে নেই?
আছে, আছে। মনে আছে।
শওকত আলী ব্যাকুল হয়ে নিজেকে সমর্থন করে। এদিকে সীমাহীন বিলম্ব দেখে বাথরুমের দরজায় ধাক্কাধাক্কি প্রবল হয়ে ওঠে। প্রবলতর হয়ে ওঠে। আয়নায় উদ্ভাসিত জানোয়ারের দিকে শিকারীর সূচাগ্রতায় তাকিয়ে শওকত আলী অত্যন্ত নির্বিকার ভঙ্গিতে আক্রমণের লক্ষ্যস্থলটি সনাক্ত করে নেয়। তারপর দৃঢ় হাতে নিজের গলার ডান দিকের শিরায় বসিয়ে দেয় মসৃণ ব্লেড। ফিন্কি দিয়ে বেরিয়ে আসে জানোয়ারের রক্ত। শাদা বেসিন ভরে যায় লাল রক্তে।

এই একটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় শওকত আলীর মুখে হাসি ফুটে ওঠে, বিজয়ীর হাসি। প্রবল ধাক্কাধাক্কিতে দরজা ভেঙে বাথরুমে ঢুকে সবাই দেখতে পায় শওকত আলীর রক্তহীন দেহ পুবের দেয়ালে হেলান দিয়ে খুব ধীরে ধীরে ঢলে পড়ছে, নুয়ে পড়ছে।

Series Navigation<< উপন্যাস।। বৈরী ছায়ায় খেলা।। রফিকুর রশীদ।। পর্ব তেরো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *