উপন্যাস।। পাথর সময়।। মঈনুল আহসান সাবের।। পর্ব পনেরো

শম্পা একটুও মনক্ষুন্ন হয় না— ‘অলরাইট, আমি ছাগল, তুই তার ভাই। এখন বল আমার প্রস্তাবে তুই রাজী আছিস কি না।’
‘আগে আমাকে দেখতে হবে ইনফরমেশনটা কতটা প্রয়ােজনীয়।’
‘বেশ’— শম্পা হাসে— ‘শােন, গত রাতে না পাপার এক পাকিস্তানী বন্ধু এসেছিল।
আমাদের বাসায় দাওয়াত ছিল। সঙ্গে ঐ মােটা-কালাে লােকটাও ছিল। সবাইকে দেখলাম খুব খুশী।’
‘কখন এসেছিল?’
‘বললাম তাে, কাল রাতে। খাওয়ার পর আবার তিনজনই একসঙ্গে বেরিয়ে গেছে। তুই তাে ফিরলি মাঝরাতে। তুই এতসব জানবি কি ক’রে?’
কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকে ইস্তিয়াক। শম্পার দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ ধরে হাসে—
‘তুই আসলেও একটা ছাগল। এটা তাের এক্সকুসিভ ইনফরমেশন?’
শম্পা তখনই দু’হাত নাড়ে — ‘আরে, রাখ রাখ। এখনাে তাে পুরােটা বলিনি। ওরা তিনজন মিলে কি সব চালান আর পাচারের কথা বলেছে। খুব অল্পক্ষণ অবশ্য।’
‘কি বলেছে?’
‘আমি শুনলাম তাে। কি যেন সব মেয়ে-টেয়ের ব্যাপার।’
‘তুই কিভাবে শুনলি?’
‘শুনলাম। আমি তাে আশেপাশেই ঘােরাঘুরি করছিলাম। দে ডিডিন্ট নােটিশ মি. কিংবা হয়তাে আমাকে কেয়ারই করেনি। অবশ্য টু বি ফ্যাঙ্ক, আমি বেশি কিছু শুনিনি, সামান্য দু একটা কথা।’
ইস্তিয়াক স্পষ্টতই বিরক্ত হয়— ‘কি শুনতে যে কি শুনেছিস তুই।’
দু’হাত কোমরে রাখে শম্পা — ‘অথাৎ তুই আমাকে সঙ্গে নিচ্ছিস না?’
‘হ্যাঁ, নিচ্ছি না। যা ভাগ।’
‘ওয়েল’ — শম্পা নির্বিকার গলায় বলে— ‘গাে অ্যাহেড।’
ইস্তিয়াক হাসে— ‘এমনভাবে বললি, যেন দারুণ কোনাে প্লান এটেছিস?’
শম্পা মাথা নাড়ে, তেমনি নির্বিকার গলায় বলে— ‘নাে, নাে অ্যাট অল। বাট আই উইল মেক য়ু সাফার।’
‘কিভাবে’ — ইস্তিয়াক মুচকি হেসে জানতে চায়— ‘তাের পাপাকে বলে দিবি, অ্যাণ্ড হি উইল বিট মী আপ?’
‘দ্যাটস মাই হেডেক’
ইস্তিয়াক অনেকক্ষণ ধরে হাসে। শম্পার থুতনি ধ’রে একটু নাড়ে, বলে — যাই করিস, নিজেকে লাফিং স্টক বানাস না। বলে সে এগােয়।
শম্পার গাম্ভীর্য তখনই খসে পড়ে— ‘ইস্তি শােন, না নিলি আমাকে সঙ্গে। কিন্তু মাহমুদ চাচার ওখানে তাের এত কি সিক্রেট দরকার? কেন যাস ওখানে?’
‘জানতে’- ইস্তিয়াক ছােট করে বলেই শম্পাকে আর সুযােগ না দিয়ে এগিয়ে যায়।
শম্পা কতক্ষণ বােকার মতাে দাঁড়িয়ে থাকে তারপর পেছন থেকে উচু গলায় বলে— ‘জেনে কি করবি? হজম করতে পারবি না। সঙ্গে অ্যাপটাইজার আছে তাে?’

বাঘের মতাে রােদ। পাঁচ পা হাঁটলে ঘেমে যেতে হয়। কিন্তু ইস্তিয়াক ঠিক করেছে আজ সে হাঁটবেই। তাছাড়া যদি যাওয়ার নির্দিষ্ট জায়গা থাকতাে তবে রিকশা নেয়া যেত। মাহমুদ চাচার ওখানে সে যাবে বৈকি। তবে তার দেরি আছে। সুতরাং তার আগ পর্যন্ত অনির্দিষ্ট শুধুই হাঁটাহাটি। রােদ বেশি ঝামেলা বাঁধালে সে এক সিনেমা হলের সামনে এসে দাঁড়ায়। লােকজনের ভিড় প্রচুর। তারা একে অন্যকে গুতিয়েই যাচ্ছে। এক পাশে সরে আসে সে। এদিক তাকায়, ওদিক তাকায়। একটু দূর থেকে মানুষ-জনকে লক্ষ করে। না, একটি মানুষও আরেকজনের মতাে নয়। কিন্তু কি আশ্চর্য, ইস্তিয়াক টের পায়, সবার মধ্যে আবার কি যেন এক মিলও আছে। আসলে ভিড়ের মানুষ সবাই বােধ হয় এক রকমই, তার মনে হয়। সিনেমা হলে বেশিক্ষণ দাঁড়ানাে হয় না তার। কেমন এক অস্বস্তি লাগছে সেই বাড়ি ছাড়ার পর থেকে। মনে হচ্ছে, একা নয় সে, কেউ আছে তার সঙ্গে। সে তাকায় চার পাশে। কিন্তু ভিড়ের মানুষের মধ্যে আলাদা করে খুঁজে পায় না কাউকে। ইদানীং ট্যাবলেট বেশি বেশি খাচ্ছি, সে মনে মনে বলে, বড় বেশি অর্থহীন চিন্তা গজাচ্ছে মাথার ভেতর। সিগারেট ফুরিয়ে গেছে। কিনে নেয় এক প্যাকেট। ঘড়ির দিকে তাকায় এক পলক। মন খারাপ হয়ে যায়। মাহমুদ চাচা যে সময় দিয়েছে, তার এখনও বেশ দেরি। আবার সে ঘড়ির দিকে তাকায়। কি করা যায় এখন। শেষে সে ভেবে ভেবে ঠিক করে আজমের ওখানে যাবে। আজমকে যদি বাসায় পাওয়া যায়, সে জানে, তবে পাওয়া যাবে আরাে কয়েকজন বন্ধুকে। এরকমই হয়। আজমদের বাড়িটা বিশাল। তারা বন্ধুরা যদি বাড়ির এক পাের্শনে নরক গুলজার করে তবু সে আওয়াজ অন্য কোথাও পৌঁছাবে না। ভেবেচিন্তে আজমদের বাড়ির দিকেই সে পা বাড়ায়। আর যাই হােক, ওখানে হয়তাে এক দল বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে, যাদের কারাে কারাে সঙ্গে তার হয়তাে দেখা হয় না বহুদিন। একটা সিগারেট ধরিয়ে এগোয় সে। আর তখনই আবার সেই অনুভূতিটা ফিরে আসে। কেউ যেন আসছে তার সঙ্গে। খামােখা, তবু হঠাৎ করে সে পেছন ফেরে। না, কেউ নেই কোথাও। নিজের এই পাগলামীতে তার নিজেরই হাসি পায়। আজমদের বাসায় জমজমাট আড্ডা। যে রকম ভেবেছিল ইস্তি, ঠিক সেরকম। তাকে দেখে সবাই হৈ হৈ করে ওঠে — ‘আয় আয়, প্রিন্স অব ঢাকা, তুই আয়।’ এক তরফা বন্ধুদের অনেক অভিযােগের মুখে ইস্তিয়াককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকক্ষণ। কেন সে আগের মত আড্ডায় আসে না, কেন বন্ধুদের থেকে অ্যালুফ, কেন তার কোনাে খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না — এসব অভিযােগের জবাবে সে শুধু হাসে।

আজমের বাবা-মা বাসায় নেই। তারা দিন পনেরাের জন্য ইন্দোনেশিয়ার
বালি দ্বীপে গেছেন বেড়াতে। বাসায় শুধু আজমের এক ভাই, দু’বোন। কিন্তু তারাও এ মুহূর্তে বাসায় নেই। তাই পুরো বাড়িটা একগাদা লোক হুকুম খাটা লোক সহ আজমের দখলে।
‘কি করা যায়, কি করা যায়’ –সে একটুক্ষণ পর পর বলছে–’ইউ হ্যাভ আ লঙ ডে অ্যাহেড টু স্পেণ্ড।’

মুশফিকের সঙ্গে একটা নতুন মেয়ে। মুশফিকের পাশে একটি মেয়েকে বেশিদিন দেখা যায় না। এক মাস থেকে তিন মাস, তারপর নতুন কাউকে চাই। মেয়েরাও বোধ হয় তেমনটিই চায়। বেশি দিন লেগে থাকা বােধ হয় তাদের পছন্দ নয়। আজকের মেয়েটি খুব সুন্দরী। তবে একটু বেশি রকম ছটফটে আর তরল স্বভাবের। ইস্তিয়াকে সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে মাত্র।

অথচ সে এমন করছে যেন র্দীঘ কয়েক বছরের বন্ধু তারা। তবে, ইস্তিয়াক লক্ষ্য করে, শুধু তার সঙ্গেই নয়, ঘরের সবার সঙ্গেই মেয়েটিই এমন আচরণ।
আজম এক ফাঁকে উঠে গিয়ে একটি পানীয়ের বােতল নিয়ে আসে। বলে– ’আজ আমরা মন খুলে ঘরে বসেই খেতে পারবাে। গান-বাজনাও করা যাবে, ইচ্ছা মতাে হৈ চৈও।’

বন্ধুরা সংখ্যায় কম নয়। পানীয়ের বােতলটি একবারেই খালি হয়ে যায়। আজম হাত তুলে সবাইকে আশ্বস্ত করে— ’দরকার হলে আরাে অসিবে, একটা, দু’টো, তিনটা। কিন্তু ইস্তি তুই নিলি না?’

ইস্তিয়াক একটু হাসে, সামান্য মাথা নাড়ে– ‘ইচ্ছে করছে না।’
’ধ্যাৎ, আমরা সবাই নেব, একজন নেবে না’ –আতিক বলে— ’তা হয় না। আজম, আরেকটা বােতল এনে ওকেও দে। ব্যাটা ইদানীং খুব দেখাচ্ছে।’
কিন্তু ইস্তিয়াক গাে ধরে বসে থাকে। মেয়েটি, সােমা এক সময় বলে — ’ইশ, কেন নেবেন না আপনি। আমিও তাে নিয়েছি।’
তা মেয়েটা নিয়েছে বৈকি। হার্ড ডিস – এও তার আপত্তি নেই। কিন্তু ইস্তিয়াক তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো শুধু — ’নাে থ্যাঙ্কস, আই ডােন্ট ফিল লাইক…।’
’সন্ন্যাসী হয়ে যাচ্ছে আমাদের বন্ধু’– নয়ন বলে— ’হি শুড বি কিক্ড আউট। তোর কি হয়েছে রে ইস্তি?‘
’ঘােড়া রােগ’ – ইস্তিয়াক কিছু বলার আগেই আদনান মুখ খােলে — ‘ঘােড়া রােগ হয়েছে ওর। আমি জানতাম ঘােড়া রােগ ওর হবেই। কি পরিমাণ আবােল-তাবােল কথা বলতাে ও, তােদের খেয়াল নেই?’
ইস্তিয়াক রেগে যেতে গিয়ে হেসে ফেলে — কক্ষনাে আমার ঘােড়া রােগ হয়নি। ঘোড়া রােগ হয়েছে তাদের।
’হু’ — নয়ন মাথা নাড়ে— ’তুই মাঝে মাঝেই যে পরিমাণ আতেল মার্কা কথাবার্তা বলিস। রােগ তােরই হওয়ার কথা।
’কি যে বলিস না।’ ইস্তিয়াক একটু রাগে — ’তােদের পছন্দের কথা না বললেই বুঝি আঁতেল?’
’পছন্দ অপছন্দ বুঝি না, তাের কথাই তাে মাঝে মাঝে বুঝি না’ — নয়ন আলােচনা বাড়াতে চায় না, হাত তুলে সে বলে— ’আর হ্যাঁ, সত্যিই তুই আঁতেল। ক’দিন পর দেখা যাবে তুই কথা বলছিস আর তাের দুই ঠোঁটের কোন গড়িয়ে তেল পড়ছে।’
ইস্তিয়াক কিছু বলার আগেই আজম চেচিয়ে ওঠে — ’এসব বাদ, এসব বাদ। এখন ঠিক করা হােক সারাদিন আমরা কি করবাে।’
’ব্ল দেখি না অনেক দিন, চল আজকে ব্লু দেখি’–রঞ্জন জানায়।
আপত্তি নেই কারাে। ইস্তিয়াক ভেবেছিল সােমা এখন সরে পড়তে চাইবে। কিন্তু দেখা গেল তার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই, বরং সে বেশ উৎসাহী। সে বেশ দ্বিধাহীন গলায়, জানায় — ‘তবে স্টোরী আছে এমন কিছু দেখতে হবে। গল্প ছাড়া ওসব ভালাে লাগে না। স্ট্যাণ্ড করা যায় না।’

বেশ বেশ, তাতেও কারাে আপত্তি নেই। তবে আজমের কাছে গল্প সহ সফট কিছু নেই। ঠিক হল কেউ একজন গিয়ে নিয়ে আসবে। আতিক উঠতে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই আজম তাকে থামায়, সে একটু একটু হাসে। এক এক করে সে সবার দিকে তাকায়, বলে — ‘ক্যাসেট না দেখে উই ক্যান গাে ফর অ্যানাদার থিং।’
আতিক একবার তাকায় মুশফিকের দিকে, একবার সােমার দিকে — ’ওয়েল’ – হাসি চেপে সে বলে — ’উই ক্যান গাে ফর লাইভ ব্লু ৷’ সে আবার মুশফিক আর সােমার দিকে তাকায়।
’ইয়েস ইয়েস, দ্যাটস অল উই ওয়ান্ট — বলে তখনই সমর্থন জানায় সবাই। মুশফিক একটা সিগারেট ধরায়, যেন কিছুই শােনেনি। সােমা মেয়েটি রাগে ফেটে পড়ে না, অকস্মাৎ গম্ভীরও হয়ে যায় না, সে মুচকি মুচকি হাসে।
’মুশফিক কিছু একটা বল’– আতিক জোর গলায় বলে— ’টাইম ইজ রানিং আউট।
‘আমি আর কি বলবাে’– মুশফিক উদাসীন গলায় জানায়।
’ওয়েল সােমা, তুমি কি বল?’
এই প্রশ্নে মুচকি হাসি ছেড়ে মেয়েটি লুটোপুটি খেয়ে হাসে।
’রাজী রাজী, ওরা রাজী। হুররে।’
মেয়েটির হাসির বেগ বেড়ে যায়।
’আহ, কামান য়ু টু –নয়ন দু’হাত নাড়ে।
’ইয়েস, স্টার্ট। আমরা দেখি কেমন পারফরমেন্স তােমাদের।
মুশফিক আড়মােড়া ভাঙ্গে, জানায়, তার কি, তার আপত্তি নেই।
’রিয়েলী’ — মেয়েটি বড় বড় চোখে মুশফিকের দিকে তাকায়— ’য়ু ডিডিন্ট মীন ইট, ডিড য়ু?’
হাসে মুশফিক– ‘ইয়েস। হােয়েন আই সে ইয়েস আই মীন ইট।’
’তাই বলে সবার সামনে, য়ু মাস্ট বি ক্রেজী।’ মেয়েটি নেহায়েৎ ইয়ার্কির ছলে বলে এবং আবার হাসিতে গড়িয়ে পড়ে।
যে কোনাে মুহূর্তে ব্যাপারটি আরম্ভ হয়ে যেতে পারে। ইস্তিয়াক বুঝতে পারে, সময় হয়ে এসেছে, সে ওঠে।
‘কিরে, তুই উঠছিস যে’ — আজম অবাক বড় চোখে তাকায়।
‘আমার যেতে হবে এক জায়গায়।’

সবার সঙ্গে মেয়েটিও একটু অবাক হয়ে তাকায়। হাসি সামলায়। তারপর বলে। ওয়েল ওয়েল, লাইভ কিছু দেখার সাহস নেই বুঝি আপনার? পরমুহূর্তে মেয়েটি আবার হাসতে আরম্ভ করে।

ইস্তিয়াক একটুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। একটু সে হাসে, মেয়েটিকে একবার দেখে চোখ ফিরিয়ে নেয়। ভাবে, অন্য দিন এমন কিছু ঘটতে নিলে, মাহমুদ চাচার সঙ্গে তার দেখা করার কথা না থাকলে, সে কি থাকতাে এখানে? ঠিক ঠিক সে বুঝতে পারে না। কে জানে, হয়তাে হ্যাঁ, হয়তাে না। মৃদু হেসে সে বলে— ‘যাচ্ছি, দেখা হবে।’ কেউ কিছু বলে না। ইস্তিয়াক শুধু নয়নের গলা শোনে— ‘হি’জ আ মেয়ার কিড, লেট হিম গাে। মুশফিক …… সােমা, তােমরা আরম্ভ কর, আমরা না হয় তােমাদের এনাফ স্পেস ছেড়ে দিয়ে একটু দূরেই সরে যাচ্ছি।’

’ওহ, মাই মাই। তােমরা দেখি … ?’ মেয়েটির গলায় এ পর্যন্ত শোনে ইস্তিয়াক। রাস্তায় নেমে সে আর কোনাে দিকে তাকায় না। মাথা নিচু করে মাহমুদের হােটেলের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করে। সে খেয়াল করে না, একটা লোক সত্যি সত্যিই তার পেছনে পেছনে আসছে। ইস্তিয়াক হােটেলের ভেতর ঢুকে গেলে সে লোক কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করে। তারপর কপালের ঘাম মুছে নিয়ে এগােয়। কাউন্টারে লােকটাকে কথা বলতে দেখা যায় কিছুক্ষণ। তারপর বেরিয়ে এসে আবার রাস্তায় নামে।

Series Navigation<< উপন্যাস।। পাথর সময়।। মঈনুল আহসান সাবের।। পর্ব চৌদ্দউপন্যাস।। পাথর সময়।। মঈনুল আহসান সাবের ।। পর্ব ষোল >>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *