ধারাবাহিক উপন্যাস// কবি আসছে //ফারুক আহমেদ// দ্বিতীয় পর্ব
- ধারাবাহিক উপন্যাস / কবি আসছে/ ফারুক আহমেদ/ প্রথম পর্ব
- ধারাবাহিক উপন্যাস// কবি আসছে //ফারুক আহমেদ// দ্বিতীয় পর্ব
- ধারাবাহিক উপন্যাস // কবি আসছে // ফারুক আহমেদ // তৃতীয় পর্ব
- ধারাবাহিক উপন্যাস // কবি আসছে // ফারুক আহমেদ // চতুর্থ পর্ব
- ধারাবাহিক উপন্যাস// কবি আসছে // ফারুক আহমেদ // পঞ্চম পর্ব
- উপন্যাস// কবি আসছে // ফারুক আহমেদ // ষষ্ঠ পর্ব
- উপন্যাস //কবি আসছে // ফারুক আহমেদ // পর্ব সাত
- ধারাবাহিক উপন্যাস// কবি আসছে // ফারুক আহমেদ// পর্ব আট
- ধারাবাহিক উপন্যাস // কবি আসছে // ফারুক আহমেদ // পর্ব নয়
- ধারাবাহিক উপন্যাস//কবি আসছে// ফারুক আহমেদ//পর্ব দশ
- হ্যালো কী করছেন?
- কিছু না।
- আপনার ‘কৈবর্তকথা’ গদ্যটা ভালো লেগেছে।
- তা-ই নাকি?
- সুন্দর লেখা।
- থ্যাঙ্কু।
- আপু একটা কথা বলব?
- বলো।
আপনিও কিন্তু আপনার লেখার মতোই সুন্দর। - তা-ই নাকি?
এর উত্তরে জহির ইনবক্স-এ হাসিমাখা একটি স্টিকার পাঠিয়ে দেয়।
- তোমার লেখালেখি কেমন চলছে?
- ভালো, আমার ‘তুমি একটি বিকাল’, পড়েছেন?
- না তো, কোথায় ছাপা হয়েছে?
- সাপ্তাহিক পালাবদলে।
- এ কি গল্প না কবিতা?
- কবিতা, আপু, শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন না?
- হা হা হা, শিরোনাম দেখে আজকাল সব বোঝা যায় না।
- আপনার সঙ্গে দেখা হলে ভালো হতো।
- কেন বলো তো?
- কবিতা নিয়ে কথা বলা যেত। আপনার কাছ থেকে শিখতে পারতাম।
- তাহলে চলে আসো একদিন।
- আচ্ছা আপু, কাল আমার কোনো কাজ নাই।
- আচ্ছা তাহলে আমার অফিসে চলে আসো।
- অফিস! অফিসে কাব্যালোচনা সম্ভব, ঠিক জমবে না।
- তাহলে ঠিক আছে, টিএসসিতে আসো।
- আচ্ছা আপু, থ্যাঙ্কু।
জহির আর অর্পা তাবাসসুমের চ্যাট এভাবেই শেষ হয়।
এক খাটে বসে জহির চ্যাট করছিল, আরেক খাটে বসে পিয়াল লাইকের একটা কর্মশালা চালাচ্ছে। এটা
তার প্রতিদিনের বিশেষ স্টাডির অংশ। লাইকটা বিরাট কাজের। মাঝে মাঝে কমেন্ট। তবে বেশি
কমেন্ট করলে দাম কমে যায়, ফাতরা ভাবে। লাইকটাই বেটার, যদিও একটু সময় লাগে। সাহিত্য অবশ্যই ধৈর্যের কাজ, যেমন নিঃসঙ্গ, তেমন ধৈর্য, তেমন সাধনা। ‘দিন দিন প্রতিদিন’-এর সাহিত্য সম্পাদক লিখেছে,
তুমি একটি আনন্দের তোড়া
তুমি যেন এক মাতাল সুরা।
লাইক দিয়েই পিয়াল ইনবক্স করল, ভাই অসাধারণ অনুপ্রাস। আপনি যতটুকু সম্পাদক, তার থেকে
বেশি স্মৃষ্টিশীল।
- হা হা হা, ভালো বলেছ। তা যা বলেছ তা কমেন্টে লিখ না কেন মিয়া?
এর উত্তরে পিয়াল কিছু বলে না। সে দেখেছে, প্রভাত ফেরির সাহিত্য সম্পাদক কিংকর খাদেমও অনলাইনে।
এই মুহূর্তে কমেন্ট না দেয়াই উত্তম। সে অফলাইন হয়ে যায়।
তখনই ইনবক্সে কুমকুম, হ্যালো ভাইয়া, আছেন?
পিয়াল ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে জহিরকে একবার দেখে নেয়। বেটা মনোযোগ দিয়ে মনিটরে কী জানি দেখছে।
- হ্যালো, কেমন আছেন কুমকুম?
- জি ভালো ভাইয়া। আপনার লেখালেখির খবর কী?
- চলে যাচ্ছে, আপনার?
- এই তো ভাইয়া, আমি কি আর আপনার মতো ভালো লিখতে পারি?
হঠাৎ পিয়ালের মুখটা খুশিতে হাঁ হয়ে যায়। একটু নড়েচড়ে বসে।
- আপনি কবি। আর কবি বলেই এটা বলছেন।
- আচ্ছা, কবিতা দিচ্ছেন কোথাও?
- এই তো ভাইয়া, নন্দনসূত্র-এ দিলাম।
- নন্দনসূত্র? কলিম স্যারের কাছে?
- হুম, স্যার বললেন দিতে। আর…
- আর কী?
- স্যার বললেন আপনি ভালো লিখেন।
- তা-ই নাকি?
- হুম।
- হুম, ধন্যবাদ। আপনার মুখে প্রশংসা পেয়ে লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে।
- আচ্ছা ভাইয়া, ‘দিন দিন প্রতিদিন’-এর সাহিত্য সম্পাদক কাব্য কাশেম ভাইয়া নাকি আপনার খুব ক্লোজ?
- ক্লোজ মানে আমাদের ইউনিভার্সিটির বড় ভাই, কেন বলেন তো।
- না, মানে ভাবছিলাম, কবিতা দিব।
- আচ্ছা, দেন, আমি বলে দিব।
- তা-ই? আচ্ছা ভাইয়া, যদি আপনার হাতে দিই?
- আমার হাতে?
- হুম আপনার হাতে, আপনি কাশেম ভাইয়ার হাতে দিলেন?
- আচ্ছা, ঠিক আছে।
- থ্যাঙ্কু ভাইয়া। আপনি খুব সুইট ভাইয়া।
- একটি আনন্দিত হওয়ার স্টিকার পিয়ালের ইনবক্সে পাঠিয়ে দিল কুমকুম।
উত্তরে পিয়াল দিল লাইক স্টিকার ।
কুমকুমের সঙ্গে কথা শেষ করে, সে অনলাইন হয়ে দেখল, প্রভাত ফেরির সাহিত্য সম্পাদক কিংকর খাদেম ফেসবুকে নাই। ‘দিন দিন প্রতিদিন’-এর সাহিত্য সম্পাদকের ওয়ালে ঢুকে তার
তুমি একটি আনন্দের তোড়া
তুমি যেন এক মাতাল সুরা।
স্ট্যাটাসের নিচে লিখল, আপনি যতটুকু স¤পাদক, তার থেকে বেশি স্মৃষ্টিশীল।’ লিখে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে এল পিয়াল।