উপন্যাস

ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেমেছে। পিঁপড়ার মতো সারিবদ্ধ হয়ে মানুষ নামছে। ট্রেনের বগি থেকে মানুষ নয়, পিঁপড়া নামছে। অধ্যাপক আলী আসগর

মাস্টার্স পাস করার পর তরুণ আসগর চাকরির জন্য পাগল হয়ে যান। ছাত্রজীবন থেকে টিউশনি করে আসছেন, আর ভালো লাগছে না

১০ তিন দিন পরে মারিয়াকে কেবিনে আনা হয়েছে। পা থেকে গলা পর্যন্ত একটা নীল চাদর দিয়ে ঢাকা। হসপিটালের সাদা বিছানায়

জয়পুরহাটের প্রিন্সিপাল কাম প্রশাসক মোদাব্বে হোসেনের নাক, চোখ, মুখ সবসময় কি এক অজানা কারণে কুঁচকে থাকে। যখন তিনি লেখাপড়া করেন,

চাঁদাবাজদের দলে চার পাঁচজন। সামনের ছেলেটাকে নেতা মনে হয়- সে সাঈদ হোসেন দেলোয়ারকে দেখে ভড়কে যায়, মিনমিনে কন্ঠে জানায়- চাচা,

৯পান্থপথের এই জায়গাটা আগে এভাবে ধরা দেয়নি। হয়তো আজকের রাতের মতো করে কখনো তাকাইনি, সেটাও একটা কারণ হতে পারে। হাসপাতালের

চারদিরটা লেলিহান আগুনের শিখায় উজ্জ্বল। একজন পুলিশ কনস্টেবল দৌড়ে একটা টেলিফোন কক্ষে ঢুকে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করবার জন্য। অধ্যাপক টুনটুনি

৮ মারিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। যাওয়ার সময় ওকে স্বাভাবিক দেখাল। আমার দিকে তাকিয়ে একবার হাসতেও চেষ্টা

উড়ছেন ইচ্ছেমত। উড়ছেন আর উড়ছেন। দিকবিদিক ছুটছেন। ছোটার আনন্দে আত্মহারা টুনটুনি পাখি অধ্যাপক আলী আসগর। ছুটতে ছুটতে অধ্যাপক টুনটুনি পাখি