নূরুল ইসলাম মনির তিনটি ছড়া
শরৎকালীন রূপ
পূর্বাকাশে রোদ উঠেছে
পশ্চিমে সব নীল,
পাতার ফাকে ঐ দেখা যায়
উড়ছে জোড়া চিল।
চিলের ডানে পাচ্ছে শোভা
সাদা মেঘের দল,
মেঘ ও রোদের লুকোচুরি
প্রাণ খোলা উচ্ছ্বল।
নদীর পারে দোলায় মাথা
শুভ্র কাশের ফুল
ঘরের পাশে শিউলি ফুটে
প্রাণ করে আকুল।
এটাই আমার শরৎকালীন
বাংলাদেশের রূপ,
দেখলে আমার মনের মাঝে
সুখ ঝরে টুপ টুপ।
কুটুস কাটুস
ছোট্ট সোনা ইঁদুর ছানা
বললো এসে মাকে,
বলনা মা তোর সবজি গুলো
কোন্ খাঁচাতে থাকে?
রাত্রে এসে কুটুস কাটুস
কাটবো দাঁতে আমি,
হোকনা তোমার পটল,পেঁয়াজ,
হোকনা যতই দামী।
ভালো যদি লাগে মাগো
পেটটা পুরে খাবো,
তা নাহলে কেটে কুটে
সাবার করেই যাবো।
কাটতে আমার ভালো লাগে
কাটতে ভালোবাসি,
সেই কারণে নিত্যরাতে
তোমার ঘরেই আসি।
দাওগো বলে পটল আলু
কোন খাঁচাতে রাখো?
সবটা আমি কেটে দিবো
চিন্তা করো নাকো।
ঘরের পাশে
ঘরের পাশে জারুল গাছে
একটা পাখির বাসা,
সেই বাসাতে দুইটা পাখির
নিত্য যাওয়া আসা।
বাসার ভিতর দুইটা ছানা
কিচির মিচির ডাকে,
একটা বুঝি বাপকে খোঁজে
আরেকটা তার মাকে।
জানলা খুলে আমি ওদের
মুগ্ধ চোখে দেখি,
ওদের নিয়েই দিন রজনী
গান কবিতা লেখি।
ওরাই আমার বন্ধু সজন
ওরাই আমার সাথী,
ওদের সাথেই সব সময়ই
আমার মাতামাতি।