Archives

তিনিই জন্মদাতা। তিনিই ভয়ত্রাতা। তিনিই কন্যাদাতা। তিনিই বিদ্যাদাতা। তিনিই অন্নদাতা। তাই তিনি পঞ্চপিতা, পিতৃভূমি, পরমেশ্বর। তিনি পঞ্চপুরুষের আদি অখ- রূপ।

।।দুই ॥ ধরিত্রী দাস বিশ্বাস করে পৃথিবী-মাতার সে দাস। সেবক। শস্য ফলানো আর মাতা-বসুমতীর সেবা করা। একই কাজ। এই বিশ্বাস

॥ তিন ॥ পতঙ্গ-মানবদের বংশবৃদ্ধি ঘটছে ফড়ফড়িয়ে। চাই শস্যভূমি। নতুন ভূমি। যেখানে শস্যভূমি নেই অথচ খাদ্যের স্তূপ পাহাড় তৈরি করে

॥ চার ॥ পরদিন ধরিত্রী দাস রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কামানের কথা বলে। কাকেশ্বর তাকে যে বয়ান দিয়েছিল তাই হুবহু বর্ণনা করে

॥ পাঁচ ॥ চারপাশে ছড়িয়ে আছে কে অলৌকিক মায়াজাল। নানা বৃক্ষশোভিত দেশ। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ আর শব্দের মতো পঞ্চগুণের

এক পূর্ণিমা রাতে তেপান্তরের মাঠের উপর দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে দিল্লির শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা এবং

পঞ্চপিত ।।আট ।। জনমানবহীন মহাকালের মৃত নক্ষত্রের মতো প্রাণশূন্য এই গ্রামে রাত নামে। আর তখনই অজাগতিক প্রাণের পুনর্জাগরণ ঘটে। প্রাচীন দেহাতীত

পঞ্চপিতা ॥ নয় ॥পলাশির পলাতকদের বংশধরেরা যেদিন করতোয়া পারে আশ্রয় নেয়, সেদিনই মহাউত্থানের মহাকাল পুনরুত্থান ঘটায় ভাষা শহীদ বরকত আর গণঅভ্যুত্থানের

পঞ্চপিতা॥ দশ ॥ সন্ধ্যা নামলে গিরিশের বৌ ভগবতীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেল বৌটি? ডাকাডাকির পরেও সাড়া মেলে না।

পঞ্চপল্লবে আচ্ছাদিত এই গ্রম। আম্র, অশ্বত্থ, বট, পাকুড় আর যজ্ঞডুমুর। এই পঞ্চ বৃক্ষের সবুজ পল্লব। তাছাড়া রয়েছে পঞ্চবটী। অশ্বত্থ বট,