পদক্ষেপ বাংলাদেশের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব সম্পন্ন

অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ ও অন্যায়কারীদের ঠাঁই হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মৎস্যখাত ও সমুদ্র সম্পদে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ২৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব-২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

পদক্ষেপ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি বাদল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বে অফ বেঙ্গলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ, পদক্ষেপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা, কক্সবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক হ্লামে রাখাইন, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সেলিম এবং কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং এ খেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে ইলিশের আন্তর্জাতিক উৎসব বিষয়টি ভাবতেই ভালো লাগে। ইলিশ কক্সবাজারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ইলিশ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগেই সুনাম কুড়িয়েছে। ইলিশ মাছের উৎপাদন বর্তমানে পাঁচ লাখ টনেরও বেশি। ইলিশ উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ। বিশ্বে মোট ইলিশের প্রায় ৮৫ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। মৎস্য খাতে সম্ভাবনা আরও বাড়বে কারণ বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনাময় সমুদ্রসম্পদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে বিপর্যয়ের মাঝেও সুখবর নিয়ে এসেছে আমাদের দেশের মৎস্য খাত। বিশ্বে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ২০১৯ সালে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত বছর রেকর্ড পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয়েছে দেশে। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে কৃতিত্ব উঠে এসেছে ইলিশ আর দেশি মাছ চাষে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার একটি পর্যটনবান্ধব রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সরকার নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জন্মশতবর্ষ উদযাপনে এবারের শ্লোগান হচ্ছে, ‘মুজিব বর্ষের আকর্ষণ, বাংলাদেশের পর্যটন’। পর্যটনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পর্যটন খাতে উদ্যোক্তা হওয়ার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যার ফলে বিপুল সংখ্যক যুবক এখন পর্যটন শিল্পে উদ্যোক্তা হিসেবে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কক্সবাজারকে অনেক ভালোবাসেন। আমাদের কাছে ইলিশ যেমনি একটি সম্পদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তেমনি পুরো দেশটাই একটি সম্পদ। এই সম্পদময় দেশে কোনো অন্যায়কারী, দুর্নীতিবাজের ঠাঁই হবে না। কক্সবাজারেও কোনো অন্যায়কারী অন্যায় করে পার পেতে পারবে না।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর কক্সবাজার জেলা শাখার কমিটি ঘোষনা দেন। কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হ্লামে রাখাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সেলিম নির্বাচিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *