২০২০ সালে ঝরে যাওয়া নক্ষত্রেরা // নুসরাত সুলতানা



একটা সুর্যোদয়ের সাথে শুরু হয় একটা ক্যালেন্ডারে ১ তারিখ অর্থাৎ শুরু হয় বছরটি আবার একটা একটা সূর্যোদয়ের সাথেই সাথেই বছরটি লীন হয় মহাকালের গর্ভে। সেভাবেই এসেছিলো ২০২০ এর শেষ প্রান্তে আমরা। ২০২০ ও লীন হবে মহাকালের গর্ভে। কিন্তু মানব সভ্যতা কি ভুলতে পারবে ২০২০ কে? ২০২০ কতকিছু নিয়ে গেল! বাচ্চাদের স্কুল প্রাঙ্গনের আনন্দ, করমর্দন, আলিঙ্গন, সমৃদ্ধি আরও কতকি! বিগত হয়েছে কত শত প্রাণ!

২০২০ সালে আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং সাহিত্যাঙ্গনে যাদের হারিয়েছি।

জামিলুর রেজা চৌধুরী (১৫ নভেম্বর ১৯৪৩ – ২৮ এপ্রিল ২০২০) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৌশলী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদ। দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর ৭০টির বেশী প্রবন্ধ ও গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশনার ভেতর আছে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ, নিম্ন-খরচের আবাসন, ভূমিকম্প সহনীয় ভবন তৈরি, ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় নির্মাণ, রেট্রফিটিং, তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালা, ইত্যাদি। ২০১৭ সালে তিনি “একুশে পদক” পান। তিনি শেলটেক পুরস্কার (২০১০)
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন স্বর্ণপদক (১৯৯৮)
ড. রশিদ স্বর্ণপদক (১৯৯৭)
রোটারি সিড অ্যাওয়ার্ড (২০০০)
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল (ডিস্ট্রিক-৩১৫) স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
চৌধুরী ২০২০ সালের ২৮শে এপ্রিল ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

জামিলুর রেজা চৌধুরীর গবেষণা এবং কাজ আরও আরও অনেকগুলো বছর প্রকৌশলীদের আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে।

আনিসুজ্জামান (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ – ১৪ মে ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি ২৪ গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। অনুবাদ করেছেন ৩টি গ্রন্থ, সম্পাদনা করেছেন ২০ টি গ্রন্থ।

আনিসুজ্জামান শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করা হয়। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আনিসুজ্জামান ২০২০ সালের ১৪ মে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, প্রোস্টেট সমস্যা, রক্তে ইনফেকশনসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার মৃতদেহ থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন । আনিসুজ্জামান চিরকাল শিক্ষাবিদদের বাতিঘর হয়ে রইবেন।

মঞ্জুরে মাওলা(১লা অক্টোবর ১৯৪০ – ২০ ডিসেম্বর ২০২০) ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও বাংলা একাডেমি র সাবেক মহাপরিচালক। পেশাজীবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করা মনজুরে মওলা গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ছিলেন।

বাংলা একাডেমিতে তার তিন বছরের কার্যকালেই ‘একুশ আমাদের পরিচয়’ প্রত্যয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা, যা আজ বিশ্বের দীর্ঘ সময়ব্যাপী চলা বই উৎসব।

ঐতিহাসিক বর্ধমান ভবন সংস্কার, প্রথম জাতীয় ফোকলোর কর্মশালার আয়োজন, আরজ আলী মাতুব্বর বা খোদা বক্স সাঁইয়ের মতো লোকমনীষাকে ফেলোশিপ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ডেভিডসনের চিকিৎসাবিজ্ঞান কিংবা আনিসুজ্জামানের পুরনো বাংলা গদ্যের মতো বই প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছিলেন মনজুরে মওলা। ‘ভাষা শহীদ গ্রন্থমালার’ ১০১টি বই বাংলা একাডেমিতে তার অসামান্য কীর্তি।

মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে ১৯৮২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অবসরের পর বাংলা একাডেমির ফেলো হিসেবেও মনোনীত হয়েছিলেন।তিনি সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
‘ভাষা শহীদ গ্রন্থমালার’ ১০১টি বই বাংলা একাডেমিতে তার অসামান্য কীর্তি।

২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

মঞ্জুরে এলাহিকে সাহিত্যিক এবং সাহিত্যানুরাগী মানুষরা মনে রাখবেন অনন্তকাল।

আবুল হাসনাত(১৭ জুলাই,১৯৪৫- ১লা নভেম্বর ২০২০) আবুল হাসনাত একজন সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নন্দিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম এবং বেঙ্গল বই এ দেশের প্রকাশনাজগতে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে।
তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর ও অন্যান্য ও জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন ও অন্যান্য।

শিশু ও কিশোরদের নিয়ে রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়, টুকু ও সমুদ্রের গল্প, যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুরে, রানুর দুঃখ-ভালোবাসা।

১৯৮২ সালে টুকু ও সমুদ্রের গল্পের জন্য পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৪ সালে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো।
ফুসফুসের সংক্রমণে ১ নভেম্বর ২০২০
সকাল ৮টায় রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সাহিত্যানুরাগী মানুষের মনে আবুল হাসনাত বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

মুর্তজা বশীর (জন্ম: ১৭ আগস্ট ১৯৩২ – মৃত্যু: ১৫ আগস্ট ২০২০) একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার পিতা ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

তিনি জাতীয় পুরস্কার (Prix National), চিত্রশিল্প উৎসব, ক্যাগনেস-সুর মের, ফ্রান্স (১৯৭৩)[৩],
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৫),
শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ নকশা, জাতীয় বই কেন্দ্র, ঢাকা (১৯৭৬),
একুশে পদক (১৯৮০),
সুলতান পদক, নড়াইল (২০০৩),
স্টার লাইফটাইম পুরস্কার (২০১৬),
স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৯) অর্জন করেন।
মুর্তজা বশীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। বিপ্লবী এবং সৃষ্টিশীল মানুষদের মনে মুর্তজা বশীর তার কাঁজের জন্য চির ভাস্বর থাকবেন

সুরের জাদুকর আলাউদ্দিন আলি(২৪ ডিসেম্বর ১৯৫২- ৯ আগস্ট ২৯২০)

একসময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রজগতে একটি কথা প্রচলিত ছিল। সেটি হলো-‘আপনি আলাউদ্দিন আলীর সুরে গান করেননি, তো কিছুই করেননি। আপনার সংগীতজীবনই ব্যর্থ।’ সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে বহু শ্রোতাপ্রিয় গানের জন্মদাতা। তিনি শুধু একজন সংগীত পরিচালকই নন, একাধারে সুরকার, বেহালাবাদক, গীতিকার। লোকজ ও ধ্রুপদী গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা তার সুরের নিজস্ব ধারা বাংলা গানকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। প্রায় চার দশক বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী তার সুরে গান করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। ৷ ১৯৮৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে। গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ ও ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। “ও আমার বাংলা মা তোর’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে’, ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে” এরকম অসংখ্য কালজয়ী গানের ভেতর আলাউদ্দিন আলি বেঁচে থাকবেন গীতিকার, শিল্পী, স্রোতা সবার মনে।

এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ – ৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে’জন্য তিনিযে’জন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে “জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প”, “হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস”, “ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে”, “আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি”, “আমার বুকের মধ্যে খানে”, “আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন”, “ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা”, “সবাই তো ভালোবাসা চায়” প্রভৃতি।

তিনি মোট আটবার জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেন। এন্ড্রু কিশোর শাশ্বতকাল সঙ্গীত প্রিয় বাঙালির মনে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন।

#আলী যাকের (৬ নভেম্বর ১৯৪৪ – ২৭ নভেম্বর ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট। দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব যাকের টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান জনপ্রিয়। আলী যাকের বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি-র কর্ণধার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন।

শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।
আলী যাকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর সকালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আলী যাকের অনন্তকাল তাঁর অভিনয় এবং কাজের মাধ্যমে সংস্কৃতি মনা, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবেন।

এছাড়াও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমরা হারিয়েছি অভিনেতা আব্দুল কাদের, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন দীর্ঘদিন।কে. এস. ফিরোজ, সাদেক বাচ্চু, নৃত্যশিল্পী হাসান ইমাম, ৮ বার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্র সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু প্রাণ হারিয়েছেন মহামারী কোভিড -১৯ এ।

করোনার প্রভাবে মারা গেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রাজনীতি তে বহু বাঁক নেয়া হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, শিল্পপতি মোরশেদুল আলম।

করোনার প্রভাবে মারা গেছেন প্রায় আটহাজার মানুষ।

সকল ঝরে যাওয়া প্রাণকে বিনম্র শ্রদ্ধা। পরোলকে ভালো থাকুন তাঁরা। তাঁদের কাজ আমাদের পথ দেখাবে বহু বছর।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এর অনলাইন ভার্সন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *