ঈদসংখ্যার কবিতা।। খান মুহাম্মদ রুমেল

সূর্যমুখি জীবন

আমি কোথাও যাবো না
অপেক্ষায় থাকবো তোমার
সূর্যমুখি যেমন প্রবল বিশ্বাসে অপেক্ষায় থাকে
সকালের জন্য!
সে জানে রাত পেরোলেই সূর্যটা আসবে ঠিক
আলো তাপে কথা হবে দুজনের
হাসবে দুজন চোখ রেখে চোখে
সূর্যিত আলোয় হয় সূর্যমুখির গোসল!
আকাশ মাটির দূর ঘুচে যায়
দুজনের ইশারার আল্পনায়!

তুমি ফুল হও মেয়ে
তুমি নদী হও মেয়ে
তুমি সবুজ হও মেয়ে!

নিঃশ্বাসে বিষের বাতাস নিয়েও বাঁচবো –
তোমার স্বপ্নে!

সূর্য ফুল ছোঁয় না!
সূর্য রাঙায় ফুলের জীবন!

তুমি এসো

গ্রীষ্ম তুমি এসো প্রবল কালবৈশাখী নিয়ে
উড়িয়ে নাও সব জঞ্জাল!
গ্রীষ্ম তুমি আমার মন ভালো করে দাও!
আজকে আমার মন খারাপ
খুব বেশি খারাপ!
আজকে আমি একলা খুব
ভীষণ রকম একা!

গ্রীষ্ম তুমি এসো-
প্রবল তাপে পোড়াও মনের জমিন!
মন পোড়ানো ছাইয়ে খুঁজবো ফেরার পথ!

তোমার কাছে আকুল চাওয়া
একটু কিছু দাও, মন খারাপের দাওয়া।

দিন যাত্রা

তোমার চোখের পল্লবে ঘুম নামে মধ্যরাতের পরে
আমি তখনো চেয়ে থাকি অপলক
ঘুম কোথায় ?
রাতের গহন বিছানায় দেখি তোমার মুখ –
নিপুণ আল্পনা!

সকাল নামে, হেঁটে যায় দুপুরের দিকে
একলা শালিক ইতিউতি খোঁজে কোন সুখ?
তপ্ত হয় রোদ, তাতায় মনের কোণ!
নুইয়ে যায় কচি কলাপাতা।
ওদিকে সব রোদ চুরি হয়ে যাচ্ছে
এদিকে আমরা ঠাকুরমার ঝুলি খুলেছি!

বিকেল ছুঁয়ে এক লহমায় দিন ছোটে রাতমুখি
কপালে ভাঁজ বাড়ে দুশ্চিন্তার
আসছে নির্ঘুম নির্মম আঁধার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *