গুচ্ছকবিতা ।। অলাক আচার্য

এখানে শব্দগুলা অর্থহীন

এখানে রাত্রি নিরব, বিকেলটা ধূসর
প্রেমগুলা রঙিন কাগজের মতো
উড়ে বেড়ায় প্রেমিকের বুক থেকে বুকে।
এখানূ ঝিঁ ঝিঁ পোকারা অহংকারী
মাতাল, নিঃশব্দ আর অর্থহীন
মগজে অনবরত ঢুকছে প্রলাপ
মেদহীন শব্দগুলা অকারণে প্রতিদিন
আগুনের ফোয়ারা ছোটায়।

বিপ্লবী হতে ইচ্ছে করে

একদিন নিঃশব্দে’ই বড় ওঠে
তৃণলতা।
প্রতিবাদহীন শহরে ঠিক
মাথাগোজার ঠাঁই খুঁজে নেয়
স্বপ্ন দ্যাখে একদিন সে
গুয়েভারার মতো বিপ্লবী হবে
যারা তাকে বঞ্চিত করেছে
তাদের বুকের ভিতর গঁথে দিবে
একমুঠো তাজা বারুদ।
তার প্রলয় নাচে ছাড়খার হবে
অক্টাপাসের মতো প্যাঁচানো শুড়
ছিঁড়ে যাবে বিষাক্ত সভ্যতার ইদ্রজাল।

পিঁপড়েরা নিঃশব্দে হেঁটে যায়

পিঁপড়েরা নিঃশব্দে হেঁটে যায়-
রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে কোথাও
দু’একটি বাসন্তী পাতা ঝরে পরে
বেদনার নীল আবরণে ক্লান্ত হয়ে নিঃশব্দে
ক্ষমা চায় ঝরে পরা পুরাতন পলেস্তরা
রাত জুড়ে তখন চলে নিঃশব্দতার গল্প।
পিঁপড়েরা নিঃশব্দে হেঁটে যায়
মধ্যরাতের ফাঁকা রাস্তায় কানা যানজট নেই
গলির মোড়ে নেই কুকুরের দল
ব্যস্ত সড়কে তখন অদ্ভূত নিরবতা।
সেই নিরবতা ভেঙে নিঃশব্দে হেঁটে যায় নিঃসঙ্গ পিঁপড়ের দল।

মেট্রোপলিটন শহরের রঙ্গমঞ্চ

এই মেট্রোপলিটন শহরের প্রতি বর্গকিলোমিটারে
অসংখ্যা ঝাঁঝালো প্রশ্ন
সকাল থেকেই মস্তিষ্কের নিউরোণে আঘাত করে।
চারিদিকে অমূলক কথা, অহেতুক সন্দেহ
কুকুরের দাম্পত্য জীবনর রঙ্গচিত্র-
আরও কত পশু তাদের সত্তা হারিয়ে
কুকুর তোষণ উপযাগী অনুধানে ব্যস্ত হয়!
শহরর প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যায়
সই নির্ভেজাল রসাত্বক বর্ণনা
মানুষই তার স্রষ্টা, মানুষই পাঠক-পাঠিকা
কেউ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দ্যাখে- মনুষত্ব্য বিসর্জনের
দেশজুড়ে তখন গল্পের প্রচারাভিযান চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *