মহুয়া বৈদ্য’র কবিতা
খিদে সম্বন্ধীয় স্মৃতিগুচ্ছ
১.
এসেছে সরল ক্ষুধা তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান
এই অসময়ে বল আমি তাকে কোথায় বসাই
এই নাও শবাসন এই কমণ্ডলু ভরা জল
প্রার্থনা স্বীকার হবে? আমিও আকাঙ্ক্ষা করি যদি
জাগতিক জাদু নয় ভিক্ষা দাও অন্ন এক মুঠি
২.
আমি আর কুটু বসে খিদে আর ঘ্রাণ নিয়ে খেলি
ওই বাড়ি চারপোনা তেলে ছেড়ে দিল
এই বাড়ি চিকেনের কষা
ওপাশের বাড়ি থেকে আলুভাজা আর মুগ ডাল, আজ নিরামিষ?
এইসব গন্ধে মলয় বাতাস তোলপাড়
আমি আর কুটু বসে খিদে ভুলে চ্যাপলিন চ্যাপলিন খেলি
সনেট
মাথার ভিতরটুকু একেবারে ফাঁপা, আলপিন
ফুটিয়েছি এইবার সময়ের সুযোগটি বুঝে
হৃদপদ্ম ফেটে যায় ফুসফুসও ক্রমাগত ক্ষীণ
দরদাম হাঁকরায় তাল ঠোকে কারুকাজ খোঁজে
কোথায় কি শব্দভ্রম অই বুঝি অনুষ্টুপ ছল
নিতান্ত অসুস্থবোধে এইবার বাতাসটি ভারি
দেহ ফুসফুসে নয়, প্রাণভোমরার চলাচল
মনের প্রতিটি কোণে, স্নেহকণা ঢেলে স্নান করি
যদিও আষাঢ় মাস ভাবার সময় অতি কম
কি জানি কি হয় ভেবে বসে থাকা আরো জ্বালাতন
তাই এই বাঁশিখানি, হাওয়াটুকু ভরে হরদম
বেজেছে কানাড়া রাগ সুমধুর যদি আলাপন
হৃদয় গহন থেকে দরজাটি খোলে বুঝি কেউ
একটি আঁজলা জলে দুলে ওঠে সমুদ্রের ঢেউ
কবি মহুয়া বৈদ্যের কবিতাগুচ্ছ অনবদ্য। সনেটটি বরাবার পড়লেও যেন শেষ হবার নয়। রেজাউল করিম