মামুন রশীদের কবিতার শিল্পসৌকর্য।।আদ্যনাথ ঘোষ

যে সাপটিকে পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি/ রোজ রাতে সে ছোবল মারে’ অথবা ‘সব আত্মপরিচয়ই কি বাঁধা থাকে জন্মের

আলোড়নে’। এ দুটি পঙক্তিতেই যে কবির নাম পাঠকদের সামনে ভেসে আসে তার নাম মামুন রশীদ। এক নামেই তাকে চেনা

যায়। তিনি ইতোমধ্যেই বাংলা কাব্যসাহিত্য ও প্রবন্ধে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের দোশরা

আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছাব্বিশ। তার কবিতার ঢং, গড়ন, বাকভঙ্গি, শিল্পরস ও শব্দের প্রয়োগ

অন্যান্য কবিদের থেকে আলাদা-শুদ্ধতার ইঙ্গিত বহন করে যা তার কবিতার-স্বরায়নের ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রায় প্রকাশিত হতে

দেখা যায়। কবিতার সরলতা, সময়ের রেখাচিত্র, মানুষের জীবন জীবিকার টানাপোড়েন, দুঃখ-যাতনার দহন মামুন রশীদের

কবিতায় নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। যখন তিনি কবিতায় তুলে ধরেন—

‘নিঃসীম অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি জন্মদিন-

ধূসর হয়ে উঠছে স্মৃতি, শুধু অনিহিত বিশ্বাসে

অন্তহীনতার পথে নিকট ও অতীতে কিছু হিরন্ময় দৃশ্য

পরিত্যক্ত রেল স্টেশনের কাছে ওত পেতে থাকে, যদি

ফিরে যাওয়া যায় জীবনের সেই উজ্জ্বল রঙে।’

[এই বইটির কোনো নাম দিব না]

একজন কবির আত্ম-মানস থাকে। যার উদ্যানে সাজানো থাকে তত্ত্বপূর্ণ জ্ঞান। কবি সেই আত্মশুদ্ধি ও আত্মতত্ত্বের অনুসন্ধানে

বিচরণ করেন জীবন জিজ্ঞাসায়, দর্শন চর্চায়। কবি দার্শনিকও বটে আবার স্বপ্নদষ্ট্রা ও সত্যদ্রষ্টাও। এক্ষেত্রে কবি মামুন রশীদ

কবিতায় সত্যদ্রষ্টার সারথি সেজে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আত্মাকে এক সুন্দরের পূজারী করে তুলেছেন। ‘চেতনার

আত্মবিশ্লেষণ’ তার কবিতায় প্রভাবিত। কখনো তিনি পৃথিবীর তাপ, চাপ, জ্বরা, ব্যাধি, পীড়ন থেকে মুক্ত হয়ে অন্য এক

জগৎ গড়তে চান আবার কখনো তিনি পৃথিবীর মানব বসতিতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে চান। যদিও তিনি কল্পনার জগতে

বিচরণ করতে পছন্দ করেন তথাপিও কল্পনা ও বাস্তবের বশবর্তী হয়ে জীবন ও জগতের রূপ সন্ধানে ব্রতী হন। যে কবি তার

কবিতায় জগৎ জীবন দর্শনের অরূপের মাঝে রূপের সন্ধান করেন তিনিই প্রকৃত কবিরূপে সাহিত্যে টিকে থাকেন। এক্ষেত্রেও

মামুন রশীদ সফলতার দাবিদার। এখানে তার একটি কবিতার পঙক্তি তুলে ধরা হলো-

‘প্রকাশ্য কি সঙ্গোপনে সর্বনাশের যে আগুন

ছুটে আসছে ট্রেনে, নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দুটো

সমান্তরাল লোহাকে মেলাতে মেলাতে গুটিয়ে ফেলে

রাতের সুটকেস। জানো তো, তাতে বিবাহিত নারীও

পরকীয়ার মতো নিষিদ্ধ হয়ে ওঠে।’

[এই বইটির কোনো নাম দিব না]

কবিতা মূলত জীবন মানুষের বাস্তব প্রতিফলিত শিল্পরূপ মাত্র। কবিতায় অনুসৃত থাকে মানুষ ও জড় জগতের জীবন-

ভাবনা-সঞ্জাত। অর্থাৎ শিল্পসম্মত ভাবরূপের রসামৃত। কবি মামুন রশীদ তার কবিতায় জীবনের বাস্তবরূপ, অন্তর্দহন,

অর্ন্তজ্বালা, জীবনের মুক্তিকাঙ্ক্ষা, আধুনিক মানুষের টানাপোড়েন, ভাব-প্রতিভাব, স্বরূপ-অরূপ ধারায় বিধৃত করেছেন। কবি

তার নিজস্ব ভাবধারায় ব্যক্ত করেছেন, জীবনের মুক্তিকাঙ্ক্ষা কি? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য তিনি সর্বদা শিল্পকে বাহন

হিসেবে ব্যবহার করেছেন, অনিবার্যভাবেই। তিনি বলেছেন-

‘টেলিপ্যাথি শব্দটি অভিধান থেকে বেরিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারে।

কাঁধে হাত রেখে হঠাৎ চাবির গোছা থেকে সঠিক চাবিটি দিয়ে দরজা খুলে

বলতে পারে, এমন সুবর্ণ সুযোগ আর আসবে না, ভেতরে আসুন। অতঃপর

ফুলের তোড়াটা টেবিলের ওপর রেখে যে কথাবার্তা বুঝতে অসুবিধে তাকে

পূর্বাভাসে, নিজের গরজেই টেনে বের করে আনবে। এজন্য তাঁকে সিগারেট

সাধতে হবে না, চায়ের পেয়ালার অস্থির ধকল সয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না

মোড়ের দোকানে।’

[এই বইটির কোনো নাম দিব না]

জীবন তো প্রবহমান। সেই আদিরূপ থেকে এখনও তার বয়ে চলা এ এক অলৌকিক চক্র। দিক থেকে দিগন্তব্যাপী অথবা

চর্যাপদ থেকে উত্তরাধুনিক পর্যন্ত যে পরিবর্তন সবকিছুই আপেক্ষিক। ভাব ও রূপের সমন্বয় সাধন করে কবিরা এ প্রবহমান

পরিবর্তনকে আত্মজিজ্ঞাসার সাথে সত্যদর্শনের চেষ্টা করেন মাত্র। এক্ষেত্রেও কবি মামুন রশীদ বাস্তবতার নিরিখে জৈবধর্ম ও

জৈবচক্রের উর্ধ্বে উঠে অন্তর্নিহিত জীববিশেষের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে চান। তাই তিনি বলে ওঠেন-

‘প্রত্নতাত্ত্বিক হারানো নগরের কাছে এলে

জীবন বদলানোর যে দমকা বেগুনিশিখা

বিচ্ছিন্ন করে রাখে মন

তাকে কোন পরিখায় আটকাবে

….

আমি মুগ্ধ, দীর্ঘমায়ায় তোমার সমুদ্র মেলানো উপমায়।’

[এই বইটির কোনো নাম দিব না]

প্রদীপের জন্ম হয় প্রদীপ থেকেই। আর প্রেম তো জন্মে প্রেমের শিখায়। প্রেম মানুষের জীবনকে করে তোলে সুন্দর ও বিকাশের

সৌন্দর্যময় উঠোন। এক অসাধারণ ঘ্রাণ এসে জীবনকে করে দেয় সুগন্ধময়, প্রাণে প্রাণে সুর বয়ে যায়, চারদিক সুশোভিত হয়ে

ওঠে; সেই ঘ্রাণই হলো প্রেম। জীবনকে গড়ে তোলে মধুময়, সজীব ও তরুণ। প্রেম তো বদ্ধঘর থেকে বাইরের সুজলা-সুফলা

প্রকৃতি। যার অন্তর্নিহিত রূপ মানুষের জীবন জগতের বিপুল সৌন্দর্যের আধার বিপুলা পৃথিবীকে করে তোলে সতেজ ও

রূপবৈচিত্রময়। আদম হাওয়া থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রেমের জয়গানে আসক্ত। বর্তমান থেকে মনুষ্য জীবন যতদিন পর্যন্ত

অক্ষুন্ন থাকবে ততোদিন প্রেম-রস-সুধা জাগরুক থাকবে। তাই কবি ‘প্রেম’ কবিতায় বলে ওঠেন—

‘শুধু প্রেম বৈচিত্রহীন- বলে থেমে যেতেই

বদ্ধ ঘরের কোনে একশিশু আনমনে ছিঁড়ে

ফেলে কমলালেবুর খোসা। তার ঘ্রাণ উপচে

পড়তে থাকে মগজে, নানারূপে, বারবার।’

[আমার কবিতা]

প্রেমহীন জীবনতো মৃতদের মতোন। বদ্ধঘরের কুঠুরিতে মরে পড়ে থাকে। এ জীবন প্রেমের পূজারী, মানুষের মানুষে দৃশ্যহীন

সূতোয় বাঁধা থাকে আমাদের জীবনের প্রতিটি জন্ম। এটাই তো ভালোবাসার দৃশ্যহীন সুতো। যে সুতোয় চলছে পৃথিবী

প্রবহমান। জলজ ধারার মতো দিকচক্রবালে নিত্য বয়ে চলে এক বিন্দু পরমেশ্বরের জল। এই জল ও প্রকৃতির সমন্বয়েই সৃষ্টি

প্রেম। কবি তার পূজারী। শুধু কবি কেন সবাই তার পূজারী। কবি মামুন রশীদ তাই ‘প্রবাস’ কবিতায় ব্যক্ত করেন-

‘চতুর্দিকে হঠাৎ দমকা হাওয়ায়

গাছের পাতাতে লিখে রাখা প্রিয় মুখ

ঝরে যায়;- শিবিরে হুটোপুটি করা শিশুর সরল চোখে

দুপুরের আলস্য ভেঙে সেইসব নামগুলো মালা গাঁথে।

কোনো দুঃসংবাদ নয়, বরং প্রতিদিন ডানা গজানো ঘুড়ি উড়ে ওঠে

মুকুরে প্রতিফলিত মিথ্যে মুখের মতো, বদ্ধ কুঠুরিতে।’

[কুশল তোমার বাঞ্ছা করি]

কবি নজরুলের মতে, কবি তো মুক্তপাগল ছন্দ। মামুন রশীদও তাই। তিনি মুক্ত বিহঙ্গের মতো যত্রতত্র ঘুরে বেড়ান। তিনি

জলধারার ভেতর, দেয়া আর নেয়ার ভেতর ও আকাশের নীলে মুক্তি খুঁজেছেন নিরন্তর। এছাড়াও মামুন রশীদ সাঁকোর

স্বাধীনতায়, স্বপ্নের ডানায় আর চাঁদ জোছনায় মুক্তি খুঁজেছেন। আসলে সকলেই মুক্তি চায়্। খাঁচার পাখি যেমন মুক্তি চায়

তেমনি মানুষেরাও মুক্তির নেশায় পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়ান। তবুও এসব ঘোর আর ঘোরের বিশুদ্ধ অট্টহাসি বৃথা বিভ্রমে ঘুরে

ঘুরে পরিশেষে চমকে উঠবেন ভোররাতে। তাই তিনি অন্তর্দহন জ্বালায় ‘মুক্তি’ কবিতায় উদ্ধৃত করেন-

‘কেনো দৃষ্টিসীমায় বেঁধে রাখার আকুতি।

ঘরের ভেতর থেকে কেনো প্রতিদিন সাঁকো বানানোর

বিপুল পরিশ্রম মিলিয়ে দিতে চাইবে হেসেখেলে।’

[আমি তোর রাফ খাতা]

অনেক প্রশ্ন এসে জমা হয় মাথার ভেতর। সাপের সাথে খেলায় মত্ত হলেই সুযোগ পেলে সাপ ছোবল মারে। কবি মামুন রশীদ

সাপের ধর্ম নিয়েই প্রশ্ন রেখে যান পাঠকের কাছে। কবি বলে যান, সাপের সাথে ঘুমিয়ে পড়ি রোজরাতে, বাটি ভরে দুধ

খাওয়াই তবুও সাপ ছোবল মারে। সমাজের মানুষের মাঝে বসবাস করে এমন মানুষ যারা সাপের মতো। তাদের যতই

ভালোবাসা যায় ততোই ছোবল মারে। যার তার ক্ষতি করে। এটাই সাপের ধর্ম। সকাল যদি হারিয়ে যায় আর সেই সতেজ

সকাল ফিরে আসে না। আমরা যতই খুঁজে চলি মানুষের ভেতর তবুও সেইসব সকাল ফিরে পাওয়া যায় না। আমাদের মনের

মধ্যেও, শরীরের মধ্যেও খেলা করে সাপ। সে সাপ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তাকে যতোই দুধ কলা দিয়ে পোষা হয় না

কেনো সে তো ছোবলের অপেক্ষায় থাকে। তাইতো কবি মামুন রশীদ প্রশ্ন কবিতায় বলে যান-

‘যে সাপটিকে পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি

রোজরাতে সে ছোবল মারে। প্রতিবেশীরা

আবিষ্কার করে দুটি সাপ। সূর্যের আড়াল থেকে

বাটি ভরে দুধ দেই, সে শুধু মনির লোভে?’

[আমি তোর রাফ খাতা]

গ্রামের মেঠো পথ কার না স্মৃতিতে ভেসে ওঠে। পথের পাশ দিয়েই ধানের ক্ষেত। এ যেন সুন্দর মনোরম দৃশ্য। এমন দৃশ্য দেখে

গ্রামের কথাই শুধু মনে পড়ে। মনে পড়ে আম বাগান, লিচু বাগান বাড়ির পেয়ারা, লেবু, আমলকি, কাঁঠাল, আম, জামের

কথা। আর সেইসব ছোটবেলার ধুলোমাখা পথের কথা। কবির মন কাঁদে সেইসব ফেলে আসা স্মৃতির দৃশ্য। ডুমুর গাছ কবিকে

হাতছানি দিয়ে ডাকে সেইসব মুখর দিরে সাথে। সেই মার্বেল খেলা, হাডুডু, কানামাছি আর বৌচির স্মৃতিমধুর দিন। আজ যেন

কেঁদে ওঠে মন সেইসব হারানো দিনের লাগি। কবির মন হুহু করে কেঁদে ওঠে মেঠোপথ আর গ্রামের হারানো স্মৃতির মধুময়

দিনের লাগি। কী যে বেদনায় কবি মামুন রশীদ হারানো দিনের কবিতায় বলে ওঠেন—

‘মেঠো পথ, যেখানে কালো পিচের আঁচড় পড়েনি কখনো

তার বাঁক ধরে হঠাৎ দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন ডুমুর গাছ

জানে না, সামনে কী রকম নীরবতা

কোন ভূমিকা নিয়ে পথ তার দিক নির্দেশক

মোরগ ঝুলিয়ে রেখেছে।’

[যা কিছু লিখেছি সব সব প্রেমের কবিতা]

আমাদের পড়ার টেবিল, আমাদের পোষা বাগান, কুড়ানো বিড়ালছানা এ যেন আটপৌঢ়ে সংসারের দলিলপত্র। এরা আমাদের

আর সব সংসারের জিনিসপত্রের মতোই দরকারি বা শখের জিনিস। কবি প্রশ্ন রেখে যান আমাকে তোমরা কি নেবে? গানের

স্কুল, বকুলের গন্ধ, শন পাপড়ি, সূর্যঘড়ি আমি তোমাদেরই মতো। তোমরা কি আমাকে নেবে? নেবে না। এইসব পথ আমারই

মতোন। আমি কেনো পথ হারাবো? এই পথ, এই বাড়ি, এই আসবাবপত্র সবার সাথে আমাদের সংসার। সংসারের অন্যান্য

জিনিসের মতোই আমরা। হয়তো হারিয়ে যেতে পারি। এইনব চেনা জিনিস আমাকে পথের সন্ধান দেবে। কবি তাই মনের

আকুতি জানিয়ে কবিতার পঙক্তিতে লিখে গেছেন

‘আমাকে কে নেবে? সহস্র মাইলের ব্যবধান ভেঙে অদ্ভুতভাবে

লেপ্টে যেতে থাকে বুনো বকুলের গন্ধ। পড়ার টেবিল, পোষা বাগান,

কুড়ানো বিড়ালছানা, গানের স্কুল অভিজ্ঞানের শনপাপড়ি পথ দেখায়।

ধাপে ধাপে ইমামবাড়ার সুদীর্ঘ সিঁড়ি পেরিয়ে জড়িয়ে বসি সূর্যঘড়ির কাছে।’

[যা কিছু লিখেছি সব সব প্রেমের কবিতা]

মামুন রশীদ কবিতার উপমা হিসেবে পৌরাণিক মিথ ব্যবহার করেছেন। সাথে বাংলার ঐতিহ্য ও জিনিসপত্রের দোষ গুণ

ইত্যাদির ব্যবহারও লক্ষণীয়। যেমন ইমামবাড়ার সুদীর্ঘ সিঁড়ি, পেপার ওয়েট, অভিজ্ঞানের শনপাপড়ি, স্টেশন, কমপার্টমেন্ট,

ব্যর্থ লোকপুরাণ, রূপকথা, হাড় হিম করা ফটোগ্রাফি, লুতুপুতু ভাবনা, প্রণয়ের বিকেল, রোদ্রের ঝিলিক জটিল নিদ্রা, স্মৃতির

পাঠশালা, সরলরেখা অবস্থানে, ভোজবাজি সাপ, বিশুদ্ধ অট্টহাসি, পরাবাস্তব বাঁশির সুর, বসন্তের শিমুল, স্বর্গের দুয়ার,

জুলেখার সখীরা, আটকে পড়া বুনো ঝড়, মুগ্ধ ধারাপাত, অসমাপ্ত চুমু, বুদ্ধের ঘুম প্রভৃতি শব্দ কবিতায় ব্যবহার করে

কবিতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। কবি হিসেবে মামুন রশীদ প্রবলভাবে পাঠকের হৃদয়ে টিকে থাকবেন বলে আমার

বিশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *