এক ঝুড়ি ছড়া/ মাসুম আওয়াল
একটা সফল ছড়া লিখবো
ছড়া মানে ছন্দ দিয়ে
এটার সেটার মিল না
ছড়া ভীষণ কঠিন বিষয়
সচ্ছ পানির ঝিল না।
ছড়া নিয়ে যতই ভাবি
ততই বাড়ে চিন্তা
একটা সফল ছড়া লিখবো
হবে যে কোন দিন তা।
একটা ভালো ছড়ার জন্য
পাকাচ্ছি হাত রাত দিন
কেউ বলছে ছড়া ছাড়ুন
গল্প লেখায় হাত দিন।
কারো কথায় কান না দিয়ে
ছড়াই লিখে যাচ্ছি
ভাবছি কবে কাঙ্খিত সেই
ছড়ার দেখা পাচ্ছি?
ছড়ার মতো ছড়া নিজেই
দিক বিদিকে ছোটে
সেই ছড়াটা উঠবে বেজে
ষোলো কোটি ঠোঁটে।
শব্দের আবদার
শব্দগুলো বললো ডেকে
বানিয়ে দাও ছড়া,
বললো, তাদের ইচ্ছে। হবে-
খোকা-খুকীর পড়া।
বললো হেসে তাদের মনের
ইচ্ছে ছিলো যতো,
বললো, আরও লাগবে গতি
ছুটবো ঘোড়ার মতো
।
নিরানন্দ ভবঘুরে
জীবন থেকে এসে,
থাকতে চায়লো শব্দগুলো
মিষ্টি ছড়ার দেশে।
কিছু আবেগ মমতা আর
মায়া ছড়িয়ে দিয়ে,
খেলতে লাগলো এক ছড়াকার
শব্দগুলো নিয়ে।
ভাবনা আবেগ কল্পে গল্পে
উঠেছে সে মেতে,
ছন্দের একটা সুতোই তাদের
ফুলের মতো গেঁথে।
পর্বে পর্বে ভাগ করে দেয়
মজার কিছু মিল,
শব্দগুলো ছড়া হয়ে
জুড়িয়ে দিলো দিল।
ছাতার ব্যবহার
আকাশে খুব মেঘ করেছে
বাঁচাতে চান মাথা?
বৃষ্টি যখন যেদিক পড়ে
সেদিক ধরুণ ছাতা।
বুক ফুলিয়ে হেঁটে যাবেন
ভিজবেন না আর
শিখতে পারেন যদি সঠিক
ছাতার ব্যবহার।
সেই মা এই মম
কালো রঙের চাদর পরে
নামতো যখন রাত,
মায়ের ঠোঁটে ঝরতো রঙিন
ছড়ার ধারাপাত।
মুখ লুকাতাম মায়ের কোমল
বেহেস্তি ওই বুকে,
চোখ জুড়ে ঘুম নামতো তখন
কী সুখে কী সুখে।
সেসব ছড়ায় মানুষ গড়ার
কত আয়োজন,
ঘুমাপাড়ানী কত ছড়া
জাগিয়ে গেছে মন।
সেই ঘুমেরা কোথায় গেছে
চোখের নিচে কালি,
বড় হলে ঘুমরা পালায়
ঘুমের বাড়ি খালি।
কার মামনি ছড়া পড়ে
আজও পাড়ায় ঘুম,
মায়ের ডাকে চাঁদ মামা দেয়
কার কপালে চুম।
খোকা খুকী- ছড়া শোনায়
এখন মামাম মম?
নাকি এখন ছড়ার মূল্য
কমেছে একদম।
জন্ম আমার
জন্ম আমার একটা ছড়ার দেশে,
ছন্দে সুরে বেড়াই ভেসে ভেসে।
সেই দেশটা তোমায় দিতে চাই,
আমার ছড়ার দেশটা নেবে ভাই।
এই দেশটা ফুল ফসলে ঠাসা,
ডালে ডালে হাজার পাখির বাসা।
কত পাখি কত রকম গান,
নৌকা নদী সাগর ও সাম্পান।
বন জঙ্গল পাহাড় পাবে আর,
বনে পাবে ফুল চিতা,টাইগার।
বানর ময়ূর হরিণ কত কিছু
ভালোবেসে নেবে তোমার পিছু।
এই দেশটা তোমায় দিতে চাই,
আমার ছড়ার দেশটা নেবে ভাই।