কবি ও কথাসাহিত্যিক দীলতাজ রহমানের আজ জন্মদিন


🔻

কোন কোন সাহিত্যিক জীবন থেকে শিল্পবোধ নিয়ে সাহিত্যিক হয়ে ওঠেন। তখন সাহিত্য হয়ে ওঠে তার ধ্যান-জ্ঞান, জীবনের পরমবন্ধু ও জীবনবোধের আশ্রয়। এমনই একজন সাহিত্যিক দীলতাজ রহমান, যে কিনা- নিজের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে শেখাতে তাদের ফেলে দেয়া কাগজের সদ্ব্যবহার করতে গিয়ে কবিতা-গল্প লেখা শুরু করেন। আর সেই শুরু থেকেই এক এক করে প্রকাশিত হয়েছে ২৬টি বই।
দীলতাজ রহমান এর জন্ম ১৯৬১ইং সালের ১৭ সেপ্টেম্বর; গোপালগঞ্জ জেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে। মা রাহিলা বেগম। বাবা সূফী ভূইয়া মোহাম্মদ জহুরুল হক। ব্যক্তিগত জীবনে দীলতাজ আশিক, ফারহানা, ফারজানা ও আরিফ এই চার সন্তানের জননী। আর এদের বাবা এ, কে, ফজলুর রহমান ছিলেন একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার।ফেনীর সোনাগাজীতে অবস্থিত ধলিয়া, ডাক্তারবাড়ির বউ দীলতাজ রহমানের শ্বশুর ডাক্তার তফাজ্জল আহমদ। শাশুড়ি ছিলেন করিমননেসা। দীলতাজ রহমান ‘বিট মাস্কট প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক একটি সফ্টওয়্যার ফার্মের চেয়ারম্যান।কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু করলেও পাঠকমহলে তার গল্পই বেশিসমাদৃত হয়। গল্প নির্মাণে যে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার পরিচয় তিনি দেন, প্রতিটি গল্পের সাথে জীবনের যে ঘনিষ্ঠতা তিনি ফুটিয়ে তোলেন, তাতে শুধু ভালোলাগা নয় পাঠককে অবাক করেও ছাড়েন।একদিকে ভাবপ্রজ্ঞার দীপ্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, অন্যদিকে অসাধারণ কুশলী বয়নে রচিত দীলতাজ রহমানের গল্পগুলো পড়ে পাঠককে অভিভূত করে ছাড়ে। তাঁর সর্বশেষ বইটির নাম ‘তারান্নুম’। যা একুশে বইমেলা ২০১৮ এ প্রকাশিত।তাঁর লেখা গল্পের বইসমূহ- ধূসর আঁচলে চাবি, বহুকৌণিক আলোর সংঘাতে, বৃত্তভাঙার আয়তন, মেঘের মেয়েরা, ফেরার ঘর নেই, নীলকণ্ঠ নাগ, গহিন দূরত, তারান্নুম।এছাড়া আছে তার আগের সাতটি বইয়ের একটি একত্রিত সংকলন, যা ‘দীলতাজ রহমানের গল্পসমগ্র ১’ নামে প্রকাশিত।কবিতার বইসমূহ- জনকের প্রতিচ্ছবি, আশ্চর্য সর্বনাশ, সবুজের সাথে সখ্য, এ গোলাপ তোমার জন্য, পারিজাত অপরাজিতা, রৌদ্রজলে মরিচিকা ঢেউ, বৃষ্টি এসে, ওই দুটি চোখ আমার সীমা লঙ্ঘনের ঠিকানা, রাতান্ধ বিড়াল, আমি কদমফুলের ঘ্রাণ চাই, এ মাটি শেখ মুজিবের বুক।শিশুতোষ বইসমূহ- একটি পাখির ডাকে, সোনার মেয়ে করিমন, ভালো ভূত, মা আমার চোখের আলো, পটলের হারিয়ে যাওয়া। গুণী এই কথাসাহিত্যিকে কাব্যশীলন পরিবারের পক্ষ থেকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *