নাহিদ মিশুক এর কবিতা
যে আর্তনাদ পৌঁছায়নি
অসময়ে হেসে ওঠে অপর পৃষ্ঠার ট্রাজেডি আর্তনাদ।
সুখ গল্পরা ঝুলে আছে নিষ্পাপ অপসেটে।
টিকে যাওয়া দুপেয়ো,
মজবুত শক্তি সমৃদ্ধতায় ধ্বংস করছে ভূপৃষ্ঠের নরম পাললিক।
মঙ্গলটাও কেঁপে ওঠার অপেক্ষায়।
বিলুপ্তির তালিকায় শুধুই মনুষত্বের ইতিহাস।
অহংকারী যান্ত্রিক প্রাণীর প্রতিধ্বনি,
খামচে ধরে মেরুদণ্ড,হায়েনা পালায়-
ধেয়ে আসে গন্ধ,
ভাঙা কবরে কেবল তরতাজা প্রেমের ক্ষত!
সব প্রেমিকাই তুমি
কবিতারা ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে
কবি তারা ছন্দ নিয়ে দ্বিধায় জড়িত
কল্পনায় রমণীর কাম রূপ দেখা শেষ
ভালোবাসার হয়েছে যেখানে দাফন
মেঘ বিজলির সন্ধি নেক্রোপলিসে।
দূর্গার প্রেমের গন্ধে ম ম করা শহর
ধুলাবালিহীন নির্জন সভ্যতা
কেউ নেই। সঙ্গ পাবার সম্ভাবনা মৃত।
মনে মনে বহুবার হেঁটেছি,
নীলটুলি, ঝিলটুলি, খাবাশপুর, কমলাপুরের অলিতে-গলিতে
ক্লান্তি এসেছে।
চোখ বুজে চোখ মেলে তাদের দেখার-জো নাই।
এখন কেবল কলম ধরলেই পাই;
প্রেয়সীর নাভিকূপ অঞ্চলের মতো বিশুদ্ধ কাগজে লিখেছি,
পৃথিবীর সব প্রেমিকাই তুমি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।
স্বপ্ন
স্বপ্ন সত্যি হতে হতে স্বপ্নের মালিকের স্বপ্ন হবার সময় চলে আসে
নরম পাতলা চটপটে চামরার নীচে তারা যুগল অবাক!
মানুষ বলে,চোখেই স্বপ্নের আবাস-নিবাস-বসবাস।
র্যাপিড আই মুভমেন্ট যাই হোক, যেখানেই হোক
নেশার মতো ছড়িয়ে যায় রক্ত কণিকায়, মস্তিষ্কে।
তবে কি আমি স্বপ্নেই থাকি?
রুদ্র’র বই, চকলেট বক্স, একাকী গোলাপ হাতে তুমি।
এগুতে পারি-পারো না।আটকে গেছি-গেছো। মনের কোণে-বিষণ্ণতা-স্তব্ধতায়।
কিন্তু, আমার ইহলোক-পরলোক তোমাকে ঘিরে গল্প গাঁথে-
উপন্যাসের চরিত্রের মতো ইশ্বর এমন দূরত্ব এঁকে দিলো;
বাস্তবে তো বিশুদ্ধ দেবী। ছোঁয়ার সাধ্যি কারো নেই,
স্বপ্নে আপন দূরত্ব মাপা এপার-ওপাড়।
সৎকার
বাবুইটা এই সন্ধ্যায়ও ফেরেনি ঘরে
অপেক্ষায় প্রতিটা মুহুর্তকে যুগ মনে হচ্ছে,
গুঞ্জন শোনা যায় কাঁটাতারের ওপাড়ে ভিন ভিন করছে মাছি-পিঁপড়া!
আমাদের আর হুঁশ হলোনা, রক্তে মিশে গেছে দাসত্ব।
বরণ করেছি “প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’র” বানীতে পঙ্গুত্ব।
মৃত্যুই মুক্তির পথ।
যুদ্ধের সাহস হারিয়ে গেছে প্রেমিকার গোলাপী ঠোঁটে
সন্ধি জন্য থাকতে হয় পারমাণবিক হৃদয়;
কারুকার্যে তুলনায় ফ্ল্যাটবাড়ির ঘুলঘুলি শ্রেয়।
বাবুইটা এখন খবর।
সৎকরের জন্য ঈশ্বরের পৃথিবীতে কোথাও দু-গজ মাটি নেই।
great and fast! A+
ভালোবাসা প্রিয়