বাঙালি মুসলমান : আপন ভুবনের সন্ধানে ঐতিহাসিক গ্রন্থ উদ্বোধন
বাঙালি মুসলমান : আপন ভুবনের সন্ধানে ঐতিহাসিক গ্রন্থ উদ্বোধন করলেন উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যাল ও সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ইতিহাসবিদ খাজিম আহমেদ রচিত উদার আকাশ প্রকাশনের ঐতিহাসিক গ্রন্থ “বাঙালি মুসলমান : আপন ভুবনের সন্ধানে” আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যাল ও সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল এবং উদার আকাশ প্রকাশনের কর্ণধার তথা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক ফারুক আহমেদ।
দেশ-বিভাগ পরবর্তী পশ্চিমবাংলার জাতিসত্তা বিষয়ক অনন্যসাধারণ প্রাবন্ধিক ইতিহাসবেত্তা, উপমহাদেশ বিষয়ক সমাজবিজ্ঞানী খাজিম আহমেদের দীর্ঘজীবনচর্চিত অজস্র প্রবন্ধাবলীর মধ্য থেকে ১৮টি দিক-নির্দেশক, কঠোর পরিশ্রমজাত প্রবন্ধ এই গ্রন্থটিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
অনির্বচনীয় প্রকাশ স্টাইল, তার শব্দ ব্যবহার, দুর্বোধ্য প্রবন্ধ পাঠ-কেও সুখপ্রদ করে তুলেছে। বাঙালি মুসলমানদের বড়াে দুর্ভাগ্য হচ্ছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিসেবে তাদের বিলম্বিত উত্থান। এখনও সেই বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গে অনেকাংশে প্রযােজ্য। সেই ‘পরাভব চেতনা থেকে মুক্তির পথসন্ধান করা হয়েছে, ‘বাঙালি মুসলমান : আপন ভুবনের সন্ধানে’—নামক এই বিস্ফোরক গ্রন্থে। অসাধারণ মননদীপ্ত এই প্রবন্ধগুলাে খাজিম আহমেদের স্বীয় মনস্বিতার দ্বারা অর্জিত সম্পদ আর ওজস্বিতার ফসল। খাজিম আহমেদ-এর প্রথম প্রবন্ধ সংকলন ‘পশ্চিমবাংলার বাঙালি মুসলমান : অন্তবিহীন সমস্যা’, ‘উদার আকাশ’ প্রকাশন থেকে দ্বিতীয় সংস্করণটিও প্রকাশিত হয়েছিল উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যাল ও সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল মহাশয়ের হাত দিয়ে। গবেষণালব্ধ গ্রন্থটি উভয়বঙ্গে ব্যাপক সমাদৃত। গবেষকদের প্রথম পছন্দের ‘রেফারেন্স’ গ্রন্থ হিসেবে মান্যতা পেয়েছে।
“বাঙালি মুসলমান : আপন ভুবনের সন্ধানে” খাজিম আহমেদ রচিত গবেষণা গ্রন্থটিও পাঠক দরবারে সমাদৃত হবে জানান, উপাচার্য ও সহ উপাচার্য।Attachments area