বইমেলা ২০২০- এ পাওয়া যাচ্ছে পলাশ মজুমদারের গল্পগ্রন্থ হরিশংকরের বাড়ি

পলাশ মজুমদারের গল্পে অতীত-বর্তমান মিলেমিশে একাকার। পাঠক ধন্দে পড়ে যান—এ সময়ের গল্প পড়ছেন, না চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশের দশকের। পরক্ষণেই অতীতের অভিঘাত টের পান সমকালে, তাঁর নিখুঁত উপস্থাপনা ও সাবলীল বর্ণনায়। বর্তমান তো অতীতেরই ধারাবাহিকতা, যেমন ভবিষ্যৎ বর্তমানের। পলাশ অতীতের তিক্ত ঘটনাকে সুকৌশলে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন সমকালীন বাস্তবতার সামনে।

পাঠককে মানতে হবে কতটুকু ইতিহাস, ভূগোল ও সাহিত্যের পরিধিতে বিচরণ থাকলে পলাশের হাতে উঠে আসতে পারে এমন শিল্পগুণসম্পন্ন ও মর্মস্পর্শী গল্প; যেন আয়নায় নিজের মুখ দেখা। পাঠক তালগোল পাকিয়ে ফেলেন অনেক সময়। কখনো অস্বস্তিতে পড়ে যান গল্পের শুরু এবং শেষ নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি অবস্থান করেন পাঠকের অনুমানের বাইরে। পলাশ সমাজমনস্ক, রাজনীতির ধার ধারেন না। তবু তাঁর লেখায় সূক্ষ্মভাবে চলে আসে রাজনীতি। পর্যবেক্ষণশীল পাঠকের কাছে তা ধরা পড়ে অনায়াসে।

পলাশের লেখায় প্রকাশ পায় প্রচলিত সমাজব্যবস্থার প্রতি রাগ-ক্ষোভ-বিদ্রুপ। ধর্মকে তিনি আঘাত করেন না, আঘাত করেন ধর্মীয় মুখোশের আড়ালে ভণ্ডামিকে। ধর্মের নামে মানুষে-মানুষে বিদ্যমান ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষের চিত্র আঁকেন রাখঢাক না রেখে, কারো পক্ষাবলম্বন না করে। পলাশ দার্শনিক নন, তবে তাঁর লেখায় দার্শনিকতা স্পষ্ট।

পলাশ মজুমদারের গল্পগ্রন্থ : হরিশংকরের বাড়ি
প্রকাশক : বিদ্যাপ্রকাশ
প্রচ্ছদ: মোস্তাফিজ কারিগর
মূল্য: ২০০ টাকা
প্রকাশিতব্য-কাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০
মেলায় বিদ্যাপ্রকাশের স্টল নং: ২৬৬-২৬৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *