ইলিয়াস ফারুকীর একগুচ্ছ কবিতা।

কবিতায় বসবাস

কবিতার উৎকোচ নিয়ে ভেবেছি অনেক
কলি থেকে ফুল হওয়া অব্দি
মূর্ছনায় অবগাহণ করে নিম তেঁতো স্বাদ
এবং ক্রমশ অদৃশ‍্য ছায়ারা
সন্ধ্যা চাঁদরে আমাকে অবগুণ্ঠিত করেছে।
একি ভ‍্যানগগ, নাকি জয়নুল!
মোনালিসা না দূর্ভিক্ষ!
এ নিয়ে দ্বন্দ্বে কুপোকাত,
তবুও কবিতা আমাকে ছাড়েনি
কিংবা আমি কবিতাকে।
রহস‍্যের সুক্ষ কলঙ্ক নিয়ে
আজো আমি স্পন্দিত হই,
কেঁপে কেঁপে উঠি নীরব
স্পর্ধার শিল্পীত বৈভবে।

প্রেম

আশ্চর্য আলোয় এক জোড়া হাঁস
তিরতির করে ভেসে যায়
ঢেউ আর জলে এবং
জলকেলির পরে পাখনা ঝাপটে
নিজেকে ধোপ দূরস্থ করে নেয়,
পরবর্তী লক্ষ্যের বিন্দুতে যেখানে
অপেক্ষা বুনো ঘ্রাণ আর প্রেম।
মেঘের গম্ভীর ডাকে পদব্রজের
সকলে বজ্রের হুংকারে
মাথালে আশ্রয় নেয়,
তখন হংস জোড়া মেতে উঠে
ভীষণ আবেগে, মগ্ন চৈতন্যে।

মনুষ্যত্ব

ফি বছর মানুষের সংখ্যা বাড়ে
সেই সাথে তাল রেখে বাড়ে
গবাদির পাল এবং তৃণলতা,
মনন বাড়েনা! বাড়ে শুধু কথা।
বেড়ে উঠা ঘনঘাসের আড়ালে
অবহেলায় পড়ে থাকে সদ‍্যজাত!
সারমেয়, আনন্দে নৃত্যকরে তালে,
আহা, এইতো রজনীগন্ধা রাত।

মৃত্যু

খটখটে শুকনো মৃত্তিকা,
এইতো মানুষ আনন্দে ভাসিয়ে গা
হারিয়েছে তার হুঁশ।
মৃত্যু এলে সবই বেকার,
হতে হবে তুস কিসের দেমাগ
সময় লাগেনা হতে ফুঁস।

প্রার্থনা

যেমন করে ডুব সাঁতার দিয়ে
দম নিতেভেসে উঠে শুশুক,
ঠিক তেমনি হানাহানি ছেড়ে
শ্বাস নিয়ে মানুষ হোক মিশুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *