ঈদসংখ্যার কবিতা।। সুয়েজ করিম

১. মালতী

মালতী –
খুলে দাও আজ নয়নের সব দ্বার
দ্যাখো – খরিদ করেছি নির্জন অন্তরীপ
তোমার নামে হৃদয়ের খতিয়ানে –
অসীম আকাশ সুনীল দিগন্তে…
পাল তুলে যায় শূন্যে ছেঁড়া মেঘ,
উত্তাল সিন্ধু , প্রগাঢ় পাহাড়, গগন ললাটে চাঁদ
বাতাসের ঠোঁটে নিঝুম রাতের সুর
অনিন্দ্য তোমার চোখে
চেয়ে চেয়ে ঢের কাটিয়ে দেবো কত যে অসীমকাল।

২.শিমুল হৃদয়

তুমি বহুবর্ষী শ্বেতশুভ্র কাশফুল হও
আমি হব ঢেউহীন নৈঃশব্দ্য সুপেয় নদী;
আমার শুকনো রুক্ষ পাঁজর মলাটে
এঁকে যাও বালিয়াড়ি শহর জুড়ে হৃদয় বাড়ি
অঙ্কুরোদয় হোক তোমার নিষ্কণ্টক সৌধমালা,
পুষ্পশোভিত কুন্তলা ভূষণ তোমার
সফেদ উদার পাড় কায়ার ছায়া
ছুঁয়ে যাক আমার ওমের শরীর।
সূর্যের প্রস্থানে – জ্যোৎস্নার বিবসন
সংগীতে আমন্ত্রিত হব…তারা ফোটা রাতে
জলজ চুম্বনে উষ্ণ মাদকতায়
আমার নদী হৃদয়ে গুঁজে নেবো তোমায়
পাঠ করব অনন্তের পথ জলের ঠোঁটে
তোমার শিমুল হৃদয় – আকাশের উচ্চারণে।

৩ প্রণয় মিনার

মোমের মতোই
গলে পড়ে-
তোমার কংক্রিট হৃদয়ে
আমার প্রণয় মিনার;
ঈশান কোন জুড়ে জমে থাকা মেঘ
যতই দিখ না সিংহ নিনাদ
নড়বে না আমার বোধের নহর।
সুলভ মনে, মুষ্ঠিবদ্ধ বাতাসে
বৃদ্ধ পৃথিবীর মায়াবী কোলে
অনড় আমি আদিগন্ত
জলপদ্মে টলোমলো শিশির ফোটায়
মমি হই ধীর লয়ে-
নেট্রন হ্রদের মতোই,
থেকে যাবো পৃথিবীর অস্ত যাওয়া অব্দি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *