ঈদসংখ্যার কবিতা।। মাহফুজ রিপন

দুনিয়ার বুক

প্রতিদিন ভোর এলে নতুন মানুষ হয়ে উঠি
সবুজের অর্থ খুঁজে চলি- নিসর্গের বাথানে।

জীবনের অর্থ- এখনি; না হলে কখনোই নয়!

ভারি মেঘ অস্তিত্ব জানান দেয় সময়ের হরষে।
আদরের পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের খেলা
সতেজ হয়েও রেহাই নেই শত-জঞ্জাল বুকে।

নীল কষ্টের পাখি উড়াল দেয় আকাশে
পড়ে থাকে পুরাতন শ্বাসকষ্টের অসুখ।

আপন নিয়মে চলে আসে শিশু ভোর
চোখের জলে তাজা হয় দুনিয়ার বুক।

মোহিনীর মোহনা

মোহিনী তোমার রুপ দর্শনে আত্মার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলাম একবার। দেখা মাত্র মনে হলো যেন মাউন্টেন রোলার কোস্টারে চড়লাম তারপর গড়াতে গড়াতে বরফ সাগরে এসে পড়লাম। ক্রাস খেয়েছি, কষ্ট পেয়েছি কিন্তু ভয় লাগেনি কখনও। এরপর চোখবুজে তোমার সরব কল্পনা করেছি কতো কাল।

মস্তিষ্কের ভেতরে ছবির মতো ঝুলে আছে তোমার পাঁচ ফিট তিন ইঞ্চি মাধবী শরীর। হিমেল ছোঁয়ায় ভেতরে ভেতরে বদলে গেছে জীবাত্মা থেকে পরমাত্মার রসদ। মোহিনীর মোহনায় চল্লিশ বছরের পুরনো রুহটা যখন ভেসে উঠলো তখন প্রেমের হুস ছিলো না।

গোলরক্ষক

কানপেতে শুনছি অহর্নিশ-
ম্যাচ জেতার সবুজ কৌশল।

ভেতরের কুকুরটা পাল্টে গেলে
জয়ের শেষ আলো নিভে যাবে।

বলটা মাঠে গড়ালে একাদশের চিন্তাও বদলায়
পায়ে পায়ে দৌড়াই- ডি-বস্কের ভেতর বাহির।

মাঠের দুই গোলার্ধে দুজন দাঁড়িয়ে রয়েছি
অবস্থান টের পাইনা; ফের গোল হয়ে যায়।

আক্রমণ প্রতি আক্রমণে মাঠ গরম
রক্ষণভাগ ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।

কেউ হাসছে, কাঁদছে, মৃদুতিরস্কার
হেরে গেলেই ম্যারাডোনার ভেলকি।

শেষ বাঁশি বাজলে কোচ শুধালো- পোস্টের নিচে
কল্পনায় নিজের অবস্থান টের পেলে মাঠে খেলতে
এসো- না হলে হাতের গ্লাবস দুইটি খুলে ফেলো।

গ্যালারি থেকে রাস্তায় মানুষ বেরিয়ে আসছে-
সবার মুখে একটাই কথা গোলকিপার বদলাও!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *