ঈদসংখ্যার কবিতা।। বঙ্গ রাখাল
নিঃসঙ্গ লাগে
মিরপুরের আকাশে চাঁদ ওঠে- জেগে থাকা পুরুষের চোখে
হার্টের ব্যথায় ভুগছে প্রেমিক- প্রেমিকা ওপারে প্রহর গোনে…
ধুকফুক বুকের কাছে নির্ঝররাত ফুরিয়ে যাচ্ছে-
ভোরের একান্ত কাছে তুমি- অন্ধকারকে ঠেলে দিচ্ছ- দীর্ঘ হতে…
জন্মতিথি ফিরে যায় শিহরণ কালে- দৃশ্যের ফ্রেমে বন্দী জীবন…
এক ভাবনাময় জীবনের সাথে
আমরণ লড়াই করে বাঁচা।
প্রিয়দিন- প্রিয়রাত
কিংবা
প্রিয় মানুষও- হারিয়ে যায় দূরে…
একাকি পথ খুঁজে খুঁজে হয়রান
সব আছে তবু নেই
নিঃস্বজীবন- নিঃসঙ্গ লাগে…
মসলিন
আমার জ্ঞানের কথা জানতে চাইলে- শূন্য
আঙ্গুলে জড়িয়ে আছে মসলিনের রেণু
ইতিহাস স্বাক্ষী- বাবার ডান হাতে আঙ্গুল নাই
মিশে আছে কোন এক শাড়ির ভাঁজে…
হাতের ডাল- যাকে জেনেছি–আজ তা শুধু মোতা
রক্তদুঃখে চারিদিকে কিনি অন্ধকার…
বাবাই আমাদের বৃষ্টির ছাতা- অসহায় জীবনে…
শূন্য আমি
১.
তোমার মত করে একটি বাঘের ছবি আঁকার তীব্র ইচ্ছা মনে…
ছরিকাঘাত-চলন্ত ট্রেন থেকে আঁচড়ে পড়তে পড়তে -তুমি
ছিন্নভিন্ন মস্তকে- তাকালে আমার পানে
দাঁতের কোণে-জমে আছে ডায়নীয় তীক্ষ্নতা…
চিত্রকর হয়ে তুমি আঁকতে পার এই চিত্র কিংবা
ভেঙেও ফেলতে পার তোমার চোখে দেখা
ঘরের আলমারিতে রাখা দাদীর সেয়ানা ফটোগ্রাফ…
গর্জন করতে করতে দাঁড়িয়ে গেছেন- বৃক্ষের সহজাত মন
সাথে সন্ন্যাসী বা অহেতুক চোখের অন্ধতায় ঘনিভূত ধোঁয়া…
২.
তখন আটটা বাজেনি
মূলত দেওয়াল ঘড়িটা বলে কথা
নিঃসঙ্গ ঘড়িটার পাশে নির্মম সময়
ঘোড়ার বেগে দৌঁড়ায়…গোপনে বাড়ায় নিজেদের আবেগ
প্রথম অশ্বারোহী অনেক দূরে দ্বিতীয়র চেয়ে-
এই হাত রহস্যে-তুমি সস্তা আর আমি শূন্য…