ঈদসংখ্যার কবিতা।। এনাম রাজু

নীরবতার চাঁদ

অথবা চাঁদ পোড়া ঘোমটা পরা আগুন
না চেনো সুজন
না চেনো অবুঝ
উপরে তাকিয়ে পোড়াও নিশ্চুপ।

কয়লা ময়লা নাকি আপেল মন
ফুলস্টপ সরিয়ে হাঁটো কবরের দিকে লাল সহযোগে এগুতে এগুতে
ভুলে যাও আইন্সটাইনের গবেষণা ঘাম
না বুঝ বড়
না বুঝ ক্ষয়
চিনতে জানো না পায়ের চিহ্ন
লাশের সুসজ্জিত গ্রাম।

ভূতের মন্ত্র ভুলে গুনগুনিয়ে
আমাকে একাকী নীরবতা দাও
বিড়াল পায়ে ঘিরে, ঘুরাও।

জনগণ নতুন বউ

দাউদাউ জ্বলে ওঠে লাল, পোড়ে অধিক
বোঝে না ভুল, আলোআঁধার বইবাগান
মৃত শরীর…।

ফোঁস ফোঁস করে ওঠে নতুন বউ
কাঁধে চেপে সাপসমাজ
যেনো জনগণ কল্পিত উন্নয়ন
পা, চোখ, হাত, নাক আরও
দেহমনের মাজার বাজার

দাউ দাউ করছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র
বেহুলাও বেহুশ
বুকভরা সুর নিয়ে গানের খাতা
অবহেলায় লুটোপুটি
কণ্ঠও বিলীন

মিছিলে গড়ে ওঠে লাশের গ্রাম
আইভিলতায় ঘেরা ঘর
মানচিত্র জুড়ে খেলা করে
স্বাধীন স্বার্থপর

ফোঁসফোঁস নাকি আগুনের চেয়ে
পোড়ে ছাইবিষের ধিক।

দৌড়

মানুষ দৌড়াচ্ছে! লবণ ঝরছে
ভিজে যাচ্ছে পা
ঠিক হরিণশিশু

অথচ শ্রাবণ, ঘরবন্দী থাকার কথা
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডাকছে
চারদিক থৈ থৈ

সব ঢুবে যাচ্ছে! দুইশত ষাটটি হাড়
গলা অব্দি লবণজল
অনুনয়ে থাকে অধিক

অথচ বুকের ভেতর হাহাকার, মরু
নত হতে হতে চাটছে
প্রভু ভেবে নিজের পা
অথবা পাপোশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *