ঈদসংখ্যার কবিতা।। মাহফুজুর রহমান সৌরভ

আশ্চর্য জলছবি

শব্দের রানওয়ে জুড়ে এখানেই থেমে যায়
তোমার আমার গোপন ভূমিকা
তথাপি তুমি আমি ভেঙেছি বৃত্তের খোলস
ঐশ্বর্যময় অবনত জলের বিহারে..
তোমার অরণ্য বীথি বুক ছুঁয়ে
খুঁজে পাই পৃথিবীর আশ্চর্য জলছবি
প্রকৃতির এ নিগুঢ় রহস্য ঘেটে
আমরা হেটে যাই মোমের স্বভাবে
জলবায়ু উষ্ণতায় সময়ের যৌথ খামারে।
রুপালী জ্যোৎস্নার অভ্রভেদী মায়াজাল
ঘিরে রাখুক আমাদের সমতল বন্ধন
জলের সমাহার
অভিবাদন তোমাকে শব্দমন্ত্র গেঁথে দিলাম
আমার গৃহস্থলি কসরৎ দেখে
কি অবাক কান্ড!
তুমি সূর্যরঙা হয়ে উঠো।

স্বরুপে স্বপ্ন দেখা

একদিন হঠাৎ ঘুমিয়ে যাবো
নির্ঘুম রাত; সবাই জানে কি ভাবে
একটি বাক্য তৈরি করতে হয়
মুখ ও মুখোশ যে পড়ে এবং ভেঙে যায়
যে অলৌকিক মায়াজালে
আমি নিজেকে মানুষের সাথে
আপনার জানাজায় যেতে চাইনি।

রাতের করুণ বিউগল শুনে
কি যেন দেখার অপেক্ষায় রইলাম
যদি ও সময় নিজেই ডুবে যায়।
পরে আলো জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম
পদস্খলন এবং অতল গহ্বরের সাথে বেঁচে থাকার অনুভূতি।
আমার অস্থির চোখ অবিরাম পেন্ডুলামের মতো যা সময়কে গ্রাস করে।

শূন্য দশমিক সাত

যেমন চাঁদ তার চুমু দিয়ে যায়
রাতের ললাটে –
তেমনি আমিও হাত বাড়িয়ে দেই
শেষ ভোরের তারা পর্যন্ত।
ঘোর আনন্দে এতটাই ম্লান হয়েছি
পোয়াতি রাতের ঠোঁটে – চাঁদের চুম্বন!
গত জন্মের গ্লানি মুছে – ফের পূর্ণজনম
তুমি তোমার অন্তর চক্ষু দিয়ে
চেষ্টা করো
যার মধ্যে তুমি আমাকে খুঁজছো
আর আমি নিজেকে হারিয়েছি
জন্ম – জন্মান্তরে

সেই আশ্রয়স্থল যেখানে আমরা
এখনো খুঁজে পাচ্ছি না
তাকে নিঃসঙ্গ, সম্পূর্ণ নির্জনে দ্যাখো এবং আমি এখনও তোমার জন্য অপেক্ষা করছি…।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *