আবু জার মো. তালাল এর অ্যাক্রস্টিক সনেট

পুতুল খেলা

তুমি পুতুলখেলায় একদিন দিয়েছিলে ডাক
মিলিয়ে কচুরিপানা দুটি আনিয়েছিলে আমায় ;
এলোমেলো বেশবাসে দিয়েছিলে নানা রূপ আঁক
ইতিহাস ভুলেছে সে কথা তবে আমি নই হায়!
জীবনের কটা দিন খেলার সময়ে ছিনু সাথি,
বয়স নিয়েছে কেড়ে সে সুযোগ বহু বহু আগে;
নেয়নি কেন যে তবে স্মৃতিদের যারা শতাধিক দাঁতি –
রয়ে সয়ে খেয়ে ফেলে হঠাৎ সমস্ত রূঢ় রাগে!
ধ্রুব হয়ে রয়ে গেছে এ জীবনে ওই খেলাঘর,
বপন সহসা করে কাব্যকলা যখন-তখন ;
তারাভরা নিশিরাতে ভর করে বুকের ওপর,
রাত ভরে করি আমি সে আকাশকুসুম চয়ন।
সকল পুলক মাঝে ও-পুলক একেবারে ভিন্ন,
মলিন হয় না কভু তোমার পুতুলখেলা-চিহ্ন।’


জানা প্রশ্ন

অনেক বঞ্চনা এসে দেহমনে পরশ বুলাবে
নেভার পর্যায়ে এসে খাড়া হবে আশা-দীপশিখা ;
কেউ কেউ হাসি মুখে ক্ষতে আরো ক্ষত দিয়ে যাবে
রওনার ভাড়া নেই, চারদিকে শুধু মরীচিকা।
ভেতরে ব্যথার বিষ দিবানিশি উপচায় আরো
তরুশাখা জীর্ণশীর্ণ, নেই তাতে কোনো রূপরস ;
রেখাগুলি রূপধরে, বলে যেন, এ তল্লাট ছাড়ো –
ওইপাড়ে যারা আছে, তাদেরও কি এসেছিল ধস?
সে-কথা তোলাই থাক, ওই সবে কোনো কাজ নেই
রাতের এ আঁধারকে নিজহাতে এনে দাও আলো ;
হয় নি আজকে যা যা, তারা দেখো কালকে হবেই
তেল ঢেলে সব দীপ সময়েই যদি পারো জ্বালো।
হতাশার গ্লানিবোধ ছুঁলেও দ্রুতই দাও ছুঁড়ে
বেতালেও তাল দিয়ে সব নাও সারা মন জুড়ে।

       জীবন জিতুক


আমার মনে কাদের কথা ডাক দিয়ে যায় নিতি,
মনে যেন জেগে ওঠে অনেক কালের স্মৃতি।
আলোর মাঝে ধোঁয়াশা সব
বুঝি না যে কী কলরব
জাগায় মনে থেকে থেকে অবাক-করা প্রীতি।।
সময়-স্রোতে ভেসে গেছে যারা অনেক দূরে,
আকুল-করা তাদের ভাষা আসে ভেসে সুরে!
জীবনের এ কঠিন খেলায় কেবল স্মৃতি ভেসে বেড়ায়,
কাজের মাঝে ফিরে আসা – এ কোন সুখের রীতি!।
এখন যারা সত্য তারাই থাকুক মনের মাঝে
সূর্য যখন মাথার ‘পরে তখন চাঁদ কি সাজে?
বাস্তবতার বিষম চাপে
অতীত থাকুক ঢুকে খাপে –
হঠাৎ করে কী কাজ বলো, গেয়ে আগের গীতি?।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *