বাবুল আনোয়ার-এর বর্ষার কবিতা
বৃষ্টি এলে
বৃষ্টি এলে আকাশটা খুব আপন হয়ে যায়
ডিঙ্গি নৌকায় চুপচাপ ঘুমায় স্বদেশ
নিঃশব্দে বেজে ওঠে আবেগের সুর
ভেজা বাতাসে ভেসে আসে শৈশব দিন
কর্পুর গন্ধে প্রিয় কবিতা মনে পড়ে যায়
বৃষ্টি এলে বালিকারা ছাদে ওঠে আসে
রবীন্দ্রসংগীতের মতো ছুঁতে চায় প্রাণ
দূরের আকাশ বিহ্বল আবেগ বাসনায়
দূর বনের নির্জন পথের বাঁকে বাঁকে
উৎসবে জেগে ওঠে জলের সংসার
বৃষ্টি এলে মায়ের চোখে গহন আধারে
বেদনার ফুল ফোটে অদেখা আলোয়
স্মৃতি জলে একাকার উপচানো জোয়ারে
বিষণ্ন আর্তিতে ভেসে আসে কদমের ঘ্রাণ
চিলতে রোদের ছোঁয়ায় নেচে ওঠে বুক
শ্রাবণ সকালে মগ্নতায় ডুব দিয়ে থাকি।
উজান রাতের ডালা
শ্রাবণ মেঘে আকাশ ছেয়ে আসে
রোদের কণায় বিষণ্ন চোখ রাখি
দুপুর গড়িয়ে বৃষ্টি ঝড়ের সন্ধা
রাত গড়াতে নেইতো তেমন বাকি
পাথর ছুঁয়ে জল চলে যায় বেঁকে
ঋদ্ধ নিয়ম সজলতরো বোধে
আবেগ ঘণ নতুন ব্যথার স্বরে
বৃষ্টি পড়ে অপার অনুরোধে
বৃষ্টি ভেজা একলা পথে আমি
এখন আমার ঘরে ফেরার পালা
ঘর তো নেই মাটির কোলে ফেরা
তোমার ঘরে উজান রাতের ডালা।
আঁতাত
জানালা খুলে দেখি বিষাদের মেঘ
তুমি দূরে সরে গিয়ে বাড়াও উদ্বেগ
ঘুম আসে না মোটে ঘোরে কাটে রাত
শুয়ে থাকে নিশ্চুপ অজানা আঁতাত
গোপনে আপন করো কষ্ট অবিরল
রোদ্দুরে দোল খায় সিক্ত বর্ষার জল।
বিশ্বাস
বৃষ্টিতে হলেও তুমি আসবে
এ বিশ্বাসে বসে আছি
আষাঢ়ের জলভরা নদী
বুকে পুষে তোমার মগ্নতা
শস্যভারে নতজানু হবে
পুড়ে যাওয়া প্রান্তর হবে
সবুজ স্বপ্নে ফসলের মাঠ।
ভালো আয়োজন। কাব্যশীলন বরাবরই এভাবে শিল্প, সাহিত্যের প্রসারে কাজ করছে। এজন্য সম্পাদক কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, প্রকাশক কবি ফকরুল হাসান এবং বিভিন্ন সময়ে কবিতা নির্বাচনে নেপথ্য খেকে ভূমিকা রাখার জন্য কবি ফারুক মাহমুূদ ও কবি,কথাসাহিত্যিক আলমগীর রেজা চৌধুরীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।