শব্দনীল-এর কবিতা

তোমাকেই বলবো

মায়ের চোখে এতো মেঘ, জমলো কোথা থেকে!
চোখ মেলেই দেখি, রূপালি ইলিশের মতো
ঝিলিক খাও নোনা, অধর বেয়ে চুয়েচুয়ে পড়ছে।

কি ভিষণ এক ঘেয়ামি কাজ!

একদিন দেখা হোক

তোমার উচ্চতর চোখে ধাঁধা লেগে আছে স্পেনিস বসন্তের গল্প, কোনও এক কবির পঙক্তি গিলে
উঠে যাচ্ছো তরতর করে, যেনো কড়া হুইস্কির গাঢ় অহংকার পেয়েছে তোমায়।

মাটির পিঠে বিবর্ণ এক কাঙ্গাল, দেশীয় হলুদ
প্রজাপতির কিশোরী প্রেম নিয়ে হাতের মুঠোয়, দেখছে তোমায়। এর চেয়ে ধাঁধা লাগানো বড়, আমার কাছে আর কিচ্ছুটি নাই।

যত দেখছি ছমছম করছে গা। সিঁড়ি যাচ্ছো ডিঙ্গিয়ে, সেও পাল্লা দিয়ে তোমার মতো হচ্ছে অদৃশ্য!

মহুয়ায় ধারালো সাঁওতালি বানের কাছে হুইস্কি
এক নাদান শিশু, তবুও তোমার চাই!

সন্ধ্যার গাল কেটে বেড়িয়ে আসা রাত্রির টেবিলে,
একদিন দেখা হোক, বরফের সঙ্গে জলের যুদ্ধ লাগাবো।

তোমার জন্য

তোমার জন্য,
ক্ষুধাতুর ছানার চিৎকার শুনে মা পাখির আহার নিয়ে ছুটে আসা দরদ পুষি…
শ্রমিকের শরীর থেকে নেমে আসা,
শোষণ প্রিয় মেহনতির,
জ্বলন্তভাষা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি….

তোমার জন্য,
মেঘে ভেজা কিশোরী স্কুল ফ্রকের নমনীয় জলের চিত্রকর;
ঘুমিয়ে যাওয়া রাত্রির নাভিতে, সলতের মৃদু প্রদীপ জ্বেলে
নগ্ন পৃষ্ঠায়, পাহাড়ি নৃত্যের ঝড় তোলা কবিতার কবি আমি।

চুরি করা মধুর পয়সায়, বিক্রি হওয়া মৌয়ালীর
ঠোঁটের সাধ নেওয়া পুরুষটির, তৃপ্তির হাসি কেঁড়ে নিয়েছি।
এত, কে পারবে আর তোমার জন্য?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *