জুবায়ের দুখু’র কবিতা

মখমল

সাইবেরিয়া থেকে
শীত উড়ে এসে, বাবার শরীরে
বাসা বাঁধছে সুখে।
বাবা ওদের মখমল ভেবে
শরীরময় মেখে নেয়।

পথ

আমাকে নিয়ে হাটছে পথ!
অলিগলি
গ্রাম, শহর, বন্দর।
পথ বাড়ছে মানুষ শূন্য হচ্ছে
মানুষ ফুরোয় পথ ফুরোয় না।

বন্ধু

দুপুরের পেটে খুব খিদে
সূর্যের চৌচির জমি
গিলে খাচ্ছে আস্ত পুকুর।
মাছ গুলো উড়ে চলে যাচ্ছে..
সমুদ্রের পেটে-
কারণ সমুদ্র আকাশের বন্ধু।

প্রশ্ন

একটা নদীর তীরে আমার মা হাটছে
জল মৎস্য বালুকণা
তার পদধ্বনিতে অবাক হচ্ছে

আর ভাবছে- মেয়েটি কে?
মেয়েটি আমার মা-
ও নদী তোমার প্রতিবেশীরা জানে না?

অকবিতা-২

তুমি
তুমি
তুমি
বলে, যে পাগলটি রাস্তায় ঘুরেবেড়ায়।
তাকে—
পথ চেনে
পাখি চেনে…
অথচ, পথিক চেনে না!

পাখির দিনপঞ্জি-২

প্রভাত লগ্নে পাখিরা
ডানা মেলে
উড়ে যায়। সারি সারি— ঐ…
মাঠে অথবা জলের কার্নিশে।
তারপর এভাবে,
উড়ে বেড়ায় দিন দিনান্তর
ঝাঁক বেঁধে—
দূর দিগন্তে।
সন্ধের সমহরে পাখিরা
ঠোঁটে সরপুঁটি নিয়ে
ফিরে আসে। উত্তরসূরীর কাছে…

পাখি-মানুষ

মানুষ সারাজীবন পাখি হতে চায়
পাখা মিলে—
ডানা ঝাপটাতে চায় আকাশে, তেপান্তরে।
বাসা বাঁধতে চায় বৃক্ষে!
সবুজ পাতার ফাঁকে-ফাঁকে স্বপ্ন গুলো গুঁজে
বাঁচতে চায়—
দিন দিনান্তর, রাত রাতান্তর— নৈঃসঙ্গতায়।
অথবা— পাখা মিলে দূরে কোথাও
একাকিত্বের রাজ্যে—
উড়ে যেতে চায় সব পাখি-মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *