খান মুহাম্মদ রুমেল এর কবিতা

উদযাপন

বেদনাও যে উদযাপনের হয়
তোমার সঙ্গে পরিচয় না হলে জানাই হতো না।
আমার ইচ্ছেগুলো তোমার ইচ্ছে না হোক
তোমার বেদনাগুলো আমার হোক।
তুমি যতোবার ডাকবে ততোবার আসবো
তুমি যতোবার ফেরাবে ততোবার অপেক্ষায় থাকবো।
কখনো তো চাইনি তারা হবো তোমার আকাশে
শুধু তোমাকে দেখবো আকাশের তারা, থেকে মাটিতে।
তুমি দুর্লভ তুমি দূরের
ভুলিনি তোমায় ভুলিনি তোমার সৌরভ।

জানি,
একদিন মুছে যাবে সকল রঙিণ পরিচয় !

তোকে

-তোকে খুব মনে পড়বে রে পাগলা!
-তাহলে যাবি কেন?

  • যেতে আমায় হবেই রে! উপায় নেই!
    -কতো অনিবার্য প্রয়োজন মানুষ এড়ায়! না গেলি?
  • দূরে গিয়ে দেখবো কতোটা ভালোবাসিস!
  • কাছে থেকেই দেখ! কতোটা দহন ধরি বুকে?
  • না রে পাগল! আমি দূর থেকে দেখবো!
  • ঠিক আছে। ভালো থাকিস।
  • ঠিক আছে। ভালো থাকিস।

সেই থেকে অসহ্য বেদনার কাল…

এই শীতে

এই শীতে তোমার বকুলগন্ধী হাতজোড়া কেমন আছে?
শিউলি নরম ঠোঁটগুলো?
যত্ন নিয়ো যত্নকরে!

হেমন্তে রেখে এসেছিলাম কুসুম কোমল
শীতের রুক্ষতায় থাকে যেন অমন!
অমরত্বের ঠিকানা কেউ পেয়েছে
তোমার হাত ঠোঁট ছুঁয়ে
এতো সাধারণ কিছু নয় আর
হাতে ঠোঁটে জমা হয়ে গেছে
শত বছরের কোমলতার ইতিহাস!
কে ছুঁয়েছে কখন ছুঁয়েছে
ওসব নয়, ছোঁয়াটাই অমর হয়েছে।

এই শীতে তোমার হাতজোড়া কেমন আছে?
ঠোঁটগুলো?
যত্ন নিয়ো।

পাশ ফিরলেই আমি

ঈশান কোণে জমেনি কোনো মেঘ
সন্ধ্যাটাও রাঙানো মন ভোলানো রঙে
রাতটাও উজ্জ্বল তারাদের জ্বলজ্বলে
প্রিয় কবিতার বইয়ের সাথে ধোঁয়া ওঠা কফির মগ!

সবকিছু একেবারে নিখুঁত নিপাট –
সুলতানের ছবির মতো
রবীন্দ্রনাথের গানের মতো
নজরুলের বাঁশির মতো।
অথবা
সব রূপ দিয়েছে ধরা
চিত্রা হরিণের ভীরু লাবন্যে…

তবুও
যদি মন কেমন করে তোমার
যদি খুব একলা একা লাগে
যদি মনবাড়িতে ওঠে অহেতুক ঝড়

এক নিমেষে আমায় ডেকো
আমি তোমার পাশেই থাকি…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *