অদ্বৈ ত মারুত এর কবিতা

চর্বি

চিত্তে বেড়ে গেছে থলথলে চর্বি!
সূক্ষ্ম বেদনা তাই টের পাই পরে।

যেবার ঘর থেকে বের হয়ে আসি
দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে কুয়োয় ডুবি;
না মরে উঠে আসি বিস্মিত মন্দালোকে
আর আমাকেই অপদার্থ ভেবে শোকে
কুমির কান্না করা প্রতিবেশীরা এইবার
আটকে রাখে অজস্র থুথুমিশ্রিত খাঁচায়।

গর্ভে ক্রমে বেড়ে ওঠে গোখরো সাপ।
গুঁতো মেরে বাড়ায় বিপুল মানসিক চাপ;
স্থূলকায় মন অসুর রণনীতি না বোঝায়
চোখ গেল পাখিও হারাতে থাকে
দিনযাপনের ভূগোল।

এ এক রাত্রীবেদনা। নুনপোড়া খেয়ে ঘুমিয়ে থাকে!

অবিশ্বাস্য

এমন ঘন সন্ধ্যা প্রতিদিন আসে
শিশিরে ভিজে ওঠে পাতা— ঘাসের
পাখিরা ঘরে ফিরে আসে
আর ফিরতে ফিরতে হরিদ্রায় মিশে যায় আলো।

গুমোট বাতাসে ভারি হয় নিঃশব্দে শিশির
লাল মোরগের কোলাহল
মাঝির গুন টানাটানি

কেবল আমরা চোখই অন্ধ আজ
পাতাবিহীন গাছ
নিঃশ্বাস
ঘন হয়ে রয় বুরুজ কাঁটায়

দহন

রক্তজবা, ভেতরে ভেতরে তুমুল আলোড়নে
বাড়িফেরা পথে আগুনের গল্প বলো কারও
অথচ পোড়ার সকল আয়োজনে রয়েছি পড়ে
লাল হয়ে উঠি কামারশালায় পুড়ে ক্ষণে ক্ষণে

আমাদের ঘর-গৃহস্থালি আগুনের; পানিও
ফলে নদীপিঠে উঠে কূল পাই না মাটিমুখ
চরম অসত্যের এই বাজারও পুড়ে হয় ছাই
আর গ্লানির চোখে গ্লুকোমা; দ্রোহে ছানিও!

তুমিই রঙিন কেবল তুমিই প্রতিভূ ভর দূপুরে
পোড়ার পীড়া নিয়ে হাঁটছি প্রতিদিন খুঁড়ে খুঁড়ে

মরণ দা

ক্ষতটা দিন দিন বেড়েই চলেছে— মগজে।
তোমার চিকিৎসালয়ে যাওয়া দরকার।
অথচ অবজ্ঞা করেই যাচ্ছ তুমি ডাক্তার!

শরীরের ক্ষত থেকে পচনের গন্ধ আসছে।
তুমি এখনও গেলে না চিকিৎসালয়ে!
অথচ পাখি শিকারে যাচ্ছ দলবেঁধে।

জানো, ডা. মরণচাঁদ হরণের ফাঁদে পরে
একসাথে চা পান হলো আজ ক’বার।
বেশ সমঝদার দাবাড়ু—তোমাকে চেনে বিস্তর।
বললেন, তোমাকে নেবার জন্য তিনিই আসবেন।

যেও, গোল না করে হাসপাতালে চুপচাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *