ছোটগল্প

ঈদসংখ্যার গল্প।। না কুঁড়ি না ফুল।। শফিক নহোর

ঘরের বারন্দায় ছোট ছেলেমেয়েদের খেজুর পাতার মাদুর পেতে ঘুমিয়ে রাখতে নেই। শেয়াল মুরগি ধরার মতো ওতপেতে থাকে। তারপর কামড় দিয়ে ধরে জঙ্গলে চলে যায়। এরকম অনেক গল্প শুনতাম মায়ের কাছে। সন্ধ্যা হলে দেখতাম, মা মুরগী ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে যেতেন। আমি ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি শিয়াল মুরগি ধরে, বাঘ মানুষ ধরে খায়। গ্রামের মানুষের মুখে নানান কিছিমের গল্প শুনতাম। কিন্তু অনেক বছর পর জানতে পারলাম, মানুষ মানুষ ধরে খায়। বিভিন্ন হোটেলে নাকি বিভিন্ন স্বাদের মানুষ রাখে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কেউ কেউ অনেক টাকা দিয়ে খেয়ে আসে।

কিন্তু মানুষের মাংস রান্না করতে কী গরম মসলা দিতে হয়। কীভাবে রান্না করে, কারা রান্না করে? এসব বিষয়ে আমার খুব জানার আগ্রহ জন্মেছিল কলেজ জীবনেই।

বাড়িতে ব্রয়লার মুরগি অথবা দেশিমুরগি রান্না হলে আমি রান্না ঘরে ঢুকে যেতাম। কড়াইয়ের রান্না করা মাংসের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু বোবা মানুষের মতো কী বলতাম, নিজেই বুঝতে পারতাম না। মা আমাকে ধমক দিয়ে বলতেন, ‘দিনদিন বড়ো হচ্ছে আর কাঁচা খোকা হচ্ছে। যা ভাত খেয়ে তোর বাজানের জন্য ধান ক্ষেতে ভাত নিয়ে যা। মানুষটার পেটে দানাপানি না থাকলে মাথা ঠিক থাকে না।

এলাকায় শিক্ষিত মানুষের অভাব। উদয়পুর স্কুলের মাস্টার আকবর বিহারি মাঝে মাঝেই বাবার কাছে এসে বলতেন, ‘শেখ ভাই আমি বিহারি মানুষ, অথচ এই গ্রামের ভালোবাসায় বন্দি হলাম। দেশে আর ফিরে যাওয়া হল না। তবু এদেশের মানুষ আমাকে রিফুজি আর দালাল বলেছে! আমি কখনই কিছু মনে করিনি। কারণ, নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। আমি বিহারি হলেও বঙ্গবন্ধুর অন্ধ ভক্ত ছিলাম। তাঁর প্রেমে পড়েই থেকে গেলাম সবুজশ্যামল মায়াবী বাংলায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলায়। কেউ কেউ আমাকে গ্রহণও করেছিল। তাঁদের কারণেই আমি এদেশের মানুষের কোনো ক্ষতি করিনি। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সমাজের অবহেলিত মানুষকে আলোর পথে আনার চেষ্টা করেছি। যাদের আলোর পথে আনতে চেয়েছি, তাদের থেকে অনেক মন্দকথা শুনতে হয়েছে। তারাই স্বাধীনতার সময়ে মানুষের হক মেরে খেয়েছে। এখন এদের মাথায় টুপি। দাড়ি রেখে দলে দলে দাওয়াতের কাজ করছে। দীন প্রচার করছে। আবার এরাই নাকি বীর মুক্তিযোদ্ধা। ওদের ছেলেপেলে এখন টাকার কুমির। ছেলেরাও বড় অফিসার হয়েছে। ঘুষ খাচ্ছে। মরচেপড়া টিনের বাড়ি ভেঙে দালান তৈরি করেছে। বাড়ির চারপাশে তুলছে দেয়াল। শুধু বাড়ি নয়, সমাজের ভেতরেও একটা দেওয়াল তৈরি করছে।

ভেঙে পড়ছে সমাজ চিত্র। বদলে গেছে সামাজিক দৃশ্যপট। পুরনো আত্মীয়ের সাথে ছেদ পড়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন সমাজচিত্র। কেউ কারোর বাড়ি যাচ্ছে না। তারা এলিটক্লাস দাবি করে গরীব আত্মীয় থেকে কৌশলে দূরে সরে গেছে। তারা আজ নিজেদের সুখী পরিবার ভাবছে। বিত্তের জোরে এরা সমাজে আজ নিজেকে পীর দাবি করছে।

বাবা পান মুখে দিয়ে বারান্দায় পাটের কাছি নিয়ে পাটের দড়ি বোনাতে শুরু করলেন। মাস্টার সাহেব তাঁর দুখের কিচ্ছা শেষ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন।

আমি আরবি শিখে মক্তব থেকে বাড়িতে আসার পথে জয়ার পেছনে পেছনে হেঁটে নদীর পাড়ে চলে গেলাম। একবার ঢেউয়ের দিকে তাকাই, আবার জয়ার দিকে তাকাই। জয়া জলকন্যার মতো জলে ডুবসাঁতার খেলছে। বেশ চমৎকার লাগছে! দৃশ্যটা যেন চোখের ভেতর দিয়ে কলিজায় ঢুকে যাচ্ছে। জয়া যখন ভেসে ওঠে, তখন আমার চোখের সামনে যেন লক্ষ্মী দেবীর মতো প্রতিমা ভাসে।

মক্তবের হুজুরের চোখ জয়ার দিকে। আরবি হরফে আঙুল ছোঁয়াতেই জয়া আমার দিকে তাকায়। আমাকে কিছু একটা বলতে চায়। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। কয়দিন গেলেই হাতে কোরআন শরীফ নেবো।

ফজরের নামাজে বাবার সঙ্গে মসজিদে যেতে চাইতাম। বাবা নিতে চাইতেন না। বলতেন ঘরেই পড়ে নাও। বাবা যে মসজিদে নামাজ পড়েন, সেখানে সাঁকো পাড় হয়ে যেতে হয়। বাড়ির কাছের মসজিদ রেখে বাবা দূরের মসজিদেই যান। আমি সেখানে যেতে চাইলে না করতেন। কারণ, আমি যে সাঁকো পার হতে পারবো না। এতবড় ছেলেকে কাঁধে করে সাঁকো পাড় করাও খুব কষ্টের। সাঁকোটাও ছিল নড়বড়ে। বাবা কিছু পথ কাছা মেরে যেতেন। মনে প্রশ্ন জাগতো, বাড়ির পাশে মসজিদ রেখে বাবা দূরের শেখপাড়া মসজিদে নামাজ পড়তে যান কেন? বাবার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিরক্তি লাগতো। দশটা প্রশ্ন করলে একটার উত্তর পাওয়া যেতো। বড্ড রাশভারি স্বভাবের মানুষ। গ্রামের প্রায় মানুষই দেখতাম বাবাকে পছন্দ করতো না। বাবা তো সহজসরল, কিন্তু গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ তাঁকে ভিন্নভাবে দেখতো কেন? এজন্য বাড়ির বাইরে গেলে কেউ কেউ আমাকে খুব একটা খায়খাতির করতো না। বিকেল হলে খেলাধূলা করতে যখন মাঠে যেতে চাইতাম, তখনও বাবা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতেন। বলতেন, ‘খেলতে হলে পোদ্দার পাড়া গিয়ে খেল। এই রহস্য বের করতে আমার অনেক সময় লেগেছিল।

জয়া আমার এক ক্লাস নিচে পড়তো। সে প্রায়ই আমাকে কিছু একটা বলতে চাইতো। লজ্জায় বলতো না। আমাকে লুডু খেলার জন্য ওদের বাড়িতে যেতে বলতো। জয়াদের মস্ত বাড়ি। বিশাল উঠোন। খোলামেলা আঙিনা। একদিন পলান্তি খেলতে গিয়ে জয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। সেদিন ওর চোখে মিষ্টি লাজুক আভা ছিল। শরীরে রক্তনদী বয়েছিল। এখন যা বুঝি, ওই নদীর রক্ত আমাকে আপন করে পেতেই দ্রুত সাঁতার কেটেছিল। সেদিন নিঃশ্বাস গরম করে অন্ধকার ঘরে অগ্নিশিখা জ্বালানো ছিল সময়ের ব্যাপারমাত্র।

লতাপাতার মতো দেহপল্লব নিয়ে বেড়ে উঠেছে জয়া। মক্তব ঘরের হুজুরের চোখ ছিল জয়ার বেড়ে ওঠা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে। হুজুর মিহি সুতোর ওড়নার ভেতর দিয়ে চোখ ঢুকিয়ে দিতো জয়ার দেহসৌষ্ঠবে। ঘুঘুর মতো ঘুমের ভাব নিয়ে ছুঁয়ে দিতো জয়ার শরীর। আরবি হরফের চিহ্ন আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার সময় জয়ার হাত স্পর্শ করতো। কোরআন শরীফ হাতে নেওয়ার পর আর কখনই মোল্লাবাড়ির ওই মক্তবে যাওয়া হয়নি। এখনও এই পথে চলতে গেলে, সেই স্মৃতিগুলো পুঁইশাকের ডগার মতো নেতিয়ে পড়ে। মনেপড়ে, শরীরের ঘ্রাণ নিয়ে হুজুর কল্পনায় জয়ার দেহজ নোনাজলে ভেসে বেড়াতো। আদিম মানুষের মতো ক্ষুধার্ত হত। মনেমনে বাঘের মতো হিংস্র হয়ে উঠতো। ছি! এতটা ধার্মিক মানুষের ভেতরেও ছিল মানুষখেকো বাঘের মতো রাক্ষুসে আত্মা?

আকবর বিহারি গ্রামের মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্রই ছিল। তাঁর একটাই দোষ, জাতে বিহারি। ঘরে সুন্দরি মেয়ে তুলে দিয়ে গাঁয়ে কলঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারলে কারো কারোর ষোলআনা ইচ্ছেই উঁশুল হত। একটা অপশক্তি তাঁর মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে বেশ সোচ্চারও ছিল। ওরাই ছিল সত্যিকারের স্বাধীনতা বিরোধী।

লেবাজধারী মধু মোল্লা সম্পত্তির লোভে তাঁকে তাড়িয়ে দেবার বহু চেষ্টা করেছে। যদি পারতো, তবে অল্পেই সোনারখনি হাছিল হয়ে যেত। মধু মোল্লা সুদখোর। তবে মসজিদ কমিটির সভাপতি। পরের জমির আইল ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ে। কখনো কখনো সুযোগ পেলেই মসজিদে ইমামতি করে। এরকম একটা মোনাফেকের পেছনে মানুষ কেমন করে নামাজ পড়ে? ইমামকে তো সাদামনের মানুষ হতে হয়! চরিত্র যার সাদা, সেই তো প্রকৃত নেতা। এখন সবকিছুই হয়েছে বিপণনের মতো। নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সংসার পর্যন্ত। বাবা তাকে প্রচ- ঘৃণা করতেন। বাবা শুধু মনেমনে না, কিছুটা দৃশ্যমান প্রতিবাদও করতেন।

জয়া ছিল আমার নিকটতম প্রতিবেশী। হঠাৎ সে একদিন আমাকে বললো, ‘রাসেল তোকে একটা কথা বলবো। কথা দে, কাউকে কিছু বলবি না।’

  • বিশ্বাস করতে পারিস। বল, কাউকে কিছু বলবো না।
  • বাবা আমাকে বিয়ে দেবেন। আমি নাকি বড় হয়েগেছি। মেয়েদের এতো লেখাপড়ার দরকার কি? মা চান, আমি যেন কলেজে না পড়ি।
  • বেশ তো, বিয়ে কর? মেয়েদের তো সংসার করতেই হয়।
  • কিন্তু আমি যে একজনকে পছন্দ করি? অন্য জায়গায় বিয়ে হলেও আমি কিন্তু কখনই তাকে ভুলতে পারবো না।
  • তাহলে তাকেই বিয়ে কর?
  • সে কি আমাকে বিয়ে করবে? তাছাড়া সে তো চাকরি করে না।
  • আচ্ছা জয়া বলতো, তোর সেই পছন্দের মানুষটা কে?
  • এতোক্ষণ যার সঙ্গে কথা বলছি, সে-ই আমার পছন্দের মানুষ।

হঠাৎ এ কথা শুনে আমি বোকা হয়ে গেলাম। কথা বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু আমার ভেতর থেকে কথা বের হচ্ছে না। আমি ভেতরে ভেতরে স্রোতহীন নদীর মতো শুকিয়ে যাচ্ছি। এদিকে জয়া আমার দিকে মায়াবী চোখে তাকিয়ে আছে। হয়তো কিছু একটা শুনতেই চাতকপাখির মতো চেয়ে আছে। অথচ আমি বোকার মতো জয়াকে কিছু না বলেই সেদিন চলে এলাম!

জয়ার বিবাহিত সংসার সুখের ছিল। বিপত্তি ঘটলো তখনই, যখন কোনো কোনো রাতে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমের ভেতর বলে, ‘রাসেল, তোমাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে কখনই স্বামী হিসেবে মানতে পারবো না।’

জয়ার স্বামী সুমন ঘুমের ঘোরে প্রথম দিকে তেমন বুঝতে পারেনি। তবে পরে ঠিকই বুঝে গিয়েছিল। সুমন বুঝতে পেরেছিল, জয়া রাসেলকে মনপ্রাণ উজার করে ভালোবেসেছিল। তাই এতদিনেও তাকে ভুলতে পারেনি। সুমন মনেমনে রাসেলকে খুঁজতে থাকে। পালতোলা নৌকার মতো কতকিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মানুষ তাঁর প্রিয় মানুষকে কখনই ভুলে থাকতে পারে না। নিজের বুকে ভুলে থাকার মিথ্যে ট্যাগ এঁটে রাখে। ব্যর্থতার ঘৃণায় তাকে ভুলে গেলেও মনের চিলেকোঠায় ঠিকই সযত্নে তুলে রাখে।

-‘কি হলো! এতো রাতে ঘুমের ভেতর কি সব বলে যাচ্ছো?’ তবুও জয়ার ঘুম ভাঙলো না। একটু নড়েচড়ে আবার কাত হয়ে গেল।

সুমন স্ত্রীর এমন পরিবর্তন দেখে নিজে নিজেই কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারছে না। অজানা এক ভয় তাঁর মনের ভেতরে বাসা বাঁধতে শুরু করলো। বিয়ের সময় জয়ার মুখ থেকে শোনা উচিত ছিল, তাঁর বিশেষ কেউ ছিল কি না। তাহলে আজ এই আঁধার কেটে আলোর পথ খুঁজে পাবার বৃথা চেষ্টা করতে হতো না। অতীতের ভুলটা যখন নিজের সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন লজ্জিত হওয়া ছাড়া উপায় কি?

জয়া নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। নিজেই নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু তখন যোগফল শূন্য হয়। জয়া ঘর ছেড়ে একটা সময় পথে বেড়িয়ে পরে। যদিও নিজের দোষ সহজে নিজের কাছে ধরা পড়ে না। বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে, ‘জয়া, তুমি কি জয়ী হতে পারলে?’

চেনা শহরের রাস্তাঘাট কেমন অচেনা মনেহয়। রাসেল অফিস শেষ করে একটা নির্দিষ্ট রাস্তা ধরেই প্রতিদিন হেঁটে যায়। তার কেন জানি মনে হয় এ রাস্তায় নিজস্ব কিছু একটা পড়ে আছে। মাটির সোঁদাগন্ধের সাথে যার একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল।

চলার পথে এক সন্ধ্যায় রাসেলের দৃষ্টি চলে গেল সড়কবাতির নিয়ন আলোর নিচে। খুঁটি ঘেঁষে একটা পাগলি বসে আছে। এক অলীক মায়ায় কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে যায় রাসেল।

অপেক্ষার দৃষ্টিতে মেয়েটি তাকিয়ে আছে। যেন মায়াবী পৃথিবীর মাংসাশী মানুষের পায়ের শব্দে তার সমস্ত রঙিন স্বপ্ন মরে গেছে! অথচ কেউ এই খুনের দায় স্বীকার করবে না!

হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল। রাসেল পাশের সেডে দাঁড়িয়ে আছে। এমন সময় সে লক্ষ্য করলো, পাগলির হাতে একটা সদ্য কৈশোর পেরুনো ছেলের ছবি। মুহূর্তেই ওর দৃষ্টি ছবিটার দিকে চলে গেল। রাসেল যেন আর চোখ ফেরাতে পারে না…।

রাসেল মনেমনে ভাবে, ‘আজ এতো বছর পরও জয়া একটা স্মৃতি ধরেই বেঁচে আছে? তবে কোন পথের পথিক হয়ে ঘর-সংসার ছেড়েছে ও? কেন যে এমন একটা বয়সে ওর হৃদয়ে প্রেম এসেছিল! হায় রে প্রেম! না রইলো কুঁড়ি, না হল ফুল! ঘুঘু ঘুমের মতো তবুও বেঁচে আছে জয়ার সেই প্রেম!’

সেদিন খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থেকেও জয়াকে বলতে পারিনি- আমিই তোমার রাসেল। পকেটে রাখা মোবাইল ফোনে অপ্রত্যাশিত রিংটোন বেজে উঠল।রিসিভ করতেই মৃদুকণ্ঠে ভেসে এলো, ‘মেয়ের জ্বর। তাড়াতাড়ি ওষুধ নিয়ে এসো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *