ঈদসংখ্যার কিশোর কবিতা।। মাইন সরকার

মেঘনা নদী

মেঘনা নদী খরস্রোতা টলটলা তার জল
গাংচিলেরা ডুব দিয়ে তার পায় না খুঁজে তল
বর্ষা এলে উপচে ওঠে জলের ছড়াছড়ি
ঘাটে ঘাটে থাকে তখন কঠিন কড়াকড়ি।

পাখিরাও উড়ে উড়ে দূরের পথে হারায়
রাত্রি এলে মেলা বসে মাঝিদের ওই পাড়ায়
ঝাঁপটা বাতাস বয় যে তখন মনে লাগে ডর
ধানের নায়ে মহাজনে কাঁপে থরোথর।

ঝড় তুফানে ভাঙে নদী ভাঙে বাড়ি ঘর
চৈত্র মাসে এই নদীতেই আবার জাগে চর
হুক্কাহুয়া শিয়াল ডাকে বসে চরের মাঝে
সকাল আসে নদী আবার নতুন রূপে সাজে।

নদীর ঘাটে মাঝিরা সব গোসল সেরে লয়
সাঁতার দিয়ে হারায় দূরে একটুও নেই ভয়
এক কাতারে কাপড় কাঁচে ঘাটলা জুড়ে ফেনা
বাংলাদেশের এই নদীটা সবার কাছেই চেনা।

খোকার ঘুড়ি

বোশেখ এলো মেঘনা পাড়ে
খোকা উড়ায় ঘুড়ি
হালকা বাতাস তেড়ে এলে
আনন্দে দেয় তুড়ি।

তেলিঙ্গা ও ডাহুক ঘুড়ি
হারায় বহু দূরে
চিল ঘুড়িটা বাতাস পেলে
পাল্লা দিয়ে উড়ে।

আস্তে-ধীরে সুতো ছাড়ে
খোকার মনে ভয়
কখন যেনো ঘূ্র্ণিঝড়ের
পাগলা বাতাস বয়।

ঝিমকালো এক সন্ধ্যা এলো
এলো ঝড়-তুফান
সুতো ছিঁড়ে খোকার ঘুড়ি
হয়েছে খানখান।

ফুল

সকাল সকাল টুনটুনিটা
ঘুম থেকে রোজ উঠে,
বিছনা ছেড়ে চুপিসারে
ফুলের কাছে ছুটে।

বিলে ঝিলে শাপলা পেলে
দুপুর কেটে যায়
টুনটুনির মা টুনটুনিকে
খুঁজে সারা গাঁয়।

সেদিন হঠাৎ পার্কে গিয়ে
আব্বু আম্মুর সাথে
চেয়ে দেখে সাদা গোলাপ
ফেরিওলার হাতে।

একটু পরই সামনে দেখে
তার মতো একজন
ফুলের গন্ধ বিলিয়ে দিয়ে
ভরছে সবার মন।

ফুলের গন্ধ নাকে এলে
আর ফিরে না দলে
নানান রঙিন ফুলের কাছে
দৌঁড়ে ছুটে চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *