ছোটগল্প

ছোটগল্প- ছায়ালোকে মায়া- কিঙ্কর আহসান

বাবার মুখে বালিশটা চেপে ধরলাম আমি।
নরম বালিশ। পরিমাণমতো তুলো দিয়ে ভর্তি। ঘুমানোর জন্য ভালো। আরামদায়ক।
তার পরও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বুড়োটার।
হওয়াটাই স্বাভাবিক। গায়ে জোর কম নেই আমার।
তা ছাড়া বুড়ো ক্যান্সারের রোগী। একটা বিশ্রী চামড়া দিয়ে মোড়ানো শরীরে কঙ্কাল, ধমনিটমনির ভেতর দিয়ে কোনো রকমে প্রাণটা লুকিয়ে ছিল বুড়ো বাবার।
মরে যাওয়ার আগে বড় শান্ত ছিল সে। হাঁসের বড় ডিমের মতো চোখ দুটো মেলে শুধু বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল একবার। হাত আর পা দুটো দিয়ে আমি আর আমার কলেজপড়ুয়া বড় ছেলেটিকে সামান্য বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি কোনো।
দেহ থেকে তার দুর্বল প্রাণটাকে তাড়াতে খুব বেশি সময় লাগেনি আমাদের।
বড়জোর পাঁচ কী ছয় মিনিটের মধ্যে মারা যায় বাবা।
বাবাকে হত্যার দায় আমি নিতে রাজি নই। এটা ক্যান্সারেরই দোষ।
এমনিতেই মরে যেত লোকটা। কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। আমি শুধু বাবার কষ্টটা কমিয়েছি। আর বিনিময়ে তার প্রিয় ছেলে হিসেবে যতটুকু পাওনা নিয়ে নিয়েছি তা।
মৃত্যুর আগে শেষ কয়টা দিন বাবা ছিলেন আমার সাথে। আমি, আমার স্ত্রী আর সন্তানেরা কষ্ট করে তাকে দেখে রেখেছি। অন্য ভাইবোনগুলো মাঝে মাঝে কমলা, আপেল আর আঙ্গুর নিয়ে এসেছে। বাবাকে কিছুক্ষণের জন্য চেহারাটা দেখিয়ে গিয়েই পালন করেছে দায়িত্ব।
এরপরও বাবা সব সন্তানকে সমান চোখে দেখবে এটা মেনে নিতে পারিনি আমি। এমন অবিচার সহ্য করা যায় না।
আমি কেরানির চাকরি করি। আমার পরিবার আছে। পরিবার ঠিকঠাকমতো চালাতে কষ্ট হয় খুব। বাবার উচিত ছিল আমার কথা আলাদাভাবে ভাবার। তিনি ভাবেননি। আমার রাগ হয়েছে। কঠিন রাগ। সে রাগের কথা এই মৃত্যুশয্যায়ও ভুলতে পারছি না আমি।
সকাল হচ্ছে। হু হু করে শীতল হাওয়া ঢুকছে জানালা দিয়ে। আমি মারা যাব কিছুক্ষণ পরই।
মৃত বাবা এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছেন আমার পাশে। পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন চুলে। নড়াচড়ার শক্তি নেই আমার। থাকলে বাবাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতাম এতক্ষণে। আমার রাগ এত সহজে যাবে না। মরে যাওয়ার আগে দরকার নেই আমার তাকে।
বাবার একটু দূরেই মা দাঁড়ানো। শুধু মা-ই নয়, পরিবারের যারাই মৃত তারাই হাজির হয়েছেন এই ঘরে।
আমাকে নেওয়ার জন্য। আমার কষ্টটা কমানোর জন্য।
ক্যান্সারে এত কষ্ট জানা ছিল না আমার। এসব নিয়ে ভাবিওনি কখনো। আমি ব্যস্ত ছিলাম। ভয়ানক ব্যস্ত। নিজের আর নিজের পরিবারের মানুষগুলোর সুখের জন্য ছুটেছি দিনমান।
ছেলের দামি মুঠোফোন লাগবে, বউয়ের গাড়ি দরকার, মেয়ের দরকার গহনা। তাদের চাওয়াগুলো পূরণের জন্য ছুটতে খারাপ লাগেনি একদম।
বড় মধুর ছিল সময়গুলো। নিজের ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীর শখগুলো মেটানোর আনন্দই অন্যরকম। পাইনি সময় শরীরের দিকে নজর দেওয়ার।
নজর দেওয়ার দরকারটাই বা কী?
আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আড়চোখে জানালার বাইরের কুয়াশা দেখি। কী সুন্দর সাদাটে রং। হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা করে। ইচ্ছে করে একটু কুয়াশা মুখের ভেতর নিয়ে খেয়ে দেখি। টক না ঝাল তা পরখ করি।
ছোটবেলা থেকে সুন্দর জিনিস দেখলেই আমার খেতে ইচ্ছে করে। তা সে খাদ্যদ্রব্য হোক আর না হোক। আমার মনে হতো কোনো জিনিস খেয়ে ফেললেই তা নিজের হয়ে যায়। তাই চোখের সামনে পড়া সুন্দর জিনিসগুলো খেয়ে আমি আমার নিজের করতে চাইতাম।
কুয়াশার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে কুয়াশা হাত দিয়ে ধরতে পারতাম না। বারবার পিছলে হাত গলে বেরিয়ে যেত।
আমার নাকে এখন রাইসটিউব ঢুকানো। শরীর টিকবে না আর বেশিক্ষণ। কেউ একজন শিগগিরই আসবে প্রাণ নিতে।
শরীর পচতে শুরু করেছে। জিহ্বা ফুলে ঢোল হয়ে আছে।
এমন অবস্থায়ও তেষ্টা পেয়েছে খুব। শরীরে শক্তি থাকলে আর বুড়ো আঙুলটা নাড়াতে পারলে আঙুলটা মুখের ভেতর দিয়ে রাখতাম। তাতে তেষ্টা কিছুটা কমত।
আমার কথা বলার ক্ষমতা নেই। কথা বলতে পারলেও পানি চাইতাম না কারো কাছে। আমার শিক্ষে হয়ে গেছে। তেষ্টা পেলেই সব সময় সবার কাছে পানি চাইতে নেই।
কয়েকদিন আগেও যখন একটু সুস্থ ছিলাম, কথা বলতে পারতাম তখন বড় ছেলের কাছে পানি চেয়েছিলাম।
কী কারণে জানি না সারাক্ষণই তেষ্টা পেত। পানি পানি বলে চিৎকার করতাম। সে সময় একবার, দুবার পানি দেওয়া হতো মুখে। শেষের দিকে বিরক্ত হয়ে খেপে গিয়েছিল আমার পরিবার।
পানি চাইতেই বড় ছেলেটা হাসপাতালের বাথরুমে নিয়ে ঝরনার নিচে দাঁড় করিয়ে দেয় আমাকে। হাসপাতালের রোগী রোগী গন্ধ পানির বালতিতে জোর করে মুখটা ডুবিয়ে বলেছিল, ‘খা। পানি খা। যত পারিস খা। খুব যন্ত্রণা দিচ্ছিস শালা। তোর পানির পিপাসা আইজ জনমের তরে মেটাব।’
ছেলের আমার মেজাজ খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। ওর জায়গায় থাকলে আমারও হতো। ছেলের দোষ দেব না। দিতে নেই। মা, বাবা অসন্তুষ্ট হলে সন্তানের অমঙ্গল হয়। আমার বড় ছেলের খারাপ কিছু হোক এটা আমি চাই না।
আমার শুধু মন খারাপ হয়েছিল ও আমাকে শালা বলেছে দেখে। বাবাকে যে শালা বলতে নেই। আমাকে পানিতে চুবানোর সময়ও প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে আমি বলেছি, ‘শালা বলিস না। বাবাগো শালা বলিস না।’
ছেলে আমার কথা শোনেনি।
উল্টো পানি থেকে চুবিয়ে এনে আমার মুখে জোর করে ঘুমের ওষুধ গুঁজে দিয়েছে।
বোকা ছেলে। ঘুমের ওষুধ খেলে তো আমার ঘুম হয় না। বরং আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ে থাকি। ঘোরের মাঝে থেকে আবছায়া একটা জগতে চলে যাই। সে জগৎ বড় সুন্দর। সেখানকার সব কিছু বড্ড রঙিন। সে আমার শৈশব, কৈশোর, যৌবন। সোনার সময়।
শৈশবে আমি কাঁচাগোল্লা খাওয়ার জন্য বাবার কাছে আবদার করি। রান্না করা ডাহুকের নরম মাংসের ঝোলে ডুবানো আলু আমাকে পাগল করে দেয়। চৌপর দিন পুকুরের শান্ত জলে দাপাদাপি করলেও ক্লান্ত হই না।
বাবা ঝামা দিয়ে ঘষে ঘষে তিব্বত ৫৭০ সাবান দিয়ে আমাকে গোসল করায়। তেলে ডুবানো চুলে কাকুই চালিয়ে গালে থ্যাবড়া এক চুমো দিয়ে মা বলে, ‘খোকন, অনেক বড় হয়ে আয়। জজ হয়ে আয়। ব্যারিস্টার হ।’ আমি শালা কেরানি হব। মায়ের কথা শুনলে কি আমার চলে!
আধো ঘুম আধো জাগরণের ভেতরেই মনে পড়ে যায় কৈশোরের জুলেখার কথা।
জুলেখা বিষপিঁপড়ের মতো সুন্দর। সুন্দর জরিওয়ালা সোনালি পোকার মতো। আমার ওকে পিষে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করে।
খেয়ে ফেলে ইচ্ছে করে জোরে ঢেকুর তুলতে।
ওর পায়ের দিকে তাকালে আমার ভেতরে ঝড় ওঠে। এত সুন্দর পা-কি মানুষের হয়! হতেই পারে না। বাজি, বাজি, বাজি। জুলেখা পরি ছিল।
ওর পায়ের স্বচ্ছ, নরম চামড়ার নিচে রক্তের চলাচলও সহজে ঠাওর করতে পারতাম আমি। জুলেখার পায়ের নূপুর দুটো ছিল আমার প্রিয় খেলনা।
মেয়েটা প্রায়ই বিরক্ত হয়ে আমাকে বলত, ‘নূপুর নিয়া আপনের এত কী? শইলের কোনো জায়গায় হাত দেন না, খালি নূপুর নিয়া ছানাছানি। এমন পুরুষ তো দেহি নাই আগে আর!’
আমি জুলেখাকে বিয়ে করিনি। তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না। সে দুই ঘরের নামতা বলতে গেলেই গড়বড় বাাঁধিয়ে দেয়। এমন মেয়ে বিয়ে করতে নেই।
বিয়ে পরিবারের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ। এ ক্ষেত্রে লোকসান করে বোকারা। আমি এত বোকা ছিলাম না।
কলেজে উঠতে না উঠতেই বুদ্ধিমান আমি তাই বিয়ে করে ফেলি। বুদ্ধিমানরাও ভুল করে কখনো কখনো। আমিও করেছি। বউ আমার ভালো না। না চেহারা ভালো, না চরিত্র ভালো।
আমরা একে অপরকে কখনো ভালোবাসিনি। তবে ভালোবাসা না থাকলেও চার চারটে সন্তানের বাবা হয়েছি।
আমার সন্তান। আমার রক্ত।
ভালোবাসা থেকে জন্ম না হলেও ওদের শরীরে আমার রক্তের অস্তিত্ব আমি অনুভব করি। প্রতি মহূর্তে।
আমার মৃত্যুশয্যায় ওরা এখন বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে। আমার ছোট ছেলেটাকে মাথা কাত করে ভালো করে দেখার চেষ্টা করি। পারি না।
চোখের মণিটা ডানদিকে হেলাতেই ছোট ছেলেটির মুখ পর্যন্ত দেখা যায়। কমলা খাচ্ছে সে।
কোয়ার ভেতরে থাকা বিচিগুলো সরিয়ে খেতে মহা কসরত করতে হচ্ছে তাকে। বোকা এই ছেলেটার জন্য কষ্ট হয়। কপালে দুঃখ আছে তার।
বড় ভাই তাকে কানাকড়িও দেবে না। সে পড়বে কঠিন বিপদে।
ছেলেমেয়েদের আমার কারোরই বাবাকে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। বাবাকে হারানোর শোক তাদের বিচলিত করবে না।
সন্তানদের এমন আচরণে আমি কষ্ট পাই। কান্না পায়। মনে মনে প্রার্থনা করে বলি, ‘পরম করুণাময় আমাকে শক্তি দাও। কষ্ট সহ্য করার সাহস দাও। আমার মৃত্যু আরামদায়ক হোক। হে সৃষ্টিকর্তা, আমার পরিবারকে তুমি দেখে রেখো।’
বড় ছেলেটা ঘরের ভেতর বিড়ি ধরায়। ঘরভর্তি করে ধোঁয়া ছাড়ে। আমি অবাক হই। ধূমপানে বিষপান। ছেলের সাবধান হওয়া উচিত।
রোগীর ঘরে ধোঁয়া ছাড়লেও কেউ তাকে কিছু বলে না। আমার অবর্তমানে সেই-ই অভিভাবক। ধোঁয়া ছাড়ার অধিকার তার আছে।
আমার বউ কোরআন শরিফ নিয়ে বসেছে। আমার ভাইবোনেরা চলে এলেই সে তিলাওয়াত শুরু করবে। একটু একটু কাঁদবেও। স্বামীর মৃত্যুতে বউ কাঁদবে না এটা কেমন কথা!
লোকে খারাপ বলবে। ভাইবোনেরা মন্দ কথা শোনাবে।
সময় ঘনিয়ে এসেছে আমার। তিনি চলে এসেছেন। পালস্ রেটের ব্যাড়াছ্যাড়া অবস্থা। আমাকে তওবা করতে হবে। সব পাপের জন্য চাইতে হবে ক্ষমা। বেহেশত্ হাতছাড়া করা যাবে না।
অনেক কাজ বাকি থেকে গেল। অনেক কথা বলা হলো না।
দুপুরের শেষভাগের ইকড়ি মিকড়ি ছায়ার মতোই অল্প সময়ের জন্য এসে আবার মিলিয়ে গেলাম আমি। বড্ড দ্রুত শেষ হতে যাচ্ছে সব। শেষ হতে যাচ্ছে এলোমেলোভাবে।
মৃত্যুর আগে অল্প সময়ের ভেতর দারুণ কোনো স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করি। মনে আসে না। শেষ সময়ে মনে এসে হানা দেয় হেনা নামের কিশোরী একটি মেয়ে। ছি: ছি: একি কা-!
কলেজে থাকতে হেনাদের বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা করতাম আমি। হাস্নাহেনার ঘ্রাণ ছড়িয়ে প্রতি সন্ধ্যায় আমার ঘরে সে আসত পাটিগণিত বুঝতে। একদিন বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় তাকে একা পেয়ে জোর করে ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসি। হেনা বাঁধা দিলেও শক্তিতে কুলোতে পারে না। উগ্র রিংরসায় মন্থন করা হয় তাকে।
‘ভাইজান। মাফ করেন। ভাইজান..।’ কান্না নিয়ে বলা এ কথাগুলো থামাতে পারেনি আমায় সেদিন। পাপ করেছি। কঠিন পাপ।
আমার আরো মনে পড়ে যায় মায়ের গোমরা মুখের কথা। বউয়ের গহনা হারিয়েছে বলে তাকেই ঠাওরানো হয়েছিল চোর বলে। বারবার চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে সে বলছিল, ‘বাবারে, খোকনরে গয়না দিয়া আমার কী হবো! আমার গয়না তো তোরা। আমার পেটের বাচ্চারা। তোরা আমারে লজ্জা দিস না। বউমার সামনে আমারে চোর কইস না।’ ছেলের বউয়ের পা ধরতেও কসুর করেনি সে সেদিন। তবে লাভ হয়নি। নিজের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি বৃদ্ধ মাকে। চিরদিনের জন্য। মা আত্মহত্যা করেছে। নাটক-সিনেমার মতো অভিমান করেছে ছেলের ওপর। অভিমান করে যে মা এমন চলে যেতে পারে, তার মৃত্যুতে কাঁদা উচিত না। আমিও কাঁদিনি।
আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড। স্মৃতিগুলো সব ধোয়া হয়। ধোয়া হয়ে উবে যায় মাথারই ভেতর।
আমার বড় ছেলেটা এগিয়ে আসছে। আমার দিকে। ওর চোখে পশুর হিংগ্রতা। তার হাতে বালিশ।
নরম ও কোমল তুলো দিয়ে ভর্তি।
আফসোস। আমার সবই তো ছিল এই বোকা ছেলেটার জন্য। সামান্য লোভে আমারই মতো বাবাকে কেন মেরে ফেলতে হবে। অনুতাপ হয়। রাগটা পড়ে যায় নিজের বাবার ওপর থেকে।
আচমকা অন্ধকার সব। কানে আসে বউয়ের কোরআন তিলাওয়াতের সুর। ভাইবোনগুলো চলে এসেছে হয়তো। প্রচ- যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যাই আমি। বেডের একদম কাছে চলে এসে মৃত মা আমার মুখটা বুকে চেপে ধরে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘আমি রাগ করিনি খোকন। রাগ করিনি।’
বাবা একটু রাগ করে। বলে, ‘এত অল্পতেই কাহিল হয়ে গেলি। তুই যখন আমার মুখে বালিশ চেপে ধরেছিলি তখন কষ্ট হয়েছিল আরো বেশি। একটু সহ্য কর। ’
বাবাকে ক্যামনে বোঝাই এত কষ্ট আমার সহ্য হয় না। হয় না।
মৃত্যুর সামান্য কিছু আগে আমার চোখ হতে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা জল। শুকনো গাল বেয়ে সরলরেখায় পড়তে পড়তে সে জল নিচের দিকে যেতে থাকে।
মা আমার চোখের জল মুছে দাও।
বাবা আমার চোখের জল মুছে দাও।
মুছে দেবার কেউ নেই। কেউ নেই…।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *