ছোটগল্প।। তপোভঙ্গ।। কিঙ্কর আহ্সান

রাজা শশীকান্তের মনটা ভালো নেই আজ। শরীরের অবস্থাও যাচ্ছে তাই।সে অম্ল রোগী। কিছুই শান্তি মতো খেতে পারেন না। উল্টো পাল্টা খেলেই বুক হতে ঝাঁঝালো একটা ঢেকুর থেকে থেকে ওপরে গলার দিকে উঠতে থাকে। তাছাড়া ঘুম ভাঙার পরই বুড়ো হাড়ে ব্যথা হয় খুব। যন্ত্রণা। বড়ই যন্ত্রণা। পুব আকাশে মস্ত একটা সূর্য উঠেছে। ভোর হয়েছে অনেকক্ষণ।এখন শ্রাবণ মাস। সূর্যের দেখা পাওয়া মুশকিল। আকাশের মন মেজাজও ঠিক নেই। এই বৃষ্টি তো, এই রোদ।শশীকান্ত অন্দর মহল থেকে বের হন। ধূপের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পুজোর ঘর থেকে আসছে হয়তো। শশীকান্ত ভৃত্য গোপাল পালকে খুঁজতে থাকেন। সকাল সকাল গোপালের নিজ হাতের তৈরি মন্ডা না খেলে তার মনটা ভরে না।আজ মন্ডা তো দূরের কথা, একটু আঙুরের রস খেয়ে যে শান্তি মতো গান বাজনা করবেন তারও উপায় নেই।

শশীকান্তের গান বাজনার বড় শখ। খাঁটি মধু খেয়ে রোজ রেওয়াজ করা চাই। এতে কণ্ঠ সুমিষ্ট হয়। ‘কইরে গোপাল, হারামি গেলি কই। আমার তামুকটা সেজে দে না বাপু।’ জোর গলায় হাঁক ছাড়েন রাজা।

কারো সাড়া শব্দ নেই। গত রাতে নাচ ঘরে মেয়েটা মারা যাওয়ার পরই সবাই চুপচাপ। এমনটা তোহর হামেশাই ঘটে। এত শোক পালনের কী আছে বোঝে না রাজা।

এবারের মেয়েটার বয়স একটু কম, এই যা সমস্যা।শশীকান্ত বৈঠক খানার দিকে যেতে থাকেন। একটু খোঁজ খবর নেওয়া দরকার। হাজার হোক তিনি রাজা। প্রজাদের সুখ দুঃখ না দেখলে তার চলে না। শ্বেত পাথরে মোড়ানো মেঝেতে হাঁটতে হাঁটতে চার পাশটায় চোখ বুলাতে থাকেন তিনি। দারুণ। দারুণ সুন্দর সব। কাঠের নাচ মহল, দেয়ালে আঁকা অসংখ্য ছবি, সিন্দুক ঘর, ঘোড়াশাল সব মন ভালো করে দেয়। নিজের শক্তি, ধন সম্পদের কথা ভাবতে ভালোই লাগে। বৃহত্তর নাল পাহাড়িয়ার অর্ধেকটার মালিক সে। নদীয়ার ঠিক পাশেই জায়গাটা। তিনি স্বাধীনরাজা। ধন সম্পদের কমতি নেই তার। বিবিও আছে ডজন খানেক। বারো থেকে শুরু করে বিয়াল্লিশ পর্যন্ত তাদের বয়স। বিবিদের জন্য আছে আলাদা মহল। এলাহি কারবার।নাল পাহাড়িয়ার নৃপতিকে বারো জন জমিদার কর দিতে বাধ্য। দু-একটা দুঃখের ঘটনা বাদ দিলে বলা যায়, বড় সুখেই আছেন শশী কান্ত। বৈঠক খানায় আসতেই দেখতে পাওয়া যায় রাজ পন্ডিত নিত্য নারায়ণকে। কি যেন মুখে দিয়ে ছাগলের মতোন জাবর কাটছে সে। সুপুরি টুপুরি হবে হয়তো। এই লোকের যখন তখন সুপুরি খাবার বদ অভ্যাস। দূর থেকে শশী কান্তকে দেখেই ছুটে আসে নিত্য নারায়ণ।‘পেন্নাম হই রাজা মশায়। গায়ের অবস্থা ভালো ঠেকছে না গো। আও রাতের বয়স বড়ই কম ছিল। তা গত রাতে কী হয়ে ছিল? ’ন্যাকা সেজোনা হে। কই থেকে ঘেঁটে ঘুঁটে এমন রোগাটে জিনিস নিয়ে আসো কে জানে। গোপালকে দেখছি না সকাল হতে। তুমি বাপু আমার তামাকটা সেজে দাও দেকিনি। পন্ডিতের ওপর বিরক্ত হয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে কথাগুলো বলে শশীকান্ত।

তিনি রাজা মানুষ। এভাবে রাজ্যির প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য শশী কান্ত বাধ্য নন। প্রজাদের আস্পর্ধা দেখে তার অবাক লাগে। নিত্য নারায়ণ মুখে পোরা সুপুরির গোলাটা কোঁৎ করে গিলে রাজার সাথে আবার কথা বলা শুরু করে। ‘বেয়াদপির জন্য ক্ষমা করবেন মশায়, বলছিলাম কি গোপালের জন্য অপেক্ষা করলে ভালো হতো না। তামুক সাজার কাজে আমি বড়ই আনাড়ি। ’‘হারামির বাচ্চা’ বলে মনে মনে রাজ পন্ডিতকে একটা গালি দেয় শশী কান্ত। মুখে কিছু বলে না। নিত্য তার বাবার আমলের লোক। বয়সী লোকদের গালি গালাজ করা শশী কান্তের ধাঁতে নেই। তাছাড়া এই অশোভন বিষয়টিতে নাকি কর্কশ হয়ে ওঠে কণ্ঠ। তিনি গানের লোক। কণ্ঠের দিকে তাঁকে সদা নজর রাখতে হয়। শশীকান্তের বয়সও কম হয়নি। পঞ্চাশের কোঠা ছুঁয়েছে, তাও সে বছর পাঁচেক আগে। তার চেহারা সুরত বড় ভালো। নাকের অল্প নিচেই পেল্লায় গোঁফ। রাজার মতোনই দশা সই চেহারা। দৈর্ঘ্যে তাকে ছাড়িয়ে যাবে এমন কেউ নেই এ তল্লাটে। আখাম্বা পা দুখানি ধুতি দিয়ে কোনো রকমে পেঁচিয়ে যখন তিনি বের হন রাজ্য দর্শনে, তখন তা প্রজাদের কাছে একটা দেখার মতোন বিষয় হয় বটে। অসুবিধে শুধু চুল নিয়ে। তার মাথায় চুল নেই তেমন একটা। সেই তো ঘাড়ের কাছে গোটা পঁয়ত্রিশেক চুল এলোমেলো ভাবে গড়িয়ে পড়ে আছে কোনো রকম। তাও বেশি দিন টিকবে বলে মনে হয় না।

গায়কদের চুল না থাকা বড়ই লজ্জার বিষয়। শশীকান্ত রাজা হলেও মনে প্রাণে নিজেকে একজন সাচ্চা গায়ক ভাবতে ভালোবাসেন। এই সামান্য চুল নিয়ে তাই তো যত্ন-আত্তির শেষ নেই। রাজ্যের কবিরাজ, বদ্যি সবাই তার মাথায় চুল ওঠানো নিয়ে ভাবতে ভাবতে নিজেদেরই চুলব খুইয়ে প্রায় সর্বস্বান্ত। জড়ি বুটি, বুনোলতা পাতার রস সেবন, মাথায় শিমুল পাতা বেটে লাগিয়ে রাখা কোনো চিকিৎসাই বাদ রাখেননি শশীকান্ত। বৈঠক খানার পাশেই গোপালের জন্য দোচালার ঘর তুলে দিয়েছেন রাজা। যাওয়া হয়নি কখনো। রাজা হয়ে ভৃত্যের বাড়িতে ঢুঁমারাটা বড্ড লজ্জার একটা বিষয়। তবুও ওমুখো একবার হবেন কিনা ভাবল শশীকান্ত। নিত্য নারায়ণ এখনো পাশে দাঁড়িয়ে সুপুরি চিবোচ্ছে। ব্যাটা ছাগল। মেজাজ খারাপ হতে থাকে রাজার। তার চারপাশে বড় বেশি মূর্খ মানুষদের বাস।

‘রাজ জ্যোতিষী কোথায় জানো হে?’‘

সে তো দুপুরের আগে এমুখো হন না তেমন একটা। নতুন নাতি হয়েছে। সেই নাতি নিয়েই মেতে থাকেন দিনভর।’এত কথা তো তোমায় জিজ্ঞেস করিনি। শরীরটা ভালো মনে হচ্ছে না। গত রাতে বড্ড ধকল গেল। এমনটা হবে জানলে কাল নাচ ঘরে যেতামইনা। ’‘তা গোপালকে একটু বলতেন সাবধান করি দিতে। ব্যাটা খচ্চরের খচ্চর।’

‘গোপালের আর দোষ কি। মিইয়া মানুষের মন বোঝা দায়। তা সে দশের হোক বা একশত। ’খাঁটি কথা। খাঁটি কথা রাজামশায়। আমি রাজ পন্ডিত মানুষ। কত বিদ্যে আমার! কই আমার মাথায় তো এসব আসে না। পেন্নামহই। পেন্নাম। ’মশকারা করছ নাকি হে। ’‘রাজা শশীকান্তের সাথে মশকারা করার সাহস কী আর আমার আছে! তা হঠাৎ রাজ জ্যোতিষীকে তলব করা কেন বললেন না যে। ’তুমি তো দেখি আস্তমূর্খ। রাজকুমারদের কী শেখাচ্ছ কে জানে। বললাম, না শরীর ভালো নেই। আয়ু রেখাটা একটু দেখার দরকার ছিল। শনির আছর টাছর পড়লে তো সর্বনাশ! ’‘সে হবিনে। সে হবিনে। রাজার আয়ু বলে কথা! হাঁটতে হাঁটতে গোপালের বাড়ি চলে এসেছি রাজা মশায়। এক টুকি খোঁজ নেব?’কথা বলতে বলতে এখানে চলে আসা হবে বোঝেনি শশীকান্ত। হাঁটা চলা তিনি মেপে মেপে করেন। আজ বড় অনিয়ম হয়ে যাচ্ছে।

রাজার আদেশের অপেক্ষা না করে গোপালের বাড়ি তাক করে রানু-ও রানু বলে ডাকতে থাকে নিত্য নারায়ণ।

এই রানুটা কে জানে না রাজা। জানা দরকার। প্রজাদের খোঁজ খবর রাখা দরকার। এরপর থেকে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে প্রজাদের খোঁজ নেবেন তিনি। বেয়াদব প্রজারা আজকাল তাদের কন্যার কথা গোপন রাখছে। নিয়ম অনুযায়ী ঋতুবতী হলেই রাজার কাছে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কন্যা সন্তানকে পাঠানোর নিয়ম।

সেসব মানছে না আজকাল অনেকেই। শাস্তি হবে। কঠোর শাস্তি। অবশেষে রানুকে দেখা হয়। গোপালের একমাত্র মেয়ে। বিয়ে হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। স্বামী নিয়ে বাবার কাছেই থাকে। এতো দেরি হলো ক্যানো রে? সামান্য রেগে কথাগুলো বলেন নিত্য নারায়ণ।’‘উনুনে আনাজ রেখে আসতে পারি না যে। আর দুটো মিষ্টি আলু সেদ্ধ করতে দিয়েছি। বাপজান এসে খাবেন। পেন্নাম-পেন্নাম। ’সামনে দাঁড়ানো রাজা এবং রাজ পন্ডিত দুজনকেই ঝুঁকে প্রণাম করে রানু। রাজাকে এত কাছ থেকে এই তার প্রথম দেখা। তাই চোখের অবাক দৃষ্টিটা সহজেই চোখে পড়ে যায় রাজা শশীকান্তের। ‘আহা রে। বাপ দরদি মেয়ে! তা তোর বাবা কোথায় বল দিকিনি? ’চান করতে গিয়েছেন দক্ষিণের পুকুরে। গত রাতে মারা যাওয়া মেয়েটার সৎকারের কাজ করতে গিয়ে একটু দেরি হয়ে গিয়েচে আজ। ’‘অ। বুঝলাম। রাজা এয়েচে। বাপকে ডেকে আন্যা। মেয়েটা কে আদেশের সুরে বলে নিত্য নারায়ণ। ’গোপাল কে আর ডেকে আনতে হয় না। রাজার পেছন থেকে হুট করে এসে পায়ে লুটিয়ে পড়ে প্রণাম করে গোপাল। কখন যে ভূতের মতোন পেছন থেকে এসে সে হাজির হয়েছে খেয়ালই করেনি কেউ। শশীকান্ত এতক্ষণ চুপ করেছিল। যতটা সম্ভব গোপালের ওপর রাগটা চেপে এইবার কথাব লল সে।

‘আমার জল খাবারের কথা কে মনে রাখবে শুনি?’

‘মাপ করবেন রাজামশায়। আপনিই সব। ভুল হয়ে গিয়েচে। গতকাল রাতে মেয়েটা ফাঁস নেবার পর বড় ঝক্কি গেল। বয়স তো কম। মাত্তর সাড়ে নয়। ’তা এই জিনিস পাঠিয়ে ছিলি ক্যানো? দোষ বুঝি সব আমার? ফাঁস নেবে বুঝলি না ক্যান? এসব কাজের সময় তুই তো ঘরের দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে থাকি সব রাবর। ’কাল একটু নেশাটা বেশি হয়ে ছিল যে।’‘অই শোনো। উনি নেশা করেচেন আর দোষ দিচ্ছেন রাজাকে। শালা খচ্চরের খচ্চর। ’সুযোগ পেয়ে এবার একটু কথা বলে নিত্য নারায়ণ।‘তুমি চুপ করো হে। ’ধমক দেন রাজা। গোপাল কাঁপতে থাকে ভয়ে। রানু মেয়েটার কচি মুখও শুকিয়ে আমসি। শশীকান্ত এখন আর গলা চড়াবেন না বলে মনে মনে ঠিক করেন। এতে কণ্ঠের ক্ষতি। কিন্তু রাগ কি আর কারো কথা শোনে! শশীকান্ত জোর পা ফেলে অন্দর মহলের দিকে যেতে থাকেন। পেছন পেছন আসতে থাকে নিত্য নারায়ণ আর গোপাল। সূর্যের আলোর তেজ বেড়েছে। গাছের পাতায় পাতায় খেলা করছে হলুদ রোদ। রাজাকে সম্মান জানানোর জন্যই যেন গাছের পাতার আড়ালে থাকা একঝাঁক পাখি উড়ে যায় আকাশে। উড়তে উড়তে দেখাতে থাকে নানা কারসাজি। আজ আর বৃষ্টি হবে না রাজ জ্যোতিষী ছাড়াই বুঝতে পারেন নাল পাহাড়িয়ার প্রতাপশালী রাজা শশীকান্ত। তাই বৃষ্টি নিয়ে মজা করে ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে বসেন। একটু পরই হাঁটার গতি কমে তার। ঠিকগা ঘেষে এসে দাঁড়ায় নিত্য নারায়ণ আর গোপাল। মন ভালো ভাব নিয়ে রাজা গোপালের দিকে তাকান। চোখে প্রশয়।

‘আজ আর নতুন কারো দরকার নেই। তোর মেয়েটাকে পাঠিয়ে দিস হে। শেষ বয়সের মেয়ে তোর। বড় ভালো আর আদরের মেয়ে। বোঝা যায়। বোঝা যায়। যা এখন আমার জল খাবারের ব্যবস্থা কর গিয়ে।’ কথাগুলো বলে একবারও পেছনে না তাকিয়ে দ্রুত অন্দর মহলের দিকে চলে যান শশীকান্ত।

জল খাবারের বড্ড দেরি হয়ে গেল আজ। তাই এই তাড়াহুড়ো। গোপাল আর নিত্য নারায়ণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। রাজা যদি একবারও পেছনে ফিরে তাকাতেন, তবে দেখতেন গোপালের চোখে জল। এ জল যতটা না কন্যার, তার চেয়েও ঢের বেশি রাজা শশীকান্তের জন্য। সেই ছোট থেকে মানুষ করেছেন। নিজের সন্তানের মতো বলেই রাজাকে মাঝে মাঝে ডাকেন বাবা বলে। শশীকান্তও কোনো কিছুই গোপন করে না তার কাছে। গোপাল তার সবচেয়ে কাছের লোক। বড্ড আফসোস হয়। একবার যদি আয়ু রেখাটা দেখত আজ শশীকান্ত, তবে হয়তো বেঁচে যেত সে। নাচ ঘরে মেয়েদের নগ্ন হয়ে ঢোকার নিয়ম। সাথে যাতে না থাকে কোনো হাতিয়ার, তাই এ ব্যবস্থা। কিন্তু গোপাল থাকবে দরজার আড়ালে। পরচন্ড যন্ত্রণা নিয়েও এতগুলো বছর অনেক সহ্য করেছে। আর নয়। তা ছাড়া নিজের মেয়ে বলে কথা! তাই হয়তো হাত কাঁপবে না একটুও তার।

সাথে লুকিয়ে থাকা বহুদিনের পুরনো ছুরিটা দিয়ে রাজা শশীকান্তের কণ্ঠ নালিটা কাটার সময় বড় কষ্ট হবে গোপালের। দমক দমক রক্ত ফ্যাস ফ্যাস শব্দ করে যখন বের হবে শশীকান্তের কণ্ঠ থেকে তখন রাজার গান গাওয়ার শখের কথা মনে পড়বে খুব।

গোপালের আজ শোকের দিন। পুরো নাল পাহাড়িয়ার মানুষের শোকের দিন। এই দিনে তারা রাজা হারাবে।

রাজার মনে মনে করা ভবিষ্যদ্বাণী কে ভুল প্রমাণিত করে বৃষ্টি শুরু হয়। শ্রাবণের জোর বৃষ্টি। সেই সাথে বাতাসের পাগলামি। আচমকা কালো কালো মেঘেরা অন্ধকার করে ফ্যালে চারপাশ। পাখিরা পাতার আড়ালে এসে নিজেদের ছোট্ট শরীরটাকে লুকিয়ে নেয় দ্রুত।

রাজ জ্যোতিষী বলেছেন, মৃত্যুর খবর পাখিরা সবার আগে পায়। কথাটাকে সত্যি মনে হয়। অন্তত আজ পাখিদের আচরন দেখার পর বোঝা যায় কথাটা মিথ্যে হওয়ার জো নেই। একদমই নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *