নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষায় মহসিন খোন্দকার এর ছড়া
বৌ
শাওন মাসে অ জার করে
কাইট্টা আইছি নাইল্লা
কই গেছত গো বিলকিছের মা,
আনছনা তর আইল্লা।
কষ্ট কইরা মাইরা আনছি
গোডা পাচেক বাইল্লা
রান্ধা বাড়া অ পারছনা
মরিছ দেলাছ ঢাইল্লা।
কামের লাইগ্গা আদর করি
আসলে তুই কাইল্লা
ক্যামনে খাইবি জামাইর ভাত
জানে খোদা মাইল্লা।
দাওয়াত
আ’য়েন ভাইছাব সময় পাইলে
বানাম লাইজ্জের পিডা
আমুন ধানের চাইল কুটছি
ঘরে আছে মিডা।
চিনি চাম্পা কলা পাকছে
গাই’য়ে দিছে দুধ
ঝালের চডা বানাই দেমনে
পাডাত বাইট্টা খুদ।
কইতরে অ বাচ্চা দিছে
গাতার লাডি মাছ
আই’য়েন ভাইছাব কইতাছি যে
দুধে দিছি হাছ।
পোলাপানের রান্ধা
ছাগল লইয়া পচমে যামু
শিনিধিরের চহে
ছাইরা দিলে ক্ষেত খাইয়া’লা
মাইনষে খালি বহে।
এইজ্জে কইলাম পোলাডারে
ছাগলডারে পাতা’দে
ডেঙ্গা ক্ষেতটা ভিজান লাগ’ব
কলে কয়’ডা যাতা দে।
হে হুনেনা আমার কতা,
বিলে গেছে ডুবাই’ত
কুর’ছ মুরগি লইয়া গেছে
ইচ্ছা মতে চুবাই’ত।
ইতা লইয়া ক্যামনে চলি,
পোলাপানের রান্ধা
বিয়া দিছে আর কী করুম,
আত পাও আমার বান্ধা।