সৈয়দা কানিজ রাসুল-এর ছড়া
বর্ষা রাণী
আকাশ জুড়ে বিজুলি ছটা
মেঘের গুঞ্জরন
বর্ষা রাণী নূপুর পায়ে
নাচছে সারাক্ষণ।
গাছপালা আর খালে বিলে
জাগছে নতুন প্রাণ
নদীর জলে ঢেউয়ে ওঠে
তাক ধিনা ধিন গান।
আষাঢ় এলো বৃষ্টি নিয়ে
গাছে কদম ফুল
টগর বেশি জুঁই কামিনী
দুলছে দোদুল দুল।
বর্ষাকালে চাষির মনে
অনন্ত এক সুখ
সামনে সুদিন আসবে বলে
আশায় বাঁধে বুক।
বৃষ্টির গান
টুপ টাপ বৃষ্টি
হীরা মতি পান্না
গনগনে আগুনে
শুরু হলো রান্না।
শন শন বায়ু বয়
উড়ে চাল ভাঙে ডাল
থৈ থৈ পথ ঘাট
ভরে বিল ভরে খাল।
চমকায় বিদ্যুৎ
ঝনঝন পড়ে বাজ
কনকনে ঠান্ডায়
জড়োসড়ো সবে আজ।
হৈ হৈ ছেলে পুলে
নেমে গেছে রাস্তায়
টনটনে বেদনাতে
দাদু ঘরে কাতরায়।
বাজারেতে ক্রেতা নেই
মাছি ওড়ে ভনভন
রাতভর বৃষ্টিতে
হাঁড়িকুড়ি ঠনঠন।
নাতি শোনে গল্প
করে শুধু বকবক
থেমে থেমে নানা ভাই
কাশে শুধু খকখক।
ঝর ঝর বৃষ্টি
রাতভর ঝরছে
জোনাকির দেখা নেই
ঝিঁঝি পোকা ডাকছে।
সকালেতে উঠে দেখি
মেঘ গুলো সরছে
চকচকে সোনা রোদ
ঝিকমিক করছে।
বর্ষা
বর্ষা এলো বাজিয়ে নূপুর
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
ঐ দেখা যায় মেঘের ঘটা
নামলো বুঝি দেয়ার জটা।
গোরু ছাগল রাখাল সনে
ভিজছে দেখ কেয়ার বনে
টগর কদম পদ্ম লিলি
থোকায় থোকায় ফুটে বেলি
হংস মিথুন চুপটি করে
ডানার ভিতর মুখটি ভরে
এক পা তুলে সুখের ঘুম
বৃষ্টি নামে ঝুমুর ঝুম।
বৃষ্টি দিনে
বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে
সারা আকাশ ভরে
ঢালছে এখন বৃষ্টি ধারা
আকাশ উজাড় করে।
চিল শকুনি কাকেরা সব
ঢুকলো নিজের বাসা
চাতক পাখির খুশী বেজায়
মিটলো মনের আশা।
গাছপালারাও বৃষ্টি আশায়
আকাশ পানে ছিল চেয়ে
খালে বিলে মাছের নাচন
বর্ষার নতুন পানি পেয়ে।