শাকিব হুসাইন এর ছড়া-কবিতা
পড়া তোমায় দিলাম ছুটি
ইশকুল নেই পড়া তোমায়
যাও দিলাম আজ ছুটি
রঙের সাথে আজ সারাদিন
গড়ব আমি জুটি।
আজকে আমি আঁকব বসে
আমার বাবা-মাকে
অনেক কিছু আঁকব আমি
বলতে পারো কাকে?
আঁকব আকাশ চাঁদ তারা আর
আঁকব গাছের সারি
দূর আকাশে ভেসে চলা
আঁকব মেঘের বাড়ি।
আঁকব আমি রূপকথার ঐ
নীল পরিদের ডানা
আঁকব নদী-ঝরনা-পাহাড়
নেইকো আমার মানা।
মশা হয়েছে টসা
এক যে আছে সুঁইয়ের মতো
চিকনচাকন মশা
হঠাৎ করেই শোনা গেল
সে হয়েছে টসা
মশার মাসি দেখে এল
নর্দমায় সে বসা।
রক্ত খেতে হাবুর বাড়ি
গিয়েছিল কাল-ই
কোত্থেকে এক হঠাৎ করে
চলে এল মালি
কী দেখে যে খুশি হয়ে
জোরসে দিল তালি।
আওয়াজেতে মশার কানের
পর্দা গেল ফেটে
ধাক্কা খেয়ে দেয়ালে তার
হুলটা গেল কেটে
কান্না করে সকাল-বিকাল
যায় না রক্ত পেটে।
বৃষ্টি আমায় ডাকে
বৃষ্টি আমায় ডাক দিয়ে যায়
আয় রে খুকু বাইরে তুই আয়।
আর কতক্ষণ থাকবি ঘরে
বাহিরটা দেখ দু’চোখ ভরে।
বৃষ্টিরা যে করছে খেলা
ডোবার জলে জমছে মেলা।
হাঁস ছানারা সাঁতরায় খুব
ডোবার জলে দেয় তারা ডুব।
ব্যাঙরা করে লাফালাফি
সবুজ মাঠে দাপাদাপি।
গান করে সব ফোলা গালে
ফড়িং নাচে তালে তালে।
আনন্দ নিস লুটেপুটে
আয় রে খুকু জলদি ছুটে
হারিয়ে যাওয়া মা
প্রজাপতি যাচ্ছ কোথায়
কোন নদীটির বাঁকে?
বলতে পারো কোথায় পাবো
হারিয়ে যাওয়া মাকে?
খুকুমণি ছোট্ট আমি, কী আর জানি বলো?
পাখি যদি বলতে পারে, চট করে যাই চলো।
ভোরের পাখি খোলো আঁখি খুকু তোমায় ডাকে
কোথায় খুঁজে পাবো খুকুর হারানো সেই মাকে?
বলল পাখি, তোমার মা যে খুব সুখেতেই আছে
আকাশ পাড়ে থাকে তিনি চাঁদ-তারাদের কাছে।
রোজ নিশীথে তোমার গালে
মিষ্টি চুমু আঁকে
আমরা তখন দেখি তোমার
হারিয়ে যাওয়া মাকে।